০১) সাংবাদিকতা এক মহান পেশা। বলা হয়ে থাকে সাংবাদিকগণ হলেন জাতির দর্পণ। আবার আধুনিক রাষ্ট্র বিজ্ঞান এই সাংবাদিকতাকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে অনায়াসেই স্বীকৃত দিয়েছে। একজন সাংবাদিক সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নানা সুখ, দুঃখ, দুর্নীতি, সুনীতি ইত্যাদি যথাযথ ও প্রকৃত তথ্য নির্ভর ভাবে তুলে আনেন জাতির সামনে। ফলে যখন কোন অন্যায়, অনাচার, দুর্নীতি ও ব্যভিচার কেউ করে বসেন বা বৃদ্ধি পায় সরকার, প্রশাসন তখন নড়ে চড়ে বসে বা জনতার সম্মিলিত বাধ ভাঙ্গা প্রতিবাদের মুখে প্রশাসন যথাবিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। এসব মিলেই সাংবাদিক সমাজের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরার এক মহান কারিগর-সেকথা নির্দ্বিধায় বলা যেতে পারে।
০২) আধুনিক সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে অনেক ধরন, রূপ, চরিত্র নানান ঘটনা, চিত্র ও উপাখ্যানের সমাহার হতে দেখা যায়। অর্থাৎ এখনকার সাংবাদিকতা ব্যাপক রূপ পরিগ্রহ লাভ করেছে। আর সাংবাদিকতার এই ব্যাপকতার সুযোগে কিংবা ব্যাপক অর্থের যথেচ্ছ ব্যবহার করে কেউ কেউ, সেটা যেমন বাংলাদেশে, তেমনি লন্ডন, নিউইয়র্ক সর্বত্রই একধরনের ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য অতিমাত্রিকতায় বৃদ্ধি পাওয়ার প্রবণতা লক্ষণীয়। এই ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যতার নেগেটিভ দিক যতটা না প্রাধান্য দেয়া হয়, ঠিক ততোটাই পজিটিভ দিক থাকে অবহেলিত ও পায়ের নীচে বিদ্ধ।
০৩) আজকে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে, কেউ কেউ নিজেদের ব্যক্তিত্ব, ইগো ও হামবি কুচ হ্যায়-এই অবস্থার উপস্থিতি ঘটাতে গিয়ে, কখনো গোটা মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ বা নিজেকে কেন্দ্রের মধ্যে নিয়ে আসার জন্য এমন সব কাণ্ড করে বসেন, যা কিছুতেই প্রকৃত সাংবাদিকতার মধ্যে পড়ে কিনা তা কখনো ভাববার অবকাশ রাখেননা। শুধু একজন মাত্র মুন্নী সাহা নন, এরকম অসংখ্য মুন্নী সাহা আমাদের সাংবাদিকতা ও মিডিয়া জগতে আছেন, যারা একজন মিডিয়া নিউজ এডিটর, কিংবা এরকম কোন এক পদে আসীন হয়েই নিজেকে নিয়ে এমনকরে ভাবেন, বা উপস্থাপনের চেষ্টা করেন, যাতে নিজেকে কেন্দ্র করে গোটা মিডিয়া প্রভাবান্বিত হউক বা পরিচালিত হউক-এমন সব উদ্ভট কর্মকাণ্ডের সৃষ্টি করে থাকেন বা নিউজের জন্ম এমনকি সংবাদের ভিতরের সংবাদের সৃষ্টি করে চলেন, তা প্রকৃত সাংবাদিকতার বা অতীশ দীপঙ্কর নামক সাংবাদিকতা চর্চার গতিকে প্রভাবান্বিত করার নিয়ত এক দুর্দমনীয় চেষ্টা প্রকটভাবে লক্ষণীয়।
