Home » কলাম » বাতাসে অনেক গন্ধ, চারদিকে নানান গ্রুপ সক্রিয়, সাবধান নের্তৃবৃন্দ দেশে ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকঠ আসন্ন

বাতাসে অনেক গন্ধ, চারদিকে নানান গ্রুপ সক্রিয়, সাবধান নের্তৃবৃন্দ দেশে ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকঠ আসন্ন

বাতাসে অনেক গন্ধ, চারদিকে নানান গ্রুপ সক্রিয়, সাবধান নের্তৃবৃন্দ

দেশে ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকঠ আসন্ন

সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ

০১) বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভাগ্যাকাশে নানান খেলা শুরু হয়ে গেছে। প্রকাশ্যে রাজপথে রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের বক্তব্য-বিবৃতিতে তীব্র অসহিষ্ণুতা যেমন পরিলক্ষিত হচ্ছে, একইভাবে প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া আর অনলাইন ব্লগ আর দৈনিক গুলোতে সরকার বিরোধী ও বিরোধীদের পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে নানান তর্ক,যুক্তি,পাল্টা যুক্তি সমান তালে এগিয়ে চলছে। সরকার টেলিভিশনের নানান টক-শো গুলোর আলোচনাতে তীব্র বিরক্তি ও উষ্মা প্রকাশ করার সাথে সাথে নানা তীর্যক মন্তব্য করে চলেছে।রাজনীতির চলমান ঘটনাসমূহ মূলত দেশকে ভয়াবহ এক সংঘাতের দিকে ধাবিত করছে বলে অনেকেই প্রকাশ্যে আশংকা প্রকাশ করেছেন।কিন্তু নেতা-নেত্রীদের বোধোদয় খুব একটা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছেনা।এমনকি খোদ সরকারি দলের জাদরেল মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সহ বিরোধীদলের বিশেষতঃ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায় সহ ছোট-বড় প্রায় সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ সকলেই বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ওয়ান-ইলেভেনের সময়কালিন অবস্থার চেয়ে আরো ভয়াবহ অবস্থার আশংকা করে চলেছে।বড় দুই দলের নীতি-নির্ধারনী পর্যায়ের নের্তৃবৃন্দের মধ্যে এতে কোন রেখাপাত করেছে বলে মনে হচ্ছেনা।কেননা, খোদ প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধীদলীয় নেত্রীবৃন্দ দুজনেই অত্যন্ত অশোভন ও অসৌজন্যমূলক ভাষায় রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত বক্তব্য সমানতালে দিয়ে যাচ্ছেন, শুধু কি তাই, দুজনেই একে অন্যকে এমনভাবে ঘায়েল করে বক্তব্য দিয়ে চলেছেন, যেন অন্ধ কর্মী-সমর্থকদের রাজনৈতিক অঙ্গন আরো জ্বালাময়ী ও ধবংসম্মুখী অবস্থার মুখোমুখী করে উস্কে দিতেছেন।অথচ দায়িত্বশীল পদে থেকে তাদের কাছ থেকে অনেক দায়িত্বশীল ও পরিশীলিত রাজনৈতিক বক্তব্য জাতির কাছে বড় কাম্য এবং এই মুহুর্তের দাবিই ছিলো।

