নারী বার্তা ডেস্ক-লন্ডনঃ আগামী মে ২০১৬ এর পরে ডেভিড ক্যামেরন তার মন্ত্রী সভায় রদবদল করতে যাচ্ছেন বলে ডাউনিং ষ্ট্রীটের ক্লোজ সূত্র উল্লেখ করেছেন। ২০১৬ তে লন্ডন মেয়র পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। লন্ডন মেয়র বরিস জনসন তার আগেই পদত্যাগ করবেন স্বাভাবিকভাবেই। লন্ডন মেয়র পদে পদত্যাগের পর ডেভিড ক্যামেরন বরিস জনসনকে আরো বৃহত্তর রোল এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে নিজেকে তুলে ধরার জন্য সুযোগ দিতে চান।ইউরোপীয় ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ সভায় বক্তব্য দান কালে ডেভিড ক্যামেরন এই ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি স্পস্টই বলেছেন জনসনকে মন্ত্রী সভায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দেখতে চান।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই সভায় ডেভিড ক্যামেরন ইঙ্গিত দিয়েছেন আগামী বছরেই রেফারেন্ডাম তিনি চান। ধারণা করা হচ্ছে, প্রো-ইউরোপীয় নেতা হিসেবে পরিচিত বরিস জনসনকে দিয়ে ক্যামেরন ইউরোপীয় ইউনিয়নে ব্রিটেনের থাকার পক্ষে ক্যাম্পেইন করাবেন।
বর্তমান ফরেন সেক্রেটারি ফিলিপ হ্যামন্ডকে অন্য এক মন্ত্রণালয়ে দেয়া হবে। হ্যামন্ডের স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন বরিস জনসন। ফরেন অফিস ও ডাউনিং ষ্ট্রীট সূত্র আজ নিশ্চিত করেছেন বরিস জনসন ফরেন সেক্রেটারির দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন ২০১৬ সালের মে মাসের পর পরই।
এতে জনসনের আগামীতে টোরি পার্টির নেতৃত্বে আসার পথও তৈরি হবে। ক্যামেরনের পর টোরি পার্টির নেতৃত্বের দৌড়ে বরিস জনসন এবং বর্তমান হোম সেক্রেটারি থেরেসা মে এগিয়ে আছেন। জনসন ফরেন সেক্রেটারি হয়ে গেলে সে ক্ষেত্রে নেতৃত্বের দৌড়ে তিনি আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবেন।
বরিস জনসন এখন পর্যন্ত ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিপক্ষে কোন আর্গুম্যান্টে যাননি। সেদিক থেকে তিনি ইউনিয়নের মধ্যে থাকার ব্যাপারে ক্যাম্পেইন করবেন বলাই যায়, যদিও কেউ কেউ ভাবছেন তাকে দিয়ে এর বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন সুবিধা হবে।
ক্যামেরন এখন পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভিবাসীদের ওয়ার্ক বেনিফিট চার বছর পর্যন্ত সময়ের লিমিটের নেগোসিয়েশন করছেন। যদিও ইউনিয়নের কতিপয় সরকার প্রধানের দ্বারা তীব্র বিরোধীতার মধ্যে তিনি রয়েছেন।
তবে এটা নিশ্চিত, বরিস জনসন সব কিছু এভাবে চললে, আগামী মে মাসের পর ফরেন সেক্রেটারির দায়িত্বে আসছেন।