টিপাই মুখ বাধ-প্রাসঙ্গিক ভাবনা-

টিপাই মুখ বাধ-প্রাসঙ্গিক ভাবনা-

সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ

বেশ ক ব্যসর হলো বাংলাদেশ-ভারত ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষ করে বাংলা ভাষাবাসী মানুষের কাছে সব চাইতে আলোচিত,সবচাইতে সমালোচিত বিষয় হলো ভারত সরকার কতৃক একতরফা ভাবে বাংলাদেশ সংলগ্ন ভারতের মণিপুর রাজ্যে বরাক নদীর উপর টিপাইমুখ বাধ নির্মাণের সিদ্বান্ত গ্রহন ও এর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পর্‍্যায়ক্রমে কার্‍্যক্রম গ্রহন।অথচ বাংলাদেশের হাজারো সচেতন নাগরিকের প্রতিবাদ,সকল পরিবেশ বিশেষজ্ঞ,নদী ও পানি বিশারদ,এমনকি খোদ ভারতের আসাম,মণিপুর রাজ্যের সকল নাগরিক, পরিবেশবিদ, এমনকি খ্যাতিমান আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সু-পরামর্শ উপেক্ষা করে ভারত বলা যায় একতরফা ভাবে উজানদেশের সুযোগে ভাটিদেশের তথা বাংলাদেশের জনগণের কোন স্বার্থ-সংশ্লিষ্টতার দিকে না চেয়ে শুধু মাত্র কতিপয় ব্যাবসায়ীদের স্বার্থের দিকে চেয়ে এরকম ভয়ংকর এক বাধ নির্মাণের পরিকল্পণা হাতে নিয়েছে,যা কেবল ভয়াবহই নয়,বরং বিশেষজ্ঞরা অভিমত ব্যাক্ত করেছেন,এর ফলে বাংলাদেশ তথা গোটা সিলেট অঞ্চল এক ভয়াবহ বিপর্‍্যের মুখে পড়বে।ভারত সরকার বোধগম্য কারণেই বাংলাদেশকে শুধু ফারাক্ষার আদলে আশ্বস্থই করে আসতেছে যে বাংলাদেশের ক্ষতি হয় ভারত এমন কিছুই করবেনা,এমন আশার বাণী ভারত বরাবরই দিয়ে এসেছে।কিন্তু তাদের সে আশার বাণী শুধু বাণী হয়েই আছে,বাস্তবতার আলো কখনো দেখেনি, কি সেটা অর্থনীতির সাহায্যের ক্ষেত্রে,কি সেটা বাধ,সড়ক-রেলপথ সংস্কার আর সেটা হঊক ব্যাংক রীনের ক্ষেত্রে-সব ক্ষেত্রেই শুধু আশ্বাস আর আশ্বাস।আলোর মুখ আর দেখেনি।

অভিন্ন নদীর অববাহিকায় কোন এক দেশ এককভাবে কোন বাধ,রিজার্ভার, কিংবা পানি যথেচ্ছভাবে ব্যাবহারের সুবিধা ভোগ করতে পারেনা,আন্তর্জাতিক রীতি-নীতি এবং জাতিসংঘ ঘোষিত নীতিমালার পরিপন্থী।

১৯৬৬ সালে হেলসিনকী নীতি মালায় বলা হয়েছে ;-

“প্রতিটি অববাহিকাভূক্ত দেশ, অভিন্ন নদীর ব্যাবহারের ক্ষেত্রে অন্য দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রয়োজন বিবেচনা করবে।এজন্য অবশ্যই অন্য দেশের যাতে কোন ক্ষতি না হয় সেদিকে দৃষ্ঠি রাখতে হবে।“একই বক্তব্য ১৯৯৭ সালে জাতিসংঘ নীতি মালায় ও বর্ণিত হয়েছে।

১৯৯২ সালে ইঊএনইপি কনভেনশন অন বায়োলজিক্যাল ডাইভার্সিটিস এ সুস্পষ্ঠভাবে বলা হয়েছে– “পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশ বিশ্বের পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র সংরক্ষণের জন্য প্রতিশ্রুতবদ্ব ।“

১৯৭১ সালের ইউনেসকো ওয়েটল্যান্ডস এর উপর রামসার কনভেনসন ঘোষনায় বলা হয়েছে,– “পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশ প্রকৃতি এবং জলজ জীব-বৈচিত্র সংরক্ষনের জন্য জলাভূমি রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতবদ্ব ।“

