সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ @salim1689
কয়েকদিন ধরে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ফজলুল বারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও চট্রগ্রামের একটি অনলাইনের মাধ্যমে বাবাদিবসকে সামনে রেখে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অহেতুক, মিথ্যা, বানোয়াট ও তথ্য জালিয়াতির মাধ্যমে আবুল মাল আবদুল মুহিতের মতো ভেটেরান অর্থনীতিবিদ ও রাজনীতিবিদকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ও জনসমক্ষে হেয় করাই শুধু নয়, ফ্রিডম অব স্পীচের ইউনিভার্সাল এথিকস এবং সংবাদ মাধ্যমের কোড অব কন্ডাক্টসকে শুধু ভংঙ্গ নয়, ডিজিটাল সুবিধার যথেচ্ছ অপব্যবহার এবং সম্পূর্ণ অসত্য তথ্য প্রচার করছেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো-ফজলুল বারী কেন এই পথ বেছে নিলেন? সস্তা জনপ্রিয়তা? নাকি আওয়ামীলীগের প্রতি তার যে চিরন্তন বিরোধীতা ছিলো-সেটার সময় সুযোগের বহিঃপ্রকাশ? নাকি আবুল মাল আবদুল মুহিতের অর্থমন্ত্রী এবং তারও আগে বিশ্বব্যাংকের অন্যতম কর্ণধার থাকার সময়ে কাছে ভিড়তে না পারা? নাকি আওয়ামীলীগ বিরোধী চক্রের যোগসাজশে ফজলুল বারী একজন বয়োবৃদ্ধের সাথে ইচ্ছে করেই লেগেছেন-যিনি বয়সের ভারে এতো ন্যুব্জ যে, এসবের জবাব দেয়ার মতো সুযোগের অভাবে নিজের ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে তথা আবুল মাল আব্দুল মুহিতের মন্ত্রীত্বের সময়ে যেসব অসাধু কর্মচারী, কর্তারা ধমক খেয়েছেন, ফাইল আটকে দিয়েছিলেন তাদের হয়ে মিথ্যের গোয়েবলসীয় তথ্য প্রচারের হীন উদ্দেশ্যেই ফজলুলবারী তাদের সৈনিকের ভুমিকায় অসময়ে সরব হয়েছেন?
লেখার গভীরে যাওয়ার আগে মোটা দাগে একটা কথা পাঠকদের জানাতে চাই ফজলুল বারীর তথ্য কোনভাবেই সঠিক নয়। কেন নয়, কিভাবে নয়-সেটা আসছি পরে। তার আগে জেনে নেই কে এই ফজলুল বারী? আরেকটি কথা আবুল মাল আবদুল মুহিতের মন্ত্রীত্ব ছাড়ার প্রাক্কালে তার ছোট ভাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।সমস্যা হলে মুহিত চাইলে ছোট ভাইয়ের(যাকে তিনি খুব স্নেহ করেন) সাহায্যও নিতে পারতেন, তা না করে তার ছেলের বয়সী অধঃস্থন এক কর্তার কাছে সাহায্য চাইবেন-এতো দুর্বল মনের মানুষ আবুল মাল আব্দুল মুহিত নন-এটা তার চরম শত্রুও জানেন। আসলেই ফজলুল বারীর তথ্য মিথ্যা ও বানোয়াট-এই দুই মোটা দাগেই যথেষ্ট।
কে এই ফজলুল বারী– বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। কিভাবে গিয়েছিলেন, সেই ব্যক্তিগত কাসুন্দি এটে আমি কাউকে বিব্রত করতে চাইনা।সেটা আমার বিষয়ও নয়। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসীদের দেয়া তথ্য মতে, সেখানে ফজলুলবারী কেয়ার ওয়ার্কারের কাজ করেন, তাও বৃদ্ধদের দেখভালের। এরকম একটি কাজে থেকেও ফজলুল বারী শাহেদ ও মুহিতের সম্পর্ক বুঝতে এতোটাই ব্যর্থ যে, মিথ্যা অসত্য তথ্যের আশ্রয় নিতে হয়েছে তাকে।