আমি ইসরাফিল আলম এমপি-একদম নির্দোষ!
খামোশ বাংলাদেশ…
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ
আমি ইসরাফিল আলম এমপি, জনগনের প্রতিনিধি। এই আপনারা দিন-রাত কতো খাটা-খাটুনি করে আমাকে এমপি বানিয়ে সংসদে পাঠিয়েছেন।প্রতিনিয়ত টেলিভিশনের টক-শো গুলোতে আমি কতোনা নীতি বাক্য আপনাদের শুনাই, যা শুনে- শুনে আপনাদের নাভিশ্বাস।এইবার আপনাদের সেই মহা-উপদ্রব থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি নতুন এক ফর্মূলা আবিস্কার করেছি। এর রচয়িতাও যেমন আমি, বাস্তবায়ানকারিও আমি।আমার এই ফর্মূলা এতো, এতো জনপ্রিয় যে, ইতিপূর্বে ঘটে যাওয়া সকল চুরি-বাটপারিকে একেবারে পেছনে ফেলে কেল্লাফতে, মানে বিশ্বচ্যাম্পিয়নের খেতাব পেতে যাচ্ছে মাশাআল্লাহ। আর এ সবই আপনাদের দোয়া আর সমর্থনের বরকতে হয়েছে।আপনিও যদি আমাকে সমর্থন করেন, আমার ভক্ত হয়ে যান, আপনিও হয়ে যাবেন অনায়াসে কোটিপতি, নাম উঠে আসবে শিক্ষিত-স্বজন ও বিদ্যার পৃষ্টপোষক হিসেবে। এমনভাবে আপনার নাম ছড়িয়ে যাবে, যাতে বিদ্যার অধিষ্ঠাত্রীদেবী(হিন্দুদের মতে –আমার মতে নয়) মা স্বরস্বতীও (যাকে এখন ঘটা করে সবাই পূজো করে-)ভয়ে পালাবে।কেননা আমি ইসরাফিল আলম, আমার ক্ষমতা অনেক, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি আশীর্বাদ আমার মাথার উপরে-ভেবে দেখুন আমি কতোবড় শক্তিশালী এক সাংসদ।বদি,গিয়াস,লতিফরা গোন্ডামী করে যদি নাম কামিয়ে থাকে, বাবু সুরঞ্জিত যদি কালো বিড়াল তাড়াতে গিয়ে টাকার থলে সহ ধরাশায়ী হয়ে থাকেন, তবে আমি ইসরাফিল হলাম গিয়ে তাদের ওস্তাদ।কারণ আমি টাকা কামানোর মেশিন বানানোর সাথে জাতির মেধাকে আমার করায়ত্ব করে বাঙালি জাতিকে বিদ্যায়-বুদ্ধিতে পারদর্শী করার মহান ব্রত নিয়ে নয়া দখল বাণিজ্যের স্বার্থক এক রুপকার।তাহলে শুনুন আমার নয়া থিওরীর প্রাক-বিড়ম্বনা- বুঝলেন ভাইসব নীচের সংবাদ বিশ্বাস করবেননা, খালি হুদাই লেখে আর কী ?
২৪ মার্চের সংবাদঃইসরাফিল আলম এমপির পেটে অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়ঃ
২৪ মার্চের বাংলা নিউজ২৪ ও মানব জমিনের অনলাইন সংস্করণে একটা খবর পড়ে বেশ আঁতকে উঠি। রীতিমতো এক ভয়ঙ্কর এক ভবিষ্যতের দিকে ইঙ্গিত করা এক সংবাদ, যা আমাদের সর্বক্ষেত্রে ভয়াবহ এক পচনের, দুর্গন্ধের কথাই অকপটে প্রকাশ করার জন্য মানবজমিনকে ধন্যবাদ। ধন্যবাদ তার সাংবাদিক বন্ধুকে যিনি এই অরাজক পরিস্থিতির মধ্যেও অত্যন্ত সাহসের সাথে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট এরকম এক সংবাদ প্রকাশের জন্য। এতদিন জেনে আসছিলাম, আমাদের বৃহৎ দুটি দলের যে দলই ক্ষমতায় থাকে, তখন মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, শত্রু-সম্পত্তি, সরকারি জায়গা-জমি থেকে শুরু করে বাসা-বাড়ী, নদী-নালা, ডোবা যেন-তেন ভাবে জোর-জবরদস্তি আর নানা ছল-চাতুরী আর কৌশলীর সাহায্যে দখল বাণিজ্য চালিয়ে যায়। আর এই কাজে সহায়তা করে পার্টি, মন্ত্রী, সাংসদ, সরকারি সবকটা এজেন্সি,পুলিশ সহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, এমনকি আদালত পাড়া পর্যন্ত। কারণ গণতন্ত্রের লেবাসধারি একব্যক্তির খেয়াল-খুশীর সরকারে