সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ- লন্ডন থেকে
নাম তার গ্যারেথ উইলিয়াম। কাজ করতেন বিশ্বের নামকরা এবং জাদরেল সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস- ব্রিটেনের এমআই সিক্স-এ। বয়স ৩০ বছর। এক সময় পোষ্টিং ছিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ২০১০ সালে এই তরুণ ও চৌকস গোয়েন্দা কর্মকর্তার লন্ডনের নিজ ফ্ল্যাটে প্যাডলক ব্যাগের মধ্যে লাশ পাওয়া যায়।উইলিয়ামের মৃত্যুর পরে মেট্রোপলিটন পুলিশ, স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড, এমপি একেকজন একেক তথ্য ডেভেলপ করার বা ধারণা করার চেষ্ঠা করেছেন মাত্র। কিন্তু এখন পর্যন্ত অধরাই রয়ে গেলো গ্যারেথ উইলিয়ামের মৃত্যুর সঠিক কারণ। মোটাদাগের হরফে শুধু যে কথাটাই প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্ঠা হয়েছে, আর তাহলো গ্যারেথ উইলিয়াম হয়তো নিজ ফ্ল্যাটে একাকী নিরবে নিজেই মৃত্যু বরন করেছেন।
তবে সংবাদ মাধ্যমে বিশেষ করে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট রিপোর্ট করেছে, গ্যারেথ উইলিয়াম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত থাকা অবস্থায় প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের কিছু তথ্য হস্তগত হয়েছিলো, যা নিয়ে তিনি ব্রিটেনে চলে এসেছিলেন।
গত রোববার সানডে নিউজপেপার একটা ছোট্র রিপোর্ট করেছে, আর তাতে ইন্ডিপেন্ডেন্ট এর রিপোর্টের কথাই উল্লেখিত হয়েছে। ক্লিনটন সংক্রান্ত অত্যন্ত সেনসিটিভ ডকুম্যান্ট উইলিয়ামের হস্তগত হয়েছিলো বলে সানডে নিউজ তাদের সূত্রের বরাত দিয়ে রিপোর্টে দাবী করা হয়েছে।
২০১২ সালে এক্সপার্ট ডঃ ফিওনা কক্স উদ্ধৃতি দিয়েছিলেন গ্যারেথ উইলিয়ামের মৃত্যু নিয়ে আমরা সেটিসফ্যাক্টরী কনক্লুশনে উপনীত কিংবা সঠিক ব্যাখ্যা দাড় করাতে পারিনি।
পুলিশ উইলিয়ামের হত্যার সাথে তৃতীয় পক্ষ জড়িত থাকার সন্দেহ করলেও ২০১৩ সালে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড উইলিয়াম নিজেই নিজেকে লক করে হত্যার কথা দাবী করেছিলো।
এখন পর্যন্ত অনেকগুলো থিওরীই উইলিয়ামের মৃত্যু নিয়ে বলাবলি হচ্ছে। এমনকি সেক্স গেম, বিদেশী এজেন্ট জড়িত অথবা ডোমেস্টিক ভায়োল্যান্স সহ নানা থিওরীই প্রতিষ্টার চেষ্টা চলছে। প্রকৃত রহস্যের কুলকিনারা এতোদিনেও হয়নি। বিশ্বের তাবত দুর্দান্ত গোয়েন্দার হত্যা রহস্য যদি এখনো উদঘাটিত না হয়, তাহলে… সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উকি দেয় ?
ভিডিও
31st August 2015, London.