*নির্বাচনের পর পুরো ট্রায়াল এবং সিনারীও আন্তর্জাতিক তত্বাবধানে রিভিউ করা হবে——টবি কেডম্যান।
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক ব্রিটিশ বাংলাদেশী জামায়াতে ইসলামীর বদর বাহিনীর নেতা, দাওয়াতুল ইসলাম ইউকে আই আর এর সাবেক সভাপতি, বহুল পরিচিত চ্যারিটি সংগঠন মুসলিম এইডের ট্রাস্টি চৌধুরী মঈনুদ্দিন এর সাজা প্রাপ্ত হওয়ার পর যুক্তরাজ্য সহ সারা বিশ্বের প্রবাসী বাংলাদেশী, বিশ্বের প্রভাবশালী মিডিয়ার শিরোনাম ও নানা প্রশ্নের পর কৌতূহল দেখা দিতে থাকে।
জিবিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডট কম প্রতিদিন ৪০/৫০টিরও অধিক ফোন কল আসতে থাকে, এ ব্যাপারে প্রতিবেদন কিংবা চৌধুরী মঈনুদ্দিনের সর্বশেষ অবস্থার খবর জানার জন্য। সকলের এক বক্তব্য জিবি নিউজ সব সময় নতুন নতুন এবং ফ্রেস নিউজ প্রকাশ করে চলেছে, যেখানে নতুন নতুন তথ্যের সমাহার থাকছে। পাঠকদের চাহিদা আর সর্বশেষ অবস্থা জানতে আমরা যোগাযোগ করি চৌধুরী মঈনুদ্দিন এর সাথে। তার পক্ষ থেকে তার আইনজীবীর সাথে কথা বলার জন্যে জানিয়ে দেয়া হয়। তাই আমরা যোগাযোগ করি তার আইনজীবী, প্রখ্যাত মানবাধিকার ও লিগ্যাল কনসালট্যান্ট, ব্রিটেনের নাইন বেড ফোর্ড রো ইন্টারন্যাশনালের বিখ্যাত এক্সট্রাডাইট বিশেষজ্ঞ টবি কেডম্যান এর সঙ্গে। যোগাযোগ করতেই টবি কেডম্যান আন্তরিকতার সাথে সব শুনলেন এবং প্রস্তাব করলেন প্রশ্ন লিখিত দিলে তার পক্ষে উত্তর বিস্তারিতভাবে সহজ হবে। আমরা সে মতোই টমি কেডম্যানকে লিখিত প্রশ্ন সরবরাহ করি। তিনি দুদিন সময় নিয়ে ৩০ নভেম্বর আমাদের সকল প্রশ্নের বিস্তারিত বর্ণনা দেন। সাক্ষাতকারের ছবি অনুরোধের প্রেক্ষিতে তিনি আমাদের সরবরাহ করেছেন।
ইতিমধ্যে আমরা অবগত হয়ে যাই, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যুক্তরাজ্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ১০ নম্বর ডাউনিং ষ্ট্রীটের সম্মুখে মানব বন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ করে। উদ্দেশ্য চৌধুরী মঈনুদ্দিনকে এক্সট্রাডাইট করার জন্য। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সহ ৭১টি সংগঠন যৌথভাবে চৌধুরী মঈনুদ্দিনের বিভিন্ন অপকর্ম ও যুদ্ধের সময়কালীন ভূমিকা ও হত্যা, ধর্ষণ, নারী অপহরণ, আগুন দেয়া সহ এভিডেন্স সহ ডকুমেন্টসও তারা স্মারকলিপির সাথে সরবরাহ করেছেন বলে আয়োজক ও মানবাধিকার কর্মী আনসার আহমদ উল্লাহ জানিয়েছেন। ৭১টি সংগঠন চাচ্ছে, চৌধুরী মঈনুদ্দিন ব্রিটিশ সিটিজেনশীপ নেয়ার সময় ডিক্লারেশন ওথের সময় ব্রিটিশ সরকার ও সেক্রেটারি অব ষ্টেট