সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ—
(প্রথম প্রকাশ সুরমা নিউজ,লন্ডন,দ্বিতীয় প্রকাশ আলোর মিছিল,ঢাকা,সিলেটের ডাক,উত্তরপূর্ব,সিলেট)।
সারাটা দিন প্রচন্ড দখল গেলো,প্রফেসর হেনরী একগাদা কাজ হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলেছেন,শীগ্রই শেষ করে ডীন অফিসে রিপোর্ট জমা দিয়ে বিল প্রস্তুত করে কালেকশনে জমা দিতে।যাওয়ার সময় এডমিন হয়ে সর্বশেষ ফিডব্যাক নিয়ে যেতে মনে করিয়ে দিলেন।এরই ফাকে মাকে নিয়ে রয়াল সিটি হাসপাতাল থেকে ডাঃ নাইলান্দারের চেম্বার এ চেক-আপ করাতে হলো,বিকেলে আমার মেয়ে রাইসা কে ডাক্তারে নিয়ে যেতে হলো।তেমন কিছু না একটু ঠান্ডা লেগেছে,আমার স্ত্রী সাজমুন বড় দুশ্চিন্তাগ্রস্থঃ রাইসাকে চেক-আপ শেষে ওর চাদের মতো হাসি দেখে সারাদিনের সকল কষ্ট নিমিষেই ভুলে গেলাম।
বাসায় ফিরে সান্ধ্যকালিন সংবাদ শুনে-শুনে শরীরে একটু ঝিমুনি,সোফায় শরীর এলিয়ে দিতে যাবো,এমন সময় আমার ভাতিজা শাব্বির লন্ডন থেকে(বলা বাহুল্য সে তখন বৃষ্টলের বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মাষ্টার্স করছিলো)ফোন করে যে সংবাদটি জানালো,রীতি-মতো শরীর কাপতে লাগলো।এই রকম সংবাদের জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলামনা,সম্ভবতঃ কেউ সচরাচর থাকেনওনা।শাব্বির জানালো,একটু আগে বড় ভাই (লাহিন ভাই নামে সর্বাধিক পরিচিত)ডঃ এ,এম,এ, মুহসী আমাদের ছেড়ে চিরদিনের জন্য মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছেন(ইন্নালিল্লাহে…রাজেউন)।শাব্বু আরো জানালো,বড় ভাই হার্ট এটাকে মৃত্যু বরণ করেছেন,মৃত্যুর আগের দিনও তিনি অনেকটা সুস্থ্য ছিলেন,পরিবারের সকল ভাই-বোনদের সাথে সারাদিন বনভোজনে কাঠিয়েছেন।সন্ধ্যার পর বাসায় বিশ্রাম নেন,রাতের দিকে নিজের শরীরের অস্বস্থির কথা জানালে,শেষ রাতের দিকে উনাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।সম্ভবতঃ নেওয়ার পথেই উনি ইন্তেকাল করেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৫ বছর।অত্যন্ত সাদা-সিধে অমায়িক এবং প্রখর বাস্তববাদি ডঃ মুহসী ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের প্রাক্তন ডীন-মৃত্যুর আগে বাংলাদেশ টিচার্স কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ বোটানী সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন।ব্যাক্তিগত জীবনে অতি নির্লোভ এবং প্রচার বিমুখ প্রথিত যশা এই বিজ্ঞানী খুবই অনাড়ম্বর জীবন যাপন করতেন। অত্যন্ত স্পষ্টবাদি বড় ভাই ডঃ মুহসী জীবনে পরিচ্ছন্ন, শৃংখলাপূর্ণ এবং স্বচ্ছতার অধিকারি ছিলেন।ইচ্ছে করলে তারই আপন ছোট ভাইদের(যেমন তখনকার সচিব ডঃ এ,কে,এ,মুবিন,এ,এম,এ,আব্দুল মুহিত,ডাঃ শাহলা খাতুন) সরকারী উচ্ছ-পদস্থদের ক্ষমতা-প্রতিপত্তি ব্যাবহার করে আরো অনেক উপরে চলে যেতে পারতেন।কিন্তু জীবনে কখনো একটিবারের জন্য সেই রকম কোন সুযোগ ব্যাবহার করেন নাই।এমনকি ঢাকা থেকে কৃষিবিদ্যালয়ে যাতায়াতের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সূযোগ-সুবিধা ভোগ না করে পাবলিক বাসে যাতায়াত করতেন,যা আজকের যুগে বড় বিরল।
২০০৩ সালে ডঃ মুহসী বিপত্নীক হন।বিবাহিত জীবনে তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।মেয়ে ডঃ নেহরীন মুহসী কানাডায় বসবাস করেন,পেশায় ইরিগেশন ইঞ্জিনিয়ার,ছেলে এফ,মুকিম ঢাকায় বসবাস করেন,পেশায় মার্চেন্ট শিপিং এ কর্মরত।