সকল প্রকারের জবাবদিহিতা ও সুশাসন থাকে অনিশ্চিত ও অনুপস্থিত। যে কারণে দলীয় নেতা-ক্যাডারদের দৌরাত্ম্য সীমাহীন পর্যায়ে চলে যায়, মানুষ হয়ে পড়ে জিম্মি ও অসহায়। এতোদিন এতোসব দখল বাণিজ্যের ও দখলের সংবাদই শুনে আসছিলাম, এমনকি ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদ দখলের জন্য খুনোখুনি ও রক্তপাত পত্রিকার পাতার মাধ্যমে জেনে আসছিলাম কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় দখল করে নিজের নামে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় গিলে ফেলার অসম্ভব এক নয়া দখলের জানান দিয়ে বিশ্ব-রেকর্ডে দাবিদারের প্রথম কাতারে নাম লেখালেন আমাদের মাননীয় সাংসদ।দখল, পাল্টা দখল এবং দখল বাণিজ্য-বিনা ইনভেষ্টম্যান্টে অধিক সহজ মুনফা- এই যে সংস্কৃতি তা কেবল একটা নির্ধারিত ছক ধরে এতোদিন চলে আসছিলো, যদিও সকল সময় এই দখল ও দখলের ব্যবসা তার নির্ধারিত সীমারেখার বাইরেও চলে যায়, যা ক্ষমতাসীন এবং তার হর্তা-কর্তাদেরও মর্মবেদনার কারণ হয়ে দেখা দেয়। কিন্তু ২৪ তারিখের দখলের এই সংবাদ-এ যেন গোটা জাতি ও তার আগামী প্রজন্মকে ধ্বংস করে দেয়ার জন্যে সকল সীমা রেখা ছাড়িয়ে গেছে।এ যেন ঐ প্রবাদের মতোই টুথ পেস্টের পেছন দিক থেকে আলতো করে চাপ দিয়ে ধীরে ধীরে গোটা জাতির মন-মনন-মেধা ধ্বংসের এক কু-বাণিজ্য চালিয়ে নিজের পকেট দস্যুবৃত্তির মাধ্যমে ভারী করার এক অভিনব প্রতারণামূলক শিক্ষা বাণিজ্য করার মাধ্যমে নিজেকে একটু-আধটু আধুনিক শিক্ষিত ব্যবসায়ী ও শিক্ষার পৃষ্ঠপোষক করে তুলার প্রচেষ্টা দেখে হতবাক না হয়ে পারিনি। খবরে প্রকাশ, আওয়ামীলীগ দলীয় সাংসদ ইসরাফিল এমপি প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ডঃ ইয়াজ উদ্দিন প্রতিষ্ঠিত অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, প্রশাসন, ট্রাষ্টি সহ সব কিছুই নিজে দখল করে একেবারে হজম করে ফেলেছেন। ইয়াজ উদ্দিন পত্নী ডঃ আনোয়ারা বেগম এই ইসরাফিল এমপি বছর দুয়েক আগে নিজে থেকে আগ্রহী হয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাষ্ট সদস্যের আহ্বান জানালে এই সাংসদ সুরঞ্জিত বাবুর মতোই একজন ট্রাস্ট সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তি হন। কিন্তু তা হলে কি আর চলে। তিনি একজন সাংসদ, তার উপর তার দল এখন ক্ষমতায়। টেলিভিশনের টক শোর বদৌলতে তিনি এখন বিখ্যাতও বটে। তাই বলে কি আর একজন সাধারণ সদস্য হলে চলে। কারণ তার যে চাই গোটা বিশ্ববিদ্যালয়টা তার নিজের সম্পত্তি হিসেবে করে নেয়ার, তাহলেইতো তার ষোল-কলা পূর্ণ হয়।সেজন্য স-গোত্রীয় তথাকথিত ভিসিকে সাথে নিয়ে ডঃ আনোয়ারার অনুপস্থিতিতেই তিনি একেবারে ট্রাস্টি চেয়ার বনে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে নিজের একচ্ছত্র মালিকানা নিয়ে ষ্টক এক্সচেঞ্জে নিবন্ধনকৃত নামটি পরিবর্তন করে নিয়ে নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করে নিয়েই উনি ক্ষান্ত হননি, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মূল ভবনের বিপরীতে নিজের ইচ্ছামতো ক্যাম্পাস বানিয়ে বেশ জোরে-শোরে উনি এখন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিক বনে গেছেন। একজনের মেধা, জ্ঞান, পরিশ্রম আর বিনিয়োগের পুরোটাই উনি চৌর্যবৃত্তির মাধ্যমে শুধু লুট নয়, একেবারে হরিলুট করার সকল ব্যবস্থাই উনি করে চলেছেন।
