গ্র্যান্ড মুফতি শেখ আবদুল আজিজ আল-আশেখ, আল-আজহার বিশ্ববিদ্যাল,মুসলিম ওয়ার্ল্ড লীগ- এর মতামত, আরব নিউজ অবলম্বনে এই রিপোর্ট রচিত
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ- লন্ডন থেকেঃ মহানবী হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে ইরান যে চলচ্চিত্র নির্মাণ করে বর্তমানে প্রদর্শন করছে তাতে ইসলাম এধরনের কাল্পনিক চরিত্র রূপায়ন করে প্রদর্শন অনুমোদন করেনা বলে মতামত দিয়েছেন সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি শেখ আবদুল আজিজ আল-আশেখ। একই মতামত দিয়েছেন মিশরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব থিওলজির ডিন ডঃ আবদুল ফাতাহ আল-আওয়ারি। দ্য মুসলিম ওয়ার্ল্ড লীগও একই ধরনের মতামত দিয়েছেন।
ইসলামী শরিয়তে এ ছবি নির্মাণের অনুমতি নেই এবং এটা ইসলামবিরোধী কাজ বলে মন্তব্যও করেছেন গ্র্যান্ড মুফতি।
ছবিটি প্রদর্শন এবং প্রচারণা নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়ে তিনি বলে, এটা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মর্যাদাহানী করেছে। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আল্লাহর কুদরতী বিশেষ শারীরিক বৈশিষ্ঠ্য ও নৈতিক গুণাবলী রয়েছে, যা কখনও চলচ্চিত্রে তুলে ধরা উচিত নয়। তিনি আরোঁ বলেন, ছবিটির নির্মাতারা বাস্তবতা তুলে ধরছেন না। এটা অশোভন কাজ, যার কোন অর্থ হয়না। এটা ইসলামের পুরোদস্তুর অবমাননা। তার মতে নবী করিম সাল্লাল্রাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালোবাসা দিয়ে তার আদর্শ গৌরবান্বিত ও মহিমান্বিত করতে হলে নবীজীর সুন্নত প্রচার ও ফলো করতে হবে, সুন্নতের প্রচারের মাধ্যমে সেটা অর্থপূর্ণ হয় কেবল, ছবি নির্মাণ ও প্রদর্শনের মাধ্যমে নয়।
মিশরের বিখ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব থিওলজীর ডিন আবুল ফাতাহ আল-আওয়ারি বলেছেন, ইসলামী শরীয়তে এধরনের ছবি বানানোর কোন হুকুম ও নিয়ম নেই- এটা ইসলাম বিরোধী, রাসূলের সূন্নতের বিরোধী।
দ্য ওয়ার্ল্ড মুসলিম লীগের সেক্রেটারি আবদুল্লাহ বিন আবদুল মোহসেন আল-তুর্কী বলেছেন, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এভাবে ছবি বানিয়ে উপস্থাপন সঠিক নয়। তিনি সেই তেহরানকে এই ছবি প্রদর্শনী বন্ধের আহবান জানানোর সাথে মুসলিম বিশ্বকে এই ছবি বয়কটের দাবী জানিয়েছেন।
আর এই ছবির নির্মাতারা তাদের ‘মুহম্মদ: দ্য মেসেঞ্জার অব গড’ নামের চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে বলছেন, এতে নবীজীর জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে। তারা বলছেন, ইরানের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এটা সবচেয়ে ব্যয়বহুল। এতে ব্যয় হয়েছে ৪ কোটি ডলার। গত সপ্তাহে ইরানের ১৪০টি প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি প্রদর্শিত করা শুরু হয়। এর পরিচালক মাজিদ মাজিদি বলেন, ১৭১ মিনিট দীর্ঘ এ ছবিটির লক্ষ্য হলো ইসলামের একতা আরও শক্তিশালী করা।
উল্লেখ্য ফ্রান্সের ম্যাগাজিন চার্লি হেবডোতে মহানবীর কার্টুন প্রকাশের পর ইরান এধরনের ছবি বানানোর উদ্যোগ নিয়েছে, তার আগে তারা চার্লি হেবডোর প্রতিবাদ করেছে।
‘Untrue’ Iranian film on Prophet roundly slammed by scholars
salim932@googlemail.com
03rd September 2015,London