এর কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সিটিজেনশীপ নিয়েছিলেন, যা তিনি সিটিজেনশীপ এক্ট ব্রীচ করেছেন বলে তারা ব্রিটিশ সরকারের দৃষ্টি এনে সিটিজেনশীপ যাতে সরকার রিভোক করে সে আইনি দিক বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার ও কিউসি মাধ্যমে তারা লবিং করে যাচ্ছেন বলে সেদিনকার তাদের মানব বন্ধনের নিউজ সূত্রে অবগত হওয়া গেছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যখন এই মামলা আদালতে যুক্তি-তর্ক চলছিলো, তখন ব্রিটেনের কমিউনিটি টিভি চ্যানেল এস ব্যারিস্টার আনিস রহমান জেপি, ব্যারিস্টার এন ইসলাম এবং ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেনের সাক্ষাতকার প্রকাশ করেছিলো। সেই সাক্ষাতকারের ভিত্তিতে এই তিন ব্যারিস্টারের বক্তব্য নিয়ে আমাদের সময় ডট কমে রিপোর্ট করেছিলাম, যে তাদের ধারণা বাংলাদেশ সরকার প্রোপারওয়েতে সাজাপ্রাপ্ত কাউকে চাইলে বিদ্যমান এক্সট্রাডাইট আইনে তাকে দেশে নিয়ে যেতে পাড়বে বলে অভিমত দিয়েছিলেন, যদিও তা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার ও অনেক আইনি বিষয় জড়িত বলে তারা বলেছিলেন।
ঐ একই সময় আমরা হোম অফিসের মুখপাত্রের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি নিশ্চিত করেছিলেন, এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোন রিকুয়েস্ট করা হয়নি। আর করা হলেও এটা সময় সাপেক্ষ ও আইন ও আদালতের বিষয় ও অনেক খুঁটি নাটি অনেক বিষয়ই প্রাসঙ্গিক ভাবে জড়িত। তবে তিনি বলেছিলেন, মৃত্যুদণ্ডের মতো সেনসিটিভ নিশ্চয়তাও এক্ষেত্রে প্রধান ইস্যু।
এতো সব প্রেক্ষিতে আমরা টবি কেড ম্যানের মুখোমুখি হই। এখানে টমি কেডম্যানের সাক্ষাতকারের গুরুত্বপূর্ণ অংশসমূহ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো। এই সাক্ষাতকারের বিস্তারিত অংশ আমাদের ইংরেজি ভার্সনে পাওয়া যাবে।
সেলিম: বাংলাদেশ সরকারের থ্রোতে মিডিয়ায় খবর এসেছে যে তোমার ক্লায়েন্ট চৌধুরী মঈনুদ্দিনকে এক্সট্রাডাইট করে দেশে নিয়ে যাবে, যেহেতু তিনি সাজা প্রাপ্ত। এ ব্যাপারে বাংলাদেশী ব্যারিস্টার ও মানবাধিকার কর্মী আনিস রহমান জেপি, এন ইসলাম দুজনেই চ্যানেল এস ও আমাদের সময়ে বলেছেন, বিদ্যমান আইনে বাংলাদেশ সরকার চাইলে তাকে এক্সট্রাডাইট করা সম্ভব, যদিও হোম অফিসের মুখপাত্র বলেছেন এটা এক লং প্রসেস, যদি রিকুয়েস্ট করা হয়। এ ব্যাপারে যদি ইতিমধ্যে তুমি তোমার ক্লায়েন্টের পক্ষে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকো বা চিন্তা করছ তা সহ তোমার মতামত কি ?
