কোভিড-১৯, স্মরণে মরণে-

কোভিড-১৯, স্মরণে মরণে-

এমনিতেই দীর্ঘসময় ধরে বলা যায় বছরের উপরে ফেস বুকে ঢু মারা হয়না। কারণ ফেসবুক আমাকে আর আকর্ষণ করেনা। মনে হয় এ এক বিরক্তিকর, একঘেয়েমি, সেকেলে এবং মনন মগজ নষ্ট ভ্রষ্টের উৎস। সে যাই হউক কোভিড নাইন্টিনের টালমাটালে নিজেও যখন খুব অসুস্থ্য, বলা যায় পাঞ্জা লড়া বাচি কি মরি- ত্রাহি অবস্থায় অন্য সবার মতো কাউকে না জানিয়ে বরং চুপিসারে আমার মালিক, যিনি আমার সৃষ্টি কর্তা, যার কাছ থেকে আসা, আবার ফের তার কাছে ফিরে যাওয়া, সেই মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে আকুতি পেশ। কোভিড একটা ভালো কাজ করে দিয়েছে, হক্কানি মুসলমানের ইমান মজবুত করে দিয়েছে। কোরানের সাথে এবং কোরানওয়ালাদের সাথে স্থায়ী সংযোগ স্থাপন মজবুত করে দিয়েছে।

কোভিডের এই ত্রাহি অবস্থায় একে একে প্রিয় মুখ এবং প্রিয় স্বজনের বিদায়- এ যেন অল্প শোকে কাতর, অধিক শোকে পাথর। আমার মামা সৈয়দ শাহ কামাল চৌধুরীর আচমকা বিদায়ে মামার সাথে ঘনিষ্ট স্বজনেরা একে একে স্বল্পকালিন সময়ের মধ্যে চলে যাওয়ায় কষ্টের পাহাড় বুকে চেপে বসছিলো ধীরে ধীরে। তার উপর সবাই আমার আত্মার আত্মীয়।একেতো নিজেও ফাইট করে চলেছি আল্লাহর অপরিসীম রহমত আর দয়ায়। তার উপর একে একে শোকের সাগর বেড়েই চলছে।

*** (সৈয়দ শাহ কামাল চৌধুরী) মামার বিদায়ের পরের দিনই বিদায় নিলেন আমার আত্মীয়, মুরুব্বী, চাচাতো বোনের স্বামী সৈয়দ জামাল মিয়া। এই দুস্বজন শ্রদ্ধেয় আমার তৃতীয় বই মাহে রামাদ্বান-অফুরন্ত ফজিলত বইয়ের প্রকাশক ছিলেন, অন্যদের সাথে। আফসোস এক বছরের অধিক সময়কালীন আগে বই প্রকাশিত হলেও দায়িত্বশীল ব্যক্তির উদাসীনতার ফলে সেই বইটি দুজনের কাউকেই দেখানোর সুযোগ হয়নি।

 

