প্রসঙ্গ বাংলাদেশের নির্বাচন ও আগামীর সরকারঃদৃশ্যপট সিঙ্গাপুর
বাংলাদেশের রাজনীতি এখন বাংলাদেশ ছাড়িয়ে বিশ্বপরিমন্ডলে সমানতালে সক্রিয়। সবাই আমাদের মঙ্গল চায়। সবাই চায় বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা, শান্তি, অগ্রগতি, গণতান্ত্রিক শাসন অব্যাহত থাকুক। যেমন চান হাসিনা, খালেদা, এরশাদ,মান্না, ম.সেলিম, রব, কাদের, কামাল সহ তাবৎ জনগণ সকলেই চান।জামায়াত, হেফাজত আরো সবাই চান। তারপরেও আমাদের গণতন্ত্র মুখ থুবড়ে পড়ে, শহরে শহরে ককটেল বিস্ফোরিত হয়, বাসে বাসে আগুন জ্বলে, ঘরে বাইরে মানুষ ভীত-সন্ত্রস্ত ও জান-মালের নিরাপত্তায় থাকেন উদ্বিগ্ন।গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে আগুন জ্বলে, সম্পদ, জান, প্রাণ সবই যায়। বিদেশী বন্ধু, দাতা আর দূতাবাসের সম্মানিত দূতেরা দৌড়-ঝাপ করেন, পরামর্শ দেন, নেতা-নেত্রীর সাথে আলোচনা করেন।
কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়না। বিগত ৬০ ঘন্টার হরতালে কমপক্ষে ১৩ জন তাজা প্রাণ একেবারে বিনা কারণে নিহত হলেন। একদলের কথায় শৃঙ্খলিত গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে, আরেকদলের কথায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে গিয়ে ওরা নিহত হলেন।কিন্তু যে স্ত্রী তার প্রিয়তমা স্বামীকে হারালেন, যে মা তার বুকের ধনকে হারালেন, যে ভাই তার কলিজার টুকরো ভাইকে হারালেন-কে দেবে তাদের সান্ত্বনা। হাসিনা ? খালেদা ? মান্না, রব, সেলিম, কাদের ? জামায়াত ? হেফাজত ? কেউ দেবেনা।তারপরেও কেন থামছেনা এ হত্যাকান্ডের হুলি খেলা, কেন এতো সন্ত্রাস, কেন এতো হানাহানি ? আজকের পৃথিবীর তাবৎ সংবাদ সকলের নখ দর্পণে, তারপরেও থামছেনা এই হুজুগের একরোখা জেদি পলিটিক্স। বোকা জনগণও আঠার মতো এই দলবাজি আর নেতাবাজীদের পিছনে লেগে আছে, বন্ধুকের নলের মুখে, বুলেট, ককটেলের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, আর ভাবে এই বুঝি আমি (জান দেয়ার আগে)প্রিয় দল আর নেত্রীর প্রিয়ভাজন হওয়ার জন্যে শহীদ হতে চললাম। আহারে আমার নাম লেখা রবে, শ্লোগান হবে।আরো কতো কি? বোকা কর্মী জানেনা, তার লাশের উপর পা দিয়ে দল ও নেত্রী খুঁজবে নতুন আরো এক লাশ, তার উদ্দেশ্য সাধনের জন্য। আন্দোলন করার জন্যে যে তার চাই আরো লাশ। কি বলেন নেতা-নেত্রী, তাই নয়কি? এতক্ষণ ধৈর্য ধরে শুনছিলেন সিঙ্গাপুরের অভিজাত বেডে শুয়ে, এবার উঠে চেয়ারে বসে হাসতে হাসতে বললেন, বুঝেনইতো সবই রাজনীতির খেলা। এ খেলা বড় কঠিন, বড় নিষ্ঠুর। এই গেইম যে যতো বেশী পারদর্শী সে ততো গেইম জয়ী।হাতের মুষ্টি উঁচিয়ে বলতে থাকলেন। তাই বলে লাশের পর লাশের মিছিল ? গার্মেন্টসে আগুনের পর আগুন, বাসে আগুন, ককটেল, বোমাবাজি? আরে এসবতো সবাই করে। এবার আমাদের কর্মীরা করছে। রাজনীতিতে সব খেলাই জায়েজ।বলেন কি? আরে বুঝবেননা আপনি এতো সব। থাকেনতো বিদেশ-বিভূঁইয়ে। সব কিছু বিদেশীদের মতো দেখার চেষ্টা না করাই ভালো। থামিয়ে দিয়ে বললেন, দেশে যাওয়ার কি ইচ্ছে আছে। বুঝে গেলাম সংকেত ! কারণ রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা বড় পাওয়ার ফুল।
দৃশ্যপট প্রেসিডেন্ট প্যালেসঃপ্রসঙ্গ নির্বাচন ও ঐক্য-
রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে নেই। স্যার এটাতো প্রয়াতও মালেক উকিল বলতেন। আপনার কথাতো একটু ভিন্ন। আপনি বলেছিলেন এদেশে সবই সম্ভব।ঠিকইতো আছে। সব সম্ভবের দেশ বাংলাদেশ।
স্যার বাজারেতো খুব গুজব, আপনি আবার ক্ষমতায় আসছেন।বাধ সেধে আছেন পিএম। নতুন কোন ছক কি এঁকেছেন?