আরো পরিষ্কার ভাবে ড্যাম নিয়ে ১৯৯৮ সালে ওয়ার্লড কমিশন অন ড্যামস,যা বিশ্ব ব্যাংক এবং আইইউসিএন ইষ্টাবলিশড করেছে,সেখানে বলা হয়েছে,- কোন নদীতে বড় ড্যাম তৈরী করতে চাইলে সেই নদী বেসিনের মানুষের কাছে অবশ্যই এই ড্যামের গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে হবে ( এখানে লক্ষ্যণীয় যে, সরকারের গ্রহণযোগ্যতা নয়, বরং বলা হয়েছে জনগণের গ্রহণযোগ্যতা প্রয়োজন)।

এখানে আরেকটি বিষয় বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য যে ড্যামের উচ্চতা ১৫ মিটারের বেশীহলে এবং জলাধারের ধারণ ক্ষমতা ৩ মিলিয়ন কিউবিক মিটারের বেশীহলে ডব্লিউসিডি একে বড় ড্যাম হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

আমাদের সকলের মনে রাখা দরকার যে, ভারতের এই টিপাইমুখ বাধ উপরে উল্লেখিত বড়

বাধের সংজ্ঞার চাইতে ১১ গুন বেশী উচু এবং এর জলাধার ৫০০ গুন বেশী বড়।

আমাদের দেশের শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক পানিবিশেষজ্ঞ ড,আইনুন নিশাত,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিথযশা আইনের অধ্যাপক ড,আসিফ নজরুল,ভূ-তত্ত্ব বিশারদ ড,আব্দুর রব সহ সর্বস্থরের বিশেষজ্ঞ,রাজনীতিবিদ,পরিবেশবিদ,ছাত্র,যুবসমাজ,কৃষক,সমাজ বিশ্লেষক, এমনকি কট্টর আওয়ামীলীগ করেন তিনিও এই বাধের ভয়াবহতা নিয়ে শংকিত এবং প্রতিবাদ মুখর,গোটা সিলেট অঞ্চল আজ বিক্ষোভ আর প্রতিবাদে উত্তাল,কারণ এটা বিশেষকরে সিলেট অঞ্চলকে করবে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্থ।

একথা কারো ভুলে গেলে চলবেনা যে, অপরিকল্পিত যে কোন প্রকল্পের তাতক্ষণিক প্রতিক্রিয়া অনেক সময় সংগে-সঙ্গে দৃশ্যমান হয়না বটে,কিন্ত যখন এর প্রতিক্রিয়া হয় তখন এর ভয়াবহতা মানুষের কল্পণারও বাইরে হয়ে থাকে, যেমন করে হয়েছিলো ভূপাল ট্টাজেডি,চেরনোবিল ট্টাজেডি,এবং অতি সম্প্রতি সুনামির ভয়াল রুপের থাবায় লণ্ড-ভণ্ড জাপানের পারমানবিক চুল্লির ধংসস্থুপের ভয়াবহতা পরিমাপ করতে জাপান সহ বিশ্বকে আজও হিম শিম খেতে হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা এমনিতেই আশংক্ষা করেছেন ভুমিকম্পের ডেঞ্জার জোন এ সিলেট অঞ্চল হওয়াতে রিখটার স্কেল ০.৭ এর মতো মাঝারী ধরনের ভূমিকম্প হলে গোটা সিলেট অঞ্চল ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হবে যা কল্পণারও বাইরে, ভারতের এই বাধতো ভূমিকম্প জোনের একেবারে মধ্যখানে অবস্থিত।একবার নিজেই ধংস্থুপের কিংবা অতিসম্প্রতি হয়ে যাওয়া তুরস্কের ভূমিকম্পের দিকে মনের আয়নায় ছিবিটা কল্পণা নয়,বাস্তবতার নিরিখে চিন্তা করে দেখুন ভারত তার নিরংকুশ ক্ষমতা আর আধিপত্যের বলে কি ভয়ংকর এক প্রকল্প নিয়ে এগুচ্ছে, যা আমাদের মরণ ডংকা বাজিয়ে দিয়েছে।

