Home » কলাম » হাসিনা জানেন, খালেদা জানেন, জনগণ কি জানেন ? যে গল্পের শুরু আছে শেষ নেই

হাসিনা জানেন, খালেদা জানেন, জনগণ কি জানেন ? যে গল্পের শুরু আছে শেষ নেই

দৃশ্যপট- চলমান রাজনীতি ও আগামী নির্বাচন:
কথা হচ্ছিলো, উচ্চ পর্যায়ের জাতিসংঘ দূত, সাথে বাংলাদেশ সরকারের উঁচু পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, সরকারের নীতি নির্ধারনী ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে যার ভূমিকা অনস্বীকার্য। এরকম সরকারি চৌকস বিশ্বস্ত কর্মকর্তা সব সরকারের আমলেই থাকেন, যেমন করে আছেন তিনি। আলোচনা চলছিলো, মাজে মধ্যে গরম কফিও পান সমানতালে চলছিলো। সময়টা বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল।যে কোন সময় বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে কোন পরিবর্তন ইতিবাচক কিংবা নেতিবাচক ঘটে যেতে পারে। বিশেষ করে প্রধান দুই দলই একে অপরের বিপরীতে যোজন যোজন দূরত্বে নির্বাচনী ফর্মুলা উপস্থাপন করেছে।

একজন করেছেন জাতির উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দিয়ে, অপরজন করেছেন দুদিন দেরিতে, কিছুটা সময়, শলা-পরামর্শ করে বিকল্প প্রস্তাব। দৃশ্যত দুটি প্রস্তাব একে অন্যের বিপরীত। জনমতের পাল্লায় যদিও দ্বিতীয় বিকল্প প্রস্তাব অধিকতর গ্রহণযোগ্য, এবং ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত সহ সাবেক রাষ্ট্রপতি, বিকল্প ধারার নেতা বি চৌধুরীও ইতিবাচক ভাবে নিয়েছেন। দেখার বিষয়, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ দুই বৃহৎ দল এখন কেমন করে ট্যাকল করে। এই পর্যন্ত টেবিল টক থেমে গেলেই হয়তো আলোচনা এখানেই শেষ হয়ে যেতো।কেননা জাতি সংঘদূতের কেন জানি আরো কিছুর জানার আগ্রহ কিছুতেই থামতে চাচ্ছিলোনা। কিন্তু না বাংলাদেশের জাঁদরেল উঁচু মানের এই কর্মকর্তা জাতিসংঘ দূতকে নিরাশ করলেননা, এগিয়ে এসে এই বার মুখ খুললেন। বললেন, খেলা এখনো শুরুই হয়নি। একটু সময় অপেক্ষা বাকি। সরকারের এই উঁচুমানের কর্তা ব্যক্তি জাতিসংঘ দূতকে অত্যন্ত দৃঢ়তর সাথে বললেন যা বললেন, আর তা হলো-