০৪) এখনকার এই সব সাংবাদিকতা হয়ে গেছে ব্যক্তি চরিত্র উপস্থাপনের মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ নির্ভর। অথচ আমাদের ভুলে গেলে চলবেনা, ব্যক্তির উর্ধ্বে সংবাদ নির্ভর সংবাদ চরিত্র হরণের ঐ সংবাদ একজন সাংবাদিকের পুরনো ও শাশ্বত সাংবাদিক নীতিমালার সাথে কতোটুকু সামঞ্জস্য- বেমালুম আমরা তা ভুলে যাই। যেমন ধরুন, আমরা প্রায়ই লক্ষ্য করি, এক শ্রেণীর সাংবাদিক নিজেদের নাম, যশ, ক্ষমতা, প্রতিপত্তি, এবং সাংবাদিকতা পেশা ব্যবহার করে ক্ষমতাসীন বা ক্ষমতায় আরোহণ করবেন এমন সব ব্যক্তিদের কাছে গিয়ে বা ব্যবহার করে বসুন্ধরায় বা পূর্বাচলে ফ্ল্যাট, কমিশন বাণিজ্য, মিডিয়ার মালিক বা লাইসেন্স বাগানোর তথা টুপাইস কামানোর কাজটা এতো দক্ষ ও সুচারুভাবে করে থাকেন, যা রীতিমতো সাংবাদিকতার মতো মহান পেশার পরিপন্থী। অথচ এই শ্রেণীর মহান সাংবাদিকেরা সমাজ ও রাষ্ট্রে খুব উঁচু কদরে আছেন , থাকেন এবং বেশ নামী-দামী। অথচ প্রকৃত একজন সাংবাদিকের মতো মহান পেশায় থেকেও নীতি ও উন্নত চরিত্রের কারণে তিনি হয়ে থাকেন অবহেলিত এবং বাজার দরকষাকষির ক্ষেত্রে একেবারে সস্তা আমেজের সাংবাদিক দুর্নাম ললাটে লেপন করে চলেন। সাংবাদিকতার মহান পেশা ভাঙ্গিয়ে হাসিনা, খালেদা, জয়, তারেক-এদের কাছাকাছি গিয়ে আজকের যুগে এই রকম কতো যে সাংবাদিক টু পাইস কামানোর ধান্ধায় আছেন, পাঠক মাত্রই জানেন। ব্যক্তিগতভাবে এমনও অনেক আদর্শ সাংবাদিক এখনো রয়েছেন, যারা এ সবের একেবারে উর্ধ্বে। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিবেকের কাছে বন্দী। কখনো কারো কাছ থেকে কিছু পাওয়ার আশায় আমার এই জীবনে আমি কিছুই করিনি, আর যাই হউক আল্লাহর দরবারে আমি সর্বতোভাবে পবিত্র ও দায়বদ্ধ। সাংবাদিকতা ব্যবহার বা তথ্যের বিভ্রান্তি ঘটিয়ে এখন পর্যন্ত বা অদূর ভবিষ্যতে হাসিনা, খালেদা, জয়, তারেক রহমান বা কারো কাছ থেকে কোন সুযোগ বা টুপাইস কামানোর জন্যে কখনো লিখিনি বা লেখবোনা- এটা আমি হলফ করে বলতে চাই।আমি আমার বিবেকের কাছে স্বচ্ছ ও পরিষ্কার। অন্তত আমাকে যারা চেনেন, জানেন, তারা সেকথা ভালো করেই জানেন। প্রসঙ্গান্তরে কথাগুলো উল্লেখ করার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।
০৪) এর অর্থ এই নয় যে, আমি মুন্নী সাহার সাংবাদিকতার ধরন বা স্টাইলের বিরোধিতা করছি। মুন্নী সাহা এটিএন বাংলার একজন খ্যাতিমান সাংবাদিক। আমিও তার একজন ফ্যান। প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে সাংবাদিকতার নীতিমালা পরিপন্থী যে কাজ তিনি করেছেন, সেটা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে আপনাকে অবশ্যই অপরপক্ষের কাছে আপনার উদ্দেশ্য পরিষ্কার এবং স্বচ্ছ ও সৎ রাখা দরকার। আপনি কোন তথ্যের ইনভেস্টিগেশন বা অপরাধমূলক প্রতিবেদন করছেননা, রাষ্ট্রের প্রধান ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন। সেখানে গোপন ক্যামেরা কিংবা অনুমতি ব্যতিরেকে রেকর্ড করা সাংবাদিকতার মহান পেশার পরিপন্থী- এটা সচেতন মাত্রই জানেন। কারণ আপনি সাক্ষাতের পূর্বেই আপনার অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। আর সাংবাদিক বলেই একজন নেতা-নেত্রী দিল খোলে আপনার সাথে কোন আলাপ-আলোচনা ব্যক্তিগত কুশলাদির ন্যায় শেয়ার করতে