ভারতের অভ্যন্তরে মিজোরাম,আসাম,মণিপুর এর সকল শ্রেণীর জনগণ এই টিপাইমুখ বাধের বিরুদ্দ্বে সোচ্চার,তা সত্ত্বেও ভারত বলা যায় একতরফা ভাবে এই বাধের কার্যক্রম চালিয়ে যাবার লক্ষ্যে একের পর এক উদ্যোগ গ্রহণ করে চলেছে।আশা ছিলো কোলকাতার মুখ্যমন্ত্রী জনতার নেত্রী মমতা হয়তো জনতার এই দাবীর সাথে একাত্ত্ব পোষণ করে বাধের বিরুদ্দ্বে সোচ্চার হবেন,তাতেও গুড়ে বালি।মমতার মতো নেত্রীরা কুর্সি পেলে ভুলে যান জনগণের ব্যাথার কথা,যেমন করে ভুলে যান আমাদের নেতা নেত্রীরা।আশ্চর্য হই, ভেবে অবেক হই, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর দুই মহারথী উপদেষ্টা ড,রিজভী ও ড,মশীউর এর বক্তব্য মিডিয়াতে শুনে,নিজেকে নিজেই ধিক্কার দিতে ইচ্ছে করে এই কি আমার বাংলাদেশের সোনার রথী-মহারথী,যারা জনগণের ট্যাক্সের টাকায় আরাম আয়েস করে জনগণের সেন্টিমেণ্টের বিরুদ্দ্বে অবলীলায় শুধু বলতেই পারেননা,ভারতের ভাষায় কথা বলেন এবং জনগ্ণকে আশ্বস্থ করে টিপাই মুখ বাধের ব্যাপারে ব্রীফ করেন।সন্দেহ নেই উনারা দুজনই বিশাল বড় ডিগ্রী নিয়ে নিজেদের ঝুলিতে অভিজ্ঞতার বিশাল ভাণ্ডার নিয়ে প্রতিনিয়ত আমাদেরকে অনেক ধন্য করে আছেন। কিন্ত মনে রাখা দরকার যে জ্ঞান,যে অভিজ্ঞতা জনগণের কোন কাজে না লেগে বরং দূর্ভোগের কারণ হয়ে দেখা দেয়,ধিক,শত ধিক সেই বড় পাণ্ডিত্যকে।

টিপাইমুখ বাধের বিরুদ্দ্বে সারা বিশ্বের প্রবাসী সকল জনগণ বিশেষ করে সিলেটের প্রবাসীরাও আজ একতাবদ্দ্ব,লণ্ডনের কমিউনিটি নেতা কে,এম,তাহের,নর্থ ইষ্ট ইংল্যণ্ডের কমিউনিটি ব্যাক্তিত্ত্ব এ,এন,এম ইসা সহ গোটা ইংল্যান্ড এর প্রবাসীরা আন্দোলনে ফোসে উঠেছেন,তারা নানান কর্মসূচী পালন ইতিমধ্যে শুরু করেছেন,আটলাণ্টিকের ওপারের দেশ আমেরিকার প্রবাসীরা আন্তর্জাতিক লবিষ্ট নিয়োগ সহ নানা কর্মসূচীর কথা ভাবছেন,বলা যায় দল-মত নির্বিশেষে সকল বাংলাদেশী,বাংগালীরা আজ ঐক্যবদ্দ্ব,একটাই দাবী যে কোন ভাবেই হোক বাংলাদেশের স্বার্থ বিরুধী ভারতের এই টিপাই মুখ বাধ নির্মাণ রুখতেই হবে।

টিপাই মুখ বাধ নিয়ে গোটা সিলেট এবং বাংলাদেশ যখন উত্তাল তখন শুরু হয়েছে সেই পুরনো রাজনীতি,কেউ কেউ টিপাই নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করতেছেন,যেমন করছেন এরশাদ সাহেব।কিন্ত সকলের এটা খুব ভালো করে মনে রাখা দরকার যে এটা আমাদের সিলেটবাসীর এবং বাংলাদেশের জীবন-মরণ সমস্যা,আমরা সিলেটবাসী কাউকে এটা নিয়ে রাজনীতি করতে দেবনা।

