১০ পাউন্ডের বিনিময়ে টিনএজ ধর্ষনের দায়ে বাংলাদেশীর ৮ বছরের জেল
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ- লন্ডন থেকে
সাত সন্তানের বাবা সান্ডারল্যান্ডের বাসিন্দা সৈয়দ হুসেন আলীকে নিউ ক্যাসেল ক্রাউন কোর্ট পাঁচ ঘন্টা যুক্তি তর্কের পর জোর পূর্বক এবং ভয় ভীতি দেখিয়ে ধর্ষনের জন্য দোষী সাব্যস্থ করে ৮ বছরের জন্য জেল প্রদান করেছেন।
জানা যায়, অপরাধী বাংলাদেশী সৈয়দ হুসেন আলী সান্ডারল্যান্ডের ব্রিজেস শপিং সেন্টারে এই টিনএজ শ্বেতাঙ্গ কিশোরীকে দেখার পর তাদেরকে ফলো করে ব্রিজেস শপিং সেন্টারের কাছাকাছি মওব্রে পার্কের নিকট অপেক্ষমাণ করতে থাকেন।
এ সময় ১৬ বছর বয়সী ঐ কিশোরী তার সাথে আরো একজনের সঙ্গে মওব্রে পার্কের দিকে রাস্তা অতিক্রম করার সময় এই সৈয়দ হুসেন আলী তাদেরকে সিগারেট অফারের মাধ্যমে কথা বলা শুরু করে তাদেরকে কনফিডেন্ট দেয় সেও তাদের সমবয়সী। কথা বলার এক পর্যায়ে সে তার কাছে থাকা নাইফ আছে বলে ভয় দেখিয়ে পার্কের গাছের আড়ালে মেয়েটিকে নিয়ে তার উপর সে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সাথে মেয়েটিকে সে ছুরির ভয়ে চুপসে রাখে এবং মেয়েটিকে ধর্ষন করে পার্কে ফেলে রেখে ১০পাউন্ড তার পকেটে ঢুকিয়ে দিয়ে যায়।
যাওয়ার সময় সৈয়দ হুসেন আলী সঙ্গের মেয়েটিকে আগামী সপ্তাহে তার সাথে একই জায়গায় সাক্ষাতের তাগিদ দিয়ে যায় না হলে ছুরি দিয়ে শেষ করার ভয় দেখিয়ে যায়। তাকেও ১০ পাউন্ড দিয়ে পরবর্তীতে সে ধর্ষন করে বলে কোর্ট জানতে পেরেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, সৈয়দ হুসেন আলী এর আগেও একবার ধর্ষনের দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলো।
কোর্ট আরো জানতে পেরেছেন, এই আলী তাদেরকে ১০ পাউন্ড দিয়েছে সিগারেটের জন্য, যেহেতু সে তাদের সাথে সেক্স করেছে।
সান্ডারল্যান্ড পুলিশের ডিটেক্টিভ ইসপেক্টর ফিল বন্ড বলেছেন, এই লোক পরিস্কারভাবে বিপদজনক এবং জনগণকে এই লোকের খপ্পড় থেকে রক্ষা করা কর্তব্য, যা পাবলিক আশা করেন।
সৈয়দ হুসেন আলীর বয়স ৪৭, সে পরিবার সহ সান্ডারল্যান্ডের অভিজাত বার্নস এলাকায় থাকে।
(ইভনিং ক্রনিকল, সান্ডারল্যান্ড একো, সাউথশীল্ডস গ্যাজেট ও স্থানীয়দের সৌজন্যে রিপোর্ট প্রণীত)
16th August 2015, london.