*** এই কষ্ট ভুলতে না ভুলতেই ওয়াটসঅ্যাপের বদৌলতে খবর এলো আমার মুরুব্বী, ভাই ( এর বাইরেও ফুফাতো বোনের স্বামী), আমার আব্বার ভাগনা আলহাজ্ব সৈয়দ আতাউর রহমান বিদায় নিলেন মওলার সাথে মিলিত হওয়ার জন্য। আমি তখন আইএফআইসি ব্যাংকে। আলহাজ্ব সৈয়দ আতাউর রহমান ব্যাংকে হাজির। সবার সম্মুখে আমাকে বললেন একটা কথা এবং ওয়াদা নিতে এসেছি-কখনো নামায ছাড়তে পারবেনা।আলহাজ্জ্ব আতাউর রহমানকে যারা চিনেন জানেন, না করার মতো দুঃসাহস ছিলোনা। বুঝলাম মামার সাথে পরামর্শ করেই হচ্ছে। খুশী মনে তাই চলে গেলেন। আলহাজ্ব সৈয়দ আতাউর রহমান শেষবার যখন লন্ডনে এসেছিলেন, তখন আমার বাসায় এসেছিলেন আমাকে ও আম্মাকে দেখতে। আমার মাথায় স্নেহ করে জানতে চাইলেন, বায়তুল মোকাররমের (তখনকার) খতীব ওবায়দুল হক সাহেব, আল্লামা হাফেজ নূরুল ইসলাম, আল্লামা শায়েখ খলীলুর রহমান বর্ণভী, আল্লামা হাফেজ আকবর আলী,আল্লামা হাবিবুর রহমান  সাহেব আমাকে এতো বেশী স্নেহ ও সম্মান করেন-এর মোজেজা কী? আমি চুপ থাকলাম আর নিজের সৌভাগ্যতার কথা ভেবে বিমোহিত হচ্ছিলাম। আমাকে বললেন, আমি যদি খুশী মনে রাজী থাকি তাহলে ভাগনাকে (উনার ছেলে) সাথে নিয়ে আমাদের জন্য ব্যবসা করে দিয়ে যাবেন, যাতে দুজন একসাথে চলাফেরা করতে পারি। আম্মার অবস্থার কথা উনাকে সবিনয়ে জানিয়ে অপারগতা প্রকাশ করলে উনি বললেন তাহলে আমিও ভাগনাকে নিয়ে দেশে চলে যাব।

***এই যখন অবস্থা, ঠিক তখনই খবর এলো আমার চাচাতো ভাই সৈয়দ মতাহির আলীও মওলার সাথে সাক্ষাতের জন্য আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। আলহাজ্ব সৈয়দ আতাউর রহমান, উনার ভাই সৈয়দ আবদুল হান্নান (সাবেক চেয়ারম্যান),  আল্লামা ইসমাইল খান সাহেব,মাওলানা আহমদ আলী, অন্ধ হুজুর, আলহাজ্ব সৈয়দ আবদুর রহমান, সৈয়দ শাহ কামাল, সৈয়দ দেলোয়ার হোসেন, সৈয়দ তাজুল ইসলাম, সৈয়দ সাবির মিয়া সহ আত্মীয়স্বজন মিলে আমার আব্বাকে যত্নের সাথে আল্লামা হাবিবুর রহমানের মাদ্রাসা গোসল করিয়ে কাফন পড়িয়ে প্রিয় সৈয়দ পুরের দরগাহ হযরত সামছুদ্দিন (রঃ) রওজার পাশে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করেছেন। যে কারণে আমার কলিজার সবটুকু দরদ দিয়ে আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞতার সাথে সব সময় আশীর্বাদের আরও কাঙ্গাল হয়ে ছিলাম।

 

