১৩০ হাজার লেবার নিউ ভোটারের এপিলে এনইসি জয়ী….

১৩০ হাজার লেবার নিউ ভোটারের এপিলে এনইসি জয়ী….

সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ-

 

গত ৮ই আগস্ট  ২০১৬ লেবার দলীয়  পাচজন ক্ষুব্ধ ভোটারের দায়ের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রায়ে বলেছিলেন, নতুন ১৩০,০০০ ভোটার, যারা  ১২ জানুয়ারির পরে সদস্য হয়েছেন, তারা লেবার দলীয় নির্বাচনে পার্টির নেতৃত্ব নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। সেই রায়ে জেরেমি করবিনের টিম উল্লসিত হয়েছিলেন। কেননা নতুন বিশাল সংখ্যক সাপোর্টার লেবারের সদস্য হয়েছেন, এনইসির ভাষায়, ছয় মাস হয়নি এমন সদস্য ভোটাধিকার পাবেননা। অথচ হাইকোর্টের রায়ে এনইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়েছিলো।এপিলে এনইসি আজ জয়ী হয়েছেন। 

 

গত সপ্তাহে যখন এই রায় আসে, তখন অপর প্রার্থী ওয়েন স্মীথ টিম কিছুটা অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন এবং ধারনা করা হচ্ছিলো, জেরেমি করবিন আবার নেতা নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।

owen.jpg

গত সপ্তাহের হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে লেবার ন্যশনাল এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল এপিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে পরিস্থিতি তখন থেকেই পাল্টাতে থাকে। নাটকীয়তায় ভরে উঠে  লেবার দলীয় বিদ্রোহীদের মতোই এনইসির এই সিদ্ধান্তও চমক নিয়ে আসে লেবার দলে। চাপা ক্ষোভ আর ফিসফাস শুনা যায় সর্বত্রই।

 

শুক্রবার ১২ আগস্ট ২০১৬ হাইকোর্টের  বিচারপতি এপিল গ্রহণ করে এপিলের রায়ে বলেন, হাইকোর্ট নয়, এনপিসির সিদ্ধান্তেই এটা নির্ভর করবে।  হাইকোর্ট এপিলের রায়ে বলেন- It said that the NEC, not courts, was the “ultimate arbiter” of rules. corbyn

হাইকোর্ট বলেন, লেবার দলের ভোটাভুটির ব্যাপারে কেবলমাত্র তিনি বা তারা পার্টির সদস্য ক্রাইটেরিয়াই ভোটাধিকারের নিশ্চয়তা দেয়না, বরং এনইসির সিদ্ধান্ত ও এনইসির নির্ধারিত ক্রাইটেরিয়া- নির্দেশনাই সেটা নির্ধারন করবে।

 

জেরেমি করবিনের টিম হাইকোর্টের এই রায়কে  আইনগত এবং একইসাথে গণতান্ত্রিকভাবে ভুল সিদ্ধান্ত বলে অভিহিত করেছেন। একজন মুখপাত্র বলেছেন, আমরা মনে করি এই সিদ্ধান্ত আইনগত ও গণতান্ত্রিকভাবে ভুল সিদ্ধান্র।

 

সুতরাং বুঝা যাচ্ছে, নতুন হাজার হাজার সদস্যরা আর নেতা নির্বাচনে এবার ভোট দিতে পারবেননা- এনইসির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

১৪ আগস্ট ২০১৬-লন্ডন।