সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ-ইউ,কে,থেকে
টনি ব্লেয়ার,সাবেক ব্রিটিশ প্রাইমমিনিষ্টার,বর্তমানে ফেইথ রিলিজিয়াস ফাউন্ডেশনের প্রধান এবং ই,ইউ এনভয় ফর মিডিলইষ্ট কান্ট্রিজ,যিনি প্রধানমন্ত্রী থাকা কালে ধর্মীয় কোন বিষয় আলোচনাতে খুব উষ্মা ও বিরক্তি প্রকাশ করতেন,এমনকি যার প্রধান উপদেশষ্টা তথা স্পিন ডক্টর মিঃ আলেষ্টার ক্যাম্পবেল অসহিষ্ণু হয়ে বলেছিলেন, “আমাদের কোন গড নেই”।সেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার গতকাল ওবজারভার ম্যাগাজিনের সাথে এক সাক্ষাতকারে অত্যন্ত খোলাখুলি ভাবে বলেছেন যে, “তিনি প্রতিদিন বেশ আনন্দের সাথে মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করেন।“
এই সম্পর্কে অনলাইন ডেইলি মেইল তাদের কভার ষ্টরীতে বলেছে,২০০৭ সালে ডাউনিং ষ্ট্রীট ছেড়ে আসার পর থেকে মিঃ টনি ব্লেয়ার রিলিজিয়ন বিষয়ে অনেক খোলাখুলিভাবে বেশ গুরুত্ব দিয়ে আসতেছেন।দশ নম্বর ডাউনিং ষ্ট্রীট ছেড়ে আসার পর থেকে তিনি কিভাবে কোরআন পড়া শুরু করেন সাক্ষাতকারে তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন।
ব্লেয়ার দৃঢ়তার সাথে উল্লেখ করেন,পবিত্র কোরআন শরীফ মুসলমানদের কাছে “আল্লাহর প্রকৃত বাণী(ওয়ার্ড)”।তিনি বিশ্বাস করেন তার ফেইথ-লিটারেট হওয়াকে আজকের পৃথিবীতে ক্রুসিয়েল গ্লোবালাইজড বলে উল্লেখ করেন।তিনি বলেন আমি প্রতিদিনই কোরান পড়ে থাকি,পৃথিবীতে যা কিছু ঘটতেছে,তা থেকে আমি কিছুটা ধারণা পেয়েছি এবং এই কারণে পড়ি তা `প্রকৃতই এক অসাধারণ নির্দেশনামুলক।`
টনি ব্লেয়ার বিশ্বাস করেন,ধর্মীয় বিষয়ে এই ধারণা আবশ্যই তার বর্তমান কর্মক্ষেত্রে একজন ই,ইউ এনভয় হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আনয়নে বিশেষ করে ঈসরাঈল-প্যালেষ্টাইন কনফ্লিক্ট নিরসনে,আলোচনায় অনেক সহায়ক হবে।এর আগে এক তথ্যবিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে,মিঃ ব্লেয়ার এর বর্তমান রোল একজন মধ্যপ্রাচ্য এনভয় হিসেবে ব্রিটিশ করদাতাদের ২ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ হবে।
মিঃ ব্লেয়ার তার সাক্ষাতকারে আরো এক ধাপ এগিয়ে বলেন,`মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাস সৌন্দর্যে ভরপুর,এবং বিশ্বনবী মোহাম্মাদ মোস্তফা সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে তিনি `এন ইনরমাউসলী সিভিলাইজিং ফোর্স“ বলে উল্লেখ করেন,যেখানে ২০০৬ সালে তিনি পবিত্র কোরআনকে রিফর্মিং গ্রন্থ হিসেবে উল্লেখ করে জ্ঞান-বিজ্ঞান এর সাথে সুপারষ্টিটিউশন সাথে তুলনা করে বিবাহ-শাদি,নারী উন্নয়ন এবং গুড গভরন্যান্স এর জন্য কোরআনের বাস্তবতা বলে উল্লেখ করেছিলেন।কিন্তু একই সময় কোরআনকে সন্ত্রাসের সাথে লিঙ্ক করে তার বক্তব্য তোলপাড় তুলেছিলো,যা গোড়া মুসলমানদের দ্বারা চরম বাধা এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের কারণে অনেক সমালোচিত হয়েছিলেন।
টনি ব্লেয়ার যখন প্রধানমন্ত্রী তখন ২০০৫ সালের ৭ জুলাই লন্ডনে আন্ডারগ্রাউন্ডে বোমা হামলার ফলে ঐ সময় ৫২ জন সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছিলেন।
উল্লেখ্য টনি ব্লেয়ারের শ্যালিকা সাংবাদিক মিস লরেন বোথ এর আগেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।ধারণা করা হয়,ব্লেয়ার মিস লরেন বোথ থেকে কোরআন পড়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছেন এবং তার কারণেই অনেক ক্ষেত্রে ইসলাম,মুসলমান, এবং পবিত্র আসমানী কিতাব কোরআন সম্পর্কে বর্তমান ধারণায় উপনীত হয়েছেন।ব্লেয়ার যখন প্রধানমন্ত্রী তখন কসভো সহ ইরাক,সিয়েরা লিওন, আফগানিস্তানে ইন্টারভেনশন করেন।
8th March 2012.