*** এরই মধ্যে খবর এলো ব্রাসেল থেকে সিলেটের আরো এক পরিচিত মুখ, (আমি তখন বেতার বাংলা ও চ্যানেল আই দুটোর জন্য কাজ করি)যার বাসায় এক রমজানের রাতে সেহরী ও ফজরের নামায জামায়াতের সাথে পড়েছিলাম, আমাকে সাহরী খাওয়ানোর জন্য যিনি সারারাত স্ত্রী সহ অপেক্ষার প্রহর গুণছিলেন, কিন্তু ইউরোপীয় পার্লামেন্টে নিউজ কাভার করতে গিয়ে দেরি হওয়াতে এবং ফেরার পথে ইফতার করে লুক্সেমবার্গে কাজ শেষ করে ফিরতে দেরী হয়ে যাওয়াতে উনি অপেক্ষার পর অপেক্ষা করে ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছিলেন। আমি যখন ব্রাসেলসে উনার বাসায় ফিরলাম, তখন সেহরী শেষ হওয়ার মাত্র ২৫ মিনিট হাতে বাকী। এমতাবস্থায় আমাদের ফেরার আর সম্ভাবনা না দেখে উনারা আশাহত হয়ে ছিলেন, এমনি সময়ে আমরা উপস্থিত হলাম-বাবু ভাই, সাথে বন্ধু রেজা সহ। তাড়াহুরো করে আমি ও রেজা সেহরী করছিলাম আর প্রিয় বন্ধু প্রিয় ভাই শাহজা সাজা তখন ব্যস্ত ছিলেন আমার জন্য নামাজের ব্যবস্থা করতে জামায়াত সহকারে।আমরা আযান দিয়ে জামায়াতে নামায পড়লাম। সাজা এতো খুশী হলেন-মানুষ যে আতিথেয়তা করে এতো খুশী হয়-এতো কষ্টের পরেও, এই প্রথম দেখলাম। সাজা অনেক অনুরোধ করলেন রেস্ট নিয়ে যেতে কিনতু সকালেই আমাদের লন্ডনে ফেরার পালা। তাই বাধ্য হয়েই অনুরোধ রাখতে পারলামনা। সাজা আমাকে খুব পছন্দ করতেন শহীদ সৈয়দ শাহজামাল চৌধুরীর ভাগনা হিসেবে।আর মুহিত ভাই যখন অর্থমন্ত্রী হলেন, তখন উনার লোকদের বলতেন, মন্ত্রীর ভাই উনাকে নিউজ দেও, খুব ভালো লোক, ভালো কাজ করেন।কোভিডে শাহজা সাজাকে মৃত্যুর কোলে নিয়ে গেছে অকালে। অসুস্থ্য থেকে সাজার মৃত্যুর খবর শুনে বার বার মনে পড়ছিলো একসাথে সেহরী আর জামায়াতে ফজরের নামাজের সেই দৃশ্য।

 

*** এই চার প্রিয় স্বজনের স্মৃতি ভুলতে না ভুলতেই খবর আচমকা বজ্রের মতো-আমার আরও এক চাচাতো ভাই, যার সাথে আমার ক্যামিস্ট্রির বিশাল এক মিল ছিলো, যিনি তার লাল চাচাকে (আমার আব্বাকে) অসম্ভব শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসতেন, যার সাথে এক সময় সমাজ বদলের রাজনীতির জন্য রাতের অন্ধকারে মশাল হাতে বিপ্লবের বাণী আওড়াতাম-সেই স্বজন সৈয়দ সাব্বির আহমেদ (ফুটবলার সাব্বির আলী)ও মৃত্যুর কোলে ঢলে পরেছেন। সৈয়দ সাব্বির মিয়া আমার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। এক সময় আমার আব্বার অফুরন্ত প্রাচুর্যের সুবাধে বংশের সবার একমাত্র আশা ভরসা ও মিলিত হওয়ার একমাত্র স্থান ছিলো আমার আব্বার বাংলা ঘর। সাব্বির আলী, মফজ্জুল, সফজ্জুল, বদরুল, জিলানী, সৈয়দ মন্তেশ্বর, সৈয়দ মোফচ্ছিল, তাজুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সেবুল, কাবুল সহ ৮৫ জন তরুণ বংশের ধারাবাহিকতায় আব্বার পাশে দাড়ানোর বাস্তব চিত্র ছোট্র হ্নদয়ে আজও দাগ কাটে, যা আজকের যুগে অনেকেরই অজানা। সাব্বির আলী উনার লাল চাচার স্নেহ ভালোবাসা কখনো ভুলেননি, যেমন ভুলেননি বদরুলও। দীর্ঘ প্রবাস জীবনে থেকে মাঝে মধ্যেই সে সব শুনাতেন। যদিও কালের আবর্তে ও সময়ের ব্যবধানে সে সব এখন কেবল গল্পই।

 

