নতুন নেতৃত্ব, অবসর এবং দুই নেত্রীর যাদুর বাক্স
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ
গত কাল এই কলামে লিখেছিলাম আশা হারাতে নেই। কারণ আশাহীন অবস্থায় মানুষ এবং মানবতা বাচতে পারেনা। তাই আশা নিয়ে লিখেছিলাম, বিরাজমান রাজনৈতিক বন্ধ্যাত্ব, অসহিঞ্চুতা আর ক্রমবর্ধমান সহিংসতার প্রেক্ষিতে দুই নেত্রী হয়তো এমন কোন আলাদীনের প্রদীপ কিংবা যাদুর ক্যারিশমা নিয়ে জাতিকে এই জাহান্নামের মতো রাজনৈতিক অসহিঞ্চু অবস্থা থেকে রক্ষা করবেন, বাংলাদেশের ১৬/১৭ কোটি নিরন্ন জনতার সাথে আমিও সেই আশা করি।
কিন্তু কি হতে পারে দুই নেত্রীর সেই তেলেসমাতি, ক্যারিশম্যাটিক, যাদুর বাক্সে ? কেননা বাংলাদেশ এখন যে পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে, সেখান থেকে অধিকাংশ জনগণ এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক-পেশাজীবীরা, তেমন কোন ম্যাজিক সৃষ্টি করে বা বুধ-বুধের মতো ফু মেরে হাওয়ায় মিলিয়ে দিয়ে রাজনীতিকে খাদের কিনার থেকে তুলে আনার মতো সেরকম পরিবেশ, পরিস্থিতি কেউই তেমনভাবে লক্ষ্য করছেননা। আর অদূর ভবিষ্যতে যে তেমন কোন সম্ভাবনা আছে, সেটারও কোন নিশ্চয়তা কেউই দিতে পারছেননা। আপাত: দৃষ্টিতে সংলাপের মতো কোন পরিস্থিতি কেউই দেখছেননা, যদি হতো তবে টিআইবি, কিংবা হোসেন মোহাম্মদ এরশাদের সংলাপের পরিবেশ তৈরির ফর্মুলার কিছুটা হলেও আভাস পাওয়া যেতো। এই মুহূর্তে রাজনীতি এমন এক পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে, এতো অবিশ্বাস, এতো সন্দেহ, একে অন্যের প্রতি তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য এমন করে দানা বেঁধেছে যে, কেউ চাইলেও রাতারাতি পরিস্থিতি ঘুরিয়ে দিতে পারবেননা।
পৃথিবী ও এর বসবাসরত মনুষ্য সমাজ প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রী ব্যতীত পৃথিবীর আর কোন দেশের নেতা-নেত্রী যুগের পর যুগ একই পদে আসীন থাকেননা। ব্যতিক্রম শুধু বাংলাদেশ।আর এই ব্যতিক্রম বলেই প্রাক্তন স্বৈরাচার খ্যাত আর আজকের গণতন্ত্রের অপরিহার্য অংশ(শরীক/পার্টনার) হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ বেশ ঘটা করেই ৮৫ সালে বলেছিলেন, বাংলাদেশে সবই সম্ভব। আর সম্ভব বলেই দুই নেত্রী বছরের পর বছর নেতৃত্ব দিয়ে চলেন, তিনি সফল হউন আর নাই হউন। দুই নেত্রী কেন, সব কটা দলেরইতো একই অবস্থা। এখানে গণতন্ত্রের কথা বলা হয়, অথচ গণতন্ত্রের সব চাইতে সুন্দর ও দৃশ্যমান যে নতুন নেতৃত্বের চর্চা- এখানে ভুল করেও কেউ করেনা।বলা যায় করতে মানা, এটা করতে গেলেই মহাপাপ । সংস্কারবাদীর তকমা গায়ে লাগিয়ে বিদায় করার, কখনো কখনো একেবারে শেষ করে দেয়ার সকল ব্যবস্থাই পাকাপোক্ত করা হয়ে থাকে। সেকারণেই বাংলাদেশের নেতা-নেত্রীদের বিদেশীরা বলে থাকে ঐ দলের জমিদার উনি। কারণ গণতন্ত্রের মোড়কে দল এবং দেশ উনার কাছে ইজারা বা বন্ধক দেয়া হয়ে থাকে-এটা যেন ইংল্যান্ডের অলিখিত সংবিধানের মতো, যা অসম্ভব এক প্রথা- যাকে কেউ ইচ্ছা করলেও পরিবর্তন করতে পারবেনা। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অসহিঞ্চুতা আর আজকের রাজনৈতিক এই সহিংসতা মূলত: এখান থেকেই সৃষ্টি, যা আপনি-আমি কেউ চাইলেও সহসা কন ক্যারিসম্যাটিক, যাদু মন্ত্র দিয়ে পরিবর্তন করা যাবেনা।
এই ক্যারিশম্যাটিক, এই যাদু মন্ত্রের নিজস্ব যাদুর বাক্স জনতার সামনে খুলে দিতে পারেন কেবল মাত্র দুই নেত্রী, নিজেরা উদ্যোগী হয়ে। এই কারণে যে, অনেকতো হলো, সময়, পানি পদ্মার কালো জলে অনেক গড়িয়েছে। এবার ক্ষান্ত দে মা। ধরিত্রী বেচে যায়। দুই নেত্রীই ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় নিজেদেরকে একচ্ছত্র গণতান্ত্রিক বলে দাবি করে থাকেন। ইদানীং ওয়েস্ট মিনিস্টার স্টাইলের গণতন্ত্রের কথা বলে মিডিয়া মাতিয়ে রেখেছেন। ভালো কথা ওয়েস্ট মিনিস্টার গণতান্ত্রিক আচরণ, স্টাইল চালু করতে দুই নেত্রী দয়া করে নেতৃত্ব থেকে ইস্তফা দিয়ে দিতে পারেন, এই কারণে (ব্যর্থতা বলার দরকার নেই)যে যুগের চাহিদা, নতুন নেতৃত্ব বিকশিত করা, আগামীর সাথে নতুনের পরিচয় এবং দুয়ার