০২) গণতান্ত্রিক সরকারের ও তাদের নেতা-কর্মী ও মন্ত্রী, এম,পিদের আচরণ আরো বেপরোয়া ও উদ্যত ভাব পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলেছেএকের পর কেলেংকারি, হত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াও, ক্রমাবনতিশীল প্রশাসনিক ব্যর্থতা,দূর্ণীতি, স্বজনপ্রীতি,ঠেন্ডারবাজী, রাস্তা-ঘাটের বেহাল অবস্থায় এমনিতে  সরকার একেবারে নাকাল। তার উপর প্রকাশ্য দিবালোকে নিরীহ নাগরিক বিশ্বজিৎ নির্মম ও বর্বরোচিত ভাবে হত্যা, চট্রগ্রামের রামু বৌদ্ধমন্দিরে অগ্নি সংযোগ ও ধবংসযজ্ঞ, তাজরীন গার্মেন্টস-এ ভয়াবহ অগ্নিসংযোগ- সরকারের প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ব্যর্থতা এবং দেউলিয়াপনার বহিঃপ্রকাশ।তার উপর একের পর ব্যংক লোপাট, আইন-শৃংখলার চরম অবনতি, যুদ্ধাপরাধ বিচারের নামে রাজনৈতিক অস্র হিসেবে ব্যবহারের খেলা এখন সরকারের জন্য বড় নির্মম পরিহাস ও লজ্জার বিষয়ে পরিণত হতে চলেছে। আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আইনপ্রতিমন্ত্রীর বেলেল্লাপনা বক্তব্য সকল তামাশাকেও হার মানিয়ে তামাশার বিশ্ব রেকর্ড গড়ে চলেছে।লোকে বলাবলি করতে শোনা যায়, মহিলা হয়েও অদক্ষ হলেও শাহারা খাতুন এখনকার বিবেকহীন ও একগুয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ম খা আলমগীরের চেয়ে তুলনামূলকভাবে ভালো ছিলো। আইনপ্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও অদ্য মন্ত্রী হাসানূল হক ইনু-র যেন আর কোন কাম-কাজ নেই, শুধু বেহায়াপনা ও আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়ে পরিস্থিতিকে আরো জটিল করার খেলায় মত্ত। এরা যে কার হয়ে কাজ করতেছে, তাই এখন বিরাট প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। বিশ্বজিৎ-কে প্রকাশ্য দিনে দুপুরে হত্যা করলো যারা, তাদের কে খুনী বলতে আপত্তি কোথায় বুঝিনা? রাশেদ খান মেনন ঠিকই বলেছেন, খুনী কে খুনী বলতে আপত্তি থাকবে কেন? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খুনীদের পক্ষে সাফাই গাইবে কেন? আইনের রক্ষক হয়ে ভক্ষকের মতো কাজ করলে কি সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্টিত হবে? বিকাশকে যারা তিন কোটি টাকা ভাগ-বাটোয়ারার বিনিময়ে জেল থেকে জামাই-আদরে বের করে নিরাপদ আস্রয়ে নিয়ে এসে, আবার বৈঠক করলো, বোধগম্য কারণেই র-এর এজেন্ট এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলতে পারলো কে কখন কোথায় মুক্তি পেলো, তাতো আমাদের জানার কথা নয়। আমাদের আরো কাজ আছে-, কি পরিমাণ ঔদ্যত্ত ও অহংকারের বিষ মননে ও মগজে থাকলে একজন স্ব-রাষ্ট্রমন্ত্রী এমন মন্তব্য মিডিয়ায় করতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়।ম খা আলমগীরের ঠিকই আরো অনেক কাজ আছে, খুনী-অপরাধী আর সন্ত্রাসীদের দেখ-ভাল করার মতো অনেক কাজ আছে।দেশের আইন-শৃংখলা নিয়ে ভাবলে কি চলে ! লজ্জা হয়, এরাই আমাদের মন্ত্রী, নেতা হয়ে দেশের দন্ড-মুন্ডের মালিক হয়ে মাথার উপর বসে আছে। এই সব অসুস্থ্য, বিবেক বিবর্জিত ব্যক্তি যত বেশীক্ষণ ক্ষমতার মসনদে বসে থাকবে, ততক্ষণ দেশ ও তার জনগণ শান্তিতে মরতেও পারবে বলে মনে হয়না।

