সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ-
লেবার দলের নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নে সিঙ্গেল মার্কেটে ব্রিটেনের প্রবেশাধিকার না থাকলে তার দল ব্রেক্সিট ব্লক করে দিবে। এমনকি জেরেমি করবিন বলেছেন, এতে টেরিজা মে বাধ্য হতে পারেন আগামী স্প্রিং এ নির্বাচন দিতে- ব্রেক্সিট প্রশ্নে জনগনের মতামত নিতে।
জেরেমি করবিন বলেন, টেরেজা মে নির্বাচন দেয়া ছাড়া বিকল্প কোন পথ খোলা না থাকলে তিনি এ চ্যালেঞ্জ নিতে ভয় পান না। কেননা, তার দলের রয়েছে সেই শক্তি, তার রয়েছে দল এবং অদম্য উদ্যমী সঞ্জীবনী শক্তি।
ব্রিটেনের ট্যবলয়েড দৈনিক সানডে মিররের সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে লেবার নেতা জেরেমি করবিন এমন কথাই বলেছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের আনুষ্ঠানিকভাবে বেরিয়ে যাওয়ার জন্যে আর্টিকল ফিফটিতে ট্রিগার করার ক্ষেত্রে জেরেমি করবিনের নেতৃত্বে লেবার দল এবং টোরি পার্টির ভিতরের ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার সাপোর্টার বা রিমেইন ক্যাম্পেইনরা মিলে ব্রেক্সিট ব্লক করে দিবেন যদি না সিঙ্গেল মার্কেটে ব্রিটেনের অ্যাক্সেস না থাকে। এবং জেরেমি করবিন পরিষ্কারভাবেই সেটাই নির্দেশ করেছেন।
ব্রেক্সিট নীতির প্রশ্নে টোরি দলের ভিতরেও ক্ষোভে ফুসছেন অনেকেই। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন দুদিন আগেই পদত্যাগ করেছেন স্টিফেন ফিলিপ কিউসি এমপি। ইতোমধ্যে হাইকোর্টে টেরিজা মের আর্টিকল ফিফটি এককভাবে ট্রুগারের নির্বাহী ক্ষমতা চ্যালেঞ্জ করে আনার শুনানী শেষে লর্ড জাস্টিস সেইলের নেতৃত্বে তিন হাইকোর্ট জাজ রুলিং দিয়েছেন আর্টিকল ফিফটি ট্রিগারে পার্লামেন্টের ভোটাভুটির অবশ্যই প্রয়োজন এবং টেরেজা মে`
র একক নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ হবে বেআইনি। ব্রেক্সিট নিয়ে টেরেজা মে এখন পড়েছেন বেকায়দায়। নিজ দল ছাড়াও হাইকোর্টের রুলিং। সরকার এপিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে- আগামী মাসে সুপ্রীম কোর্টে শুনানী হবে। সুপ্রীম কোর্টেও যদি হাইকোর্টের রুলিং বহাল থাকে, তাহলে টেরিজা `হাতে আর্লি নির্বাচন দিয়ে জনগনের মতামত নেয়া ছাড়া বিকল্প থাকবেনা।
(ছবি-স্টিফেন ফিলিপ কিউসি এমপি পদত্যাগ করেছেন)
এক্ষেত্রে জেরেমি করবিন বলেছেন, আমরা রেফারেন্ডামের বিরোধী নই, সেকেন্ড রেফারেন্ডামও চাচ্ছিনা, এমনকি রেফারেন্ডামের বিরুদ্ধে নই। রেফারেন্ডামের ফলাফলকে আমরা শ্রদ্ধা করি। তবে আমরা শুধু চাই ইউরোপীয় ইউনিয়নে সিঙ্গেল মার্কেটে ব্রিটেনের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত থাকা ব্রেক্সিটের পরেও।
তবে সেক্ষেত্রে নতুন নির্বাচন হলে বলেন আমরা তৈরি আছি।
লেবার নেতা আরো পরিষ্কার করে বলেছেন, তার বটম লাইন হলো- ব্রেক্সিট নেগোসিয়েশনে যা থাকতে হবে-
০১) ৫০০ মিলিয়ন কাস্টমারদের ইউরোপীয় মার্কেটে ব্রিটেনের অ্যাক্সেস
০২) ইইউতে কাজের অধিকার-
০৩) পরিবেশ ও কনজ্যুমার্সদের সেইফগার্ডের গ্যারান্টি
করবিন ব্রেক্সিট বটম লাইনের এসব নীতির সাথে কোন কম্প্রোমাইজ করবেনা।
এদিকে টেরেজা মে নিজ দলের বিদ্রোহীদের হুশিয়ারি করে বলেছেন, জনগনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনরূপ হতাশাজনক কাজকে সহ্য করবেননা। সানডে টাইমসের রিপোর্টে এমন তথ্যই প্রকাশিত হয়েছে।
টেরেজা মে তার পার্টির রিমেইনরদের জনগনের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনেরও আহবান জানিয়েছেন।
salim932@googlemail.com
06th November 2016, London