*** এরই মধ্যে ঢাকা থেকে খবর এলো আমার বন্ধু মামুনের আব্বাও ইন্তেকাল করেছেন। মামুন আমার প্রিয় বন্ধুদের একজন। মাসুদ মামুন আর আমি একে অপরের খুব ঘনিষ্ট। পারিবারিকভাবেই আমরা একে অপরের ঘনিষ্ট ।ঢাকার দুঃসময়ে যখন খালু বাইরের কাউকে ভেতর বাড়িতে ঢুকতে দিতেননা, তখনও আমার জন্য ভেতর বাড়ি এবং অন্ধর মহল ছিলো অবারিত ও উম্মুক্ত। মামুনের বন্ধু হিসেবে আমাকে খুব স্নেহ করতেন।

*** আরো আগে কোভিডে প্রাণ কেড়ে নেয় বার্মিংহাম নিবাসী আমার চাচাত বোনের স্বামী সৈয়দ আব্দুল মুনিম দুলাভাই। ( উনি আমার মামাতো বোন সৈয়দা শাহানারা চৌধুরীর স্বামী মরহুম সৈয়দ আব্দুল মালিক, মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক জিএম বাংলাদেশ ব্যাংক, সৈয়দ আব্দুল মালিক দুলাভাইয়ের ছোট ভাই )। সৈয়দ আব্দুল মুনিম দুলাভাই যখনই নর্থে আসতেন অথবা দেশে থাকাকালিন আমাকে বা আমাদের না দেখে যেতেননা। আসলে রাজ্যের গল্প জমা করে নিয়ে আসতেন। উনাদের দুই ভাই ই আমাকে খুব স্নেহ করতেন। একইভাবে আমার আব্বার প্রতি ছিল অসম্ভব দরদ ও শ্রদ্ধা। জ্যোস্না বুবুর বপদপূলতে আমার আব্বা হয়ে উঠলে উনার প্রিয় লাল চাচাজী।শেষবার আম্মাকে দেখার জন্য যখন এসেছিলেন, সঙ্গে ছিলে সৈয়দ জামাল মিয়া দুলাভাই ও সৈয়দ তাজুল ইসলাম এবং সৈয়দ সাব্বির মিয়া ভাই। সেসময় উনাকে খুব নরম মনে হয়েছিলো। দীর্ঘক্ষন ছিলেন, অনেক গল্প করলেন। দেশের কথা বললেন। আব্বার স্মৃতি আওড়ালেন।

*** আসলে কার মৃত্যুর কথা ছেড়ে কোন মৃত্যুর কথা লেখি। একটা মৃত্যু বা শোক শেষ হতে না হতেই আরেকটা খবর চলে আসে। সৈয়দ সাব্বির মিয়ার মৃত্যুর খবর সইতে না সইতেই চলে আসে আরো এক শোকের খবর। আমাকে দেখলেই যিনি এই বলে দোয়া করতেন, আমার সমস্ত ওমর, আমার ৫ ভাইদের সব ওমর একত্রিত করে আল্লাহপাক যেন তোকে সেই হায়াত দান করেন। এতো লম্বা হায়াত, আমি কেন বললেই একটাই জবাব দিতেন- স্মিত হেসে ইংরেজিতে বলতেন, বিকজ আই এম রিয়েলি প্রাউড অব ইউ। এক সময় বিলেতের বার্মিংহামে দাপটের সাথে থাকতেন, মৃত্যুকালে যিনি নিজ বাসভবনে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন, সেই সদাহাস্যোজ্জ্বল আমার আব্বার আরো এক ভাগিনা সৈয়দ আবদুর রহমানও মাওলার সাথে সাক্ষাতের জন্য চলে গেলেন। মনে হলো আমার পৃথিবী যেন একেক করে ছোট হয়ে আসছে।

 