০৩) পর্দার অন্তরালের খেলা আরো ভয়াবহ।নেতা-নেত্রী নিজেরাই দৌড়-ঝাপ করে রাষ্ট্রদূতদের বাসায় ধর্না দিয়ে নিজেদের অসহায়ত্ব ও দেউলিয়াত্ব প্রকাশ করে এখন শুধু বড় দেশগুলোর সমর্থন আদায়ের জন্য হা-পিত্যেস করে চলেছে। এই সব ভালগারহীন, মেরুদন্ডহীন নের্তৃত্ত্বের কাছে বাংলাদেশ কতোটুকু নিরাপদ ও আশ্বস্ত হতে পারে-সেটাই বিরাট এক প্রশ্ন।বিদেশী দূতাবাসে দফায়-দফায় বৈঠক আর দূতাবাসের নিজদের শলা-পরামর্শ আর প্রকাশ্যে রাষ্ট্রদূতদের এমন সব নসিহত ও ঔদ্যত্যপূর্ণ বক্তব্য শুনে মনে হয় যেন, তারাই দেশ চালাচ্ছে।আমাদের নেতা-নেত্রীরা আমাদের জনগণকে কোথায় যে নিয়ে চলেছে, বড় বিস্ময়ে অবেক হতে হয় তাদের কর্মকান্ড ও অপরিণামদর্শী বক্তব্য-বিবৃতি শুনে। রাষ্ট্রদূতেরা যেন প্যারালাল এক গভর্ণম্যান্ট চালু করে রেখেছে। ফর্মূলার পর ফর্মূলা দিয়ে চলেছে, অনেকের প্রকাশ্যে রাজনৈতিক ও দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ দেখে মনে হয়, তারা যেন তাদের কূটনৈতিক দায়িত্ব নিয়ে নয় বরং বিশেষ রাজনৈতিক এসাইনম্যান্ট তথা কাকে ক্ষমতায় রাখবেন, আর কাকে নিয়ে আসবেন, কাকে সমর্থন দিবেন-সেই এসাইনম্যান্ট নিয়েই এই দেশে এসেছেন।আশ্চর্য হই, তাদের কূটনৈতিক শিষ্টাচারের বাইরেরাজনৈতিক বক্তব্য ও উস্কানী দিতে দেখে।

এবারের পর্দার অন্তরালে এবং কখনো প্রকাশ্যে, কখনো আলো-আধারীতে বিদেশী মেহমান আর কূশীলব আর দেশীয় নেপথ্যের নায়কদের সহায়তায় রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে নানান ফর্মূলা নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট শুরু হয়ে গেছে। আর এর ফলে দেশে ভয়াবহ এক অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে ধাবিত হচ্ছে, যা বিগত ওয়ান-ইলেভেনের চাইতে আরো ভয়াবহ ও দীর্ঘ সময়ের জন্য দেশ অগণতান্ত্রিক অবস্থায় চলে যাওয়ার সমূহ শংকা দেখা দিয়েছে। বর্তমান ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকারের সীমাহীন ব্যর্থতা, লুট-পাটের মহোৎসব,খুন-রাহাজানি, ব্যপক ধর-পাকড় আর