আজ এক কথা বলেনতো, আবার আরেক কথা বলেন।বুঝতেইতো পারছেন দেশের মানুষের মতো আমরা সকলেই জিম্মি হয়ে আছি। আপনিও যদি এমন করে বলেন স্যার, তাহলে দেশের মানুষ কি করবে? যাবে কার কাছে ?আপনাদের এই একটাই দুষ সব কথা জেনে নিতে চান। জেনে নিয়ে পত্রিকার কাটতি বাড়াতে চান।কিন্তু স্যার আপনিতো পিএম এর অধীনে নির্বাচন করছেন।ভারতীয় সরকারের ইশারাওতো আপনাকে সেভাবেই দেয়া হয়েছে।একথাটা কোট করে ফেলি।তা ঠিক, তবে কোট করবেন না এখনি না। এখনো অনেক নাটক ও চমক বাকী। তাহলে যে আপনি বললেন, জিম্মি। আরে রাজনীতি বুঝলেন না, রা—জ—নী—তি।আসলেই আমরা আম জনতা বুঝিনা স্যার। আপনারা হলেন সুপার পাওয়ারফুল পলিটিশিয়ান।সব আপনারাই বুঝেন।
দৃশ্যপট চায়নিজ দূতাবাসের কর্মকর্তাঃপ্রসঙ্গ শান্তি ও নির্বাচন
আপনাদের সরকারের বার্তাতো পত্রিকায় এসেছে। বাংলাদেশ নিয়ে আপনারা বেশ উদ্বিগ্ন। আসলেই উদ্বিগ্ন হওয়ার কথা।আমাদের দেশের যে অবস্থা, সকল পক্ষকেই ভাবিয়ে তুলেছে।
বাতাসে খবর, বিরোধীদল ক্ষমতায় ফিরে আসলে, সকল বড় বড় কন্ট্রাক্ট সহ পদ্মায় আপনাদের দূতিয়ালি নাকি বাড়বে? কূটনীতিক পাড়ায় এখন সেটা গরম খবর।না এমন কিছু নয়। আমরা চাই এই অঞ্চলে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় থাকুক।অযাচিতভাবে মার্কিনীরা যাতে এখানে এসে স্থায়ী ঘাটি না করে বসে,শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে সকল পক্ষকে নিয়ে কাজ করতে চাই।
কিন্তু গার্মেন্টস এবং প্রযুক্তি খাতের বৃহৎ সম্ভাবনাময় বাজার আপনাদের করায়ত্ত করতেই নাকি উদ্বেগ বেশী…? এখনকার কূটনীতি যতোটা না পারিপার্শ্বিক রাজনীতি ও আধিপত্য নির্ভর, তার চেয়েও বেশী আর্থিক ও ব্যবসায়িক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট। এটা কমবেশি সকলেই অবগত। গার্মেন্টস শিল্পে ভারতীয় কব্জায় চলে গেলে অত্র অঞ্চলের জন্য যে এক অসম আর্থিক আধিপত্য সৃষ্টি হবে, তা সামাল দেয়ার ক্ষমতা বাংলাদেশের নেই। সে কারণে বুঝি চীন বিরোধীদলের সাথে গোপন শলা-পরামর্শে অত্র অঞ্চলে নিজেদের কব্জা করায়ত্ত করার জন্য রাজনৈতিক কূটনীতিতে এখন সক্রিয়?না না, ঠিক তা নয়। বর্তমান সরকার বরং চীনের জন্য অধিক গ্রহণযোগ্য।আমরা শুধু শান্তি-স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে কাজ করতে চাই।অর্থনৈতিক এবং ব্যবসায়িক স্বার্থতো আসবেই।
দৃশ্যপট: ইস্তাম্বুল বিমান বন্দর থেকে লন্ডনের পথে
