অবশেষে ক্যামেরনের সেই ঘোষণা এলো- ব্রিটেন আরো অভিবাসী নিবে !
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদঃ শেষ পর্যন্ত ডেভিড ক্যামেরন তার মনোভাব পরিবর্তন করলেন। দেশের ভিতরে লেবার দলের প্রচন্ড চাপ, কনজারভেটিভ মানবাধিকার কর্মী আর ইন্ডেপিন্ডেন্টের সিগনেচার ক্যাম্পেইনের কাছে কঠোর মনোভাব পরিবর্তনে সহায়তা করে। আজ পর্তুগালে ডেভিড ক্যামেরন বলেন, ব্রিটেন ইতোমধ্যেই ৫,০০০ সিরিয়ান রিফিউজি গ্রহণ করেছে, তবে বর্তমান সময়ে আমরা আরো অভিবাসী গ্রহণ করবো।
ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, ব্রিটেন আরো হাজারো সিরিয়ান রিফিউজি নিবে- এই সংকট মোকাবেলায় আমরা আরো কাজ করবো, কিভাবে সংকট কার্যকর পন্থায় মোকাবেলা করা যায় এ নিয়ে আমরা কাজ করছি-
ক্যামেরন বলেন, আমরা আরো নেবো বলছি এবং এ সংখ্যা এখানেই ইতি নয়, আমরা এটা রিভিউ করবো সময়ে সময়ে।
তবে ডেভিড কতো অভিবাসী নিবেন তা উল্লেখ করেননি।
জাতি সংঘের শ্মরণার্থী মুখপাত্র এর কয়েক ঘন্টা আগে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ব্রিটেন আরো ৪,০০০ অভিবাসী নিবে। তাই বিশ্বমিডিয়ায় খবর হয়ে যায় ডেভিড ক্যামেরন ৪,০০০ অভিবাসী গ্রহণের ঘোষণা আজ পর্তুগালে দিচ্ছেন। তিনি ঘোষণা ঠিকই দিলেন তবে সংখ্যার পরিমাণ উল্লেখ করেননি।
তিনি বলেন, আমাদের নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে চার বছর ধরে চলা যুদ্ধের ফলে বাস্তুহারা সিরীয় নাগরিকদের প্রতি।
( ইতোমধ্যে অভিবাসি হেটে রওয়ানা দিয়েছেন অস্ট্রিয়ার পথে, এবং গত রাতে অস্ট্রিয়া বাস সার্ভিস দিয়েছে ১৫০০ মাইগ্রেন্ট প্রত্যাশীদের জার্মানি পৌছে দিবে। জার্মানি আজ সকালে জানিয়েছে ১০,০০০ অভিবাসী গ্রহণ করবে। ডেভিড বলেছেন ইটালি, গ্রিস কে এগিয়ে আসতে হবে ফ্রন্ট কান্ট্রি হিসেবে )
তিনি বলেন, ব্রিটেন এই সংকট নিরসনে গভীরভাবে কাজ করছে। আমরা সংকট সমাধানে দীর্ঘমেয়াদী সমাধান খুঁজছি।
ক্যামেরন আরো বলেন, আমরা শুধু সিরিয় সীমান্তের জাতিসংঘ ক্যাম্প থেকে আগত শরনার্থীদের আশ্রয় দিতে প্রস্তুত। যারা আগে থেকেই ইউরোপে এসে রয়েছে তাদের আশ্রয় দেবো না।
ইউএনএইচআর ড্রাফটিং অনুসারে ব্রিটেন এই পরিমাণ রিফিউজি গ্রহণ করবে নতুন করে সেটা অনুমেয়। কেননা এর আগে এই ড্রাফটিং কর্মসূচীর আওতায় ব্রিটেন২১৬, (২০১১ সালে ৫,০০০), জার্মানি ৩৫,০০০, কানাডা ১০,০০০, অস্ট্রেলিয়া ৫,৬০০ আর সুইটজারল্যান্ড ৩,৫০০ সিরিয় ভালনারেবল রিফিউজিদের গ্রহণ করেছে।
এর আগে ক্যামেরন বলেছিলেন, অধিক শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়াই এই সংকটের সাধারন সমাধান নয়। এই সংকটকে অনেকেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে সবচেয়ে বড় সংকট বলে অভিহিত করছেন।
ব্রিটেন অবশ্য সিরিয়া যুদ্ধজোনে সাহায্য বাবত ৯০০ মিলিয়ন পাউন্ড সহায়তা দিয়েছে। এদিকে স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার ১,০০০ অভিবাসী নেয়ার কাজ শুরুর কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
অপরদিকে ব্রিটেনের ব্রিস্টলের মেয়র নিজেদের জনগনকে ঘরের খালি জায়গায় অভিবাসীদের সাহায্য দেয়ার মানবিক আবেদন জনগনের মধ্যে সাড়া দিয়েছে।