তার মানে সে ডোমিসিয়ালি ওয়ার্কার। তার দেয়া বয়োবৃদ্ধ সম্পর্কে তথ্য বিকৃতিই তার প্রফেশনের অবস্থান সুনির্দিষ্টভাবে বলে দেয়। কারণ একজন প্রফেশনাল কেয়ার ওয়ার্কার(ডিগ্রিধারী অফিস বেইসড, হাসপাতাল কেন্দ্রিক, মাঠ পর্যায়ে নয়) একজন বয়োবৃদ্ধকে নিয়ে ষ্টোরি উপস্থাপনের সময় অত্যন্ত সংবেদনশীলভাবে সব দিক বিচার বিবেচনায় নিয়ে পরিবেশন করে।
এক সময় ফজলুল বারী সিলেট পলিটেকনিকে লেখা পড়া করতেন। যদিও সে দাবি করে থাকে সে এমসি কলেজে পড়া লেখা করেছে। কিন্তু তার সহপাঠীরা কেউই তাকে কশ্মিনকালেও এমসি কলেজের ক্লাসে দেখেনি। পলিটেকনিকের রেজিস্ট্রি তথ্য মতে, ফজলুল বারী পলিটেকনিকের দরজা শেষ করতে পারেননি। যদি করতেন তাহলে হয়তো পলিটেকনিক ইঞ্জিনিয়ারও প্রফেশনে লেখতে পারতেন বীরোচিতভাবে।
পলিটেকনিকে থাকার সময়ে সে সব সময় ছাত্র শিবির এবং এন্টি আওয়ামীলীগের সকল শক্তির সাথে খুব সখ্য গড়ে উঠে। ঐ সময় আ ফ ম কামালের সিলেট কন্ঠতেও নাকি সে কাজ করেছে দাবী করে থাকেন। কিন্তু আ ফ ম কামালের সাথে সংশ্লিষ্টরা কন্ঠতে তাকে কাজ করতে দেখেছেন বলে মনে করতে পারেননি। যদিও সিলেট সহ সারা বাংলাদেশে তখন সকলেই জানতেন আ ফ ম কামাল ঐ সময়ে কাদেরকে বেশী প্রশ্রয় দিতেন(আওয়ামীলীগ বিরোধী)।
সিলেটে প্রায় সময়ই সে সময় ফজলুল বারীকে আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগের সব চাইতে বিরোধী শক্তি ছাত্র শিবির, জাসদ ছাত্রলীগের নেতাদের সাথে উঠ বস করতে দেখা যেত। তখনকার ছাত্রনেতা লোকমান আহমদ ফজলুল বারীকে বলা যায় শেল্টার দিয়েই রাখতেন।
সিলেট থেকে ঢাকায় গিয়ে ফজলুল বারী প্রয়াত মিনার মাহমুদের সাথে সম্পর্ক যেকোনভাবেই হউক করে ফেলেন। এটা তার কৃতিত্ব বলতেই হবে। মিনার মাহমুদরা এরশাদের বিরোধীতা(শুরুতে এরশাদের সাথে)করতে গিয়ে প্রিয় প্রজন্ম প্রতিষ্ঠা করেন। ফজলুলবারী ঘটনাচক্রে প্রিয় প্রজন্মের সাথে জড়িয়ে সেই থেকে নিজেও আওয়ামীলীগের সমর্থক বনে গেলেন। আর উপায়ও ছিলোনা-প্রিয় প্রজন্ম তখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সহযোগী। ফজলুল বারী সিলেটে থাকাকালীন তার আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগ বিরোধী ভুমিকা প্রিয় প্রজন্মের আড়ালে অত্যন্ত কৌশলে আড়ালে নিয়ে যেতে সক্ষম হন।
ফজলুল বারীর সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার অনুসারীরা তাকে জনকন্ঠে কাজের কথা জানান দিচ্ছেন। জনকন্ঠ এরশাদের সেনা সদস্যের সমর্থন আর ফাইন্যান্সে প্রতিষ্ঠিত(তখন ) পত্রিকা ছিলো এবং সে সময় মিনার মাহমুদের শিষ্যত্ব গ্রহণ করে এরশাদের পত্রিকায় কাজ করা ছিলো অসম্ভব এক ব্যাপার। সুতরাং এখানে দেখি তার নিজের সম্পর্কে তথ্যের যথেষ্ট গরমিল। এহেনলোক আবুল মাল আবদুল মুহিত সম্পর্কে আজগুবি বানোয়াট তথ্য প্রচার করবে এটাই স্বাভাবিক। দুই তিন ধরে তার লেখা দেখেও এড়িয়ে যাচ্ছিলাম, যেহেতু সত্যের কোন লেশ মাত্র নেই। কিন্তু দেশ বিদেশ থেকে অসংখ্যজন জানতে চাচ্ছেন আসলে কী? সেজন্যেই এই লেখার অবতারনা।
