দীজেন্দ্রলাল রায় এর কর্ম ও জীবন নিয়ে লন্ডন বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের চমকপ্রদ উপস্থাপনা
বাংলা গান, বাংলা সংস্কৃতিকে সেই অতীতে প্রাচ্য ও প্রতীচ্যের সাথে যুগসাযুজ্য করে যে কয়জন অসাধারণ ব্যক্তিত্ব বাংলা সাহিত্যের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করে বাংলার গান, বাংলার নাটক, বাংলার কবিতা কে করেছেন অতুলনীয়, দ্বিজেন্দ্র লাল রায় তাদের অন্যতম।প্রাচীনকালে এই ডি এল রায় আমাদের বাংলা সংস্কৃতিকে নিয়ে এতো অপরূপ কাজ করে গেছেন, যা আমাদের চিরন্তন ও পুরনো সংস্কৃতিকে করে তুলেছে আরো উন্নত ও সমৃদ্ধ। ডি এল রায়ের গান- রাগ মিশ্রিত কিনা, কিংবা আধুনিক রবীন্দ্রনাথের গানের আবেগ-মিলন কিনা- এমন প্রশ্ন রেখে অনুষ্ঠানের প্রাণ পুরুষ, ডি এল রায়ের কর্ম, জীবন নিয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করতে গিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাননীয় হাই কমিশনার, সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষ আমলা মিজারুল কায়েস বলেন, ডি এল রায় এক গান, যা সকল কর্ম, কাজ ও অবদানকে ছাড়িয়ে গিয়ে বাঙালিকে করেছে অতুলনীয়, মহান, যে গান আজকের উপস্থাপনার শেষ পর্যায়ে এসে না করে কোনভাবেই আমরা এখান থেকে যে উঠতে পারছিনা। মিজারুল কায়েস আরো বলেন, এ শুধু এক গান নয়, এযে একখন্ড এক অনবদ্য বাংলা আমাদের চোখের, আমাদের মানসপটে, হ্রদয়ে ভেসে উঠে, আমরা সে গানে সমস্বরে গেয়ে চলি। আমরা তখন ভুলে যাই, জাত, প্রাত, কুল, সম্প্রদায়, ধর্ম, বর্ণ, সকল নানান পরিচয় ভুলে গিয়ে আমরা হয়ে উঠি কেবলই এক বাঙ্গালি। মিজারুল কায়েস তার এই বক্তব্যের শেষ করে বিদায়ের আগেই মঞ্চে বসে থাকা লন্ডন বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে অসাধারণ, অনন্য শিল্পীদের সম্মিলনী কণ্ঠে গেয়ে উঠে, এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি, সকল দেশের সেরা সে যে আমার জন্মভূমি। বিশ্বসাহিত্যের শিল্পীদের কণ্ঠের সাথে ব্রাডি আর্ট সেন্টারের হলরুমে সমবেত দর্শক সমস্বরে গেয়ে উঠেন। সকলের কন্ঠে তখন এক গান, এক অমিয় সুধা, অমিয় বাণী-এ যে আমার বাংলাদেশ।দর্শক, স্রোতা তখন আবেগে আপ্লুত হয়ে উঠেন।
জালালাবাদ এক্স স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন-লন্ডন, বিমান বাংলাদেশ এর যৌথ স্পন্সরে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের শুরুতে উপস্থাপন করেন বাংলা টিভির নিউজ এডিটর কবি মিল্টন রহমান।
অনুষ্ঠানের সমাপনীর আগ মুহূর্তে মঞ্চে মাইক নিয়ে আগমন করেন লন্ডন বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের কবি, লেখক শামীম আজাদ। তিনি সকল স্পন্সর, শুভানুধ্যায়ী, আয়োজক, এবং হাই কমিশনার মিজারুল কায়েসকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা বর্তমানে এমন এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি, যেখানে আমাদের বাংলা গান, কবিতা, সংস্কৃতি আজ অনেক হুমকির সম্মুখীন। আমরা যে যাই করি, যে রাজনীতিই করি, যে ধর্মে বিশ্বাস করি, আমাদের একটাই পরিচয় আমরা বাঙালি। বাংলার শাশ্বত ঐতিহ্যের সংস্কৃতি আমাদের পরিচয়। এই সংস্কৃতি লালন, পালন চর্চার মধ্য দিয়ে একে আরো সমৃদ্ধ করেই আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুদীপ্ত চক্রবর্তী।সঙ্গীতে ছিলেন ডঃ ইমতিয়াজ আহমেদ, দিয়া সুদেশনা চক্রবর্তী, ডঃ রকিবুল আনোয়ার অরুণ। একটি বিশেষ নৃত্যের উপস্থাপনা করেন শিল্পী অদিতি রায়।
Salim932@googlemail.com
27th October 2013.Brady Art centre, London