ক্যালাইসের অভিবাসীদের জন্য শাহ লালন আমীন এবং জেনীর মার্সি মিশন
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ- লন্ডন থেকে
ক্যালাইসে অবৈধ অভিবাসীদের যখন ঢল নেমেছে, ব্রিটিশ ও ফ্রান্স সরকার যখন যৌথ উদ্যোগে সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করছে, এমনকি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আজ বিবিসি রেডিও ফোরের সাথে যখন অত্যন্ত কড়া ম্যাসেজ দিয়েছেন, ঠিক তখনি এই অবৈধ অভিবাসীদের জন্য মানবিক সহায়তা দিতে এগিয়ে এলেন ব্রিটেনের বাঙালি ব্যবসায়ী এবং ব্রিটিশ টিচার।স্থানীয় গণ-মাধ্যম যাকে বিজনেসম্যান ও টিচারের ক্যালাইস মার্সি মিশন নামে অভিহিত করেছেন।
পেশায় ব্যবসায়ী, বাংলাদেশী অরিজিন ইংল্যান্ডের নর্থ ইষ্টের কারী ও মেরিন সাম্রাজ্য সাউথ শীল্ডসের ব্যবসায়ী শাহ লালন আমিন। তিনি একজন ফিল্ম মেকারও। এর আগে বাংলাদেশের বন্যার্তদের সাহায্যে নিজ ভ্রাতার সাথে যৌথভাবে কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। এবার সাউথশীল্ডসের কাছের শহর হার্টলিপুলের টিচার জেনি ইউলের সাথে ক্যালাইসের অবৈধ অভিবাসীদের কষ্টের সাথে ভাগাভাগি করার জন্য এই দুজন উদ্যোগী হয়ে খাদ্য সামগ্রি ও প্রয়োজনীয় জীবন ধারনের অন্যান্য সামগী নিয়ে এগিয়ে যাবেন বলে জানা গেছে।
এই দুই স্বেচ্ছাসেবী অভিবাসীদের জন্য খাদ্য, বস্র ইত্যাদি নিয়ে আগামি ৫ই সেপ্টেম্বর ভ্যানে ভর্তি করে সেখানে বন্টনের জন্য ভলান্টিয়ার টিমও সাজিয়েছেন। নর্থ ইষ্টের বিভিন্ন স্থান থেকে তারা ডোনেশন সংগ্রহ করেছেন স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে। তারা জানিয়েছেন, সেখানে তারা সেই সব যেমন বন্টন করবেন, একই সাথে তিনি সেখানে ডকুমেন্টারিও করবেন- তাদের অবস্থান নিয়ে।
Shah Lalon Amin
আমিন এবং জেনি চাচ্ছেন সরেজমিনে তাদের সাথে অবস্থান করে ডকুমেন্টারি তখন তারা টিভিতে প্রচারের ব্যবস্থা করবেন।
তারা নর্থ ইষ্টের ১১টি কালেকশন পয়েন্টের মাধ্যমে, এমনকি মিডলবারা পর্যন্ত তাদের কালেকশন করে নিচ্ছেন।
তারা বলছেন অবৈধ অভিবাসীরা যেসব কষ্টকর অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে জীবনের তাগিদে আসছেন, আসার পরে যেভাবে জঙ্গলে বসবাস করছেন- উভয় কিছুই বেদনা দায়ক। .
.
Jenni Yuill
তারা চাচ্ছেন, তাদের এই কাজের মাধ্যমে ক্যালাইস অভিবাসীদের অবস্থা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়া এবং গ্রাসরুট সোশ্যাল এক্টিভিটি গ্রুপ সেট-আপ করা যাতে এই অভিবাসী সংকটের কার্যকর ভুমিকা রাখা যায়।
.বর্তমানে তাদের গ্রুপ ইউকে থেকে খাদ্য,বস্র, ডনেশন সংগ্রহ করছে, ফ্রান্সের এই বর্ডারের পঊছানোর জন্য।
এ ছাড়াও জাস্টগিভিং পেইজেস ফর ক্যালাইস নামেও দাতব্য সংগ্রহের আবেদনও খুলেছেন।
আমিন বললেন, ভুলে যান সমস্ত রাজনৈতিক ভেদাভেদ, অনেকেই ভুলে যাচ্ছেন এই সব অভিবাসী ইকোনোমিক মাইগ্রান্ট নয়, এরা স্রেফ রিফিউজি। আমাদের সহানুভুতি এরা আশা করে- ডিজার্ভ করে ।
আমিন ও ইউয়েল এর এই টিম এখন ফেস বুকেও নর্থ ইষ্ট সলিডারিটি উইথ ক্যালাইস রিফিউজি নামে পেইজ খুলেছেন। লিংক হলো-North East Solidarity with Calais Refugees
15th August 2015, London