ব্রিটেন সহ ইউরোপের ও আমেরিকার ব্যাংক সমূহকে ফাইন করলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন কমিশন

ব্রিটেন সহ ইউরোপের ও আমেরিকার ব্যাংক সমূহকে ফাইন করলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন কমিশন

ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানের ব্যাংক মিলে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ইউরো এবং ইয়েন এর ব্যাংক রেইট চেঞ্জ ও ম্যনিপুলেটিং এর মাধ্যমে বাজারে নিজেদের লাভ ও প্রভাব বিস্তার করে মার্কেট অস্থিতিশীল ও নিজেদের করায়ত্ত করে ফায়দা হাসিল একে অন্যকে লাভবান করার দায়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কমিশন গতকাল এদেরকে ফাইন করেছে ১.৭ বিলিয়ন ইউরো বা ১.৪ বিলিয়ন পাউন্ড।

এই ফাইনের তালিকায় যে সব ব্যাংক রয়েছে, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ডাচ ব্যাংক ৭২৫.৪ মিলিয়ন ইউরো, সোসাইটি জেনারেট ৪৫৫.৯ মিলিয়ন ইউরো, ব্রিটেনের রয়াল ব্যাংক অব স্কটল্যান্ড ৩৯১ মিলিয়ন ইউরো, বার্কলেস ব্যাংক ৬৯০ মিলিয়ন ইউরো, ইউবিএস ২.৫ বিলিয়ন ইউরো।

ইতিমধ্যে জেপি মর্গান ৭৯.৯ মিলিয়ন, সিটি গ্রুপ ৭০ মিলিয়ন এবং আরপি মার্টিন ২৪৫০০০ ইউরো ফাইন করা হয়েছে।

ফাইন করতে গিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমিশনার জোয়াকিন আলমুনিয়া বলেন, ব্যাংক সমূহ নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করার পরিবর্তে একে অন্যের যোগসাজশে ব্যাংক লিবর, ইউরিলিভর ম্যানিপুলেটিং এবং ব্যাংক রেইট চেঞ্জ করে টাকা উঠিয়ে নিয়ে লাভবান হয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী ফাইন্যান্সিয়াল রেগুলেশন অথরিটির নজরদারি এড়ায়নি। এই ব্যাংক সমূহ নিজেদের মধ্যে যোগসাজসে ২০০৫ সাল এবং ২০১০ সালের মধ্যে এই অন্যায় ব্যবসা করে।

কমিশনার আরো বলেন, হেলথি প্রতিযোগিতা ব্যাংক সমূহের মধ্যে থাকবে, যার ফলে মার্কেট আরো উন্নত ও আদর্শ হবে, অসাধু প্রতিযোগিতায় কতিপয়ের সুবিধা ভোগে মার্কেট অস্থিতিশীল আকার ধারণ করে, যার ফলে বাজার সঠিকভাবে কার্যকর হয়না।

জানা যায়, জেপি মর্গান, এইচএসবিসি, ক্রেডিট এগ্রিকোল এর ফাইন এখনো সেটল্ড হয়নি কারণ তারা ইতিমধ্যে তাদের ফাইনের বিরুদ্ধে ফাইট শুরু করে যাচ্ছে।

আরবিএস চেয়ারম্যান এই রঘু ব্যবসায়ের ব্যাপারে প্রতিবাদ করেছেন।

জেপি মর্গান এর কেইস সেটেল্ড সাপেক্ষে ইউনিয়ন কর্তৃক এই ফাইন ব্যাংকসমূহ এন্টিট্রাস্ট ক্লেইমের প্রেক্ষিতে কমিশনের কাছে এই ফাইন জমা দিবে বলে সূত্র জানিয়েছে।

পাদটীকা – উন্নত দেশগুলোর জায়ান্ট ব্যাংকগুলোর এই রঘু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের প্রেক্ষিতে আমাদের মতো গরীব দেশের ব্যাংক ম্যানেজার ও লোভী ও অসৎ ব্যবসায়ীরা কোন ফাইনন্সিয়াল অথরিটির মনিটরিং ছাড়াই শেয়ার বাজার থেকে নিজেদের যোগসাজশে রেইট উঠা নামা করিয়ে পুঁজি সহ পুরো টাকা লুটে নেয়ার হিসেব যেন বিশ্বব্যাপী ঐ একই দুর্বৃত্তদের সমান তালে দুবৃত্তায়ন আর রঘু ব্যবসায়ের লুট পাটের কাহিনী মনে করিয়ে দেয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকায় শক্তিশালী কমিশন ও ফাইন্সিয়াল অথরিটি থাকলেও আমাদের এখানে এই সব রঘু লুটেরাদের কাছ থেকে ফাইন ও সাজা দেয়ার জন্যে এখনো তেমন কোন কমিশন বা অথরিটি গড়ে উঠেনি। আর এর অভাবই এখানে শেয়ার লুট পাট, ব্যাংক লুট পাট সবই হয় হালাল উপায়ে। আশ্চর্য আজব এক দেশ বাংলাদেশ !

5 December 2013.

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *