চলন্ত বাসের নিরীহ যাত্রী, পথযাত্রী কিংবা স্কুলগামী শিশু আর ট্রেনের নিরীহ যাত্রীদের যারা আগুনে ঝলসে অগ্নিদগ্ধ কিংবা রেলওয়ের পাটাতন উঠিয়ে দিয়ে যারা দুর্ঘটনা ঘটিয়ে শত শত যাত্রীদের আহত ও হত্যা করছে, এই সব পশুদের অত্যাচার, নির্যাতন আর জানোয়ার সুলভ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রুখার কি এই বাংলায় কেউ নেই ? এভাবে নিরীহ বাস, ট্রেনের যাত্রী আর সাধারণ জনগণ ধুকে ধুকে আর কতো মরবে ? এভাবেতো একটি দেশ চলতে পারেনা ?
টেলিভিশনের পর্দায় আগুনে ঝলসে যাওয়া মানুষগুলোর চেহারা যখন দেখি, তখন চোখের পানি আটকানো সম্ভব হয়না। খবরে প্রকাশ দশ হাজার টাকার বিনিময়ে রেলওয়ের স্লিপার আর একহাজার টাকার বিনিময়ে বাসে পেট্রল বোমা নিক্ষেপের এই হিংস্র ভয়ানক খেলা বন্ধ করুন।পাচ হাজার টাকার বিনিময়ে মিছিলে গুলি-এমন নৃশংস খেলা চলতে পারেনা।
আফসোস হয়, এই সব হায়েনা আর পশুদের কি কোন মা, বাবা, ভাই বোন, ছেলে মেয়ে কিছুই নেই ? এরা কি ভিন গ্রহ থেকে এসেছে ?
রাজনীতি আর দলীয় গুন্ডাবাজি আর দলবাজি করে সাধারণ জনগণকে এভাবে পেট্রোল, বোমা, ককটেল আর রেলওয়ের স্লিপার খুলে মৃত্যুর কোলে যারা ঢলে দিতেছে, এর দায়ভার কে নিবে ?
যে রাজনীতি, যে দলনীতি জনগণের কল্যাণের পরিবর্তে দুর্ভোগ ডেকে আনে, ধিক সেই রাজনীতি আর দলনীতিকে। দুই রাজনৈতিক দল আর দুই নেত্রীর সীমাহীন তাচ্ছিল্য, জেদ আর দাম্ভিকতা, অহমিকা আর শক্তিমত্তা প্রদর্শনীর কাছে সাধারণ নিরীহ জনগণ আজ বন্দী। যেন নিজ দেশে পরবাসী। সারা দেশ যেন আজ এক অন্ধ প্রকোষ্ঠ, অন্ধকার এক কারাগার হয়ে আছে।
এমনতো হওয়ার কথা ছিলোনা।
মাননীয় দুই নেত্রী, দুই দলের মান্যবর প্রধানেরা আপনাদের ক্যাডার আর সশস্র গুন্ডাবাহিনীদের থামান। দয়া করে পেট্রল বোমা, ককটেল, আর রেলওয়ে স্লিপার উঠানোর নোংরা খেলা বন্ধ করুন।
অনেক কিছুইতো আপনারা করতে পারেন। এবার জনগণের ও মা-শিশুদের জীবন-জীবিকা রক্ষার জন্যে দয়া করে এবার এই সব থামানোর জন্য আপনাদের জাদুকরী ক্যারিশমার ম্যাসেজ দিন।আপনারা দুই দল মিলে, দুই নেত্রী মিলে দেশ শাসন করুন- যুগের পর যুগ করুন। নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে নিন, কয় বছর কে দেশ চালাবেন- নির্বিচারে মানুষ হত্যা আর দেশের সম্পদ ধ্বংস করার জন্য কিসের নির্বাচন, কিসের আন্দোলন; কোন কিছুরই দরকার নেই। এতে সাধারণ জনগণের কি লাভ ? আর ইসলামের নামধারী যারা আছেন, তারাও জানেন এমন করে আল্লাহকে পাওয়া যাবেনা-তাহলে কেন এতো সব?
তবুও স্কুল গামী শিশু, পথচারী, বাস যাত্রী, ট্রেন যাত্রী নিরীহ জনগণকে রেহাই দিন প্লিজ।
২রা ডিসেম্বর ২০১৩।