মুভম্যান্ট ফর জাস্টিস নামের একটি সংগঠনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে লন্ডন, বার্মিংহাম, লিভারপুল ও অক্সফোর্ডসহ আরো কয়েকটি শহর থেকে লোকজন এসে আটক কেন্দ্রটির সামনে সমবেত হন এবং বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। তারা এই সেন্টারটি বন্ধের দাবী জানান, হাতে নানান দাবী সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে শ্লোগানে শ্লোগানে পুরো ইয়ার্ল উড ডিটেনশন সেন্টারটি মুখরিত করে ফেলেন।ঠান্ডা, গুড়ি গুড়ি বৃস্টি উপেক্ষা করে কয়েক হাজার নারী পুরুষ মিলে বিক্ষোভ করেন।
অভিবাসীদের এই কেন্দ্র রাখা হয়, তাই বেডফোর্ডশায়ারের এই সেন্টারটি বন্ধ করে দেয়ার দাবি জানিয়ে সেখানে আটক নারীদের মুক্তি দেয়ার জন্য শনিবার বিকেলে বিক্ষোভ করেন প্রায় ১,৫০০ বিক্ষোভকারী।
ইয়ার্লস উড কেন্দ্রে প্রায় ৪০০ অভিবাসি নারীকে আটক রাখা হয়েছে। ব্রিটেনের বেসরকারি নিরাপত্তা ফার্ম ‘সেরকো’ পরিচালিত আটক কেন্দ্রটির নারীদের ওপর যৌন নির্যাতনের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হলো। কেন্দ্রটিতে আটক নারীদের কাউকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়নি ব্রিটিশ সরকার। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অপরাধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ না থাকার পরও তাদের আটকে রাখা হচ্ছে।
বিক্ষোভকারীরা ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়ার পাশাপাশি অভিবাসি আটক কেন্দ্রটির দেয়ালে হাতুড়িপেটা করে আটক নারীদের সমর্থনে এবং তাদের ওপর নির্যাতনের নিন্দা জানিয়ে স্লোগান দেন। মুভমেন্ট ফর জাস্টিসের কর্মকর্তা অ্যান্টোনিও ব্রাইট এ সময় ইরানের নিউজ চ্যানেল প্রেস টিভিকে বলেন, এটি একটি অমানবিক জায়গা। কিন্তু এটিকে আইনসম্মত ব্যবস্থায় রূপ দেয়া হয়েছে যা সত্যিই দুঃখজনক।
ব্রিটেনে ইয়ার্লস উড সেন্টারের মতো মোট ১৪টি অভিবাসী আটক কেন্দ্র রয়েছে। দেশটি থেকে যেসব নারীকে জোর করে বের করে দেয়া হবে তাদেরকে এসব কেন্দ্রে অস্থায়ীভাবে আটক রাখা হয়। ২০০১ সালে প্রথমবারের মতো এ ধরনের কেন্দ্র চালু হয় এবং এরপর থেকে এসব কেন্দ্রের নারীদের ওপর যৌন নির্যাতনের বহু অভিযোগ প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৪ সালের এপ্রিলে জাতিসংঘের বিশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা রাশিয়াদ মনজুকে ইয়ার্লস উড সেন্টারের নারীদের ওপর নির্যাতনের বিষয়ে তদন্ত করতে দেয়নি ব্রিটিশ সরকার।
এ নিয়ে মুভম্যান্ট ফর জাস্টিস ফেস বুক ও টুইটারে প্রচারনাও চালাচ্ছে।
নারী/নিউজ/সেলিম