সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ । লন্ডন থেকে ।
যুদ্ধাপরাধী অপরাধ ও আইনে ইতিহাসের সব চাইতে বিপর্যস্ত অবস্থায় জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। একে একে দলের দাপুটে ও শীর্ষ নেতারা ধরাশায়ী। এক সময় যারা বাংলাদেশের মিডিয়া, রাষ্ট্র, আইনকে চরম বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কটাক্ষ করতেন, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সময়ে নিজেদের অপকর্ম ও রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্ত স্বীকার করা দূরে থাকুক, সংগ্রাম শব্দের মারপ্যাচে দুর্দন্ড প্রতাপে তামাশা করতেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার তাদের প্রত্যেককে আইসিটি আইনে উপযুক্ত বিচারের ব্যবস্থা কার্যকর করেছেন। বাংলাদেশের মানুষের সিংহভাগ মানুষ জামায়াত নেতাদের মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী অবস্থান ও ভুমিকার কারণে সরকারের এমন সাহসী পদক্ষেপের প্রতি অকুন্ঠ সমর্থন দিয়েছেন। ছাত্র, যুব ও তরুণ ছাত্র ছাত্রীরা মুক্তিযুদ্ধের ইস্যুতে জামায়াত নেতাদের বিচারের কাঠগড়ায় নিয়ে আসার জন্য শেখ হাসিনার সরকারের প্রতি তারাও সমর্থন জুগিয়েছেন। বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসি সকল বাঙালিও অকুন্ঠচিত্তে সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। যার প্রমাণ যুক্তরাজ্য সহ বিভিন্ন দেশে জামায়ায়াত ও বিএনপির শত প্রচারণার বিপরীতে দল মত নির্বিশেষে প্রবাসি বাঙালি জনগন আওয়ামীলীগের সাথে মিলে জামায়াত নেতাদের বিচারের দাবী ও শাস্তি কার্যকরের জন্য সোচ্চার ছিলেন।
এহেন অবস্থায় দেশ বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সংগঠিত এবং বিভিন্ন পেশা ও গ্রুপে বিভক্ত জামায়াতের তরুণ অংশ দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করে। দলের তরুণ এবং বৃহৎ অংশ বিশেষ করে যুক্তরাজ্য, ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জামায়াত সংশ্লিষ্ট তরুণ প্রজন্মের নেতারা দলের মধ্যে সংস্কার এবং মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী নেতৃত্বের সরিয়ে ক্লিন ইমেজ নির্ভর দল গোছানোর জন্য কাজ শুরু করে। কিন্তু সরকার জামায়াত নেতাদের বিচার কার্যকর করেই থেমে নেই, জামায়াতে ইসলামী দলের বিরুদ্ধেও নানান অভিযোগ উত্থাপিত হলে বিভিন্ন সময়ে আইন মন্ত্রণালয়ও উদ্যোগী ভুমিকা নেয়ার কথা জানায়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোকাম্মেল হক পরিষ্কারভাবে যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামায়াতের রাজনীতি করার অধিকার নেই এমন মতামত গণমাধ্যমে জানিয়ে দেন।
জামায়াতের এমন ত্রাহি অবস্থা বিশেষ করে, সারা বাংলাদেশের কোথাও জামায়াত নেতা কর্মী একত্রিত হওয়ার সুযোগই যখন পাচ্ছিলোনা, এমনকি আইন মন্ত্রী যখন জানিয়ে দেন জামায়াত নিষিদ্ধের জন্য সরকার আইনের সংস্কার করবে, নির্বাচনে অনিবন্ধিত থাকায় প্রকাশ্যে নির্বাচনেও অংশ নিতে না পারায়, প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় সারির সকল নেতৃত্ব যখন কারাগারে, তখনই দলের ভিতরে তরুণ এবং সংস্কারপন্থীরা মাঠে নামেন। প্রাথমিকভাবে তারা সরকারি দলের বিভিন্ন অঞ্চলে মিশে যেতে থাকেন।
