পোপ ফ্রান্সিসের বিবর্তনবাদের স্বীকৃতিঃবিগব্যাং থিওরী রাইট!

পোপ ফ্রান্সিসের বিবর্তনবাদের স্বীকৃতিঃবিগব্যাং থিওরী রাইট!

সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ- বিশ্বমন্ডলী কিভাবে তৈরি হয়েছে- এ নিয়ে রয়েছে বিস্তর মতভেদ। বিজ্ঞান, বিবির্তনবাদীরা আর ভ্যাটিকান এবং মুসলমানদের মধ্যে এনিয়ে আকাশ পাতাল থিওরী বিদ্যমান। কোরআন সেখানে অকাট্য দালিলিক প্রমাণও দিয়েছে- মোফাসসিরে কোরআন যারা তারা এমন কথাই বলেন। বিগ ব্যাং থিওরী নিয়ে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা এবং কোরানিক ব্যাখ্যা আর ভ্যাটিকানের ব্যাখ্যা নিয়ে বেশ কিছু বইও রয়েছে। এতোদিন পর্যন্ত সেই সব নিয়ে আর খুব একটা উচ্চ বাচ্চও ছিলোনা, কেবলমাত্র এক যুগ অন্তর অন্তর ভ্যাটিকান ধর্মগুরুদের কিছু তাত্বিক ব্যাখ্যা আর বিজ্ঞানীদের এবং সৌরজগত নিয়ে কাজ করেন এমন সব সাইন্টিস্ট আর জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কিছু কিছু বক্তব্য মাজে মধ্যে লাইম লাইটে আসতো মিডিয়ার কল্যাণে। কিন্তু আজকে ভ্যাটিকান পাদ্রী পোপ ফ্র্যান্সিস এর বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ মিডিয়া আর ফ্রান্স, ইটালির মিডিয়াগুলো সরগরম। কেবলমাত্র ইন্ডিপেন্ডেন্ট অনলাইন দুইশত সাতষট্রি হাজারেরও উপরে শেয়ার হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

ভ্যাটিকান ধর্মগুরু পোপ  ফ্র্যান্সিস বিগব্যাং থিওরীকে সত্য বলে ঘোষণা করেছেন একই সাথে বিবর্তনবাদেরও স্বীকৃতি দিয়েছেন, যা তার আগের পোপ বেনেডিক্ট ষোড়শের বক্তব্যের সাথে দ্বন্ধ সৃস্টি হয়েছে।

 

পোপ ফ্র্যান্সিস বলেছেন, বিগব্যাং থিওরী এবং বিবর্তনবাদ তত্ব বাস্তব সত্য  এবং গড কোন জাদুঘর নন ও গড এর কাছে জাদুদন্ড (ম্যাজিক ওয়ান্ড) নেই।


পন্টিফিকাল একাডেমি অব সাইন্স অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময়  পোপ ফ্র্যান্সিস এই ঘোষণা দেন। একই সাথে তার পূর্ব সূরী ষোড়শ বেনেডিক্ট কর্তৃক  সৃষ্টিবাদী  আর সেই সাথে বুদ্ধিবাদী নকশা দ্বারা যে ছদ্ম তত্বের শুরু করা হয়েছিলো তারও ইতি টানেন পোপ ফ্র্যান্সিস।

 

পাদ টীকা- ছদ্ম তত্ব-“pseudo theories”

(Pseudoscience includes beliefs, theories, or practices that have been or are considered scientific, but have no basis in scientific fact. This could mean they were disproved scientifically, can’t be tested or lack evidence to support them.)

 

তবে পোপ তার বক্তব্যে  স্বীকার করেছেন, উভয় বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় সৃষ্টির আদি তত্ব বা উৎস কোনভাবেই  বেমানান ছিলোনা ববং  সৃষ্ট  বিতর্কের  পরিবর্তে এটার প্রয়োজন ছিলো।

 

সৃষ্টি তত্ব নিয়ে আমরা যখন  জেনেসিস  ও বৈজ্ঞানিক  তত্ব পড়ি, তখন একজন জাদুগর এবং তার জাদু দন্ড – এমন সব ব্যাখ্যা বা বক্তব্য  সব কিছুর মূলে তা সঠিক নয় বলেও মন্তব্য করেছেন।

 

( কোরআন বলছে আল্লাহ পাক পৃথিবী ছয় দিনে  সৃষ্টি করেছেন- খালাক্কাস সামাওয়াতি …… এই আয়াতে বর্ণনা করা আছে সুস্পষ্ট ভাবে )

 

প্রকৃতির  বিবর্তন যা জীব বিবর্তনের সাথে সৃস্টির  বিবর্তনবাদের সাথে  অসামঞ্জস্যপূর্ণ নয় -কারণ বিবর্তন সৃষ্টির  বিবর্তনের সাথে জড়িয়ে আছে বলে মনে করেন।

 

মূলতঃ ক্যাথলিক চার্চ দীর্ঘদিন ধরে বিজ্ঞানের সাথে তাদের মতামতের বিরোধ ছিলো এমনকি গ্যালিলিওর সেই থিওরী যা সূর্যের চারদিকে পৃথিবী ঘুরে সেই তত্বও তারা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছিলো। তবে পোপ ফ্র্যান্সিসের বক্তব্য তাদের দ্বাদশ পোপ পায়াসের বিগব্যাং থিওরী নিয়ে যে দরজা উম্মুক্ত করে গিয়েছিলেন তারই ধারাবাহিক এক ইফেক্টিভ ওয়ার্ক হিসেবে অনেকেই মনে করছেন।

 

সেজন্যেই ইটালির মিলান ইউনিভার্সিটির  ফিলসোফির প্রফেসর গ্যাইলিও গ্যাইরেলো বলেছেন,  ক্যাথলিকদের মধ্যে এই বিতর্ক নিয়ে কিছুটা হলেও ইমোশন হ্নাসের ব্যবস্থা করছেন পোপ ফ্র্যান্সিস।

 

বিগব্যান নিয়ে কোরআনিক অথেনটিক ব্যাখ্যাটি ইনশাআল্লাহ আগামীতে প্রকাশের চেষ্ঠা করবো।

১৯ ডিসেম্বর ২০১৬

লন্ডন

 

লন্ডন থেকে শীগ্রই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে, লন্ডন টাইমস নিউজ- আপনার বিশ্বস্থ সংবাদ সঙ্গী