সিটিজেনশিপ কেড়ে নেয়া বেআইনি, আইনি চ্যালেঞ্জে হোম অফিসের পরাজয়

সিটিজেনশিপ কেড়ে নেয়া বেআইনি, আইনি চ্যালেঞ্জে হোম অফিসের পরাজয়

সম্প্রতি দেশে বিদেশে বিশেষ করে ব্রিটেনে আলোড়ন ও ইমিগ্রেশন কমিউনিটিতে উদবিগ্ন সৃষ্ঠিকারি ব্রিটিশ হোম অফিসের নতুন সংযোজিত ধারা বিনা নোটিশে যে কারও নাগরিকত্ব বা সিটিজেনশিপ কেড়ে নেয়ার অধিকার, এই সংক্রান্ত বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত আইনের এই ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা হাইকোর্টে আপিলে হোম অফিস হেরে গেছে। আদালত বলেছেন হোম অফিসের এই আইন  নাগরিকদের ন্যাশনালিটির ক্ষেত্রে বেআইনি আইন বিরোধী ( আন ল ফুল)।

এই আইনের বলে হোম অফিস বিনা নোটিশে সিটিজেনশিপ কেড়ে নেয়া ডি-ফোর নামের নাগরিকের আইনি চ্যালেঞ্জের আপিলে বুধবার  লেডি বিচারপতি হুইপ্পল তার রায়ে বলেন, হোম অফিসের কাছে সিটিজেনশিপ কেড়ে নেয়ার ক্ষেত্রে বিনা নোটিশে ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য হয়ত খুব ভালো কারণ রয়েছে,  কিন্তু প্রচলিত আইনে  এরকম কোন পদক্ষেপ আইন বিরোধী তথা বেআইনি।

লেডি জাস্টিস হুইপল তার রায়ে আরো উল্লেখ করেছেন, এরকম কোন পদক্ষেপ হোম অফিসকে নিতে হলে ন্যাশনালিটি বর্ডার এন্ড সিকিউরিটি সংক্রান্ত আইনকে সংশোধনীর বা পরিবর্তনের জন্য প্রথমে পার্লামেন্টে উত্থাপন করতে হবে। এটাই বর্তমানে প্রচলিত ন্যাশনালিটি ও বর্ডার বিলের আইন যা কেবল পার্লামেন্টই সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার।

উল্লেখ্য ডি-ফোর নামের এই আপিলকারি সিরিয়ার আইসিস বর্ডারে রিফিউজি সেন্টারে, যেখানে শামীমা বেগমও রয়েছেন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে ডি-ফোরের সিটিজেনশিপ হোম অফিস কেড়ে নেয় এবং ২০২০ সালের অক্টোবরে ডি-ফোর এ ব্যাপারে অবহিত হন যখন তার আইনজীবী হোম অফিসকে জানান তার রিপাট্রিয়েটের আবেদন করেন, যা তখন প্রত্যাখ্যান করা হয় যেহেতু নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া হয়েছিলো।

প্রচলিত ন্যাশনালিটি বর্ডার বিলে হোম অফিসের কাছে নিরাপত্তা বা অন্য যেকোন ইস্যুতে প্রতীয়মান হলে কারও সিটিজেনশিপ কেড়ে নিতে হলে লিখিত নোটিশ দেয়ার বিধান রয়েছে ও আপিলের ব্যবস্থাও রয়েছে।

কিন্তু নতুন আইনে বিনা নোটিশে সিটিজেনশিপ কেড়ে নেয়ার বিধান যা সারা বিশ্বে বিতর্কের ঝড় তুলেছে, আজ সেটা আদালতে বেআইনি  বলে ঘোষিত হল।

সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ, দ্য লন্ডন টাইমস,

চ্যানেল এইট, লন্ডন। ২৭ জানুয়ারি ২০২২ ।