টবি কেডম্যানঃ বাংলাদেশ সরকার এখন পর্যন্ত কোন রিকুয়েস্ট সাবমিট করেনি-এটা আমি নিশ্চিত এখন পর্যন্ত জেনেছি। কোনভাবে এক্সট্রাডিশন প্রসেস শুরু হবেনা যতক্ষণ না পর্যন্ত এ ধরনের রিকুয়েস্ট সাবমিট করা হয় আন্ডার দ্য এক্সট্রাডিশন এক্ট ২০০৩( সংশোধনী) মোতাবেক। বাংলাদেশী অরিজিন দুজন ব্যারিস্টার তাদের অপিনিয়ন ব্যক্ত করেছেন, আমি মনে করিনা সেভাবে সম্ভব হবে। কেননা, প্রথমত- বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের মধ্যে কোন এক্সট্রাডিশন ট্রিটি নেই। যা আছে বিদ্যমান ব্রিটিশ এক্সট্রাডিশন এক্ট ২০১৩। এখানে অনেক ব্যারিয়ারস রয়ে গেছে। কেননা ইউকে কখনো তার সিটিজেনকে হস্তান্তর করবেনা, যেখানে মৃত্যুদণ্ডের মতো বিধানের প্রচুর রিস্ক রয়েছে। এছাড়াও সুবিচারের অনুপস্থিতি, হিউম্যান রাইটস এর লঙ্ঘন, প্রিজন কন্ডিশন্স, ইউরোপিয়ান কনভেনশন এক্ট আর্টিকেল থ্রি সহ আরো অনেক কিছুই এক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ করা হবে। এগুলো চ্যালেঞ্জ করা হবে যখনি এরকমের কোন রিকুয়েস্ট উপস্থাপিত হবে। দ্বিতীয়ত- যদি এধরনের কোন রিকুয়েস্ট বাংলাদেশ সরকার সাবমিট করেও তারপরেও এতে কোন শর্ট-কাট ব্যবস্থা নেই। ইয়ারস না হলেও মাসের পর মাস লাগবে প্রসেসিং করতে। টবি আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকার যদি ব্রিটিশ সরকারের সাথে স্পেশাল ট্রিটি করে ফেলে তারপরেও বিদ্যমান এক্সট্রাডিশন এক্ট ২০১৩ এবং ইউরোপিয়ান কনভেনশন এক্ট অনুযায়ী সেটা বাস্তবায়ন করতে হবে। সে আরো জানিয়েছে, তার ক্লায়েন্ট এর পক্ষে সে সব ধরনের আইনি পদক্ষেপের কথাই চিন্তা ভাবনা করছে এবং সে অনুযায়ীই সে তার কাজ করে চলেছেন।
সেলিম: সম্প্রতি ব্রিটেনের ৭১টি সংগঠন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সামনে মানব বন্ধন শেষে স্মারকলিপি প্রদান করেছে, চৌধুরী মঈনুদ্দিনকে এক্সট্রাডাইট করার জন্য, সেই সাথে একাত্তরে তার অপকর্মের দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে, যেখানে তোমার ক্লায়েন্ট সেক্রেটারি অব স্টেট এর কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সিটিজেনশীপ নিয়েছিলেন, সেজন্য তা রিভোকের জন্য ৭১ সংগঠন লিয়াজো করে যাচ্ছে। তুমি কি ভাবছ ?
টবি কেডম্যানঃ আমি জানি নাম্বার অব অর্গানাইজেশন আমার মক্কেলকে এক্সট্রাডাইট করার জন্য ক্যাম্পেইন করছে। কিন্তু আমার ক্লায়েন্ট একজন ব্রিটিশ সিটিজেন এবং কারেন্ট ল তার রাইটস তাকে প্রটেক্ট করবে বলে আমার বিশ্বাস। অর্গেনাইজেশনগুলো যে ক্যাম্পেইন করছে, এটা বিচারিক প্রসেসের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করবেনা। তাছাড়া ব্রিটিশ সরকার বাংলাদেশের রাজনৈতিক ন্যাচার নিয়ে সচেতন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই যে ট্রায়ালকে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা অবগত।