ডঃ মুহসীর পিতা মরহুম এ,এ,হাফিজ ছিলেন তৎকালীন সময়ের প্রখর ব্যাক্তিত্ত্ব সম্পন্ন একজন বিখ্যাত আইনজীবি,সিলেট জেলাবারের সাবেক সভাপতি ও একজন শিক্ষানুরাগী হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন।মাতা ছিলেন মরহুম সৈয়দা শাহার বাণু চৌধুরী,তৎকালীন সিলেটের বিখ্যাত জমিদার,সৈয়দপুরের ভূ-স্বামী মরহুম আবুল বশর চৌধুরীর জেষ্ট্যা কন্যা।আজকের সিলেটের সরকারি মহিলা কলেজ,বক্তিয়ার বিবি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্টান এই ডঃ মুহসীর পিতা এ,এ,হাফিজের এক অনবদ্য অবদান স্বরুপ আজো টিকে আছে কালের স্বাক্ষি হয়ে।ডঃ মুহসীর ছোট ভাই আজকের অর্থমন্ত্রী,প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ,আওয়ামীলিগ নেতা আবুল মাল আব্দুল মুহিত,আরেকভাই বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব ডঃ আবুল কাশেম আব্দুল মুবিন ছাড়াও আজকের জাতি সংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি,বোষ্টনের সাবেক অধ্যাপক ডঃ আব্দুল মোমেন,ছাড়াও রয়েছেন আমাদের জাতীয় অধ্যাপক প্রফেসর ডাঃশাহলা খাতুন।
আজ মনে পড়ছে,হ্রদয়ে বেজে চলছে-২০০৬ সালের সিলেটের হাফিজ কমপ্লেক্স এ এমনি একদিন বিকেলে বড় খালা ও খালুর মৃত্যুবার্ষিকীর মিলাদ মাহফিল ও শিরনী বিতরণ শেষে সবাই চলে গেলে,বড় ভাই আমাকে আদরের সাথে একাকী ডেকে নিয়ে স্বভাবসূলভ কুশলাদির পর নিজের জীবনের গভীর উপলব্ধি ও বাস্তবতার আলোকে চমৎকার সব অভিজ্ঞতার ঝুলি যখন একে একে বর্ণনা করে যাচ্ছিলেন,আমি তখন তন্ময় ও অভিভূত হয়ে যাচ্ছিলাম।এতো কাছে থেকে বড় ভাইকে,এমন একাকি,এমন নিভৃতে পেয়ে দুজনেই যেন হারিয়ে গেলাম দিগন্তে থেকে দিগন্তে।আমি বিশ্বাস করি,দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি-কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ,সরকার এরকম একজন প্রথিতযশা শিক্ষক,গবেষকের স্মৃতি রক্ষার্থে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনের নামকরণ ডঃ এ মুহসীর নামে নামকরণ করা যায় কিনা,কর্তৃপক্ষ ভেবে দেখতে পারেন।বাংলাদেশ বোটানিক্যাল সোসাইটি ও টিচার্স কাউন্সিলের নের্তৃবৃন্দ এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আসবেন বলে আমি মনে করি।
ডঃ এ মুহসী জীবিত অবস্থায় কখনো কিছু চেয়েছেন বলে আমার জানা নেই, বরং অত্যন্ত সাদা মনে নীরবে-নির্ভৃতে ক্রমাগত জাতিকে দিয়ে গেছেন।জীবনের শেষ সায়াহ্নে নিরবেই সকলের অগোচরে চির নিদ্রায় চলে গেছেন।এই বিশাল হ্রদয়ের মানুষের প্রতি সবটুকু শ্রদ্ধ্বা ও ভালোবাসা নিবেদন করে মহান আল্লাহর কাছে কামনা করছি,উনাকে যেন জান্নাত বাসী করেন,আমিন।
প্রফেসর ডঃ আসাদ-উজ-জামান-
