সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ- লন্ডন থেকে
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিংকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার তার অবসরের সাত মাস আগে অপমানজনকভাবে বিদায় দেয়ার পর দ্য ইকোনোমিক টাইমসের সাথে এক সাক্ষাতকার প্রদান করেছেন। আজকে প্রকাশিত সেই সাক্ষাতকারে সুজাতা বলেছেন, তার পার্ফম্যান্স নিয়ে মিডিয়া ও সামাজিক সাইট সমূহ একধরনের টার্নিশ সৃষ্টি করেছিলো। তার এই অবস্থার জন্য তিনি মিডিয়াকে দায়ী করেছেন।
সাক্ষাতকারে সুজাতা জানালেন, তিনি জানতেন তাকে চলে যেতে হবে, তবে তার রিটায়ারম্যান্টের সময় হয়ে গিয়েছিলো, এভাবে বিদায় নিলে অবসর ভাতা বা পেনসনের উপর প্রভাব পড়বে। তাই তিনি নিজে থেকে পদত্যাগ করতে চাননি।
সুজাতা স্বীকার করেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ তাকে গত বুধবারে আনুমানিক বেলা ২টায় টেলিফোনে জানান নরেন্দ্র মোদী তার পারফর্ম্যান্সে সন্তুষ্ট নন, তাকে চলে যেতে হবে। এটা তার জন্য ভালো কোন সংবাদ নয়, প্রাইম মিনিস্টার চাচ্ছেন সুব্রামনিয়াম জয়শংকরকে ফরেন সেক্রেটারি করতে।
সুজাতা বলেন, তিনি তখন সুষমা স্বরাজকে বলেন তার পদত্যাগ পত্র টেবিলের ড্রয়ারে রেডি করে রেখেছেন। এর পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বরাবরে তার রেসিগনেশন লেটার পাঠিয়ে দেন, তাতে তিনি লিখেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আদিষ্ট হয়ে পদত্যাগ করছেন।
এর দুঘন্টা পরই সরকারি ওয়েব সাইটে সুজাতার চাকুরী থেকে বিদায়ের সংবাদ নিশ্চিত করা হয়।
সুজাতা আক্ষেপ করে বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া ইচ্ছেকৃতভাবে স্টোরি তৈরি করেছে তার বিরুদ্ধে, তিনি এতে মিডিয়াকে ম্যানিপুলেট করার জন্য দোষারোপ করেন।
উল্লেখ্য ১৯৮৭ সালে রাজীব গান্ধী প্রথম তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব ভেংকটরমনকে অপসারণ করেছিলেন। ২৮ বছর পর মোদীর সরকার সুজাতা সিংকে অপসারন করলেন।
অবশ্য কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছেন, সুজাতার আরো আগেই বিদায় নেয়ার কথা ছিলো। সুষমা স্বরাজ সুজাতাকে এতোদিন আগলে রেখেছিলেন। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপে সুষমাও সুজাতার পেছন থেকে সমর্থন তুলে নিতে বাধ্য হলেন।
30th January 2015, London.