এবং ইসরাফিল আলম এমপিঃ-
ইসরাফিল এমপি সাহেব বলে কথা। উনি এখানেই থেমে থাকেননি, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তোয়াক্কা না করে নিজের ক্ষমতা আর প্রভাবে রাজধানীর বুকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈধ শাখা খুলে সার্টিফিকেট বাণিজ্য বেশ জোরে-শোরেই করে যাচ্ছেন। আর তার অবৈধ সব কাজের সহযোগী তার দলীয় ঐ প্রতারক(তার সার্টিফিকেট সহ ডক্টরেট ডিগ্রী সবই ভুয়া-আফতুল হাই শিবলি কমিশনের তদন্তে প্রমাণিত) ভিসি এবং দলীয় ক্যাডার বাহিনী। বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ মালিক, লাইসেন্সধারী, ট্রাস্টি ডঃ আনোয়ারা বেগম বড় অসহায়, অথচ খোদ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ডঃ আজাদ নিজেও পত্রিকায় বলেছেন অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয় ডঃ আনোয়ারা বেগমের নামে লাইসেন্স কৃত এবং তিনি এর বৈধ ট্রাষ্টি- যা ইউজিসি স্বীকার করে।
ইউজিসি এবং আমাদের মাননীয় ইসরাফিল এমপিঃ-
ইউজিসির চেয়ার নিজেও আওয়ামীলীগ পন্থী।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন সময়ে উনি প্রকাশ্যেই সরকারের একজন কট্টর সমর্থক ছিলেন, এ কে আজাদের অতীত কর্মকাণ্ডে সকলেই অবগত। তারপরেও তিনি নিজে বিবেকের তাড়নায় হউক কিংবা সমঝোতার বেড়াজালে আবদ্ধ হয়েই হউক সত্য অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেন, সেজন্য তিনি ধন্যবাদের দাবি রাখেন। কিন্তু বিরাজমান বাস্তবাতায় আর রাজনীতির এই পেশী শক্তির জয়-জয়কারের কালচারে আবদ্ধ বাংলাদেশে ইউজিসির চেয়ার স্বীকার করলেই বা কি আর না করলেই বা কি ।
কারণ আমি ইসরাফিল এমপি বলছিঃ-
ইসরাফিল আলম একজন সরকার দলীয় এমপি। তার ক্ষমতার জোর অনেক। তিনি ইসরাফিল আলম-সরকার দলীয় সাংসদ, তার সব দূষ-গুণ মাফ। বরং সরকার ও প্রশাসনে তার যোগ্যতার মাপকাঠি হবে তিনি কতো উপরি কামাই, ফাও মানি অর্জন করার নজির স্থাপন করতে পেরেছেন, কতো হিংস্র আচরণের নজির তিনি এই বাংলার আকাশে-বাতাসে রাখতে পেরেছেন-সেটাই হলো আসল।এখনকার সাংসদ কে কতো বেশী ছল-চাতুরী আর শয়তানীতে পারঙ্গম, তিনিই ততোবেশী নামী-দামি এমপি। গিয়াসউদ্দীন এমপি প্রকাশ্যে পিস্তল টেঁকিয়ে গুলি করে, বদি এমপি আইন নিজের হাতে তুলে নেয়, লতিফ নেতা একই কায়দায় বড় উচ্ছৃংখল আচরণ করে বিখ্যাত।ইসরাফিল আলম এমপি তাহলে কম কিসে ?বিপরীতে আনোয়ারা বেগমের ক্ষমতার জোর তেমন নেই বললেই চলে। উনার কাছে আছে শুধু একরাশ সুস্থ বিবেক, জ্ঞান-বিদ্যা আর ভদ্র- শোভনীয় আচরণ। সুতরাং উনাকেতো মালিকানা থেকে বের করে দেয়া হবেই। আজকের বাংলাদেশে উনি খুব বেমানান। ইউজিসির ক্ষমতা বা আইনগত শক্তি তেমন থাকা না থাকা এখানে মুখ্য বিষয় নয়, প্রধান বিবেচ্য বিষয় হলো কার পেছনে রাষ্ট্র আছে। আর এখনকার রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসী শক্তি যার আছে, সেই এখন যা ইচ্ছা খুশী তাই করবে। ইসরাফিল আলম অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়টি নিজের পেটের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে তাই আঙ্গুল দিয়ে সকলকে দেখিয়ে দিলো। দেখো আমার মতো ক্যালিভার আর ক্ষমতাশালী সাংসদ যদি হতে পারো তবে ছোট-খাটো চুরি-ডাকাতি আর খুন-খারাবী নয়, একেবারে জাতির পুরো মেধা চুরি করে কিভাবে চুরি বিদ্যা জাহির করে ভুয়া সার্টিফিকেট সমগ্র আমার মতো বিদ্যান বাংলাদেশের বুকে উৎপাদনের মেশিন বানানো যায়- ইসরাফিল আলম এমপি সেটাই দেখিয়ে দিলো।কিন্তু এইভাবে পুকুরচুরি করে এর শেষ কোথায় ? ইসরাফিল আলমদের মতো সাংসদদের বিবেকহীন অন্ধ স্বার্থের কাছে বাংলাদেশ নামক এই রাষ্ট্র আর কতোদিন শেকলে বন্দী থাকবে? নাকি এর পরে তার গুরু শেখ হাসিনার মতো গণভবন কিংবা প্রধানমন্ত্রীত্বের পদও ১ টাকার বিনিময়ে কিনে নিয়ে নিজের মালিকানায় সার্টিফিকেট বাণিজ্যের মাধ্যমে আরো কোটিপতি হবার দিবাস্বপ্নে বিভোর হবেনা কিংবা আর কোন ইসরাফিল এই রকম কৌশল প্রয়োগ করে চ্যাম্পিয়ন ট্রফিটা তার ললাটে লাগানোর উদগ্র বাসনা পোষণ করবেনা- এই রকম গ্যারান্টিতো আমার এই বাংলাদেশ দিতে পারেনা। কারণ, বাংলাদেশ এখন সহজে টাকা বানানোর, সহজে কোটি পতি হওয়ার, সহজে ডক্টরেট ডিগ্রীধারী হওয়ার, সহজে সমাজ দরদী, যশস্বী রাজনীতিবিদ,আর প্রতিষ্ঠিত হওয়ার এক উর্বর স্থান, যা সমগ্র পৃথিবী ঘুরেও দ্বিতীয়টি পাওয়া যাবেনা।কেননা, আজকের আমেরিকা,ব্রিটেন, হংকং,চীন যদি অসম্ভব কোন এক প্রযুক্তি আবিষ্কার করে এর কৃতিত্ব নিতে পারে, তবে বাংলাদেশ আধ ঘণ্টা পরেই জিঞ্জিরা ফ্যাক্টরি থেকে তার বিকল্প কিংবা অবিকল এক নকল সংস্করণ তৈরি করে বাজারে ছেড়ে দিবে। নতুন ক্রেতা যেমন প্রতারিত হবেন, নকলকারীর পেটতো ফুলে-ফেঁপে উঠবে। তাই যদি হয় তাহলে আমি ইসরাফিল আলম এমপি বিশ্ববিদ্যালয় প্রভাব খাটিয়ে দখল করে নিজের নামে লিখে নিয়ে, নিজের ক্ষমতা-প্রতিপত্তি খাটিয়ে প্রচলিত আইন-কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শাখা-প্রশাখা খুলে ইচ্ছে মতো সার্টিফিকেট ইস্যু করে নিজের আখের গোছালে এই জাতির লাভ বৈ ক্ষতিতো হবার কথা নয়।কি বলেন ভাইয়েরা আমার, বোনেরাও আমার- আমিতো আবার আপনাদের ভোটে আপনাদের জনপ্রতিনিধি!সংবাদ পত্রে যারা ডঃ আনোয়ারা বেগমের পক্ষে লিখেন, তারা সব মিথ্যুক, পাগল, কিচ্ছু বুঝেনা। আপনারা আমার কথা শুনেন, আমি সৎ এবং নিরপরাধ। অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাষ্ট বোর্ড আমাকে চেয়ার বানিয়েছে, সে হিসেবে আমি এর মালিক, এখানে আমার কি আর করার আছে। বোর্ড আমাকে যোগ্য মনে করে এই পদে বসিয়েছে, আমিতো নিজে থেকে হতে চাইনি। খামাখা আমার পেছনে সাংবাদিক ভাইয়েরা লাগছে, যারা অহেতুক লেগেছেন, সাবধান হয়ে যান, নাহলে কেইস করে দেবো-মানহানির মামলা খাবেন, জেলে পুড়ে ছাড়বো, নয়তো ক্লাস কমিটির শিক্ষা প্রয়োগ করবো । আমাকেতো নয়া এই ফন্দি-ফিকিরের ব্যবসা সহজেই করায়ত্তের জন্যে নোবেল কমিটি ক্রিয়েটিভ এওয়ার্ড প্রদানের জন্যে মনোনীত করা উচিত।কেউ না কেউ আমার এই অবদানে অনুপ্রাণিত হয়ে আমার নাম প্রস্তাবে এগিয়ে আসবেই, কারণ এটা বাংলাদেশ। অতএব খামোশ বাংলাদেশ! ইসরাফিলের জয় হউক।
25th March 2013.UK