ডঃ এএমএ মুহসীর শোক কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ২৮ মার্চ ২০০৮ ভোর বেলা আরো এক ধাক্কা খেলাম।তখন মাত্র কাজে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতেছিলাম।ঢাকা থেকে এসএমএস পেলাম,প্রিয় বন্ধু মোটা মামুনের কাছ থেকে-আমার প্রিয় শিক্ষক, প্রফেসর ডঃ আসাদ-উজ-জামান ইন্তেকাল করেছেন(ইন্নালিল্লাহে… ওয়া ইন্নাইলাইহে রাজেউন)। মোবাইলে এসএমএস পেয়ে একেবারে স্তব্ধ হয়ে গেলাম,মুখ থেকে কোন কথাই বের হচ্ছিলনা।শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিলো।পাগলের মতো ঢাকায় ফোন করলাম,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক এডমিনিষ্ট্রেশন ডিপার্টম্যান্টে ফোন করে স্যারের মৃত্যুর বিস্তারিত অবগত হলাম।ঢাকায় কয়েক জায়গায় ফোন করলাম,বন্ধু জুয়েল, মামুন, মিথু, খালেদ,রাশেদকে ফোনে চেষ্টা করেও পেলামনা।আসাদ স্যরের বাসায় ফোন করলাম।স্যরের ছেলে অপু,সাথী তখন অঝোর ধারায় কেধে চলছিলো,কথা বলতে পারছিলোনা,কিভাবে যে তাদের শান্তনা দেবো-ভেবে পাচ্ছিলামনা।অপুকে শান্তনা দিয়ে কষ্টের সাথে বললাম,মাকে দেখে রাখতে,রাতে আবার ফোনদেবো বলে লাইন রেখে দিলাম।
আমার প্রিয় শিক্ষক প্রফেসর আসাদ-উজ-জামান ছিলেন অত্যন্ত কোমল হ্রদয়ের মানুষ।সদা হাস্যোজ্জ্বল এই মানুষটি অতি সহজেই সকলকে আপন করে নেওয়ার অসম্ভব এক দুর্দমনীয় ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন।একজন শিক্ষক,একজন মানবতাবাদী, সমাজ হিতৈষী, পরোপকারী এই মানুষটি ছাত্র-শিক্ষক সকলের কাছে ছিলেন অত্যন্ত শ্রদ্ধ্বার পাত্র।
বিভাগীয় ক্লাশ, টিউটোরিয়াল ক্লাশ, টিচার্স লাউঞ্জের যেখানেই স্যারের সাথে দেখা হয়েছে, স্যার সব সময়ই অত্যন্ত আপন করে কাছে ডেকে নিতেন।যত্ন করে ক্লাশ লেকচার বুঝিয়ে দিতেন।প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রী অতি সহজেই আত্নস্থ করে নিতো।যেকোন রিকমেন্ডশনের জন্য গেলে অতি সহজেই স্যার লিখে দিতেন।আমাকে স্যার ভীষণ স্নেহ করতেন।বাসায় নিয়ে গিয়ে ভাবী ও ছেলে-মেয়েদের সাথে আপন স্নেহে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন।আমার বড় বোন শীপা আজিজাও স্যারের ছাত্রী ছিলেন,স্যার বেশ গর্ব করে সহপাঠীদের সাথে এই সব আলোচনা করতেন।স্যার আমাকে এতো স্নেহ করতেন যে,আমার জন্য অনেক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক মেধাবী ছাত্রীদের মধ্য থেকে জীবন সঙ্গী করে নেওয়ার তুলনামূলক বিচারে শ্রেষ্টত্তের দিকের দ্যূতিয়ালি করে চূড়ান্ত সিদ্ধ্বান্তও দিতে কার্পন্য করতেননা।আমাকে ডাকসু নির্বাচনে জাসদ ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে এজিএস পদে প্রতিদ্বন্ধ্বিতায় অবতীর্ণ হতে দেখে অনেক হীতোপদেশ এবং একইসাথে সকল ক্রিয়েটিভ সোর্সের সমন্বয় করে দিয়েছিলেন।
প্রফেসর আসাদ-উজ-জামান অত্যন্ত উচু মানের একজন শিক্ষক ছিলেন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধারে একজন প্রবীন শিক্ষক,বিভাগীয় চেয়ারম্যান,সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ছাড়াও ছিলেন জসীম উদ্দীন হলের হাউসটিউটর,মৃত্যুর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ত্ব অত্যন্ত সুচারু এবং দক্ষতার সাথে পালন করেন।
বিভিন্ন আলোচনায় স্যার আমাকে উনার তানজানিয়ায় এমপিএ ডিগ্রীর শিক্ষাজীবনের নানা বিচিত্র অভিজ্ঞতা ছাড়াও পা-এক্সিডেন্ট করে সেরে উঠার দুর্দমনীয় মনোবল ও সেলফষ্টেমিনার কথা আমাকে দারুণভাবে অভিভূত করে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার শিক্ষাজীবনে আমি স্যারকে এতো ব্যাস্ততার মাঝেও পাচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় ও শৃংখলা এবং নিয়মানুবর্তিতা সম্পন্ন, অত্যন্ত নিষ্টাবান মানুষ হিসেবে দেখেছি।প্রাতঃকালীন ও বৈকালিক ভ্রমণে আনেকদিন স্যার আমাকে সঙ্গী করে নিতেন।
খুব সম্ভবতঃ ১৯৯১ সালের দিকে,আমি তখন সিলেটে,শিক্ষাজীবন শেষ করে কিছুদিন আরব-বাংলাদেশ ব্যাংকের হেড অফিসে চাকুরির ফাকে বিসিএস-এর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।এমন সময় বাউ-এর কর্মকর্তা ও জেলা প্রসশাসকের অফিস থেকে জরুরী সংবাদ বাহকের মাধ্যমে একটি চিরকুট পেলাম।আমার পাবলিক এডমিনিষ্ট্রেশন ডিপার্টম্যান্ট-এর(আমার তিন ব্যাচ পরের)ছেলে-মেয়েদের নিয়ে স্যার শিক্ষা সফরে এসেছেন।আমাকে নাকি স্যার এবং ছাত্র-ছাত্রী সবাই তাদের সঙ্গী হিসেবে চাচ্ছেন।সঙ্গে-সঙ্গে তথায় গমণ করলাম।মনে পড়ছে,আমাকে দেখে স্যার এবং ছাত্র-ছাত্রীরা খুব খুশী হয়েছিলেন।তখনকার ছাত্র-ছাত্রীদের সেই দলের সাথে আজকের জনপ্রিয় মডেল ফায়সাল ও অভিনেত্রী জয়া আহসান ছিলেন,সকলেই আমাকে নিয়ে সে কি আনন্দ করলেন,আজও মানস পটে তা চিরভাস্বর হয়ে আছে।
আইএফআইসি ব্যাংকের চাকুরী ছেড়ে লন্ডনে যখন পাড়ি জমাই,স্যার তখন বড় ভাইয়ের মতো উপদেশ দিয়ে ঢাকায় ফিরে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে জয়েন করতে বলেছিলেন।নানা কারণে আর ফিরে যাওয়া হয়নাই।তবে টেলিফোনে, ফ্যাক্সে, মোবাইলে অনেক কথা হতো।বারবার আমাকে বলতেন,দেশে ফিরে যেতে,বলতেন আমার কর্মক্ষেত্র ঢাকা,বিদেশ-বিভূই নয়, বলতেন দেশে গেলে ঢাকায় বেড়াতে যেতে।জিজ্ঞেস করতেন,কবে যাবো?আমার বড় ছেলে রাইমকে দেখার বড় সাধ ছিলো স্যার-এর।২০০১ সালে সে কারনে সিলেট যেতে উনি প্রস্তুতও ছিলেন।কিন্তু পারিপার্শ্বিক অবস্থা অনুকূলে না থাকায় সে যাত্রা আর যাওয়া হয়নাই,সে কি আফসোস স্যারের।স্যারকে বলেছিলাম সহসাই চলে আসবো,যে কোন দিন,-সেই কোনদিন আর হয়ে উঠেনি।বুকের মাঝে আজ বড় কষ্ট,বড় যন্ত্রণা,বড় আকুতি স্যারের সাথে আর কখনো দেখা হবেনা।স্যারের মতো আর কেউ এমন করে খোজ নিবেনা,সময়ের সাথে বাস্তব সম্মত জীবন ঘনিষ্ট সুন্দর পথের উপদেশ ও নির্দেশনা আর কেউ দেবার রইলোনা।আসাদ স্যার এর মৃত্যুতে আমি সত্যকারের একজন অভিভাবক হারালাম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি সবিনয় নিবেদন,আসাদ স্যারের মতো এমন মানবতাবাদী,পরোপকারী,অমায়িক-বন্ধুসুলভ এই শিক্ষকের স্মৃতি রক্ষার্থে একটি সেমিনারের নামকরণ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্মারক বক্তৃতামালা কিংবা একটি ভবনের নামকরণ করা যায় কিনা ভেবে দেখতে পারেন।আসাদ স্যারের পরিবারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ,সিন্ডিকেট আর্থিক ব্যাবস্থা বা ফান্ডের ব্যাবস্থা করতে পারেন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সমহিমায় মহিমান্বিত বিশাল হ্রদয়ের শ্রদ্ধেয় স্যার প্রফেসর ডঃ আসাদ-উজ-জামানের প্রতি নিবেদন করলাম সকল ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধ্বাঞ্জলী,সেই সাথে প্রিয় অপু আর পরিবারের সবার প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা এবং সমবেদনা।
5th October 2008,UK.
নীচের ছবিতেঃ প্রথম ছবি-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় পিকনিকে মরহ্যম প্রফেসর আসাদ-উজ-জামান সহ সেলিম—(১৯৮৯-সম্ভবত)
দ্বিতীয় ছবি-মরহুম প্রফেসর এ মুহসী,মৃত্যুর আগের দিন তোলা ছবি।