এই সব অর্গেনাইজেশনের ক্যাম্পেইনের প্রেক্ষিতে আমি এখানে আমার মতামত দেয়ার ক্ষেত্রে গত ২২ জুন ২০১৩ ইন্টারন্যাশনাল ওয়ার ক্রাইমস ট্রাইব্যুনালের ইনভেষ্টিগেটর কো-অর্ডিনেটর মিঃ আব্দুল হান্নান খানের বক্তব্য যা বিডিনিউজে প্রকাশিত হয়েছে, যখন তিনি ইউএস ইনভেস্টিগেশনে গিয়েছিলেন।(বিস্তারিত ইংলিশ জিবিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডট কম এ পাবেন)। যেখানে আব্দুল হান্নান খান আশরাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য অনেক জায়গায় ও প্রতিষ্ঠানে গিয়েছিলেন, যেখানে তিনি বলেছিলেন, ওয়ার ক্রাইমসের তদন্তের জন্য ইউএসের বিভিন্ন জায়গায় গমন করছেন । একই সময় জাতি সংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি ডঃ এ কে এ মোমেনকে আব্দুল হান্নান খান বলেছিলেন, ইউএস থেকে কতিপয় সংস্থা সেইভ দ্য ওয়ারক্রিমিনালসকে বলে মন্তব্য করেছিলেন, যা ফরেন ল এন্ড এনফোর্সম্যান্ট এর ক্ষেত্রে অনভিপ্রেত।(বিস্তারিত ইংলিশ সেকশনে)। দ্বিতীয়ত- ২২ শে আগস্ট ২০১৩ ঘাদানিক ডাউনিং ষ্ট্রীটের সামনে মানব বন্ধন শেষে মেমোরেন্ডাম সাবমিট করেছে ডেভিড ক্যামেরুন বরাবর। আমি বলতে চাচ্ছি, ইতিমধ্যে যে সব অভিযোগ তারা সাবমিট করেছে, সেগুলোই তারা আবার রিপিট করছে নতুন ভাবে।
আমি এখানে মনে করিয়ে দিতে চাই যে, পুলিশের আইজি সানাউল হক ২০১৩ এপ্রিলে সানডে মাইলে বলেছিলেন যতশীগ্র সম্ভব চার্জ প্রদান করা হবে, ততো শীঘ্রই আমরা ব্রিটিশ সরকারকে রিকুয়েস্ট করবো এক্সট্রাডাইট করার জন্য, ইন্টারপোলকে আবেদন জানাবো এরেস্ট করে ফেরত দেয়ার জন্য, আমরা সকল চেষ্টাই অব্যাহত রাখছি, ডিপ্লোম্যাটিক চ্যানেল ব্যবহারের মাধ্যমে, একান্ত ব্যর্থতায় তার অনুপস্থিতিতেই বিচার কার্য চলবে। এখানে লক্ষণীয় যে, টবি বলছেন, ট্রাইব্যুনালের লক্ষই হলো তার অনুপস্থিতিতে বিচার করে ফেলা, লক্ষ্য এক্সট্রাডাইট করা নয়। সে আরো বলছে, এই সরকার শীঘ্রই মেয়াদ শেষ করছে। তখন নতুন সরকারের সময় পুরো ট্রাইব্যুনালের রায় কার্যক্রম আন্তর্জাতিক তত্বাবধানে রিভিউ করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় কাজ করার আবেদ করা হবে। যেহেতু এই বিচার কার্যের স্বচ্ছতা নিয়ে পাহাড় সমান অভিযোগ রয়েছে।
প্রশ্ন এখানে উঠানো উচিৎ বাংলাদেশ সরকার কেন তাকে এক্সট্রাডাইট না করে তার অনুপস্থিতে বিচার কার্য করেছে ?
ডিপ্লোম্যাটিক প্রেসারের যে প্রশ্ন উত্থাপিত হচ্ছে, তাতে অনেক বিষয় জড়িত এবং সেটা আদালতের বিষয়। কেননা জাজ এখানে উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনবেন। ডিফেন্স টিম এখানে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউ এন টিমের তত্বাবধানে নিরপেক্ষ রিপোর্ট ছাড়াও এনজিওস, ইউকে, ইউ, ইউএস পলিসি মেকার ও অথরিটি ক্রিটিক্যাল রিপোর্ট উপস্থাপনে সক্ষমতায় যদিও ইনসাফিসিয়েন্ট, তথাপি এটা সম্পূর্ণ কোর্টের এখতিয়ার ভুক্ত। সুতরাং যেভাবে প্রচার করা হচ্ছে, সেভাবে সহজ মনে হয়না, যেহেতু অনেকগুলো ফ্যাক্টরস এখানে জড়িত।
