সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ- লন্ডন থেকে
যুক্তরাজ্যের দুই তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেন, সরকার পরিচালনায় তাদের মতামত প্রতিফলিত হয় না। ব্রিটিশ সরকারের আইন প্রণয়ন, কর এবং ব্যয়ের ক্ষেত্রে জনগণের মতামতের কোনো তোয়াক্কা করা হয় না।
সানডে ইন্ডিপেনডেন্ট পরিচালিত মতামত জরিপে এই সব তথ্য উঠে এসেছে। পিপলস পাওয়ার নামের এ জরিপে অংশ গ্রহণকারীদের ৬৭% অর্থাৎ দুই-তৃতীয়াংশই বলেছে, যুক্তরাজ্যের সরকার ব্যবস্থা খুবই কেন্দ্রমুখী।
এ ছাড়া, ব্রিটেনের নির্বাচন ব্যবস্থাও ন্যায়সঙ্গত নয় বলে মনে করে দেশটির জনগণ। ব্রিটিশ সংসদের উচ্চ কক্ষ হাউজ অব লর্ডসকে অগণতান্ত্রিক বলে মনে করে তারা। এ ছাড়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার কোনো সুফল এখনো ব্রিটেনের মানুষ পায়নি বলেই মনে করেন তারা।
গত ২১ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত এই অনলাইন জরিপ চালানো হয় এবং জরিপে ব্রিটেনের ২,১৪৭ জন নাগরিক অংশ নিয়েছেন,সানডে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ৩০ আগস্ট এই জরিপের ফলাফল প্রকাশ করেছে।
জরিপে ৫১% একমত যে, অঞ্চলভিত্তিতে তাদের নিজেদের ট্যাক্স রাইট নির্ধারনে কিন্তু ৪৮% জাতীয়ভাবে নির্ধারনের পক্ষে মতামত দিয়েছেন। তবে মজার ব্যাপার হলো ৬২% ইমিগ্রেশন পলিসি নিয়ে নিজেদের এলাকাভিত্তিক ইমিগ্রেশন পলিসি নির্ধারন অসম্ভব বলে মতামত দিয়েছেন।
আর ডিভ্যুল্যুশনারের ব্যাপারে ৩৯% এর মধ্যে স্কটল্যান্ড আর ইংল্যান্ড থেকে ১৭% মোটামুটি একমত যে আগামি ১৫ বছরের মধ্যে যুক্তরাজ্য ভেঙ্গে যাবে। আর হাউস অব লর্ডসের ব্যাপারে ৫২% মনে করেন আইন যারা প্রণয়নে সিদ্ধান্ত নিবেন, তাদের সর্বদাই নির্বাচিত হওয়া উচিৎ, ২৮% অবশ্য মনে করেন, ভালো জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে হওয়া উচিৎ ।
এবারের নির্বাচনে হাউস অব কমন্সে কনজারভেটিভ দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছে। কিন্তু এ নির্বাচনে ৩৭% ভোটার তাদের ভোট দিয়েছেন বলে জরিপে উঠে এসেছে। গণতান্ত্রিকভাবে সিট নির্বাচনের যে ব্যবস্থা তাতে ২৬% একমত আর ৩৯% দ্বিমত পোষণ করেছেন। তবে অধিকাংশ জনগন তথা ৫২% ব্রিটেনের ভোটার ব্যবস্থাকে আউট অব ডেটেড হিসেবে অভিমত দিয়েছেন।
আর এচিচ্যুড নিয়ে ৪২% বর্তমান ব্যবস্থাকে বলেছেন আনফেয়ার, ৩৭% বলেছেন বেস্ট কম্প্রোমাইজ আর এর মধ্যে অধিকাংশ আবার একমত হয়েছেন, ইউকে সিস্টেম ইজ বেটার দেন আন্য অফ দ্য অল্টারনেটিভ ।