সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ- লন্ডন থেকে
প্রতিবছর ইমিগ্রেন্ট ও এসাইলাম সিকারদের ফার্স্ট ট্র্যাক ইমিগ্রেশন আপিল এর মাধ্যমে গ্রেপ্তার ও ৭ দিনের মধ্যে এপিলের যে নিয়ম ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ করছে বা বহাল আছে- তা বেআইনি বলে অভিহিত করেছেন হাইকোর্ট ।
বিচারপতি নিকোল বলেছেন, ব্রিটেনে ইমিগ্রেশন পেতে ব্যর্থ এবং এসাইলাম সিকারদের গ্রেপ্তার ও এপিলের যে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে তা “ স্ট্রাকচারলি আনফেয়ার” ও বলে একই সাথে তিনি উল্লেখ করেছেন।
এসাইলাম সিকারদের ডিটেইনড করার ফার্স্ট ট্র্যাক এই নিয়ম হোম অফিস ২০০০ সালে চালু করে যা বর্তমানে এই সিস্টেম আরো বর্ধিত করেছে ।
লেটেস্ট যে ফিগার প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা গেছে ২০১৩ সালে ৪,২৮৬ এসাইলাম সিকারদের ডিটেনশন সেন্টারে আটক করে রাখা হয় এই ফাস্ট ট্র্যাক সিস্টেমের মাধ্যমে কিন্তু ২০১২ সাল থেকেই যা ৭২% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে এই ফার্স্ট ট্র্যাকের মাধ্যমে কেস হ্যান্ডলিং করার ক্ষেত্রে।
হোম সেক্রেটারি থেরেসা মে যখন এসাইলাম, অবৈধ ও ইমিগ্র্যান্টদের “প্রথমেই ডিপোর্ট এবং পরে এপিল” ( ডিপোর্ট ফার্স্ট, এপিল লেটার) এই নীতি প্রয়োগ ও কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন ঠিক তখনি মাননীয় হাইকোর্ট এই রায় দিলেন।
একজন অবৈধ ইমিগ্র্যান্ট বা এসাইলাম সিকার যারা এসাইলাম পেতে ব্যর্থ তাদের গ্রেপ্তার করে ৭ দিনের মধ্যে এপিল এর ফার্স্ট ট্র্যাকের এই সুযোগে তার আইনজীবী সব কাগজ পত্র সংগ্রহ, এভিডেন্স গেদার, স্বাক্ষী সংগ্রহ, এপ্লিকেশন ও এক্সপার্ট মতামত পরামর্শ সব কিছু করে ৭ দিনের মধ্যে এপিল শুধু কঠিণই নয় থিওরীট্যাকেলি এবং প্র্যাকটিকেলি জটিল ও অসম্ভব এক কাজ বলে হাই কোর্ট মনে করেন।
হোম অফিস হাইকোর্টের এই জাজম্যান্টে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
উল্লেখ্য জিম্বাবুয়ের নাগরিক নিজ দেশে টর্চারের কারণে ব্রিটেন এসে ব্রিটিশ রিফিউজি কাউন্সিলের সহায়তায় হাইকোর্টে ইমিগ্রেশনের বিরুদ্ধে এপিল করলে হাইকোর্ট এই রায় প্রদান করেন।
সূত্রঃ গার্ডিয়ান- ১৩ জুন ২০১৫
হাইকোর্ট-উসার সার্ভিসেস-লন্ডন
“UK’s fast-track asylum system ruled unlawful-HIGH COURT”.
13rd June 2015, London.