রাবেতা আল আলমের প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনারেল শেখ পরিবারের প্রভাবশালী সদস্য, যিনি বিগত সময়ে জ্বালানী মন্ত্রীও ছিলেন।কুয়েত ভিত্তিক রাবেতা আল আলম বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারতের কিছু অঞ্চল, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড এর কিছু এলাকা, আফগানিস্তান সহ বিশ্বের অধিকাংশ মুসলমান অধ্যুষিত দেশের নামে বেনামে এনজিও সংস্থাকে আর্থিক সহযোগিতা দান করে থাকে। আগে এটা কেবল এতিম ও দুস্থদের সাহায্য প্রদান করতো, পরে কোরআন ও লাশের সৎকার থেকে শুরু করে বর্তমানে বড় বড় চ্যারিটিমূলক কাজে মিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সাহায্য দিয়ে থাকে। বাংলাদেশে এর সিংহভাগ সাহায্য জামায়াতে ইসলামীর নামে-বেনামে ও ছদ্মনামের প্রতিষ্ঠানকে সাহায্য দিয়ে থাকে।
শেখ বড় আক্ষেপ, বড় গোস্বা বাংলাদেশের উপর। কারণ বর্তমান সরকার জামায়াতের আলেম ও বিভিন্ন উলামাদের উপর নির্যাতন ও জেলে পুড়ে বিচার শুরু করেছে।জামায়াতের নেতাদের মুক্তির দেন দরবারে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন আর্থিক প্রকল্পে আইডিএ সহ কাতার, সৌদি অনুদান ও সাহায্যে ভাটা পড়বে বলে শেখ জানালেন।কিন্তু কেন শেখ।ইউর এক্সিলেন্সী, বাংলাদেশ সরকারতো মানবতা বিরোধী বিচার করছে, অন্য কিছু নয়।শেখ মানতে নারাজ। ব্রীফ কেইস খুলে যা দেখালেন সব বাঁশের কেল্লা ও আর শিবিরের প্রচারে সমৃদ্ধ। এসব একতরফা ও সঠিক তথ্য নির্ভর নয় ইউর এক্সিল্যান্সী। তিনি মানতে নারাজ। লিংক খুলে দিলেন। বললাম এগুলোও ঐ একই গ্রুপের প্রচার। শেখ সাফ জবাব, বর্তমান সরকার ইসলাম ও আলেম সমাজের বিরুদ্ধে। এদেরকে বিদায় নিতে হবে। কিন্তু ইউর এক্সিল্যান্সী, এর বিচারের ভারতো বাংলাদেশের জনগণের।জনগণ ঠিক করবে কে ক্ষমতায় আসবে, কে যাবে । শেখ বললেন, জনগণ বন্দী, বিবেক বন্দী। যেমন বন্দী কুয়েতের মতো মুসলিম দেশে- আমার কথায় শেখ চোখ লাল হয়ে গেলো। আমি চুপসে গেলাম।শেখ বললেন, আর কিছুদিনের মধ্যেই দেশের অবস্থা ভয়াবহ হয়ে যাবে।
আরো লাশ পড়বে।সরকারের নির্যাতনও বাড়বে।জামায়াত-হেফাজত ও বিরোধীদলও শক্তি নিয়ে মাঠে নামবে। সরকারি প্রতিষ্ঠান ও মন্ত্রী পাড়ায় বোমা-ককটেল ফাটবে। প্রশাসন অচল হয়ে পড়বে।শেখ কথা আর শেষ করতে পারলেন না। প্লেন লন্ডনে ল্যান্ডিং আওয়াজ ভেসে আসলো ককপিট থেকে।শেখ তখন ব্যস্ত হয়ে পড়লেন জামায়াতের কোন এক নেতাকে টেক্সট করতে। ততোক্ষণে প্লেন ল্যান্ড করে ফেলেছে।
দৃশ্যপটঃপাকিস্তান এম্বাসীর এটাচী
