অক্সফোর্ড ও লন্ডন ইম্পেরিয়াল কলেজের প্যানডেমিক স্টাডি নিয়ে তোলপাড়ঃদুই প্রতিষ্ঠানের পরষ্পরবিরোধী মতামত!

অক্সফোর্ড ও লন্ডন ইম্পেরিয়াল কলেজের প্যানডেমিক স্টাডি নিয়ে তোলপাড়ঃদুই প্রতিষ্ঠানের পরষ্পরবিরোধী মতামত!

সূত্র টেলিগ্রাফ, মেইল, অক্সফোর্ড, লন্ডন ইম্পেরিয়েল কলেজ । গত সপ্তাহে ব্রিটেনের দুই নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করোনা ভাইরাস প্যানডেমিক নিয়ে দুটি স্টাডি প্রকাশ করে। কিন্তু একই বিষয়ে দুই প্রতিষ্ঠানের ভিন্ন ভিন্ন মতামত নিয়ে সংবাদ মাধ্যম সহ সর্বত্র এখন আলোচনা চলছে। কোন স্টাডির উপর ভর করে ব্রিটেন এগুচ্ছে, কোন স্টাডি ব্রিটেনবাসী এখন বিশ্বাস করবে-এমন হাজারো প্রশ্ন এখন ঘুর পাক খাচ্ছে সুধীজন সহ হেলথ প্রফেশনালদের।

লন্ডন কলেজ অব ইম্পেরিয়েলের স্টাডিতে বলা হয়েছে, যদি কঠিণভাবে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স ও ঘরে থাকার মেজারম্যান্ট না মানা হয়, তাহলে ২৫০,০০০ হাজার লোক আক্রান্ত হওয়ার ঝুকির মধ্যে।

অপরদিকে বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান অক্সফোর্ডের স্টাডিতে বলা হয়েছে, ব্রিটেনের অর্ধেকেরও বেশী লোক ইতোমধ্যেই প্যানডেমিক ভাইরাস করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

অক্সফোর্ডের স্টাডির লিড অথর সুনেতা গুপ্তা, একজন থিওর‍্যাটিকেল এপিডেমিওলজির অক্সফোর্ডের প্রফেসর, তিনি ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, আমি খুবই আশ্চর্য, ইম্পেরিয়াল কলেজের মডেল আনকোয়ালিফাইড।

উল্লেখ্য ইম্পেরিয়াল মডেল জানুয়ারিতে ডেলিভারি দেয়া হয় এবং গত সপ্তাহে পাবলিশ করা হয় সংবাদ মাধ্যমে। ব্রিটেন ইম্পেরিয়াল মডেল নিয়ে কাজ করছে।

ইম্পেরিয়াল কলেজের অথর প্রফেসর ফার্গুসন এবং এই মডেলের লিড অথর প্রফেসর রয় অ্যান্ডারসন।

টেলিগ্রাফ এক মজার তথ্য দিয়েছে। তাদের মতে, প্রফেসর রয় এবং প্রফেসর গুপ্তা এক্সময়(১৯৯৯) এক সাথে কাজ করেছিলেন। সে সময় ৮ সদস্যের প্যানেল চেয়ারের রিডারশিপের ভোট পেয়েছিলেন অক্সফোর্ডের প্রফেসর গুপ্তা। তিনি সেসময় অবিবাহিত ছিলেন। সে সময় প্রফেসর রয় দাবি করেছিলেন প্রফেসর গুপ্তা তার সাথে দৈহিক সম্পর্ক করতে চেয়েছিলেন-রিলেশনশিপে। কিন্তু টেলিগ্রাফ বলছে, পরবর্তীতে প্রফেসর গুপ্তা যখন বিয়ে করেন এবং প্রমাণিত হয় যে, প্রফেসর রয়ের সেই দাবি সঠিক ছিলোনা।

পরে অবশ্য তার সেই কমেন্টের জন্য প্রফেসর রয় প্রফেসর গুপ্তার কাছে ক্ষমা চান বলে টেলিগ্রাফ দাবী করেছে।

স্যার রয় ইম্পেরিয়েল কলেজে মেথমেটিক্যাল মডেলিং টিম স্থাপন করেন প্রফেসর ফার্গুসনের সাথে এবং প্রফেসর ফার্গুসন সরকারের পাবলিক হেলথ ইন ইংল্যান্ডকে উপদেশ পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সরকারের এক্সট্রা অর্ডিনারি শাটডাউন(লক ডাউন) পলিসি ইম্পেরিয়েল কলেজের  স্টাডি ২৫০,০০০ তথ্যের বেসিসের উপর।

টেলিগ্রাফকে প্রফেসর গুপ্তা প্রফেসর ফার্গুসনের প্রশংসা করে ফ্রেন্ডলি একসাথে মিলে কাজ ছাড়াও ফার্গুসনের একাডেমিক রিসার্চের প্রতি রেসপেক্ট জানিয়েছেন।

অক্সফোর্ডের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইউনিভার্সিটি এবং এর প্রফেসর করোনা ভাইরাস প্যানডেমিক নিয়ে রিসার্চ করেছেন এবং কেউই ঐতিহাসিক বিষয়কে গুরুত্ব দেননি, যা বহুদিন ধরে রিসার্চের ক্ষেত্রে অনুপস্থিত।