স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-শিবিরের সীমাহীন তান্ডব, বিএনপির অপরিনামদর্শী রাজনীতিতে জনগণ ত্যক্ত-বিরক্ত, সেই সাথে সাধারণ নিরিহ জনগণ তা থেকে উদ্ধারের পথ যেমন খুজছেন, একই সাথে নীরবে মুখ বুজে আছেন মোক্ষম সময়ের অপেক্ষায়। আর এই সুযোগটাই ব্যপকভাবে কাজে লাগানোর সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্র প্রস্তুত করে চলেছে দেশী-বিদেশী, প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা সরকার বিরোধী বৃহৎ অংশ, স্বাভাবিকভাবে নিজেদের স্বার্থ ও বাজার অর্থনীতির গতি পথ অব্যাহত, ও ব্যবসা ঠিকিয়ে রেখে নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরী করার লাগামহীন মুনাফা লুটে নেওয়ার বিরামহীন চেষ্টায় বিদেশী দূতাবাস সমূহ ছক একে এগিয়ে চলেছে। রাজনীতির মঞ্চে নিস্ক্রিয় অথচ এক সময়ের দাপুটে সকল নেতা-নেত্রী ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের খ্যাতিমান ও অখ্যাত সকলের সাথেই যোগাযোগ শুরু হয়ে গেছে।লন্ডনেও এই কানেকশন বিশেষ ভুমিকা রেখে চলেছে। মাত্র কিছুদিন আগে ওয়াশিংটন, দিল্লী, লন্ডন এবং দেশী-বিদেশী কানেকশন নিজেদের মধ্যে সকল যোগাযোগ সম্পন্ন করেই এখন পর্দার আড়ালে সক্রিয়, তাদের খেলা খেলেই চলেছে। রাজপথে আরো সংঘর্ষ অনিবার্য, আরো বহু রক্তপাত হবে, সন্দেহ নাই। শুধু বিশ্বজিৎ নয়, আরো অনেক বিশজিৎ বড় নির্মম নিষ্টুর ভাবে হত্যা করা হবে, রাজপথ রক্তাক্ত হবে।আর তারই ধারাবাহিকতায়, আসবে এবারের সব চাইতে তরুণ আর নতুনের সমন্বয়ে উত্তর পাড়ার পূর্ণ সাপোর্ট আর সহায়তায় নতুন সরকার। দুই নেত্রীই নিজেদের ইচ্ছায় ও অনিচ্ছায়, রাজনৈতিক জিঘাংসা চরিতার্থ করতে গিয়ে, রাজনৈতিক নোংরা খেলা খেলতে গিয়ে, যেন-তেন ভাবে ক্ষমতায় ঠিকে থাকতে, ক্ষমতায় যেতে, জামায়াত-শিবিরকে এই রাখি,এই ছাড়ি- এই কু-নীতিতে, এমন নেপথ্যের খেলা খেলতে গিয়ে দেশের অবস্থা ও রাজনৈতিক অঙ্গনকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ঠেলে দিতেছেন, যা তাদেরকেই সবচাইতে বেশী মাশুল দিতে হবে।

