সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ
ক্রমবর্ধনা অভিবাসী সমস্যা নিয়ে আলোচনা করার জন্য ব্রাসেলসকে জরুরী ভিত্তিতে বৈঠকের আহবান জানিয়েছে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি। লুক্সেমবার্গকে মাইগ্রেশন সমস্যা নিয়ে কনক্রিট এবং এক্যুরেট পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য এই তিন দেশ আজ একযোগে আহবান জানিয়েছে।
শনিবার প্যারিসে ব্রিটেনের হোম সেক্রেটারি থেরেসা মে, ফ্রান্সের ইন্টেরিয়র মিনিস্টার বার্নার্ড কোজেনোভ, জার্মানির থমাস ডি মেইজেরি একসাথে বৈঠক করার পর পরই এই আহবান জানানো হলো। এই তিন নেতা প্যারিসে ট্র্যান্সপোর্ট সিকিউরিটি নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেন।
ব্রিটেন, গ্রিস, ইটালি, মেসিডোনিয়া সকলেই স্ট্রাগলিং করছেন এই অভিবাসী সমস্যা নিয়ে। ব্রিটেনে গত ১২ মাসে মাইগ্রেশন রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে, ৩৩০,০০০ উপনীত হয়েছে। ইউরোপীউ ইউনিয়ন বর্ডারে গত জুলাইতে এককভাবে ১০০,০০০ আর আজ ৩৪০,০০০ উপনীত হয়েছে। মেসিডোনিয়া, গ্রিস, ইটালি সব ক্ষেত্রে বর্ডারে একই অবস্থা। প্রতিদিনই অভিবাসি ভীড় জমাচ্ছে। তারা যেন তেন উপায়ে ইউরোপে ঢুকতে চাচ্ছে।
ইটালিয়ান প্রাইম মিনিস্টার ম্যাটিও র্যানজি বলেছেন, “এ সমস্যা সমাধানে অনেক মাস লাগবে এবং আমার মতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সিঙ্গল এসাইলাম পলিসি থাকা উচিৎ, দেশ সমূহের মধ্যে অধিক এসাইলাম পলিসি থাকা ঠিক নয়”।
কিন্তু ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং জার্মানী যে বিবৃতি ইস্যু করা হয়েছে, তাতে তারা বলছেন, জরুরী ভিত্তিতে ইটালি এবং গ্রিসে রিসেপশন সেন্টার স্থাপন করে নতুন যারা আসছেন তাদের রেজিস্ট্রার করা, এবং সেই সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর অরিজিন যাচাই করা, থিওরীট্যাক্যালি এসাইলাম এপ্লিকেশন এলাও করা যাতে ফার্স্ট ট্র্যাক সিস্টেমের মাধ্যমে সম্পন্ন করা স্পেসিফিক দেশসমূহের ক্ষেত্রে।
জার্মানি এ বছর ৮০,০০০ অভিবাসি গ্রহণ করবে এবং এধরনের লিষ্ট করার পক্ষপাতি, যাতে যুদ্ধ এবং দুর্গত দেশের জনগনের অভিবাসীদের জন্য উম্মুক্ত করা হয় চলাচল।
তবে থেরেসা মে সানডে টাইমসে লিখেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভিতরে জনগনের বা অভিবাসীদের ফ্রি মুভম্যান্ট মানেই হলো কাজের জন্য অবাধ যাতায়াত কিন্তু বেনিফিটের জন্য অবাধ যাতায়াত নয়।
অস্ট্রিয়ার হাসপাতাল থেকে সিরিয়ান শিশু উধাও-
এদিকে বিবিসির এখ খবরে জানানো হয়েছে, অস্ট্রিয়ার হাসপাতালে সিরিয়ান অভিবাসী ও শিশুকে ক্রিটিক্যাল অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিলো, কিন্তু হাসপাতাল থেকে শিশু সহ অভিবাসী লাপাত্তার খবর ফলাও করে প্রকাশ করা হয়েছে।
জানাগেছে, অস্ট্রিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী শুক্রবার মিনিভ্যান থেকে ২৬ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করে, রুমানিয়ান ড্রাইভারকে গ্রেপ্তারও করা হয়, যাদের মধ্যে সিরিয়ান, বাংলাদেশী এবং আফগানিস্তানের নাগরিকেরা ছিলেন। তাদের মধ্যে শিশু সহ সিরিয়ান পরিবারকে মুমুর্ষ অবস্থায় অস্ট্রিয়ার সীমান্ত শহর ব্রানাউ শহরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে শিশু সহ পরিবার নিখোঁজ।শিশুদের মধ্যে দুটি গার্ল ও একজন ছেলে যাদের বয়স ১ থেকে ৫ এর মধ্যে। বিবিসিকে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তাদের ধারণা পরিবারটি শিশুদের নিয়ে কাউকে না জানিয়ে জার্মানীর উদ্দেশ্যে নিখোঁজ হয়েছেন।
ক্যালাইসের পর বর্তমানে অভিবাসীদের গন্তব্য এখন হাঙ্গেরি, অস্ট্রিয়া হয়ে জার্মানি পৌছা বলে জানা গেছে।
30th August 2015, London