খুলে দিতে নিজদের বয়সের কথা চিন্তা করে দল এবং পদ থেকে সরে গিয়ে যাদুর বাক্সের তেলেসমাতি দেখাতে পারেন। এতে একদিকে নতুন নেতৃত্বের সুযোগ যেমন সৃষ্টি হবে, অন্যদিকে নিজেদের কর্ম অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ দিয়ে দল, নেতৃত্ব ও দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করতে পারেন। যেমন করে করছেন নেলসন ম্যান্ডেলা। ইংল্যান্ডে যেদল ক্ষমতায় থাকে, সেই দলের নেতা নির্বাচনের আগে যেমন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাভুটির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে থাকে, আবার যখন দল ক্ষমতা থেকে সরে যায়, বা নির্বাচনে পরাজয় বরণ করে, তখনি কাউন্সিলের মাধ্যমে সেই দল তাদের নতুন নেতা নির্বাচন করে থাকে। এটাই গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ ব্যবস্থা। নেতৃত্ব ধরে রেখে গণতন্ত্রের পথ সুগম করা যায়না, যেমন করে করা যাচ্ছেনা বাংলাদেশে।
একই ব্যবস্থা আমেরিকা, ফ্রান্স, জার্মানি সহ প্রায় সকল গণতান্ত্রিক ও সেক্যুলার দেশে।
শুরুতে দুই নেত্রী তাদের যাদুর বাক্স ওপেন করে এমন অসম্ভব কোন যাদু দেখানোর কথা আমরা যেমন বলতে পারিনা, তেমন আশা করাটাও হবে বোকামি। তবে রাজনৈতিক দৃশ্যপটে একই মুখ, একই চেহারা দেখতে দেখতে একসময় মানুষ তাদের মুখ ফিরিয়ে নিবেই-এতে কোন সন্দেহ নেই। কারণ সৃষ্টির আদি কাল থেকে আজ পর্যন্ত মানুষ মাত্রই পরিবর্তনের প্রতি উন্মুখ । সিনেমা-নাটকে যেমন করে একই নায়ক-নায়িকাকে বারে বার জনতা লুফে নেয়না, ধীরে ধীরে নতুন মুখের দিকে ধাবিত হয়, রাজনীতির রঙ্গ-মঞ্চে এক সময় মানুষ নতুন মুখের দিকে ধাবিত হবেই। সে আজ হউক আর কাল হউক। তাই সময় থাকতে দুই নেত্রী স্বেচ্ছায় অবসরে যেতে পারেন, এতে কোন দুষ নেই। নিজেরা সরে যাওয়ার আগে আপাত অবস্থায় শুরুতে নিজ নিজ পরিবার থেকে নেতৃত্ব তুলে নিয়ে আসতে পারেন, তাতে অমঙ্গলের চেয়ে কিছুটা হলেও শুভ-মঙ্গলের সূচনা করে দেয়ার জন্য ইতিহাসে স্থান করে নিতে পারবেন। কারণ ইতিহাস কাউকে ছাড় দিয়ে কথা বলেনা। সেক্ষেত্রে শেখ হাসিনা নিজ বোন শেখ রেহানা শফিক , খালেদা জিয়া নিজ পুত্র বধূ ডাঃ জোবাইদা রহমানকে নেতৃত্বে নিয়ে আসতে পারেন। নিজেরা থেকে যেতে পারেন উপদেষ্টা হিসেবে, কিছুটা ক্ষমতা সহকারে, দলীয় সাংবিধানিক ভাবে। তাতে দল যেমন চাঙ্গা হবে, নতুন নেতৃত্বের স্বাদও জনগণ পাবে। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের রাজনীতি ও রাজনৈতিক দল সমূহের মধ্যে যে স্থায়ী নেতৃত্বের বন্ধ্যাত্ব চলে আসছে, সেটা যেমন দূর হবে, আমাদের ডেমোক্রেসিও অনেকটা প্রাণ ফিরে পাবে। আর এর ফলে তৃণমূল থেকে সঠিক এবং দেশ প্রেমিক সাঁচ্চা –খাটি আদর্শ নেতৃত্ব উঠে আসবে আস্তে আস্তে । এখানে দুই নেত্রী নিজেদের সন্তানদের এই মুহূর্তে নেতৃত্বে আসীন করা সঠিক হবেনা, তাহলে যাদুর বাক্সে ক্যারিশমার বদলে অজগর বের হবে। কারণ দুই গুণধরের একজন নানা কারণে বিতর্কিত ও আলোচিত, অন্যজন এই সরকারের বহির্বিশ্বের সকল টেন-পার্সেণ্টই নয় শুধু, কোন কোন ক্ষেত্রে পুরোটাই এতো সূক্ষ্মভাবে পকেটস্থ করেছেন, যেখান থেকে এই দুই তরুণের বেরিয়ে এসে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণে বাঙালি জনগণের কাছে বিরাট এক প্রশ্নবোধক চিহ্ন হয়ে আছেন।
বাংলাদেশের বিরাজমান নতুন নতুন শক্তির নয়া জাগরণে দুই নেত্রী যদি বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে না পারেন, তবে এই কলামে দৃঢ়তার সাথে বলে দিতে পারি, ২০১৪-২০১৫-২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশের ঊর্ধ্বমুখী নতুন নতুন শ্রেণী, গোষ্ঠী, সমাজ শক্তি সমূহের চাহিদা, আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধির ফলে, যে সব শক্তির জাগরণ ও অভ্যুদয় হবে, সেই সব শক্তি সমূহের চাহিদা ও আকাঙ্ক্ষার ফলে দলে দলে যে সংগ্রাম, মারামারি, ভয়াবহ সহিংসতা শুরু হবে, তা আজকে বুঝতে ব্যর্থতার পরিচয় দিলে, তা থেকে কেউই রক্ষা পাবেননা। আজকে নিজেরা সরে গিয়ে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টির সুযোগ করে না দিলে, ২০১৪-২০১৬ সালের বাংলাদেশ তাদেরকে আপনা আপনিই ছেড়ে দিবে, মাইনাস ওয়ান, মাইনাস টু কোন ফর্মুলারই প্রয়োজন হবেনা-যা আমরা কেউই চাইনা ।