উত্তর পাড়ার চৌকস তরুণ অফিসার আর রাষ্ট্রদূত, ওয়াশিংটন, দিল্লী, লন্ডন আর সৌদী লবী নিজেদের স্বার্থে এক ও অভিন্ন। তাদের সাথে আছেন রাজনৈতিক প্লেকার্ড নিয়ে ব্যরিষ্টার রফিকুল হক, ডঃ শাহদীন মালিক, ব্যরিষ্টার আমীরুল ইসলাম, ব্যারিষ্টার রোকনুদ্দীন মাহমুদ, মান্না-সুলতানদের নাগরিক ঐক্য, ডঃ কামাল, বি চৌধুরী, কাদের সিদ্দেকী, আ স ম আবদুর রব, এবং তাদের সাথে ঘনিষ্ট লিয়াজো রক্ষা করে চলেছেন এরশাদের জাতীয় পার্টির একাংশ, আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জাতীয় পার্টি, কিছু এনজিও এবং ছোট-বড় আরো অনেক রাজনৈতিক দলসমূহ। বিএনপি এবং আওয়ামী ঘরানার অনেক নেতা এবং বুদ্ধিজীবীরাও এই প্রক্রিয়ায় জড়িত। আর তাদের রাজনৈতিক গুরু হিসেবে নেপথ্যের নিয়ামক ভূমিকা রেখে চলেছেন, এক সময়ের বাংলাদেশের রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টিকারী রাজনীতির এক রহস্যপুরুষ। তার হিসেব-নিকেশ একটু ভিন্ন ও ব্যতিক্রম ধর্মী। ওয়াশিংটন, দিল্লী, লন্ডন এবং ঐ রহস্যপুরুষ একমত রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে, তবে তা হবে ভিন্ন আঙ্গিকে ও ভিন্ন মাত্রার। উত্তর পাড়ার সব চাইতে তরুণ অফিসাররা তাই দেশের স্বার্থে নতুন ধারার এই প্রক্রিয়ায় নিজেদের ভূমিকা রাখতে সমর্থ এবং এই প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে পূর্ণ সহায়ক বলে জানা গেছে। সময়ের ঠিক পিন পয়েন্টে উত্তর পাড়া আর রাষ্ট্রদূতদের পক্ষে দিল্লীর আহবানে গ্রামীণ ব্যংকের কর্ণধার ডঃ মোহাম্মদ ইউনূস-কে আহবান জানানো হবে সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিতে, যাতে তিনি সম্মত এবং তার ফর্মূলা ( সরকারের ধরন,রূপ,স্থায়ীত্ব) মতোই তা বাস্তবায়ন করা হবে। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে দিল্লী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রথম পছন্দ আ স ম আবদুর-এর নাম এই তালিকায় থাকলেও ওয়াশিংটন এবং রাজনৈতিক কলকাঠির নেপথ্যের নায়কের কারণে ডঃ ইউনূস সহ আ স ম আবদুর রব অথবা তৃতীয় (খুলনার শিল্পপতি) ব্যক্তির যৌথ নেতৃত্বে আসীন হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা প্রাথমিক পর্যায়েই রয়েছে। ব্যরিষ্টার রফিকুল হকের ও ডঃ শাহেদা ওবায়েদ সহ অনেকে জ্ঞানী-গুণীজনের দ্বারা হঠাৎ তৎপরতা ও নানাবিধ আহবান, সবই এই প্রক্রিয়ারই অংশ। আর এই অংশ আজকের তরুণদের সবচাইতে চাওয়া আর পাওয়ার দাবী যুদ্ধাপরাধের সুষ্টু বিচার অবশ্যম্ভাবী করার দাবি নিয়েই এই রাজনৈতিক প্রক্রিয়া মাঠে আওয়াজ তুলে ব্যপক সমাগমের লক্ষ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে। এতে জনগণের সিংহভাগ লোকের সমর্থন রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সবশেষে, রাজনীতির ভাষা ও রাজনৈতিক খেলা বড় বিচিত্র। সেই পাল বংশ থেকে নবাব সিরাজের পতন পর্যন্ত এই বাংলায় অনেক চড়াই-উৎরাই আর অনেক দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিন্তু বাঙালি বারে বারে বীর দর্পে সেই সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে। কিন্তু আজকের এই বাংলা বড় হত দরিদ্র, নীতিহীন ও পশুসূলভ বিবেকহীন লোকদের নের্তৃত্ত্বে আসীনের কারণে বড় লিক-লিক করে খুড়িয়ে চলেছে। কারণ এখানে আজ বঙ্গবন্ধু মুজিবের চাটার দল যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে জিয়াউর রহমানের রাজনীতি কঠিণ করে দেওয়ার সেই তত্ব, একই সাথে সমানভাবে সক্রিয় হয়ে আছে এরশাদের এদেশে সবই সম্ভব-এর বিখ্যাত ও এক্সপেরিম্যান্টেড তত্ব। বিশেষকরে মুক্তিযুদ্ধের মহানায়কগণ আর মুক্তিযুদ্ধাদের মধ্যে যখন বিভেদ আর অনৈক্য আর স্বার্থের খেলা দেখা দেয়, তখন আর এই জাতিকে নিয়ে যে কেউ খেলা খেলতে পিছপা হয়না। কারণ এখানে নেই কোন মাহাথির, নেই কোন আতাউল গণি ওসমানী-যারা জাতিকে সংকঠকালীন সময়ে সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে দৃপ্ত পদে মৃত্যুকে অভিনন্দন জানিয়ে এগিয়ে যেতে পারেন। তবুও আশা থেকে যায়, আশা করতেই হয়। আর এই আশাই আমাদেরকে বাচিয়ে রাখে, আগামীর শপথে উদ্দীপ্ত হতে।আমাদের রাজনীতির আগামীদিনের গতি-পথই বলে দিবে, কে হবে আমাদের কাংক্ষিত মাহাথির- যা আজকে আমাদের বড় বেশী প্রয়োজন।

 

Salim932@googlemail.com

Please follow and like us:
Pin Share

Add a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Follow by Email
YouTube
Pinterest
LinkedIn
Share
Instagram
error: Content is protected !!