শেখ হাসিনার নের্তৃত্বে মহাজোট নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেও বাংলাদেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট এরকম একটি ভয়াবহ বাধ যা দেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক,এর প্রতিবাদ এবং এর বিরুদ্দ্বে যে রকম জোরালো কূটনীতি এবং রাজনৈতিক দৃঢ় সিদ্দ্বান্ত গ্রহণ জরূরী,ঠিক সেই খানে বাংলাদেশের প্রতিবাদ এবং কূটনীতি কেন যেন অতি নিব-নিব প্রদীপের মতো টিম টিম করে জ্বলতেছে রাজনীতি সংশ্লিষ্ট সহ কূটনীতিপাড়া এমনকি সরকারীদলের সাধারণ জনগণসহ সচেতন নাগরিক বড় অবাক বিষ্ময়ে লক্ষ্য করে হতবাক,মূড় হয়ে আছেন।ভাবতে অবাক লাগে আমাদের দেশের কতিপয় নেতা-নেত্রী ভারতের ভাষায় যখন বলেন,টিপাই মুখ বাধে ভারত বাংলাদেশের স্বার্থ বিরোধী কিছুই করছেনা,আমাদের কূটনীতির এহেন দৈন্য দশা দেখে ঐ প্রবাদ বাক্যের কথাই মনে পড়ে” রোম যখন পুড়ছিলো নীরো তখন বাশী বাজাচ্ছিলো।“মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে,যা করার দ্রুত করতে হবে,ভারত যখন সিদ্দ্বান্ত নিয়ে ফেলেছে,তখন ক্ষতি করছেনা,কিংবা কাউকে কিছু করতে দেবনা-এরকম কথার ফুলঝুরি দিয়ে বরাকের পিঠ থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্দ্বে যে রক্তনীল ঘোখরার থাবা সিলেটের দিকে ধাবিত হচ্ছে, তা থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে ঝুরালো কুটনীতির পাশাপাশা রাজনৈতিক সিদ্দ্বান্ত ও পদক্ষেপ দ্রুত নিন,তা না হলে সব কিছু নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বরাবরই জনগণের পালস অতি যত্নের সাথে বুঝতেন এবং লালন ও ধারন করতেন।বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা হিসেবে আপনাকেও স্থুতিকারদের সযত্নে এড়িয়ে জনগনের এই চাওয়া-পাওয়ার ক্ষেত্রে অন্তত সঠিক সিদ্দ্বান্ত নিবেন,জনতার কাতার থেকে অন্তত এই ঐকান্তিক আশা পোষণ করি।

ভারত বড় প্রতিবেশী বিশাল বড় দেশ,সন্দেহ নাই ভারত আজকের যুগে উন্নয়নশীল অর্থনীতির ক্ষেত্রে উদীয়মান এক শক্তিশালী দেশ,রয়েছে তার এক বিশাল জনগোষ্ঠি,প্রতিবেশীদেশসমূহের সাথে সুন্দর সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনে ভারতকেই আস্থার এবং সংবেদনশীল মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।বাংলাদেশ সহ ছোট দেশগুলোর সাথে ভারতকেই বড় ভাই শুলভ ভাব পরিহার করে বরং বন্ধুর এবং আস্থার পরিবেশ সৃষ্ঠি করে বাংলাদেশের বর্তমান শেখ হাসিনা আর দীপু মণির শুধু দিয়ে যাবো-তবুও আমরা তোমাদের ভালোবাসা চাই,এমন নীতির বিপরীতে অন্তত এরকম চরম একান্ত বন্ধুর প্রতি সামান্যতম প্রতিদান হিসেবে একতরফা নয়, বরং যৌথ সমীক্ষার মাধ্যমে এবং উভয় দেশের বিশেষজ্ঞদের সমন্নয়ে প্রয়োজনে যৌথ শক্তিশালী কার্যকর কমিশন গঠণ করে এর উপায় খুজে বের করতে হবে,অন্তত সেই পর্যন্ত ভারতকে এই টিপাই মুখ বাধ এর কার্যক্রম বন্ধ কিংবা স্থগিত করতে হবে,আমাদের নিরন্তর রাজনৈতিক পরিকল্পণা এবং কূটনৈতিক প্রয়াস সেই ভাবেই পরিচালিত হউক-এই আশাবাদ ব্যাক্ত করা বোধ হয় খুব একটা বাতুলতা হবেনা।

আজকের বিশ্ব কুটনীতি নিরন্তর এক নেগোসিয়েশন এবং অনেকটা খোলা জানালার কুটনীতির যুগে বাংলাদেশের কুটনীতিও পরিচালিত হওয়া উচিত আজকের বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিক ধ্যান-ধারনায় লালিত এবং পরিশীলিত অথচ নিরন্তর প্রয়াস এবং জনগণের সাথে বিচ্চিন্ন নয় বরং সম্পৃক্ত, এবং সকল সুযোগ ও সর্ব ফোরামের সঠিক “টু দ্য পয়েন্ট এণ্ড রাইট টাইম ইন রাইট একশন” সর্বস্ব হওয়া উচিত।

আশা করব ভারত সরকার আমাদের জনগণের দাবীর প্রতি শ্রদ্দ্বা দেখিয়ে অবিলম্বে একতরফা ভাবে অভিন্ন নদীর এই উতসস্থলে এরকম জনবিধংসী বাধ নির্মাণে বিরত থাকবেন-বিশ্ব বাঙ্গালীর সাথে আমারও এই ঐকান্তিক চাওয়া।

Salim932@googlemail.com

11 December 2011.

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *