বেশ কিছুদিন দিকে লক্ষ্যণীয়ভাবে পত্র-পত্রিকা আর মিডিয়ায় শিরোনাম আর হেডলাইন হয়ে আছে এশিয়ান হিউম্যান রাইটস, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক না পাঠানো, মৃত্যুদন্ডাদেশ নিয়ে এমনেষ্টি, ইইউ, এশিয়ান হিউম্যান রাইটসের ফলাও করে বাংলাদেশের সমালোচনা আলোচনা।
গোগল, ওয়েব সাইটস, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আর্কাইভস, এশিয়ান হিউম্যান রাইটস, বিশ্ব মিডিয়া, জাতি সংঘ মিডিয়া সেন্টার, আমেরিকার এনডিআই এবং কার্টার সেন্টার, জাতি সংঘ স্পাউস কমিটির নেত্রী সেলিনা মোমেনের আর্টিক্যালস ইত্যাদি ঘাটাঘাটি করে যে তথ্য এবং নিরেট তথ্য পাওয়া গেলো, তা রীতি মতো ভয়াবহ ও অবাক করার মতো।
প্রথমত: আমেরিকার ১০০টি সিনেট সিটের অধিকাংশই যিনি ইনকামবেন্ট তিনি তাতে জয়লাভ করেন। এর ফলে ঐ সব সিনেট সিটে ঐ সব সিনেটরদের মৃত্যু না হলে বা স্বেচ্ছায় তিনি তার সিট থেকে সরে না গেলে নতুন কোন মুখ সেখানে নির্বাচিত হয়ে আসার কোন সম্ভাবনা নেই। আধুনিক গণতন্ত্রের ও মানবাধিকারের নেতা বিশ্ব মোড়েল আমেরিকার সিনেটের ঐ ১০০ চিরস্থায়ী সিটের ব্যবস্থা বলা যায় অব্যাহত রেখে মার্কিন প্রশাসন যখন বাংলাদেশের নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে প্রেসক্রিপশন দেয়, তখন ভাবতে অবাক লাগে। যেহেতু হাসিনার সরকার মার্কিন সিনেটের ঐ ১০০ সিটের বিপরীতে সুযোগের সদ্ব্যবহার করে মার্কিন গণতন্ত্রের পথের দিকে চালিত হচ্ছে- তাতেতো মার্কিনীদের বিরাগ ভাজন হওয়ার কথা নয়। কারণ খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই ব্যবস্থা যুগ যুগ ধরে চালু রেখেছে। বাংলাদেশ সেই পথে গেলে মজীনা আর মার্কিনীদের বাধা কেন আসবে?
আসলে কি বাধা সে জন্যে নাকি মূলত মার্কিন বানিজ্য স্বার্থের জন্য সুবিধা আদায়ের কৌশল হিসেবে চাপ প্রয়োগ করে নির্বাচনের আগে সুযোগ আদায় করার কৌশল হিসেবে দেন দরবার। কখনো বিএনপির পক্ষে ওকালতি, কখনো ভারতীয়দের সাথে একই পেইজে নয়-এমন ঘোষণা, আবার দেবযানী আটক ও হেনস্থা করে বিশ্ব কূটনীতিতে নাটকীয় অবস্থান ? কেননা টিকফা চুক্তি সই হওয়ার পরে মজীনা এখন বলছেন, অংশগ্রহণ নয়, সকলের গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আর আজকে এসে বলছেন বিরোধীদের জন্য সুবিধা উন্মুক্ত রাখতে হবে।
ইউনূসকে যদি হাসিনা পুনর্বাসন করে দেন, তাহলে মার্কিনীরা অবশ্যই পদ্মায় বিশ্বব্যাংক যে ফিরে আসবে, এবং ১৫৪ কেন আর কোনভাবে নির্বাচন করে হাসিনা সরকার গঠন করলেও কোন আপত্তি থাকবেনা। এটা এখন দিবালোকের মতো পরিষ্কার।
মুহিত সত্যিই বার বার জোর দিয়ে বলেছিলেন, এসব বোগাস।অল রাবিশ। আমরা তখন মুহিতকে বৃদ্ধ বয়সের পাগলামি বলে গালি মন্দ করেছি। অথচ মার্কিনীরা এখনি সুর পাল্টাতে শুরু করেছে। কারণ স্বার্থ হাসিল হয়ে যাচ্ছে।
দ্বিতীয়ত: ইরাক ইন্টারভেনশন করে মার্কিনীরা ও ন্যাটো বাহিনী নৃশংসভাবে সাদ্দামকে কব্জা করে, পুরো পরিবার সহ নাটকীয় বিচারের মাধ্যমে সাদ্দামকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করলো তথাকথিত ইরাকী সরকারের আদালত, এর পর আফগানিস্তান ইন্টারভেনশন করলো, থোরাবোরাতে বি-৫২ বোমারু বিমান থেকে বোমা ফেলে ভয়াবহ অবস্থা করলো, হাজারো নিরীহ লোক হত্যা করলো, লাদেনকে পেলোনা। এর পরে অনেক নাটকীয় অবস্থার পরে লাদেন কে পেলো, ক্যাপচার করলো, লাদেনকে হত্যা করে সমুদ্রে ভাসিয়ে দিলো, তারা নিজেরাই বললো, ভিডিওতে লাইভ দেখালো ওবামা আমেরিকায় বসে সূইচ টিপে সম্মতি দিলো।তারপর ন্যাটো ও যৌথ বাহিনী লিবিয়া আক্রমণ করলো, গাদ্দাফীকে পরিবার সহ নৃশংসভাবে রাস্তায় ওপেন গুলি করে হত্যা করলো, মিডিয়ায় তারাই প্রকাশ করলো। আজকে সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্র ব্যবহার করে হাজার হাজার নিরীহ শিশুকে হত্যা করে চলেছে আসাদ সরকার, লাখো লোক মানবেতর জীবন যাপন করছে শেল্টারে। জাতি সংঘ ওয়েবসাইট, এমনেষ্টি, মার্কিনীদের মানবাধিকার, ব্রিটেন কিংবা ইউরোপীয় ইউনিয়ন, এশিয়ান হিউম্যান রাইটস ঘাটাঘাটি করেও এনিয়ে উচ্চবাচ্য চোখে পড়লোনা। তখন কি ঐভাবে হত্যা জায়েজ ছিলো?
খ) বিশ্বের বড় বড় মিডিয়া আর জাতি সংঘ আর্কাইভস আর সেলিনা মোমেনের দেয়া তথ্য মতে জানা গেলো, ২০১২ সালে গণচীনে ১০০০ এর বেশী, ইরানে ৩১৪ জন, ইরাকে ১২৯ জনের অধিক, সৌদি আরবে ৭৯ জন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৪৩ জন, ইয়েমেনে ২৮ জন, আফগানিস্তানে ১৪ জন এবং জাপানে ৭ জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। তখন সেই সব মৃত্যুদন্ডাদেশ নিয়ে বিশ্বের কোন প্রান্ত থেকেই কোন মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাফাই বিবৃতি দেয়া হয়নি। তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী, এশিয়ান হিউম্যান রাইটস এর বিবৃতিও নেই। বিবৃতি আর জোরাজুরি শুধু বাংলাদেশ কেন কাদের মোল্লাকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে শাস্তি দেবে?
তৃতীয়ত: পাশের দেশ মালয়েশিয়া, ভারত, সিঙ্গাপুর প্রভৃতি দেশে নির্বাচন হয়। সেই সব সরকার কখনো কস্মিনকালেও বিদেশী কোন পর্যবেক্ষক, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোন পর্যবেক্ষকের কোন কথা শুনেছে এমন দৃষ্টান্ত একদিনের জন্যে হলেও কোন বিশ্ব মিডিয়া দেখাতে পারবেনা। মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ভারত কখনো ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষক, মার্কিনীদের পর্যবেক্ষক, জাতি সংঘের পর্যবেক্ষকের ধার ধারেনা। কেউ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চাইলে পাঠাতে পারেন নিজ খরচে, দেশটির নির্বাচন কমিশন বরং তাতে সহযোগিতা করে। কিন্তু তাদের কোন মতামতের তেমন কোন গুরুতে সেই সব দেশে বহন করেনা। আর দক্ষিণ এশিয়ার স্টাডিজ যারা করেন তারা জানেন মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরে সব সময় সরকারি দল জয়ী হয় এবং হাজারো দুষের পরেও তারা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
জাতি সংঘ মিডিয়া সেন্টারের বরাতে জানা গেলো পরিবর্তিত বিশ্ব আর্থিক মন্দা হেতু জাতি সংঘ বা আমেরিকা এখন আর কোন পর্যবেক্ষক দল পাঠায়না তাদের খরচে। কেউ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে চাইলে নিজ খরচে যেতে পারেন। তবে নিকট অতীতে এই খরচ এনডিআই, কার্টার সেন্টার সহায়তা করলেও এখন আর করার মতো তেমন আর্থিক অবস্থা তাদের নেই।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন শুধু এব্যাপারে সোচ্চার। তারা এখনো কাজের কাজ একটা পেয়েছে, নিজ খরচে পর্যবেক্ষক পাঠায়।তারা এখনো তাদেরকে বড় লাট মনে করে। আমরাও এখনো তাই ভাবি নিজেদের অজান্তে ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ইটালি, ইসরাইল, এমনকি মালয়েশিয়া, ভারত কখনো ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা জাতি সংঘ পর্যবেক্ষক দল কি বললো না বললো, কখনো নির্বাচনকালিন তাদের মূল্যায়ন শুনেছে বলে একটি রেকর্ড খোদ ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্কাইভসে নেই।
কেননা, নির্বাচন পর্যবেক্ষকদলের মতামত দেয়া ছাড়া আর কোন কাজ নেই। এতে কেউ শুনছে কি না শুনছে তাদের কিছুই করনীয় নেই।
সেজন্য এইসব দেশ এবং বাংলাদেশ কখনো নিজ খরচে পর্যবেক্ষক অতীতেও আনেনি, এখনো আনছেনা।
চতুর্থত: জাতি সংঘ আর্কাইভস এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন সূত্রেই জানা গেলো, বিশ্ব বাজার ও আজকের পরিবর্তিত বিশ্ব রাজনীতি, অর্থনীতির সকল সূচক বিশ্লেষণ করে সেলিনা মোমেন বললেন, এখন পর্যন্ত বিশ্বে একটিও রেকর্ড নেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন পর্যবেক্ষক দল, কিংবা মার্কিন বা জাতি সংঘ পর্যবেক্ষক দল নাখোশ সেজন্যে কোন দেশের ব্যবসা বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব বা তাদের প্রভাব খাটিয়ে সাজা দিয়েছে। সেলিনা মোমেন বললেন, চীন এখন সব চাইতে উদীয়মান এক শক্তি। চীনের সাথে মার্কিনীদের ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজনৈতিক বৈরিতা সকল সময়ই। তাই বলে কি তাদের ব্যবসা বাণিজ্য ঐ সব দেশ রুখে দিয়েছে ? না কেননা, আজকের যুগে যেখানে সারা বিশ্বে সব চাইতে সস্তায়, প্রতিযোগিতামূলক ভাবে তাদের দ্রব্য বিক্রি করছে, বাজারে ক্রেতাও যে দ্রব্য সস্তায় পাচ্ছে, তাই খরিদ করছে। মার্কিন ও ইইউর সাথে দেন দরবারের কারণেতো চীনের ব্যবসা ঐ সব বাজারে ব্যাপকভাবে করার কথা নয়? অথচ তার উল্টো হচ্ছে।
যারা বলছেন এবং বিশেষ করে টকশোর ঐ এনজিও ওয়ালা, বুদ্ধিজীবী, আর নেতারা তাদের কাছ থেকে বাড়তি আয় হিসেবে এক লাখ থেকে দু লাখ ডলারের অনুদান নিয়ে থাকেন। সুতরাং তাদের বাড়তি আয়ের ঐ অনুদানের হিস্যা দিন রাত অক্ষুণ্ণ রাখতে প্রতিদিন বাংলাদেশের নিরীহ জনগণকে উস্কে দিচ্ছেন। একজনতো রাতে নসিহত করেন, আর দিনে গোপনে কন্যার বয়সীর সাথে প্রেম করে এখন আবার বিয়ের শিরোনাম হয়েছেন। তখন বুঝি মানবিকতা ভূলুণ্ঠিত হয়না?