শেখ হাসিনা জানেন, বিএনপি এবং খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে আসবে। শেখ হাসিনা আরো জানেন, বিগত ২৫ অক্টোবরের আওয়ামীলীগের ডাকের আন্দোলনের সময় সারা ঢাকা শহর সহ বাংলাদেশে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা যে ভাবে অবস্থান ও দখলে নিয়েছিলো, বোধগম্য এবং রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক দুরবস্থার কারণে খালেদা জিয়ার বিএনপি আসন্ন ২৫ অক্টোবর তেমন করে আন্দোলন জমাতে বা জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারবেনা। শেখ হাসিনা জানেন, বিএনপির সিংহভাগ নেতারা ভেতরে ভেতরে আওয়ামীলীগের সাথে নিজেদের অস্তিত্বের ও মামলা-হামলা থেকে বাচার প্রশ্নে লাইন দিয়ে আছেন। এরাই শেখ হাসিনাকে খালেদা জিয়ার ও জিয়া পরিবারের সকল গোপনীয় তথ্য সরবরাহ করেছেন। শেখ হাসিনার আওয়ামীলীগ জানে, বিএনপিকে আরো দুরবস্থার মধ্যে রাখতে হলে, জামায়াতে ইসলামী ও হেফাজতকে নাস্তানাবুদ করে দিতে হবে। শেখ হাসিনার কাছে এই মুহূর্তে বিএনপির আন্দোলনের চাইতে জামায়াত-হেফাজতের আন্দোলন বড় ভয় ও ফ্যাক্টর হয়ে আছে। তাই হাসিনা যেন তেন ভাবেই জামায়াত ও হেফাজতের আন্দোলনের কোমর ভেঙ্গে দিয়েছেন। শেখ হাসিনা জানেন, তারেক ও কোকো জিয়ার প্রশ্নে শেষ মুহূর্তে একজন মা হিসেবে খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে আসবেন, বিএনপি ঘরানার বিগত জোট সরকারের সুযোগ-সুবিধাভোগীরাই শেখ হাসিনার হাতে খালেদা জিয়া ও তারেক-জিয়ার গোপনীয় তথ্য হস্তান্তর করেছেন। এরাই আবার খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রকাশ্যে আন্দোলনের হুমকি দিয়ে নেত্রীকে বিভ্রান্তির মধ্যে রেখেছে।শেখ হাসিনার ধর-পাকড়ের বিপরীতে জামায়াত-হেফাজত ব্যতীত বিএনপির একার পক্ষে মাঠের আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ রাখা যে সম্ভব নয়, সেটা আওয়ামীলীগ ও শেখ হাসিনা ভালো করেই জানেন।হাসিনার হাতে এখনো তিনটি গোপন ট্রাম কার্ড রয়ে গেছে, যাতে হাসিনা নিশ্চিত বিএনপিকে নির্বাচনে আসতেই হবে। এতোক্ষণ জাতি সংঘ দূত নীরবে সব শুনেই যাচ্ছিলেন আর নোটবুকে তুলে নিচ্ছিলেন মহাসচিব বান কি মুনের জন্য ফুট নোট।উঁচু মানের হাসিনার ঐ কর্তাব্যক্তি বলতে থাকলেন, হাসিনার নিউ ইয়র্ক সফরের সময় একান্তে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সাথে যে বৈঠক হয়েছিলো, তাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নিশ্চিতভাবে হাসিনার সরকারকে আগামী নির্বাচনে জিতে আসার জন্য নির্বাচনী কাজ, পরিকল্পনা ও ডায়ালগের আহ্বান জানিয়েছিলেন। জাতিসংঘ দূত মাথা নেড়ে সায় দিলেন এবং যোগ করলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় এই দক্ষিণ উপমহাদেশে কখনো নাক গলাবেনা। ভারতকে মার্কিন স্বার্থের অনুকূলেই মার্কিনীরা ভারতকে নিয়ামকের দায়িত্বে রেখে দিয়েছে। বাংলাদেশের মতো ছোট এবং একেবারে ভারত ঘেঁষা দেশকে কখনোই ভারতীয় মনোভাবকে অগ্রাহ্য করে এই মুহূর্তে ক্ষমতায় আসীন কিংবা নির্বাচনের মাধ্যমে জিতে আসা একেবারেই অসম্ভব। এখানেই সহাস্যে বাংলাদেশের সরকারি উঁচু কর্তাব্যক্তি একমত হয়েই বললেন, মনমোহন বাবুর মনোভাব হাসিনা জেনে শুনেই এখন অনেক শক্তিশালী ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানে থেকেই নিজের অধীনে সর্বদলীয় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তাব করেছেন। হাসিনা জেনে শুনেই এরশাদকে গণভবনে ডেকে নিয়ে জবরদস্তিমূলক ভাবে সৈয়দ আশরাফকে দিয়ে মিডিয়ায় এরশাদের বক্তব্য নিজেদের মতো প্রকাশ করেছেন।এরশাদের হাত-পা একেবারেই বাঁধা, যত কথাই বলুন এরশাদ, ভারতীয়রাও এরশাদকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এর বাইরে কিছুই করা যাবেনা। তিনি আরো বললেন, হাসিনা নিশ্চিত জেনেই, মুহিতকে একশতভাগ স্বাধীন ক্লিয়ারেন্স দিয়েছেন, খালেদা, তারেক, ইউনুস, জামায়াত বিরোধী যেকোন বক্তব্য ও একশন এগিয়ে যেতে। কারণ আমজনতা যাই বলুক, দলের লোকজন যতই সমালোচনা করুক,বয়োবৃদ্ধ এই নেতার- হাসিনা জানেন মুহিতের কারণেই এই বিশ্ব আর্থিক মন্দার মধ্যেও বাংলাদেশের ইকোনমি অত্যন্ত মজবুত এক ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে, যেমন করে এই দক্ষ আমলার কল্যাণে ভারত ও মার্কিনীরা সহ আন্তর্জাতিক নীতি নির্ধারনী ও পলিসি মেকাররা হাসিনার সরকারের উপর আস্থা আর ভরসার হাত নিয়ে এগিয়ে এসেছেন।

 