*** সৈয়দ আবদুর রহমানের মৃত্যুর শোক একদিনও ভুলতে পারিনি, এমনি অবস্থায় খবর এলো আমার দুলাভাই, প্রিয় নাজু আপার স্বামী খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ, অধ্যাপক, উত্তরবঙ্গের বিখ্যাত বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য ডঃ আফতুল হাই শিবলী দুলাভাইয়েরও কোভিডের প্রকোপে মাওলার সাথে মিলিত হওয়ার জন্য মৃত্যুর কোলে ঢলে পরেছেন। ডঃ সাইদুর রহমান যখন লন্ডনে হাই কমিশনার হয়ে আসেন, আমি তখন নর্থ ইষ্টে থাকি। আচমকা হাই কমিশন থেকে ফোন চায়ের নেমন্তন।অপারগতা জানালে নাছোড়বান্দার মতো ফের দাওয়াত। যেতেই হলো। আমি একটু অবাকই হচ্ছিলাম। ডঃ সাইদুর রহমানকে আমি খুব একটা চিনিনা। কিন্তু উনাকে আমার ব্যাপারে রেফার করেছেন আমার দুলাভাই ডঃ শিবলী। সেজন্য প্রথম দেখাতে বললেন আমি উনার পরিবারের লোক। চা পর্ব শেষ করেই আচমকা হাই কমিশন ডেস্ক থেকে কাজের লোভনীয় এক অফার ডঃ সাইদুর রহমান দিয়ে বললেন, আপনি পারবেন সেজন্যই বলছি। আপনি না নিলে ঢাকা থেকে সেটা ফিল হয়ে আসবে। পিএম এবং ডঃ শিবলী দুজনেই আমাকে খুব স্নেহ করেন, এই অফার আমি গ্রহণ করলে পিএম অফিস থেকেও নোঅবজেকশন হবে ইনশাআল্লাহ। বুঝতে আর বাকী থাকলোনা, দুলাভাই ডঃ শিবলী আমার জন্য চমৎকার এক ব্যবস্থাই করে দিয়েছেন। কিন্তু আমি তখন আমার আম্মাকে নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত। সিরিয়াস ডিমেনশিয়া রোগী-২৪ ঘন্টাই উনাকে সাথে সময় দিতে হয়। নাহলে মারাত্মক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে যায়। আমি সব সময় যা চাইছিলাম, দুলাভাই ডঃ শিবলী উনার কলিগ ডঃ সাইদুর রহমানকে দিয়ে সেই অসাধারণ কাজটি করে দিয়েছেন-না চাইতে পাওয়া কিন্তু পরিস্থিতি তখন আমার অনুকুলে ছিলোনা। একদিকে মায়ের প্রতি কর্তব্য অপরদিকে ক্যারিয়ার।আমি মায়ের সেবাকেই বেছে নিলাম অবলীলায়। সর্বশেষ যখন সাক্ষাত হয়েছিলো, চিরতরুণ এই ইতিহাসবিদ ম্যাজিকের মতো ঝটপট করে আমার সিলেট যাওয়ার বিমান ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন-যা আজও আমার কাছে জাদুর মতো এক ক্যারিশম্যাটিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী এই মানবীয় গুণের শিক্ষাবিদের এভাবে চলে যাওয়াটা এক অভাবনীয় ক্ষতি।

 

*** আমাকে যারা অন্তর থেকে স্নেহ করতেন, ভালোবাসতেন, যারা আমার কল্যাণ কামনা করতেন কায়মনোবাক্যে, আশীর্বাদ করতেন অন্তর থেকে-তাদের প্রত্যেকেই একে একে আচমকা দ্রুততার সাথে চলে গেলেন। জানিনা এর পরে কে? কার খবর চলে আসে? কে বাচি কে মরি-সবই আল্লাহপাক জানেন। তবে যে যেখানে থাকুন, ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন এটাই চাই। আর মৃতদের জন্য আল্লাহর দরবারে মাগফেরাতের দোয়া অগণিতভাবে কায়মনোবাক্যে চাই।

 

সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ

লন্ডন, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০।