মিডিয়া কিন্তু উনাদের মতো এতো অনুদান কখনো পাচ্ছেনা অথচ মিডিয়াই তাদের বক্তব্যে সোচ্চার।
পঞ্চমত: ইরাকের মালিকী তার দেশের বৃহৎ বিরোধীদল বাথ পার্টির কাউকেই নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়নি, আফগানিস্তানের কারজাই তালেবানের মতো বৃহৎ বিরোধীদলকেও নির্বাচন করার খুব একটা সুযোগ দেয়নি- তখন মানবাধিকার আর গণতন্ত্রের ধ্বজাধারীরা নীরব। সোচ্চার শুধু বাংলাদেশ নিয়ে।
ষষ্টতঃ আওয়ামীলীগের সরকার রাশিয়া ও চীন থেকে বিশাল সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় মার্কিনী ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভালোভাবে নেয়নি। বাংলাদেশের জনগণকে ও ঐ টকশো ওয়ালাদের নানা অনুদানের মাধ্যমে তাই করে তুলেছে সোচ্চার।কেননা, হাসিনার সরকার মার্কিনীদের কাছে বিমান বাংলাদেশের পাঁচটি এয়ার ক্রাফট ক্রয়ের পুরো ১৮০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধের পরেও মার্কিনীরা তাদের কথা রাখেনি। পাঁচ বছরে মাত্র দুটো এয়ার ক্রাফট সরবরাহ করেছে। অথচ সরকার ইচ্ছে থাকা সত্বেও প্রবাসীদের দেয়া কথা অনুযায়ী লন্ডন-ম্যানচেস্টার-ঢাকা, ঢাকা-নিউইয়র্ক-ঢাকা ফ্লাইট চালু করতে পারছেনা। আবার সরকার যখন দেখলো মার্কিনীদের অস্র সরঞ্জাম অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং সহজেই নষ্ট হয়ে যায়। তাদের রক্ষণাবেক্ষণের স্পেয়ার স্পার্স ক্রয় মূল্যের চাইতে দ্বিগুণ, তাই মার্কিনীদের কাছ থেকে না কিনে সহজ শর্তে রাশিয়া ও চীনের কাছ থেকে ক্রয় ও রাশিয়ার সাথে পারমানবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন চুক্তি করে ফেলে। তখনি তারা সামনে নিয়ে আসে নির্বাচন, পদ্মা সেতু, গার্মেন্টস সমস্যা, জিএসপি, ইউনূস, আমিনুল হত্যা ইত্যাদি। অথচ টিকফা সইয়ের পর এখন আর সেসবতো নয়ই, এখন শুধু ইউনূস ইস্যু আর তাতে পদ্মায় বিশ্ব ব্যাংক ফেরার নিশ্চয়তা।
সপ্তমতঃ আমাদের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে সারা বিশ্ব সোচ্চার হয়ে গেলো। কিন্তু যারা বিদেশে থাকেন, তারাও জানেন, আমেরিকা, ব্রিটেনের আদালত ভবনে যে কেউ ইচ্ছে করলেই বিচার ব্যবস্থা দেখার জন্যে যেতে পারেননা। আমাদের আদালতেতো পৃথিবীর যেই প্রান্ত থেকে যিনি এসেছেন তিনিই স্বচক্ষে অবলোকন করেছেন কার্যক্রম। সম্প্রতি নাফিস এর মামলায় আমেরিকার আদালতের কার্যক্রম দেখার জন্যে বাংলাদেশী কেউ ঢুকতে দেয়া হয়নি-ক্লোজড ডোর আদালতেই হয়েছে মামলা, ব্রিটেনেও একই অবস্থা, কানাডার পদ্মা দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম দেখতে কেউই অনুমতি পাননি।