খালেদা যে নিজের ভিতরের এই সমস্যার ও দুরবস্থার খবর একেবারেই জানেননা, তা নয়। আর তা জেনে শুনেই বৃহৎ দলের নেত্রী এবং সমগ্র জনমত খালেদা জিয়ার পক্ষে হওয়ার পরেও না পারছেন হাসিনা বিরোধী একদফার চূড়ান্ত আন্দোলনে যেতে, আবার না পারছেন হাসিনার অধীনে সহজে নির্বাচনে আসতে। মনমোহন বাবুর মনোভাব শুরুতে খালেদা জিয়া জানতেননা।খালেদার বিদেশ বিষয়ক এডভাইজাররা এবং নীতি-নির্ধারকরা এতোই অপারগ ও ব্যর্থ যে, ভারতীয় এই মনোভাব দুদিন আগ মুহূর্তেও জানতে পারেনি কিংবা জেনে শুনেই খালেদা জিয়াকে অন্ধকারে রেখেছে হাসিনার রোষানল থেকে বাচার জন্যে।খালেদা আপোষহীন নেত্রীর তকমা গায়ে লাগিয়েও হাসিনার একতরফা ফর্মুলার বিপরীতে জনমতকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নেয়ার দুর্লভ সুযোগ ইচ্ছে হউক কিংবা অনিচ্ছায় হউক কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছেন। রাজনীতির চালে তিনি পেছনে পড়ে গেছেন। কারণ তার বিশ্বস্ত কুশীলবরা তার পেছনে দৃশ্যত একাট্টা নেই। তার উপর আছে, বিএনপি ভেঙ্গে দেয়ার সরকারি পরিকল্পনা, যা খালেদা জিয়াকে সারাক্ষণ তটস্থ করে রাখছে। সবচাইতে বড় এবং খালেদা জিয়ার জন্য গভীর চিন্তার যে বিষয় তাহলো মার্কিনীদের অনুকূলে ভারতীয় মনোভাবের কারণে হাসিনা তারেক জিয়া, ককো জিয়া আর হেফাজত প্রশ্নে অত্যন্ত কঠোর এবং কৌশলী নীতি নিয়ে আছেন। ভারত ও মার্কিন তারেক জিয়া এবং হেফাজত প্রশ্নে অত্যন্ত কঠোর মনোভাব নিয়ে আছে। যা খালেদা জিয়াকেও সিদ্ধান্ত নিতে বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে। হাসিনার ভয় ছিলো, বিএনপির কতিপয় জানু কূটনীতিক রয়েছেন, যারা মার্কিনীরা ও ভারতীয় উঁচু মহলে দেন দরবার করতে সিদ্ধহস্ত, অথচ হাসিনা যখন জানলেন বিগত পাঁচটি বছর বিএনপি তাদের কূটনৈতিক চ্যানেল যতটা না জঙ্গি ও তারেক ইস্যু নিয়ে সক্রিয় হওয়ার কথাছিলো, তা নাকরে অন্ধের মতো ক্ষমতায় ফিরে আসার বোকামি কূটনীতিক চাল করে সময় পার করে দিয়েছে। এমনকি খোদ তারেক জিয়াও লন্ডনে থেকে যুক্তরাজ্য লবিকে কাজে লাগিয়ে মার্কিন ও ভারত লবিকে নিজেদের বলয়ে কাজে লাগানোর কোন চেষ্টাই করেননি- হাসিনা নিশ্চিতভাবে এমন তথ্য পেয়েই আগাগোড়া এখন শক্ত ও দৃঢ় মনোবল নিয়ে রাজনীতির মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। হাসিনা এখানে খালি মাঠে একাই খেলছেন। খালেদা জিয়ার জন্য খেলার কোন স্পেস হাসিনা রাখেননি। যা রেখেছেন, হয় হাসিনার অধীনে নির্বাচন নয়তো বিএনপি অস্তিত্ব ১/১১র চাইতে তছনছ ও তারেক-ককো জিয়ার কন্সিকোয়েন্স। মার্কিন সহ ভারত এবং ইউরোপীয় কূটনীতিকরা এক সুরে কিছুদিন পরই খালেদা জিয়াকে নির্বাচনে জিতে আসার লোভ ও সাক্ষাত দৃশ্য অবলোকনের মাধ্যমে নির্বাচনে জিতে সরকার গঠনের পরামর্শ ও চাপ অব্যাহত রাখবেন। হাসিনার অধীনে নির্বাচনে এসে কারচুপির প্রতিবাদে মিশরীয় স্টাইলে আন্দোলন গড়ে তুলার স্বপ্ন দেখিয়ে মূলত নির্বাচনে নিয়ে আসবে এতে কোন সন্দেহ নেই। কেননা বিএনপি যেকোনভাবেই হউক, সিটি নির্বাচনের ফলাফলে অনুপ্রাণিত হয়ে কূটনীতিকদের চাপে নির্বাচনে আসবে। হাসিনাও তিন-চারদিনের মধ্যে বিএনপি ও খালেদা জিয়ার প্রতি ওপেন মাইন্ডেড হয়ে যাবেন। জামায়াত প্রশ্নে হাসিনা আগের মতোই খেলবেন। হাসিনা জানেন এই মুহূর্তে আওয়ামীলীগের বিপরীতে আন্দোলন-সংগ্রাম করতে প্রস্তুত জামায়াত-হেফাজত। সুতরাং ভাগ করো-শাসন করো, ধর মাছ না ছুঁই পানি আর সাপ-লুডু খেলা চলতেই থাকবে নির্বাচন পর্যন্ত। আর জামায়াত তাতে সায় দিলে নির্বাচন পর্যন্ত জামায়াতের কারো ফাঁসির রায় কার্যকরের সুযোগ আর থাকছেনা, যতক্ষণ জামায়াত হাসিনার ছকে চলবে।যেমন এরশাদ চলবেন হাসিনার নির্ধারিত ছকে। হউক সেটা নভেম্বর কিংবা তারও পরে।

