Home » কলাম » রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশের এখনি করণীয়ঃআমার এক স্লিপ

রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশের এখনি করণীয়ঃআমার এক স্লিপ

রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশের এখনি করণীয়ঃআমার এক স্লিপ

১৯৪২ সাল থেকে বার্মিজরা রোহিঙ্গাদের একের পর এক বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে। বিগত বছরগুলোতে সেই অবস্থা এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশ ছোট দেশ এবং ছোট অর্থনীতির দেশ। বাংলাদেশের অর্থনীতি যে চাপ হবে, সেটা সামাল দেয়ার মতো শক্তি আমাদের বর্তমান অর্থনীতির নেই। সেজন্যে বিশ্ব সম্প্রদায়ের উচিত বাংলাদেশের এই রোহিঙ্গাদের সাহায্য করা।

 

০২) বাংলাদেশের এখন সব চাইতে বড় যে কাজ হলো রোহিঙ্গাদের একটি পূর্ণাঙ্গ ডাটা বেজের আওতায় নিয়ে আসা। এখনি কক্সবাজার উখিয়ায় বাংলাদেশের পুরো প্ল্যাটুন ফুল যুদ্ধাস্র সহ সেনাবাহিনীর ক্যাম্প বসানো। একই সাথে বর্ডার গার্ডের সংখ্যা সেখানে বাড়ানো। এতে কোন প্রকারের গাফিলতি ঠিক হবেনা। মায়ানমার যেভাবে বর্ডারে গুলি করছে, সীমানা অতিক্রম করছে- এতে ম্যাসেজ দেয়া দরকার বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বর্ডার গার্ড তৈরি। তাতে মায়ানমার সীমান্ত থেকে অহেতুক উস্কানি দেয়া থেকে সরে যাবে।

 

 

০৩) সবচাইতে যে স্ট্র্যাটেজি বাংলাদেশকে নিতে হবে, সেটা হলো, এই রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নিয়ম শৃংখলার মধ্যে নিয়ে এসে ১৯৭১ সালের ভারত যেভাবে বিএলএফ ও মুজিব বাহিনী এবং নিউক্লিয়াস ট্রেনিং দিয়ে দেশের ভিতরে পাঠাতো পাকিস্তানিদের খতম করতে, সেরকম না করে আধুনিক এক স্ট্র্যাটেজি নিয়ে রোহিঙ্গাদের মধ্য থেকে কমপক্ষে ২(দুই লক্ষ) লক্ষ বা অধিক রোহিঙ্গাদের আধুনিক ট্রেনিং- বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অধীনে করে, এদেরকে বার্মায় পুশব্যাক করা। তাহলেই মিয়ানমারের বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের ঠে্লে দেয়া যেমন বন্ধ হবে, গণহত্যাও বন্ধ হবে আপনা আপনি। মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের আর ফেরত নিবেনা। কখনো নেয়নাই। তারা বলছে, এরা রোহিঙ্গা নয়, বেঙ্গলি মুসলিম। এখন বাংলাদেশের উচিত ষ্ট্র্যাটেজি সাজানো। এদেরকে দিয়ে আরাকান স্বাধীন করে দেয়া, আর যদি সেই ষ্ট্র্যাটেজি ফেল করে তাহলেও বাংলাদেশ সহজে আরাকান দখল করে নিবে নিজেদের বলে। কারণ বাংলাদেশের অস্র হবে এই আরাকানী রোহিঙ্গারা।

 

০৪) ইউএস এমনিতেই চাচ্ছে, বাংলাদেশ-মায়ানমার বর্ডারে রোহিঙ্গাল্যান্ড প্রতিষ্ঠা করতে। বাংলাদেশ এই ইস্যুতে আমেরিকাকে পাশে পাবে। আমেরিকা চাপ দিলে ভারত সাথে থাকবে। আর বাণিজ্যিক সুবিধা দিয়ে বাংলাদেশ চীনকে সাথে নিতে পারবে সহজে।

 

০৫) রোহিঙ্গাদের পূর্ণ সামরিক ট্রেনিং দিয়ে একাত্তরের মতো মিয়ানমারে পাঠিয়ে দিয়ে আরাকান কিংবা বর্ডারের অপর অংশ বাংলাদেশের না নেয়া ছাড়া এই সমস্যার সমাধান হবেনা। মিয়ানমার এবং পশ্চিমা বিশ্ব চাইবে এই রোহিঙ্গাদের নানাভাবে প্রলোভন দিয়ে কট্ররপন্থার দিকে আকৃষ্ট করতে, যা বাংলাদেশের ঐ রিমোট অঞ্চলে নানা দাতা ও চ্যারিটির আদলে সহজেই সম্ভব। সেজন্যে সেনাবাহিনীর পূর্ণ ব্রিগেড সহ আধুনিক সকল যুদ্ধের অস্র এবং হেলিকপ্টার, ফাইটার বিমান, ফ্রিগেড সব সেখানে মোতায়েন, বর্ডার গার্ডের আকার বৃদ্ধি, স্পেশাল পুলিশ ও গোয়েন্দাদের নজর বৃদ্ধি, এবং রোহিঙ্গাদের পূর্ণ বায়োমেট্রিক ডাটা বেইজ সহ সার্বক্ষনিক মনিটরিং(অত্যন্ত কঠোরভাবে, তবে কোনভাবেই তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করে নয়), ব্যবস্থা করা এখনি দরকার।

 

বাংলাদেশ সরকার, সেনাবাহিনী, পলিসিমেকাররা কি ভেবে দেখবেন

 

সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ
লন্ডন থেকে
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

Please follow and like us:
Pin Share

Follow by Email
YouTube
Pinterest
LinkedIn
Share
Instagram
error: Content is protected !!