Salim932@googlemail.com
20th April 2013,UK.
Another thing is the practice of Hartal. I think we must do something. This is a old Bangladeshi so called Democratic right. We must now write our name in guinness Book of record for marathon absence from Parliament and adopting Hartal as protest. This is an example of sheer undemocratic practice and malpractice to get rid off from day to day duties employed by our Constitution for people’s representatives from different corners of our society. If you want to protest go to Parliament and fight out. Without doing duties you are heading for another vote, why? Again the same result will repeat after the Vote with your void pledge declared by manifesto? They must include also what they will do after they are defeated in election because one party will be defeated and they cannot repeat the same, this has to be solved by peoples of Bangladesh.
Without going to Parliament both of the Leaders adopted most undemocratic way of making the Parliament inactive.
If the Parliament cannot function properly then why to waste time by arranging vote and spend 300 crore every five year? Better they can make contract democracy by serving for 5 years in each alternative period and distributing the power as per agreement on condition that no body will give Hartal and will attend and respect the National Parliament House. This 300 crore taka could be added to the ADP or Garment workers’ welfare fund. The most influential Economic observer Moody’s also expressed their concern regarding the latest affair of our Political situation.
i think our leaders has taken a kind of policy to just over look everything and adopted policy of time will be the best heeler. but we have to wait for how many more years to only attain political harmony? After 40 years also we the general citizen cannot get the freedom of movement then where is the fruit of our independence?
The solution for Hartal could be cutting all the utility facility to the hartal declarer leader’s residence, Industry, factory or Business Organization decalring that they have to taste the fruit of democracy as due to hartal govt cannot provide those facility to the Hartal declaring leaders and also theri car or vehicle must also be seized to take as security against any arsen to the private cars or vehicles. If the People’s vehicles are destroyed their own vehicles will get the same treatment. these are also our democratic right to decide to find solution from this World Record holders of absenting from Parliament and declaring Hartals when their is no harm is done for Government but to create agony for general People.
With the small head we have to think that who will suffer when the overall economy is going to ground level and the Foreign investors are fleeing away out of our country. It is the so called leaders will suffer coz our country will remain as unsolved problem to the world for ever and we shall die without seeing the fruit of our independence and our leaders and we shall demise from this world without seeing our children’s smile. is it a good proposition?
Please Please do something still time is there or else the Religious Heinous will eat our society.