 

জাতিসংঘ দূত যোগ করলেন ইউনুস ম্যাজিক ভেস্তে গেছে-এটা আমরা ধরেই নিতে পারি। ঐ কর্মকর্তা যোগ করলেন, ধরেই নয়, ইউনুস ম্যানিয়া কিংবা ইউনুস ম্যাজিক বাংলাদেশের মাটিতে কবর হয়ে গেছে। এটা স্বপ্নের এক ভাসমান ফেনা ছিলো, স্বপ্ন হয়েই বাতাসে মিশে গেছে। আর ইউনুসও মার্কিন মুল্লুক থেকে এবং একই সাথে ভারতীয়দের কাছ থেকে সিগন্যাল পেয়ে গেছেন, আর যাই হউক ২০২০ সালের আগে রাজনীতির ময়দানে ইউনুসের সাথে তারা নেই। ভারত ও মার্কিনীদের ডিঙ্গিয়ে কানাডা আর অস্ট্রেলিয়া কিংবা কেবলমাত্র জার্মানি ইউনুসকে নিয়ে এগুবেনা।যুক্তরাজ্যের এমন কোন বাণিজ্যিক স্বার্থ নেই ইউনুস কেন্দ্রিক ফললাভ করবে। আর খালেদার সবেধন নীলমণি মওদূদ সাপ হয়ে লন্ডনে বসে আছেন, ওঝা হয়ে নামার জন্যে নয়, বিএনপির ঘাটিতে ধ্বংসন করার জন্যেই তিনি লন্ডন থেকে আসবেন, তার আগে নয়।

 

জাতি সংঘ দূত জানতে চাইলেন, মান্নার নাগরিক ঐক্য কিংবা বি চৌধুরী, কাদের সিদ্দিকী, আ স ম রবের জাতীয় ঐক্যের ফ্রন্ট- ঐ কর্মকর্তা বললেন, খালেদা জানেন, হাসিনাও জানেন।কি হতে যাচ্ছে বা কি হবে। জানেননা শুধু মান্না-কাদের-রব, যেমন করে জানেননা আমজনতা। সরকারি ঐ কর্মকর্তার সাথে জাতি সংঘের দূত আরো যোগ করলেন, তার মানে হাসিনার অধীনে নির্বাচন মানেই হাসিনার আবার ফিরে আসা। এক্সাক্টলি বলেই সরকারি কর্মকর্তা বললেন, নির্বাচনের পরেও কোন কারণে যদি খালেদা জিয়া জনমত নিজের দিকে নিয়ে রাজনৈতিক গেইম খেলতে পারেন, তখনো হাসিনার পাল্লাই ভারি হবে। কেননা নির্বাচন পরবর্তীতে এমন সব খ্যাতিমান নিরপেক্ষ ও দক্ষ কিছু প্রফেশনাল হাসিনার মন্ত্রী সভায় যোগ দিবেন, যাদের দেখে জনগণ অবাক শুধু হবেনা, কল্পনারও বাইরে। জাতিসংঘ দূত যেমন বলতেই তিনি বললেন যেমন মঈনুদ্দিন, ফখরুদ্দিন, দেবব্রতদের মতো ব্যক্তিত্বরা। আর এদের কল্যাণে বা এমন সকলের সহযোগিতায় হাসিনা দুই বছরের মতো সময় হাতে পেলেই পরিস্থিতি নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিবেন সন্দেহ নেই। নির্বাচনের পর এখনকার মন্ত্রীদের অনেকেই ক্ষমতা হারাবেন। কারো কারো তখন জেলের অন্ধ প্রকোষ্ঠে কাঁটাতে হবে, যেমন করে রনি কাটিয়ে এসেছেন।তিনি আরো বললেন, আর একবার নির্বাচনে এসে আরেকবার আন্দোলন চাঙ্গানোর মতো এতো বড় দল বাংলাদেশে এখনো হয়নি।(চলবে)

Salim932@googlemail.com
22nd October 2013.

Please follow and like us:
Pin Share

Add a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Follow by Email
YouTube
Pinterest
LinkedIn
Share
Instagram
error: Content is protected !!