০২) ইতোমধ্যে দলের প্রভাবশালী এবং দলীয় শীর্ষ আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক জামায়াত থেকে পদত্যাগ করেন এবং জামায়াতের ভুল রাজনীতির কথা স্বীকার করে সময়ের সাথে (যুগোপযোগী) মিলিয়ে রাজনীতি উপযোগী দল ও কৌশল নেয়ার ব্যর্থতাও স্বীকার করেন। এ সপ্তাহে অ্যান ইভনিং উইথ ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক নামের অনুষ্ঠানে নিজের আর রাজনীতি না করারও কথা জোর দিয়ে বলেন। কিন্তু একথাও জানান জামায়াতের সাথে সম্পর্ক যেমন ভালো, তেমনি তিনি বাংলাদেশে পরিবর্তন আসার ব্যাপারেও আশাবাদী। আর পরিবর্তীত রাজনীতির প্রতি তার সমর্থনের কথাও জানান।
রাজনৈতিক বুদ্ধারা ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের মন্তব্যকে দুদিক থেকে তাতপর্যপূর্ণ বলে মনে করেন। এক, তিনি সরকারের সাথে সমঝোতার পথের টানেলের বদ্ধ দুয়ারের মুখ খুলে দিয়েছেন। দুই, সংস্কারপন্থী তরুণ নেতাদের দ্বারা জামায়াতের নাম পরিবর্তন করে নতুন দল গঠণের দিকে তার নিরব সমর্থনের ইঙ্গিতও দিয়েছেন। কেননা, জামায়াতের গঠণতন্ত্র এবং দলীয় কাঠামোর ভিতরে সংস্কার কিংবা নতুন দল অসম্ভব এক ব্যাপার-এ যেন হিমালয় পর্বত চূড়ায় আরোহনের মতো। আর দলের মধ্যে পরিবর্তন এবং গঠণতন্ত্রের যুগান্তকারি সংস্কার ছাড়া তথা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা শর্তহীতভাবে প্রদর্শন ছাড়া বর্তমান সরকার ও প্রশাসন এবং সাধারণ জনগন ও তরুণ সমাজের কাছে কিছুতেই যে গ্রহণযোগ্যতা পাবেনা-এমন উপলব্ধি থেকেই তরুণ জামায়াত নেতারাও উপলব্ধি করেছেন বলে ইতোমধ্যেই সংবাদ পত্রেও রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে(নেতাদের বক্তব্য সহ, মানব জমিন, প্রথম আলো, সমকাল, কালের কন্ঠ)। রাজনীতি না করার কথা ঘোষণা দিয়ে ব্যারিস্টার রাজ্জাক সরকারের কাছে সমঝোতার মধ্যমণি হিসেবে পর্দার আড়ালে দরকষাকষির যেমন সুযোগ পাবেন, তেমনি বৈরি অবস্থার মোকাবেলা সহজে করে ব্রিটেনের মতো পূণরায় ঢাকায়ও নিজের আইনী পেশায় যোগদান সহজীকরণ হবে। যা ব্যারিস্টার রাজ্জাককে জামায়াতের তরুণ নেতাদের জন্য দল গুছানোর মাধ্যম হিসেবে দ্যুতিয়ালি করার সুযোগ এনে দিবে।
০৩) এতদ অঞ্চলের ইতিহাস বিশেষ করে ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোর গোড়াপত্তন এবং ভুমিকার দিকে আলোকপাত করলে একটা অসম্ভব মিল লক্ষ করা যায়। ব্রিটিশ আমলে লর্ডদের পৃষ্ঠপোষকতা এবং প্রত্যক্ষ মদদে যেসকল ইসলামিক দল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো, পাকিস্তান আমলেও জান্তাদের সহযোগীতা ইসলামিক দলের প্রতি ছিলো। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পরে জিয়াউর রহমান সরকারের সময়েও ইসলামিক দলের প্রতি সমর্থন এবং পৃষ্ঠপোষকতা ছিলো। জেনারেল এরশাদের নয় বছরের শাসনামলেও একই চিত্র লক্ষ্যণীয়। আজকেও সময় এবং অবস্থার প্রেক্ষিতে ইসলামিক দলকেও সংস্কার হউক কিংবা নতুন নামের দল হউক- সরকারের সাথে সমঝোতা করেই করতে হচ্ছে, হবেও তাই।
