সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ। নানা ইস্যুতে ব্রিটেন ও চায়নার মধ্যে মতবিরোধ শুরু হয়েছে। একেতো ফাইভ জি ইস্যুতে ব্রিটেন নানাভাবে সরগরম। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ সরকার নান দিক থেকে ফাইভ জী ইস্যুতে বিরোধী, লিবারেল ও মানবাধিকাতবাদীরা প্রশ্নবানে জর্জরিত করছেন। ফাইভ জি সিকিউরিটি ইস্যু ছাড়াও করোনা ভাইরাসের প্রথম ধাক্কায় ফাইভ জী টাওয়ার নিয়ে তথাকথিত ষড়যন্ত্র তত্ব ও গুজব ছড়িয়ে একের পর এক ফাইভ জী টাওয়ারে আগুন- যা ছিলো সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম। এরই মধ্যে হংকং নতুন নিরাপত্তা আইন নিয়ে ব্রিটেন ও চায়নার মধ্যে নতুন করে মতবিরোধ প্রকাশ্যে চলে আসে।
চায়নার নিরাপত্তা আইন পাশের পর ব্রিটেন হংকং এর ৩০ লক্ষ মানুষের জন্য ব্রিটেনের দরজা খুলে দেয়ার ঘোষণা দেয়-যা চীন সহজে সেটা নেয়নি। চীন বলছে ব্রিটেন চীনের অভ্যন্তরীন ব্যাপারে হস্তক্ষেপের সামিল। শুধু তাই নয়, আজ সংবাদ সম্মেলন করে ব্রিটেনের চীনের দূত লি ঝিয়ামিং এরকম অভিযোগের সাথে সাথে এটাও বলেছেন, ব্রিটেন হুয়াওয়ের ফাইভ-জি প্রযুক্তি ব্যবহার না করলেও চীনা ঐ কোম্পানির প্রসার অব্যাহত থাকবে।
হংকংয়ের প্রায় ৩০ লাখ বাসিন্দাকে নাগরিকত্ব দেওয়ার যে প্রস্তাব ব্রিটেন দিয়েছে, তার কড়া সমালোচনা করেন চীনা রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন ব্রিটেনের এই সিদ্ধান্ত চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক গলানোর সামিল।“হংকং নিয়ে ব্রিটেন একের পর এক দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য দিচ্ছে “ বলেও চীনা রাষ্ট্রদূত অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ব্রিটেন হংকংয়ের নাগরিকদের কি প্রস্তাব দিচ্ছে তার বিস্তারিত জানার পর বেইজিং তার করণীয় ঠিক করবে।
চীনা দূতের এমন বক্তব্যের পর ডাউনিং ষ্ট্রীটের মুখপাত্র বলেছেন,১৯৯৭ সালে হংকংয়ের কর্তৃত্ব হস্তান্তরের সময় চীনের সাথে চুক্তি ছিল যে ঐ অঞ্চলের গণতান্ত্রিক কিছু রীতিনীতির ওপর ৫০ বছর চীন কোনো হস্তক্ষেপ করবে না।প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ঐ মুখপাত্র বলেছেন, হংকংয়ের যেসব বাসিন্দার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব (ওভারসিস) রয়েছে তারা ব্রিটেনে চলে আসতে চাইলে চীনের বাধা দেওয়া উচিৎ নয়।