সিলেট পলিটেকনিক এবং সিলেটের ছাত্র রাজনীতি করতেন তাদের কেউই সেই সময় তাকে কখনো আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগ করতে দেখেননি, এমসি কলেজে পড়া লেখাতো দুরের ব্যাপার। ব্যক্তিগত জীবনে সে খুবই গরীব এক পরিবার থেকে উঠে আসা। সেটা আমার বিষয় নয়। তবে উল্লেখ করলাম এই কারণে যে, সমাজবিজ্ঞানে, সাইকোলজিতে, রাজনীতিবিজ্ঞানে শ্রেণী সম্পর্কে এবং আধুনিক ডিজিটাল সাইন্সে তথ্যের বিকৃতি পরিচয়, প্রকৃতি, কারণ সমূহ খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে-চরিত্র বোধগম্যের জন্য।
এখন আসি শাহেদ মুহিত, আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং বনানী আর ফজলুল বারীর দেয়া তথ্য ধানমন্ডি বাসা নিয়ে –
০১) ধানমন্ডিতে আবুল মাল আবদুল মুহিতের জীবনে কখনো কোন বাড়ি ছিলোনা, কেনাতো দূরে থাকুক। এই তথ্য ফজলুল বারীর বানানো বানোয়াট তথ্য। প্রকৃত সত্য হলো, আবুল মাল আবদুল মুহিতের নিজের বাড়ি বনানীতে। অর্থমন্ত্রী থাকাকালে তিনি সেই বাড়ি ছেড়ে সরকারি বাড়িতে উঠেন।সেই বাড়িতে আমেরিকা থেকে এসে উঠেন তার ছেলে আর্কিট্যাক্ট শাহেদ মুহিত। সেই বাড়িতেই শাহেদ মুহিত ও আবুল মাল আবদুল মুহিত সপরিবারে থাকতেন।
০২) শাহেদ মুহিত সারাজীবন তার বাবার দেখাশুনা করছে। সেটা নিউ ইয়র্ক হউক, ওয়াশিংটন হউক আর বনানী ঢাকা হউক। সে এতোটাই বাবা মায়ের প্রতি আন্তরিক যে, তার বাবার দেখা শুনা করার জন্য নিজের জীবনে বিয়েটা পর্যন্ত অনেক দেরিতে করেছে। তাও তার বাবা যদি জোর করে না করাতেন, হয়তো পরিবারের দেখভালের জন্য সেদিকেও সে মনোযোগ আরো দেরিতে দিত।
০৩) আবুল মাল আবদুল মুহিতের বনানীর বাসা এতোটাই জীর্ণ শীর্ণ যে, বাসার মূল গেইট বাশের চাটাই দিয়ে লাগানো। বনানীর মতো জায়গায় দীর্ঘদিন(যুগের পর যুগ) বাশের চাটাইয়ের গেইট সারা দেশে তখন ছিলো আলোচনার শিরোনাম। দশ বছর মন্ত্রীত্ব থাকাকালে সেই বাসা একেবারে হয়ে যায় বসবাসের অনুপযোগী। শুধু তাই নয়, দশ বছরের মধ্যে একদিনের জন্য মুহিত কিংবা শাহেদ বা মুহিত পরিবার বনানীর সেই বাসা ভাড়া দেয়ারও চিন্তা করেননি। মন্ত্রীত্ব চলে গেলে সপরিবারে সরকারের নির্দেশিত ৩০ দিনের আইন বাধ্যবাধকতা মেনেই পিতা পুত্র পরিবার পরিজন সেই ঝড়াজীর্ন বনানীর বাসায় কোন প্রকারের কাজ বা রিনোভেশন না করেই উঠেন(সেজন্য সংষ্কার দরকার পরে)-যে কেউ গিয়েই দেখতে পারেন। ওপেন চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি।
০৪) আবুল মাল আবদুল মুহিত বয়সের ভারে ন্যুব্জ। তিনি সিড়ি বেয়ে উঠতে পারেননা। বনানীর বাসায় লিফটও নেই। সেজন্য পরিবার পরিজন মিলেই বাবা মাকে নীচ তলায় রেখেছেন। সস্ত্রীক আবুল মাল আব্দুল মুহিত বয়সের ভারে ন্যুব্জ। দুজনের অনেক কিছুই ভালোভাবে কোন কিছু মনেও করতে পারেননা। অনেক সময় দুজনে কাউকেও চিনতে কষ্ট হয়। এরকম দুজন বাবা মায়ের একসাথে শাহেদ দেখাশুনা করছে সব কিছু বাদ দিয়ে। আর ফজলুল বারী সেখানে দেখলেন- পিতা পুত্রের দ্বন্ধ, ধানমন্ডির আলিশান বাড়ির গল্প সাজিয়েছে। ধানমন্ডির কাছে স্যার সৈয়দ রোডে আলিশান বাড়িতে থাকতেন আবুল মাল আবদুল মুহিতের ছোট ভাই ডঃ এ কে আবদুল মুবিন-যখন তিনি ফাইন্যান্সের সচিব ছিলেন(সরকারি বাড়িতে, মুহিত বা শাহেদ নন)।
০৫) বনানীর এই বাড়িতে শাহেদ এখন তার বাবা মায়ের জন্য লিফট লাগাচ্ছেন-কাজ চলতেছে। তাদের সবার বসবাসের উপযোগী করার জন্য এই বাড়িটি সংষ্কার হচ্ছে। ফজলুল বারীর লেখায় এসব তথ্য না থাকারই কথা-কারণ পিতা পুত্রের সেই স্নেহ ভালোবাসা ফজলুল বারীর মতো আজীবন স্নেহহীন ব্যক্তি কি করে বুঝবেন। সেটার জন্য চাই সংবেদনশীল মন, সুস্থ্য চিন্তার মেধা মনন, রুচিশীল ব্যক্তিত্ব।
০৬) যে সব রেফারেন্স দিয়ে ফজলুল বারী তার গাজাখুরি গল্প সাজিয়েছেন, তাদের প্রত্যেকেই আবুল মাল আব্দুল মুহিত মন্ত্রী থাকার সময় ধমক খেয়েছেন দেশের স্বার্থ বিরোধী এবং জনবিরোধী কাজের জন্য প্রকাশ্যে। সুতরাং তাদের দ্বারা বিকৃত তথ্য সরবরাহ স্বাভাবিক। কিন্তু ফজলুল বারীর উচিত ছিল তথ্য যাচাই করা। অবশ্য গুরু মিনার মাহমুদের মতো তথ্য যাচাই করার খুব একটা অভ্যস্থ নন তিনি।
০৭) ফজলুলবারীর সব তথ্য ধরে নিলাম সঠিক, আবুল মাল আবদুল মুহিত ও শাহেদ মিথা বলছেন। কিন্তু বিবেকের কাছে প্রশ্ন ছুড়ে দিলাম, আবুল মাল আবদুল মুহিতের সারা জীবন সচিব, বিশ্বব্যাংক, ইউএনডিপি, দুইবার তিনবারের মন্ত্রী সব বাদ দিলাম, শাহেদ এবং মুহিত বিগত দশ বছরে চাইলে কী এরকম ১-২টা বাড়ি ক্রয় করতে পারতেননা? কিন্তু কৈ তাদের বাপ ছেলের কেউইতো বিগত দশ বছরে বাংলাদেশের কোথাও সেই পুরনো বনানীর বাড়ি ছাড়া আর কোথাও একটা বাড়িও কিনেননি।ফজলুল বারী ধানমন্ডির সরকারি বাড়িকে মুহিত সাহেবের বাড়ি কি করে বানিয়ে ফেললেন? শাহেদ যেখানে তার বাপের সাথে থাকতো, সেখানে ফজলুল বারী কি করে শাহেদ বাড়া দিয়ে থাকতো এমন তথ্য পেলেন? তাহলে পরিবার পরিজন বন্ধু বান্ধব পিএস এপিএস দশ বছর পিতা পুত্র পরিবারকে যেখানে এক সাথে থাকতে দেখলেন, সেখানে মন্ত্রীত্ব ছাড়ার পরে ফজলুল বারীই শুধু দেখলেন শাহেদ বাপের বাড়িতে বাড়া থাকতো, আর ঐ তথাকথিত(ফজলুলবারীর) বাড়িতে শাহেদ এখন বাপকে উঠতে দিতে চায়নি। এমন আজগুবি গল্প ফজলুল বারীর হালকা রুচি আর বিকৃত মানসিকতার পরিচয় বহন করে।
একটি ছেলে তার জীবনের সকল সময় বাবা মায়ের খেদমতে নিবেদিত, অথচ সেই ছেলেকে নিয়ে ফজলুল বারী জগাখিচুড়ি গল্প সাজালেন কাদের স্বার্থে? কার ফাইল কখন আটকেছিল, কে কোন অবৈধ কাজ চেয়েছিল-সবইতো আছে হাতে। যেখানে বৃদ্ধ বয়সে নাতি নাতনি নিয়ে একসাথে একই ছাদের নীচে থাকছেন নানা নানী-ফজলুল বারীদের কাছে সেই সব কিছুইতো আর সহ্য হয়না, কারণ সেসবে তারা অভ্যস্থ নন।
লন্ডন, ২৫ জুন ২০২০।