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী থাকাকালে ডাঃ দীপু মনি ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে সানডে মেইলে বলেছিলেন, এক্সট্রাডিশন খুবই জটিল বিষয়, বিকজ অব ডেথ প্যানাল্টি। তবে প্রত্যেকটা দেশেরই নিজের অধিকার রয়েছে গণহত্যা ও মানবাধিকারের অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিচারে সোপর্দ করা। টমি বলেন, এখানেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক আইন এখানে দেখবে টর্চার, ন্যায় বিচার প্রাপ্তির নিশ্চয়তা, সামারি অব এক্সিকিউশন ইত্যাদি, যা বাংলাদেশের ট্রায়ালের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইতিমধ্যে প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। ইউরোপিয়ান কনভেনশন এক্টের আর্টিকেল থ্রি এখানে মুখ্য বিষয় হয়ে আসবে, যা বাংলাদেশে সচরাচর দেখা যায়।
টবি বলেছেন, তাদের কাছে তথ্য রয়েছে, অধিকার ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সাথে সরকারের আচরণ, যাতে তাদের তথ্য যাচাই ও কাজের জন্য সরকার নাখোশ হয়েই টার্গেট করেছে।
টবি বলেছেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তত্বাবধানেই কেবল ফেয়ার ট্রায়াল হতে পারে। বাংলাদেশ সরকার যদি তার ক্লায়েন্টের ব্যাপারে সত্যি নিশ্চিত হয়ে থাকে তবে, আন্তর্জাতিক আইনে ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তত্বাবধানে বিচারের ব্যবস্থা করতে পারে।
সাজাপ্রাপ্ত বিষয়ের ব্যাপারে টবি বলেন, ইংল্যান্ডের আদালতে সাজা কাটানোর যে কথা বলা হচ্ছে, সেক্ষেত্রে যা তা হলো, এই বিষয়টি ১৯৯০ সালে প্রথম উত্থাপিত হয়েছিলো। এবং তখন ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ, ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিস, মেট্রোপলিটন পুলিশ, এফসিও লিগ্যাল ডিপার্টম্যান্ট মঈনুদ্দিনের ব্যাপারে কোন অভিযোগ নথি পত্রে প্রমাণিত না হওয়ায় কোন চার্জ না করার সুপারিশ করা হয়েছিলো। দ্বিতীয়ত- যেহেতু তার অনুপস্থিতিতে এ রায় দেয়া হয়েছে, এমতাবস্থায় ব্রিটিশ আদালত রোল্ড আউট করতে পারে, ডাবল জিওপার্ডিহেতু প্রসিকিউশন মঈনুদ্দিনকে ব্রিটেনের আদালতে নিয়ে বিচারের জন্য সুমন জারি নাও করতে পারে বলে আমার বিশ্বাস।
সেলিম: আন্তর্জাতিক মানবাধিকার এক্টস থ্রোতে এই রায় নিয়ে তোমার কোন মূল্যায়ন বা বক্তব্য
টবি কেডম্যানঃ আমাদের টিম এব্যাপারে বেশ কিছু বক্তব্য ইস্যু করেছে। এটুকু বলতে চাই এ রায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন হয়নি। বিচারের রায় হয়েছে তার ক্লায়েন্টের অনুপস্থিতিতে-এটাই ফ্যাক্টস, যার অনেকভাবে সমালোচিত হয়েছে। সে মনে করে, ইলেকশনের পর পরই এটা নিয়ে পুরোপুরি রিভিউ করা হবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতায়, যেহেতু এই রায় এর কার্যক্রম নিয়ে অনেক সন্দেহ ও নানা অসংগতি রয়েছে। তার বিশ্বাস তার উভয় মক্কেল আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর সহায়তা পরিপূর্ণ রিভিউ এর মাধ্যমে লেজিটিমিট ভাবে মুক্ত হবে এই সাজা থেকে, যা জুডিশিয়ালি সঠিক প্রসেস করা হয়নি বলে টমি বলেছেন।
সেলিম: তোমার ক্লায়েন্টের পক্ষে এনি ফিউচার প্ল্যান বা উদ্যোগ
টবি কেডম্যানঃ আমি আমার ক্লায়েন্টসদের পক্ষে সকল ধরনের আইনি সহায়তা এক্সপ্লোর করতে সচেষ্ট হবো ।
সেলিম: তোমাকে অনেক ধন্যবাদ সময় দেয়ার জন্য
টবি কেডম্যানঃ তোমাকে এবং জিবিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডট কম কে, এবং রিগার্ডস।
Salim932@googlemail.com
৩০ নভেম্বর ২০১৩