বেথনালগ্রিন একাডেমির বাঙালি ছাত্রীর প্রটেকশন অর্ডার-পাসপোর্ট কোর্ট অফিসারের কাছে জমা হলো

বেথনালগ্রিন একাডেমির বাঙালি ছাত্রীর প্রটেকশন অর্ডার-পাসপোর্ট কোর্ট অফিসারের কাছে জমা হলো

172

বেথনালগ্রিন একাডেমির বাঙালি ছাত্রীর প্রটেকশন অর্ডার-পাসপোর্ট কোর্ট অফিসারের কাছে জমা হলো

 সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ- লন্ডন থেকে

বেথনালগ্রিন একাডেমির ১৬ বছরের বাঙালি ছাত্রী, (যার পরিচয় ছাত্রীর নিরাপত্তা, ভবিষ্যৎ প্রতিষ্ঠা লাভের নিমিত্তে কোর্ট এবং এন্টি টেরোর ইউনিট গোপণ রেখেছে)যে ইতোপূর্বে সিরিয়া গমণ করেছে যে চারজন ছাত্রী, তাদের খুবই ক্লোজ ফ্রেন্ড, কোর্ট মনে করছেন, হয়তো জিহাদিরা তাকেও ভুলিয়ে ভালিয়ে সিরিয়ায় নিয়ে যেতে পারে, যাতে তার ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যেতে পারে, সেজন্যে হাইকোর্টে ফ্যামিলি কোর্টের জাস্টিস মিঃ হেইডেন এক অর্ডারে ছাত্রীর পাসপোর্ট কোর্ট অফিসারের জিম্মায় নিয়েছেন এবং ততোক্ষন পর্যন্ত কোর্ট অফিসারের জিম্মায় ছাত্রীটির পাসপোর্ট কোর্ট অফিসারের কাছে থাকবে, যতক্ষন পর্যন্ত ছাত্রীর বয়স ১৮ পূর্ণ না হয়। এই প্রটেকশন অর্ডার ১৮ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে তবে তখন রিভিউ হবে।

 

কোর্ট অবগত হয়েছেন, পালিয়ে যাওয়া একাডেমীর ৪ ছাত্রীর সাথে এই ছাত্রীটির রয়েছে ঘনিষ্ট বন্ধুত্ব সম্পর্ক  এবং যে কোন সময় ছাত্রীটি হয়তোবা তাদের পথ ধরতে পারে। প্রটেকশন অর্ডারের আগে জাস্টিস হেইডেন ছাত্রীর সাথে একান্তে আলোচনা করেন কিছুক্ষণ।

 

এ সময় হাইকোর্টের ফ্যামিলি কোর্টে ছাত্রীর পুরো পরিবার উপস্থিত ছিলেন। ছাত্রীটির আরো তিন বোনও এ সময় কোর্টে ছিলেন।

Three schoolgirls

জাস্টিস হেইডেন তার অর্ডারে ছাত্রীটির পরিচয় ১৮ পূর্ণ হওয়ার আগ পর্যন্ত গোপণ রাখার নির্দেশনাও দিয়েছেন।

 

জাস্টিস হেইডেন, এ সময় কিভাবে প্রথম দিকে সোশ্যাল সার্ভিস, এন্টিটেরোর ইউনিট, কোর্ট অফিসার অত্যন্ত গোপণে একাডেমীতে ও পরিবারে ছাত্রীটির সাথে কথা বলেছিলেন সে সম্পর্কেও কোর্টে অর্ডারের সময় উল্লেখ করেন।

 

জাস্টিস হেইডেন তার অর্ডারে উল্লেখ করেছেন,ছাত্রীটি খুবই আকর্ষনীয়, বুদ্ধিমান এবং পরিবারের প্রতি অত্যন্ত কমিটেড এবং সংবেদনশীল হ্রদয়ের অধিকারি তিনি আরো উল্লেখ করেন,ছাত্রীটি খুবই স্মার্ট ও বুদ্ধিমান, তাকে প্রটেক্ট করা মানেই হলো- এমনও হতে পারে লেখা পড়া শেষ করে সে একদিন এই চেয়ারে বসতে পারে

 

তিনি বলেন, ছাত্রী এবং ছাত্রীর পরিবার যেন কোন অবস্থাতেই এটাকে অপমানজনক মনে না করেন, বরং তার ভবিষ্যতের স্বার্থেই এটা করা হয়েছে। তার পাসপোর্ট যেকোন সময় যেকোন ভ্রমণের জন্য পাওয়া যাবে, যদি সেই ভ্রমণের ক্ষেত্রে এন্টি টেরোর ইউনিট মনে করে সঠিক এবং উপযুক্ত ভ্রমণ।

 

 

কোর্টে ছাত্রীটির পিতা উপস্থিত ছিলেন। তিনি ইন্টারপ্রিটরের সহায়তায় জানিয়েছেন, তার মেয়ের পরীক্ষার রেজাল্ট এ সপ্তাহে বের হয়েছে। তার এ লেভেলে ছিলো ইংলিশ, সোশিওলজি, হিস্ট্রি এবং বাংলা।

 

এ সময় জাজ হেইডেন বলেন, এ ধরনের (পাসপোর্ট স্ট্রাইক )পদক্ষেপকে খুবই নেহায়েত এক পদক্ষেপ যেন পরিবার মনে করেন, যাতে ছাত্রীটিকে সমূহ কবরের আজাব থেকে তার ভবিষ্যৎ কে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করা হয়েছে।

 

Salim932@googlemail.com

18th August 2015, London

 

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *