বিশ্ব মানচিত্রে নতুন এক দুর্ভিক্ষ পীড়িত দেশ হয়ে দেখা দিবে লেবানন। লেবাননের আজকের অর্থনৈতির সূচকে ৬০ পার্সেন্ট জনগন বেকার কিংবা স্থায়ীভাবে কর্মহীন হয়ে আছেন, অর্থাৎ দেশের ৬০ পার্সেন্ট জনগন এখনি দরিদ্রসীমার নীচে বাস করছেন। করোনার আগে এই দেশটির মাথাপিছু খরচ বা আয় ছিলো ৩৮৫ পাউন্ড মাসে, যা আজকে এসে দাড়িয়েছে মাসে মাত্র ৮০ পাউন্ড। লেবাননে এখন দিনে রাতে মাত্র দুই ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে, এমনকি ট্র্যাফিক লাইটও সারাক্ষণ বন্ধ রাখতে হয়। সাধারণ জনগনের ঘরে খাবার বলতে কিছুই নাই। মুদ্রা ব্যবস্থার ক্রমেই এতো ইনফ্লেশন হয়েছে যে, সাধারণ রুটিও জনগনের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে লেবাননের একদল কর্মী ৩০০ লোককে প্রতিদিন খাবার দিলেও সরকারি সহায়তা না পেলে সেটাও বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন।
সাধারণ লোক নিত্যপ্রয়োজনীয় ঔষধও কেনার সামর্থ্য নেই।
লেবানন মূলত ক্রিস্টিয়ান মুসলিম শিয়া সূন্নী সমন্বয়ের দেশ। কিছুদিন আগ পর্যন্ত রাফিক হারিরি দেশটিকে শাসন করে অব্যবস্থাপনা ও গৃহযুদ্ধের ভয়াবহতায় দেশটিকে একেবারে শূন্যের কোঠায় ফেলে দিয়েছেন।
বৈরুতের রাফিক হারিরি ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে জরুরী চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং শিশুদের জীবন বাচানো সেবাও ব্যাহত হচ্ছে জরুরী ফান্ডিং এর জন্যে। আন্তর্জাতিক সেবামূলক সংগঠণগুলো জরুরী মানবিক সহায়তা নিয়ে যত দ্রুত এগিয়ে আসবেন-ততোই শিশু বৃদ্ধ ও সাধারণ জনগন জরুরী সেবা ও জিবনধারণের খাদ্য চিকিৎসা ততো দ্রুতই পেতে পারেন। বিশ্ব বিবেক কি সাড়া দিবেন?