পারবেননা, তাতো হয়না। কারণ আমরা কেউই আদিম যুগে যেমন নই, আবার রোবটও নই। আমাদেরও রয়েছে সংবেদনশীল এক মন। আর সব কিছুই ব্যক্তি চরিত্র কেন্দ্রিক আবদ্ধ রেখে সংবাদ কোট বা পরিবেশন করাটাও ব্যক্তির তথ্য অধিকার সংরক্ষণ ও ব্যক্তির ব্যক্তিগত গোপনীয়তার বিশ্ব স্বীকৃত শাশ্বত সাংবিধানিক অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আর এরকম লঙ্ঘন ইদানীং হর-হামেশা অনেকেই করে চলেছেন। কেবল একজন মাত্র মুন্নী সাহাই নন। তবে সেদিন নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার নেয়ার সময় পত্রিকার খবর অনুযায়ী মুন্নী সাহা বিনা অনুমতিতে ব্যক্তিগত আলাপ রেকর্ড করে যেমন অন্যায় করেছেন, একই সাথে প্রধানমন্ত্রীর সিকিউরিটির লোকজন জোর করে টেইপ রেকর্ড রেখে সংবাদ প্রেরণে বাধা প্রদান করেও তথ্য অধিকার প্রকাশে হস্তক্ষেপ করেছেন। উভয়টিও নিন্দনীয়। উভয় ইস্যু অন্যভাবে সুন্দর করে মোকাবেলা করা যেতো। কেউই তা করেননি। এখানেই উভয়ের বড় দীনতা প্রকাশিত হয়েছে।
০৫) সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সকলেরই উচিৎ তথ্য ও সঠিক নির্ভরযোগ্য তথ্য যাচাই ও প্রকাশ করা। কোন অবস্থাতেই অহেতুক, অযথা ব্যক্তি চরিত্র হরণ করা কাম্য নয়। তারমানে এই নয় যে ব্যক্তি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য উঠে আসবেনা, বরং ব্যক্তি চরিত্রের সাথে ব্যক্তির কাজ ও কর্মকে প্রাধান্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সংবাদ যেমন গ্রহণযোগ্যতা পায়, একই সাথে সমাজ, রাষ্ট্র উপকৃত হয়। স্রেফ অহেতুক ব্যক্তি চরিত্র হনন করে সাময়িক বাহবা বা একপক্ষের তোষামোদি করে গোটা সমাজ ও রাষ্ট্রকে বিভ্রান্ত করে ব্যক্তি ফায়দা হয়তো লুটা যায়, সাংবিদকতার মতো মহান পেশা কলঙ্কিত বৈ আর কিছু হয়না। অন্যদিকে উঠতি ও আগামী নয়া প্রজন্মের শিক্ষানবিশ সাংবাদিকদের কাছেও কোন আদর্শ উপস্থাপনের কোন সুযোগ থাকেনা।
তাছাড়া, পুরনোরা যদি শুধুমাত্র সেলফিশনেস এবং আমিই হামকা বড়া হয়- এমন ভাব রেখে সংবাদ পরিবেশন ও সাজিয়ে থাকেন, তাহলে আগামী নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকরা তাদেরকে দেখে কি শিখবে ? আবার একজন সাংবাদিক কিংবা একজন নিউজ এডিটর বা চীফ করাসপন্ডেন্ট হয়েই গেলেই সব পার পেয়ে যাবেন, বা ব্যক্তি ইমেজ নির্ভর সংবাদ পরিবেশনে তৎপর হবেন-এমনতর নাম প্রকৃত সৎ সাংবাদিকতা নয়।
০৬) সাংবাদিকতার নামে কোন কিছু বাছ-বিচার না করে, কেবলমাত্র তোয়াজ ও তোষামোদি করে নিজ স্বার্থ উদ্ধারের নামে বা আগামীতে অমুক ব্যক্তি ও দল ক্ষমতায় এলে নিজ লাভ-লোকসানের কথা, দলীয় আনুগত্য আর একতরফা দলবাজি করতে গিয়ে, আদৌ কোন সংবাদ করার মতো কোন নিতি-নির্ধারনী বৈঠক নেতা বা নেত্রী করেছেন কিনা বা কোন রকম পরিবেশে কোন রকম গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক বা ডিপ্লোম্যাটিক বৈঠক অথবা এই রকম সরাসরি কোন বক্তব্য নেতা-নেত্রী দিয়েছেন কিনা কিংবা এরকম বলাটা সম্ভব হয়েছে কিনা, তার বাছ-বিচার না করে তোষামোদি করতে গিয়ে এরকম ব্লাফ ও খুনটুসী নির্ভর সংবাদ প্রচার করার নাম সৎ এবং সত্যিকারের সাংবাদিকতা কিনা, বিবেকের কাছে সেটা একবারের জন্যে হলেও ভাবা দরকার। কেননা, এরকম সাংঘাতিক সংবাদে ঐ নেতা-নেত্রী কিংবা ব্যক্তির ইমেজ সংকট কোথায় গিয়ে পড়ে, তাও ভাবা দরকার, যদিনা জনকল্যাণ নির্ভর না হয়ে থাকে।