০৪) আবার লক্ষ্যণীয় যে, ব্রিটেন হলো গণতন্ত্রের পাদপীঠ। ওয়েস্ট মিনিস্টারের গণতন্ত্র সারা বিশ্বের জন্য দৃষ্ঠান্ত। এখানে সরকারি দলের এমপিরা নিজ প্রধানমন্ত্রী কিংবা বিরোধীদলের এমপিরা নিজ দলনেতার সমালোচনা এমনকি বিপক্ষেও ভোট দিতে পারেন অনায়াসে। যা পৃথিবীর অন্য কোথাও খুব একটা সচরাচর দেখা যায়না বা বিরল বলা যায়। আবার এই ব্রিটেন যুগে যুগে অনেক যুদ্ধাপরাধী, অপরাধী, ডিক্টেটরদের আশ্রয় দিয়েছে তাদের মানবাধিকার সুরক্ষার নামে। তাই বলে কী ব্রিটেনের কাজকে আইনের বিপরীত বা গণতন্ত্রের বিপরীত বলা যাবে? এ নিয়ে রয়েছে বিস্তর তর্ক এবং বিতর্ক। কিন্তু রাষ্ট্র বিজ্ঞানী এবং সমাজবিজ্ঞানিরা ব্রিটেনের এই অবস্থানকে যখন মূল্যায়ন করেন তখন ব্রিটেনের সার্বিক কল্যাণমূলক (ওয়েলফেয়ার) রাষ্ট্রের ধারণা সামনে নিয়েই বিচার বিশ্লেষণ করেন, যা আনেক তার্কিক এই পয়েন্ট সাধারণতঃ ইগনোর বা এড়িয়ে যান।
সম্প্রতি জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ ইস্যুতে ব্রিটেন ইকুয়েডর সারা বিশ্বের শিরোনাম হয়ে আছে। এমনকি ব্রেক্সিটের মতো বারুদের গুদামে(দিয়াশলাইয়ের কাঠি ছুড়ে) আগুনের মতো ইস্যুকেও পেছনে ফেলে দিয়েছে। এই যখন অবস্থা, তখনি লন্ডনে ইকুয়েডরের অ্যাম্বাসাডর জেইম মার্কান সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করেছেন, ফরেন অফিস মিনিস্টার স্যার অ্যালান ডানকানের সহযোগীতা ছাড়া উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে অ্যাম্বাসি থেকে বের করা অসম্ভব ছিলো। সেজন্যে তিনি স্যার ডানকানের প্রশংসা করেছেন। অবশ্য ইকুয়েডর আজ সাংবাদিকদের অ্যাসাঞ্জের কক্ষ, কিচেন, টয়লেট দেখিয়ে বলেছেন, অ্যাসাঞ্জের ব্যবহার হাইজিন প্রটোকল ভঙ্গের সামিল এবং তিনি কিভাবে সেগুলো নোংরা করেছিলেন। যদিও বলেছেন, এর আগে অ্যাসাঞ্জের আইনজীবীকে অ্যাম্বাসি সেগুলো অবহিত করেছিলেন। অ্যাম্বাসি এখন অ্যাসাঞ্জকে তাদের উপর স্পাই করার অভিযোগও করছে(সন্দেহবশতঃ)।
আর্থিক ক্ষেত্রে ইকুয়েডর অ্যাসাঞ্জকে রাখতে গিয়ে ৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচের কথা জানিয়ে বলেছে, ৩০৫ হাজার পাউন্ড মেডিক্যাল, খাওয়া দাওয়া আর নিরাপত্তা ইস্যুতে ৪.৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ হয়েছে বলে অফিসিয়াল সূত্রে নিশ্চিত করেছে।
আর ব্রিটেন তার নিরাপত্তা ইস্যুতে গ্রেপ্তারের জন্য সারাক্ষণ পুলিশ চৌকি বাবদ ১৩ মিলিয়ন পাউন্ড খরচের কথা জানিয়েছে। এতো গেল আর্থিক এবং রাজনৈতিক প্রসঙ্গ।
০৫) অন্যদিকে, এক সময় ব্রিটেন চিলির পিনোচেটকেও আশ্রয় দিয়েছিলো। অবশেষে পিনোচেটকেও বের করে দেয়। পাকিস্তানের সামরিক জান্তা পারভেজ মোশাররফকে ভিআইপি প্রটোকল দিয়ে সব ধরনের সিকিউরিটি দিয়ে নিরাপত্তা দিয়ে রেখেছিলো। কিন্তু গণতন্ত্র উদ্ধারের নামে এমন সুন্দর ইস্যুতে পারভেজ মোশাররফকে ফের পাকিস্তানে ফেরত যেতে সহায়তা করেছে, যিনি এখন চিকিতসার জন্য নিজ দেশ থেকে বাইরে আসার জন্য আদালতের দোরগোড়ায় দৌড় ঝাপ করেই ব্যস্ত।