ভারত যেভাবে ঢাকা কব্জা করে বসে আছে, পাকিস্তান ততোই উদ্বিগ্ন হয়ে আছে। মার্কিনীদের গ্রিন সিগন্যাল ব্যতীত পাকিস্তান আপাতত: নীরব কূটনীতি পালন করলেও সকলের অগোচরে এবং সরকারের অনুকূলে মওদূদী পুত্রকে যুদ্ধাপরাধের বিচারের পক্ষে সাফাই গাওয়ার চিরন্তন ধোঁকাবাজির সেই অতীত কূটনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। মওদূদী পুত্র কে অসাম্প্রদায়িকতার আলখেল্লা পড়িয়ে এবং কৌশলে মওদূদী ও স্বপ্রণোদিত হয়ে জামায়াত বিরোধী বক্তব্য প্রেসের সামনে দিয়ে আইএসআই অতি সুকৌশলে শিষ্য জামায়াত ও হেফাজত এবং প্রো-পাকিস্তানীদের সাথে ম্যাসেজ যেখানে যেমনভাবে দেয়ার সঠিকভাবে দিতে পারায় পাকিস্তানের এই এটাচী বেশ রিলাক্সড মুডে ইউরোপ সফর করে গেলেন। মওদূদী পুতের মওদূদী বিরোধী বক্তব্যের আড়ালে প্রো-পাকিস্তানীদের ঠিক ঠিক জায়গামতো এবং সরকার বিরোধী মারমুখী ভূমিকার পুরো ছক, সেই সাথে বৃহৎ ফান্ডের সকল বন্দোবস্ত করেই দিয়ে গেলেন স্বার্থকভাবে।পাকিস্তানের বিগত ৪০ বছরের ইতিহাসে এই মওদূদী পুত্র খোদ পাকিস্তানের ভিতরে কখনো বাবা কিংবা জামায়াতের বিরুদ্ধে কোন বক্তব্য দেননি।পাকিস্তানের জামায়াত ও আইএসআইয়ের এসাইনম্যান্ট নিয়ে তিনি ভালোমতোই রাজকীয়ভাবে বাংলাদেশ সফর আর সেই সফরের পর পরই সরকারী বিভিন্ন স্থাপনায় ককটেল ও বোমা নিক্ষেপ বড় আতঙ্ক জাগিয়ে তুলে। পাকিস্তানী এই এটাচী হিজবুত তাহরীর এবং মিনজাজ উল কোরআন নামক সংস্থার ব্যানারে বক্তব্য দিয়ে শুধুমাত্র হিজবুত তাহরীরের সাথে সাক্ষাত এবং মওদূদী পুত্রের ঢাকা সফরের সংক্ষিপ্ত ব্রীফ- তা ভাবিয়ে তুলে।
দৃশ্যপটঃভারতীয় ব্যবসায়ী ( ম আধ্যক্ষর এবং কূটনীতিকের) বাংলাদেশ নিয়ে উদ্বেগ
ভারতের বিখ্যাত এই ব্যবসায়ী গ্রুপ স্টিল থেকে শুরু করে তৈল, সাবান, গার্মেন্টস হেন কোন ব্যবসা নেই যে সফল নন। তার লক্ষ্য ঢাকার গার্মেন্টস শিল্পে একচ্ছত্র আধিপত্য। সঙ্গী ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তা। গণতন্ত্র, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, নিরাপত্তা আর শান্তির মূলে ঢাকার গার্মেন্টস সেক্টর যেকোন মূল্যে করায়ত্ত্ব করা। প্রয়োজনে হরতাল, ঘেরাও, ধর্মঘট, জ্বালাও-পোড়াও ইত্যাদি কারণে অঢেল টাকা পয়সা বিলিয়ে দিতেও কার্পণ্য নেই। সেজন্য দরকার স্থিতিশীল এবং নিজেদের পক্ষের সরকার। দুই নেত্রীই নিজেদের ক্ষমতার স্বার্থে ভারতীয় যেকোন শর্তের বেড়াজালে নিজেকে সমর্পণ করতে ইতিমধ্যেই ভারতীয়দের নিশ্চয়তা দিয়েছেন। বিনিময়ে ঢাকার মসনদের নিশ্চয়তা। দিল্লীর খেলা অন্যভাবে। স্রেফ নিশ্চয়তা দিলেইতো আর চলেনা। ঢাকায় এমন সরকার দরকার, যারা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণিত করেছে আমরা তোমাদের লোক। দিল্লী ও ব্যবসায়ী আরো ছক কষলেন, বিগত চল্লিশ বছরে আমরা যা পাইনি, বর্তমান সরকার তাই দিয়েছে উজাড় করে। সময় এসেছে সেই প্রতিদানের বদলে কিছু দেয়ার। ঢাকার মসনদ!মন্দ কি !নাই মামার চেয়ে কানা মামাই ভালো। দিল্লী জানে বাংলাদেশী নেতা-নেত্রী কি চায় বা কি পেলে খুশী। তাই একটু ওপেন, কখনো হিজ মাস্টার্স ভয়েস, কখনো পরিবর্তনের আওয়াজে হার মাস্টার্স ভয়েস।ঐ একই চর্বিত চর্বণ।