আজকে তোষামোদি করা এমন পর্যায়ে এসে গেছে, সাংঘাতিক সংবাদের কারণে একজন জয় মামা, একজন তারেক ভাইয়া, একজন আপা, একজন ম্যাডাম এর কাছে বারে বারে ঘিরে ষোলকোটি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা আর চাহিদার বিপরীতে কেবলমাত্র অসততা আর সাংঘাতিক সাংবাদিকতাকে পুঁজি করে নিজের আখের গোছানোর এই প্রতিযোগিতা আমাদেরকে কোথায় নিয়ে চলছে, একটু ভেবে দেখা দরকার।আবারও কারো কারো জয় মামা, আর কারো কারো তারেক ভাইয়া, বর্তমানের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় বিরোধীদলীয় নেত্রীর অতি তোয়াজ নির্ভর সাংঘাতিক সাংবাদিকতাও আজকে একশ্রেণীর দলবাজ আর ফড়িয়া ও ফটকাবাজ আর ধান্ধাবাজদের সাথে পাল্লা দিয়ে চলেছে। আর সাংবাদিকদের অগ্রজপ্রতিম, আদর্শ তুল্য শহীদ সাংবাদিক সিরাজ উদ্দিন, শহীদুল্লাহ কায়সার, মানিক মিয়া, সানাহউল্লাহ নুরী থেকে আজকের মুসা ভাইদের মতো স্বনামধন্য সাংবাদিকদের সাহসী সাংবাদিকতার মহান পেশাকে করছে প্রশ্নবিদ্ধ, পরিস্থিতি করছে ধুম্রজালে আবদ্ধ। আর এই সাংঘাতিক সাংবাদিকতার ফলেই আমরা ভীত হই শহীদ সাংবাদিক সাগর-সারোয়ারের হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে। আমরা ভীত হই, বিভক্ত হয়ে যাই, সাংবাদিকদের উপর যখন আঘাত আসে, পুলিশ যখন সাংবাদিকদের পিঠিয়ে হেনস্থা করে, সংবাদ পত্র ও মিডিয়া যখন বন্ধ করে দেয়া হয়, সাংবাদিকদের বেতন বোর্ড রোয়েদাদ অনুযায়ী বেতন বাস্তবায়ন হয়না- আমরা তখন প্রতিবাদ, বিক্ষোভের ভাষা হারিয়ে ফেলি। আজকে হয়তো একজন প্রধানমন্ত্রী, একজন তারেক রহমান হেনস্থা হন, চরিত্র হননের শিকার হন, একজন মুন্নী সাহা সাংবাদিকতার পেশাগত দায়িত্বের প্রশ্নের মুখোমুখি হন, নানা প্রশ্ন, দ্বন্ধ তাকে কেন্দ্র করে ঘুর পাক খায়, কাল আরেকজন হবেন, সজীব ওয়াজেদ জয় হবেন, খালেদা জিয়া হবেন, আরো কোন মুন্নী সাহা হবেন- তখন কি হবে এই সব সাংঘাতিক সাংবাদিকতার ? তাই সময় এসেছে, রোগের ডায়াগনোসিস ঠিক করে ক্ষত উপশমের সঠিক মলম এখনি দিতে হবে, নতুবা সাংঘাতিক সাংবাদিকতা কেবল সাংঘাতিকতার জন্মই দিবেনা, অনেকের অস্তিত্বও প্রশ্নের মুখোমুখি করবে।
(কাউকে দোষারোপ কিংবা তোষামোদি কিংবা কারো পক্ষে সাফাই গাওয়ার জন্যে এই লেখা নয়, কেবলমাত্র বাস্তবতার নিরিখে বিবেকের তাড়নায় ছোট মাথায় যা এসেছে, তা সকলের সাথে শেয়ার করার উদ্দেশ্যে লেখা। অনিচ্ছাকৃতভাবে কারো কোন আঘাত হয়ে থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো)।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩, লন্ডন ।