০৬) বাংলাদেশের বিএনপি নেতা তারেক রহমানকেও ব্রিটেন আশ্রয় দিয়েছে। শুধু তাই নয়, যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের অনেক নেতা এবং এক সময় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে দাগী মামলার সাথে জড়িতদের এবং পাকিস্তানি, মিশরীয়দের ব্রিটেন আশ্রয় দিয়েছে, নাগরিকত্বও দিয়েছে। সব ধরনের মানবাধিকার দিয়ে সভা সমাবেশ করার সুযোগ অবারিত করে দিয়েছে। অ্যাসাঞ্জকেও ইকুয়েডরকে দিয়ে অ্যাম্বাসিতে রিফিউজি স্ট্যাটাসে সব ধরনের আইনি সুরক্ষায় সহায়তা করেছে। সময়মতো আইনের কাঠগড়ায় সোপর্দ করার সব বন্দোবস্ত করেছে। বর্তমানে ৭০ বিরোধী এমপি জুলিয়ানের সুইডেনে এক্সট্রাডাইট করার জন্য হোম সেক্রেটারিকে লিখেছেন, যাতে সেখানে ধর্ষন মামলার বিচারের মুখোমুখী করা যায়। ব্রিটেন, পিনোচেটকে নিজ দেশে বিচারের মুখোমুখি বৃদ্ধ বয়সেও করার সুযোগ করে দিয়েছে ভদ্রভাবে, পারভেজ মোশাররফকেও ব্রিটেন বেশ নাটকীয় কায়দায় নিজ দেশে ফিরতে সহায়তা করেছে মুন্সিয়ানাভাবে। একদিন তারেক রহমানকেও ব্রিটেন বেশ নাটকীয় এবং মুন্সিয়ানাভাবে বাংলাদেশে ফেরত দিবে, যেতে সহায়তা করবে। তখন হয়তো ব্রিটেনের রূপ জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ, পিনোচেট, মোশাররফদের যে ব্যবস্থায়, কিংবা যে রুপে ব্রিটেনকে বিশ্ব দেখেছে, সেক্ষেত্রে নতুন স্ট্র্যাটেজিতে ব্রিটেনকে সময়ের প্রেক্ষিতে নতুন রুপে বিশ্ব দেখবে। অথবা একই কায়দায় দেখবে। ব্রিটেনের এক্ষেত্রে যে পলিসি সেটার হের ফের খুব একটা হবেনা-এতোটুকু বলা যায় বিগত দিনগুলোর ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করে। ফিনসব্যারি পার্কের হামযাকেও লালন পালন আর ট্র্যাক্সের পয়সায় ভরণ পোষণ করে শেষ পর্যন্ত দেশে যেতে সহায়তা করেছে ( অর্থাৎ বের করে দিয়েছে), যদিও সেজন্য ব্রিটেনকে অনেক কাঠখোড় পোড়াতে হয়েছিলো। এটাই ব্রিটেন-গ্রেট ব্রিটেন, গণতন্ত্রের লীলাভুমি। অপরদিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে অনেক ইসলামি রাজনৈতিক দল গঠণ পৃষ্ঠপোষকতায়ও ইতিহাসের নানা ঘাত প্রতিঘাতে ব্রিটেনের ভুমিকা অনস্বীকার্য। নতুন জামায়াত গঠণে সরকারের সাথে ব্রিটেনের কোন সাযুজ্য আছে কিনা-সেটা না বলে শুধু এইভাবে দেখা যায়, বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসের সাথে ব্রিটেনের কোন না কোন এক সংস্পর্শ রয়েছে।
০৭) বর্তমান সময়ে ঢাকার রাজনীতিতে চীন-রাশিয়ার ভুমিকা অনেকটা অবধারিত শুধু নয়, অনস্বীকার্য হয়ে আছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বিজেপিকে টেক্কা দিয়ে চীনের কম্যুনিষ্ট পার্টি ঢাকায় বেশ নাটকীয়ভাবে ব্যবসা বাণিজ্য আর কূটনীতিতে প্রভাব বিস্তার করে নিয়েছে। চীন কূটনীতিকে মারপ্যাচে ফেলে দিয়ে স্বীয় প্রভাব বিস্তারে ভারত-জাপান-মার্কিন যেমন একাট্রা(মার্কিনীরা এখন ভারতের বদলে জাপানকে দক্ষিণ এশিয়ায় অগ্রাধিকার দিচ্ছে-চীনের বিপরীতে, তবে নির্বাচনে বিজেপি ফিরে আসলে ক্যাপ্টেনসি মোদির হাতেই থাকবে মার্কিনীদের হয়ে), তেমনি মার্কিনীদের সহায়তায় পাকিস্তানের সাথে মিলে সৌদিও এখন ঢাকায় প্রভাব বিস্তারে পারঙ্গম। এই ত্রিমুখী মারপ্যাচে নতুন সরকারি জামায়াত নিজেদের বলয় ঠিক করেই যে এগুবে, সাম্প্রতিক ইস্যু, কর্মযজ্ঞ অনেকটাই স্পষ্ট। তবে চীন এবং সৌদি আর নয়াদিল্লী, ওয়াশিংটন যদি একমত না হয়, নতুন জামায়াত কিংবা সংস্কার জামায়াত কোনটাই আলোর মুখ দেখা কঠিণ হয়ে যাবে, যদি না ব্রিটেনের ভুমিকা না থাকে।
১৪ এপ্রিল ২০১৯, লন্ডন ।
Pingback: London Times News | জামায়াতের সংস্কারপন্থীদের নতুন দল ঘোষণা শনিবার