মজার ব্যাপার হলো গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৮০ জনের মতো বাংলাদেশীকে হত্যা করা হয়েছে, ব্রিটেনেও প্রায় একই অবস্থা। অথচ বাংলাদেশ গরীব বলেই বাংলাদেশ সরকার ঐ সব দেশের সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করতে পারেনি বা জানতে চায়নি এমনকি প্রবাসী যারা বাংলাদেশ সরকার নিয়ে সোচ্চার, এই সব হত্যাকাণ্ড নিয়ে থাকেন নিরুত্তর।
সব জায়গায়ই ঐ একটাই প্রত্যেকেই প্রত্যেকের স্বার্থের বাইরে গিয়ে কাজ করেনা। গণতন্ত্র, মানবাধিকার, স্বচ্ছতা সবই ফাকা বুলি।
অষ্টমত: আশ্চর্যজনক ভাবে খোদ জাতি সংঘের তথ্যের মতে জানা গেলো, সারা বিশ্ব এবং বিশেষ করে বিশ্বের মোড়েল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র , ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন যেখানে গত পাঁচ বছরে আর্থিক মন্দার মধ্যে পড়ে নানান ব্যবস্থা ও ম্যাজিক ইকোনোমির সূত্র ব্যবহার করেও তাদের প্রবৃদ্ধির হার ০.০৫ শতাংশ থেকে ১.৬ শতাংশ পার করতে বিষম হিমশিম খায়, তখন দেখলো বাংলাদেশের মতো একটি গরীব দেশ নানা অব্যবস্থাপনা হেতুও দুই বিশ্ব অর্থনীতির জাঁদরেল দিকপাল আবুল মাল আব্দুল মুহিত আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডঃ আতিউরের দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও নীতির ফলে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে জাতীয় প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশে উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছে-তখন ঐ বিশ্ব মোড়েলদের চোখ ছানা বড় হয়ে উঠে। ফন্দি আটতে থাকে গরীব এদেশেরতো এমন হওয়ার কথানা। এদেরকে শায়েস্তা করা দরকার। নাহলে নতুন মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর হয়ে যাবে, এদেরকে এখুনি রুখতে হবে। নতুবা বিশ্ব তার এক বিরাট বাজার হারাবে।
এবং ফাইনালি: কারণ বাংলাদেশ গরীব এবং উদীয়মান এক সম্ভাবনাময় দেশ। এখানকার বঙ্গোপসাগর কেন্দ্রিক বিশাল খনিজ ও পেট্রোলিয়াম সম্পদ আর ১৬ কোটি বিশাল মানব সম্পদের এই বিশাল বাজার থাকায় ঐ সব বিদেশী গোষ্ঠী নানান পরামর্শ আর নিজেদের স্বার্থের অনুকূলে নানা খেলা খেলে চলে। বাংলাদেশের জনগণ এবং রাজনৈতিক দলসমূহকে ঐ বিদেশীদের শলা পরামর্শ ত্যাগ ও বর্জন করে সামনের দিকে দৃপ্ত পদে এগিয়ে যেতে হবে। নতুবা দিনে দিনে এভাবে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকতে হবে পেছনে।
Salim932@googlemail.com
26th December 2013,London.