বিএনপি-জামায়াত বাদঃ সর্বদলীয় সরকারে বিএনপি পন্থী নেতাই হচ্ছেন প্রধান
ভারতীয় এই ফর্মুলা আর মার্কিনীদের দৌড় ঝাপে শেষ পর্যন্ত বিএনপি ও জামায়াতকে বাদ দিয়ে বিএনপি পন্থী জানু টেকনোক্র্যাট নেতাকে সামনে নিয়ে সর্বদলীয় সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে। চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে সেই সরকারের রূপরেখা সামনে আসতে যাচ্ছে।রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে প্রথম দিকে যে চিন্তাছিলো, রাষ্ট্রপতির লন্ডন সফরের মধ্য দিয়ে মূলত সেই চেষ্টা থেকে এখন এই পক্ষের সকলেই সরে এসেছেন। সংসদ বহাল রাখার স্বার্থে এবং জরুরী প্রয়োজনে স্পিকারকে নিরপেক্ষ রাখার চিন্তা করা হচ্ছে।পরিস্থিতির ভয়াবহতায় এই সরকারের আওতায় জরুরী আইন জারি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের কথা মাথায় রেখেই এগুচ্ছে এই পক্ষ।দেশ এখন নির্বাচনের দিকে এগুচ্ছে।দেখা যাক শেষ পর্যন্ত এই পক্ষ কতোটুকু সফল হন।
দুই নেত্রীর টেলিফোন অডিওঃদৃশ্যপট সংলাপ
আম জনতা ভাবে একি শুনি আমাদের মহান নেতাদের মুখ থেকে। এর চেয়েতো গ্রামের কাজের লোকদের ডায়ালগ আরো উন্নত।সারা জাতি, সারা বিশ্ব যে ডায়ালগের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছে, এই বুঝি তার শুরুর নমুনা।এভাবে আর কতো ডিজিটাল প্রকাশ হবে?ব্রিটিশ ও মার্কিন কূটনীতিক আর জাতি সংঘ দূত হাসে। আড়ালে আবডালে তাচ্ছিল্য করে।ভেংচি কাঠে। বাঙালি হয়ে তা চোখে দেখতে ভালো লাগেনা। সহ্য করতে পারিনা। কিন্তু বিধি বাম। দুই নেত্রী যে হাত পা বাধা আছে দূতদের কাছে। তারা জানে ভিতরের বাইরের খবর। সেজন্যেইতো অধিক ফ্রিডম অব স্পীচ এর কথা বলে হাই প্রোফাইলের উপদেষ্টাকে দিয়ে অডিও টেইপ একাত্তর টিভিতে প্রকাশ করে দেয়। দুই জাঁদরেল দূতদের কাছে হাই প্রোফাইলের উপদেষ্টা ধরা খেয়ে গেলেন। ভাবছেন, ভালোই হয়েছে, জনগণ বিচার করবে কে কতো বেশী আগ্রাসী ও ভিলেন? হায়রে কপাল। গ্রামের ধান ক্ষেতে যে কৃষক কাজ করে সেও বুঝে অতি চালাকের গলায় ধরি। দুই দূত পাঁচ বছর হিসেব সামনে কষে চাল চেলে দিয়েছে।নির্বাচন নির্বাচন খেলা ঠিকই হবে। পর্দার অন্তরালের খেলাও সমানভাবে চলবে। কারণ আমরাই যে দুধ কলা দিয়ে বিষধর সাপ পোষণ করে চলেছি।অডিও টেইপ প্রকাশের আগেই বৈঠক হয়ে যায়, ইউনুছ এর কাছেও বিশেষ জায়গা থেকে ফোন কল চলে যায়। (চলবে)
Salim932@googlemail.com
29th October 2013.