সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদঃ ২০১৪ সালে ব্রিটেনে ৫৫৮,০০০ মাইগ্রেন্ট প্রবেশ করেছেন, যা এর আগের বছরের তুলনায় ১০৮ হাজার বেশী বলে জানা গেছে। আজ অর্গেনাইজেশন ফর ইকোনোমিক কো-আপারেশন এন্ড ডেভেলপম্যান্ট এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
ক্যাম্পেইনরা বলছেন, দুই পার্সেন্ট ইমিগ্রেশন গত বছর বৃদ্ধি পেলেও বন্যার পানির স্রোতের মতো অভিবাসিরা যেভাবে আসছেন ইউরোপে, তাতে এর পরিমাণ যে দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পাবে সন্দেহ নাই। ইতোমধ্যেই অনেকেই এসাইলাম আবেদনও করেছেন, আরো করার পথে।
ইউকিপের ডেপুটি লিডার পল ন্যুটাল বলেন, ওইসিডির রিপোর্ট প্রকাশের পর চিত্র ভেসে উঠছে ইমিগ্রেশন কিহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন, তার মানেই হলো প্রাইমারি স্কুলগুলোতে অভারক্রাউড, হাউজিং এ লং ওয়েটিং, সর্বত্র এক ম্যাস সিস্টেম। তিনি এর বিপরীতে ইমিগ্রেশনকে কন্ট্রোল করে পয়েন্ট বেইস সিস্টেম করার আহবান জানিয়েছেন।
টোরি এমপি স্টুয়ার্ট জ্যাকসন বলেছেন, জনগনের মনে কিন্তু এই ইমিগ্রেশন এক নম্বর ইস্যু, এই ইস্যুকে আমাদের ট্যাকল করতেই হবে। ডেভিড ক্যামেরনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে নেগোশিয়েশন করতে হবে ইমিগ্রেশনকে কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ধরে নিয়ে।
তিনি বলেন, রিপোর্ট বলছে, আগামী দশকে ইউকে জনসংখ্যা ৭০ মিলিয়ন হয়ে যাবে, আমাদেরকে এখনি কার্যকর ভুমিকা নিতে হবে।
ওইসিডি তাদের এই রিপোর্ট ইন্টারন্যাশনাল মাইগ্রেশন আউটলুক ২০১৫ শিরোনামে প্রকাশ করেছে।
তাদের রিসার্চে তারা প্রজেকশন করে দেখিয়েছেন, ২০১৩ সালে ৩৪টি দেশের মধ্যে বিদেশী জন্ম নেয়া জনসংখ্যা ১১৭ মিলিয়ন যা বিগত ২০০০ সালের তুলনায় ৪০% বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত বছর ৪.৩ মিলিয়ন জনগন স্থায়ীভাবে মাইগ্রেন্ট হয়েছেন, ডাটা বলছে গত বছর ২৪% ব্রিটেনে বৃদ্ধি যেখানে চেক রিপাবলিক ৩৮%, ইসরাইল ৩৬% মাইগ্রেন্ট স্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত হয়েছেন।
কিন্তু ফ্রান্স ভিত্তিক একটি থিংক ট্যাংক বলছে আসলে উভয় দেশসমূহ সর্বমোট ৭০,০০০ আর জার্মানি একাই ১.২৫ মিলিয়ন মাইগ্রেন্ট গ্রহণ করেছে।
ওইসিডি বলছে ইউএসে মিলিয়ন লোক আসলেও তারা শুধু মাত্র ১% গ্রহণ করেছে, আর ইটালি গ্রিস মাইগ্রেশন এলাও করলেও তারা ধনী ইইউ দেশে যেতে সহায়তা করেছে। ৩৮০ পাতার এই তুলনামূলক চিত্রে তারা দেখিয়েছে ব্রিটেন সহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চেক রিপাবলিক, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইউএস সহ সব দেশের মাইগ্রেশন গ্রহণের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরেছে।
ডাক্তার প্রফেশনালদের মধ্য থেকে ইউকে ১৪% বিদেশী ডাক্তার গ্রহণ করেছে বলেও তথ্য চিত্রে দেখানো হয়েছে।
ওইসিডি ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক অফিসের যে রেকর্ড নেট মাইগ্রেশনের সংখ্যা- যত সংখ্যক মাইগ্রেশন ব্রিটেনে ঢুকেছেন আর যত সংখ্যক ব্রিটেন ত্যাগ করেছে তা মাইনাস করে ৯৪,০০০ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৩৩০,০০০ মার্চে মাইগ্রেশনের রেকর্ডের চিত্রও তারা তুলে ধরেছেন এখানে।
তাদের রিপোর্টের রিকমেন্ডেশন সেকশনে ওইসিডি ইউরোপীয় ইউনিয়নকে জরুরী ভিত্তিতে এসাইলাম সিকারদের আবেদন প্রসেসিং এর আহবানও জানিয়েছেন। কিন্তু বাস্তব সত্য হলো ডেভিড ক্যামেরন এবং থেরেসা মে কোটা সিস্টেমের বিরোধী।
তারা বলছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন সম্ভবত ২০১৫ সালে ১ মিলিয়নের উপরে এসাইলাম সিকার আবেদন হবে, বর্তমান তথ্য মতে প্রথম ৮ মাসে ৫৭২,৫২০ আবেদন পরেছে, এই আবেদন বৃদ্ধি পেয়ে ৪৫০,০০০ হওয়ার আশংকা তারা করছেন।
salim932@googlemail.com
23rd Sep.2015, London