বাংলাদেশ নিউজ Archives - Website https://syedshahsalimahmed.com Tue, 02 Jan 2024 23:31:51 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.4.4 আমার স্কুল-সৈয়দপুর হাই স্কুলে যেভাবে বেড়ে উঠা https://syedshahsalimahmed.com/archives/2352 Sun, 24 Dec 2023 00:25:20 +0000 https://syedshahsalimahmed.com/?p=2352 সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ     কোন প্রকারের ভনিতা না করে সরাসরি যে কথাটা না বললেই নয়, আমি বড় সৌভাগ্যবানদের মধ্যে একজন, যে সৈয়দপুর হাইস্কুলে লেখাপড়া করার বিরল এক গৌরবের অধিকারি। বিরল এই গৌরব এই কারণে যে, আমাদের সময়ে, যখন লেখাপড়ার প্রতি সমাজে জোক ছিল খুব নগন্য, গোষ্টী, দলবাজী, লাঠিবাজী, আর বিদেশ গিয়ে উপার্জন করাটাই […]

The post আমার স্কুল-সৈয়দপুর হাই স্কুলে যেভাবে বেড়ে উঠা appeared first on Website.

]]>
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ

 

 

কোন প্রকারের ভনিতা না করে সরাসরি যে কথাটা না বললেই নয়, আমি বড় সৌভাগ্যবানদের মধ্যে একজন, যে সৈয়দপুর হাইস্কুলে লেখাপড়া করার বিরল এক গৌরবের অধিকারি। বিরল এই গৌরব এই কারণে যে, আমাদের সময়ে, যখন লেখাপড়ার প্রতি সমাজে জোক ছিল খুব নগন্য, গোষ্টী, দলবাজী, লাঠিবাজী, আর বিদেশ গিয়ে উপার্জন করাটাই ছিল প্রাধান্য। আজকের মত যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নয়ন তেমন কিছুই ছিলনা। ছিলনা কম্পিউটর, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, আইপ্যাড, মোবাইল, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, ইউটিউব-এসবের বালাই ছিলনা।মানুষের মধ্যে আজকের মত যান্ত্রিকতার প্রাধান্য ছিল নগন্য। বলা যায় ছিলইনা। টেলিফোনে যোগাযোগ ছিল বেশ কষ্টসাধ্য।তখন কেবল টেলিগ্রাম(সাদা একখান কাগজে ছোট্র দু হরফ, আর ডাক যোগে চিঠির আধিক্য ছিল প্রচুর। ডাক বিভাগই ছিল একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম। আর এখনকার মত গুগলে এক ক্লিকে সারা বিশ্বের সর্বশেষ খবর যেভাবে জানা যায়, তথ্যের আদান প্রদান যেভাবে সহজে করা যায়, নোটস, ফুট নোটস, রেফারেন্স, জার্ণাল, বুক যেভাবে সহজে পাওয়া যায় ক্লিকের নাগালে, সেরকম কোন কিছু ছিলনা আমার সৈয়দপুর হাই স্কুলে।

 

তবে সে সময়ে যা ছিল, আমার ছোট্র মনে সেদিন যা দাগ কেটেছিল, যাদের সাহচর্যে জ্ঞান বিজ্ঞানের দার আমাদের দারগোড়ায় এসে পৌছেছিল অবলীলায় এবং সহজে, যাদের কথা না বললেই নয়, তাদের মধ্যে হেড মাস্টার আব্দুল মতিন স্যার,  মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, নজমুল হোসেন চৌধুরী মাস্টার, জসীম উদ্দীন, মোহাম্মদ জহীরুল হক, মোহাম্মদ মমতাজ, শামসুল ইসলাম, মুনীর হোসেন, সিরাজ উদ্দীন, আব্দুস সামাদ, বশীর আহমেদ বিএসসি, এস এম সোলায়মান, সুখেন কুমার সাহা, আব্দুল হক, মাওলানা আমীরুল ইসলাম অন্যতম। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর নিরলস প্রচেষ্টার ফলে তখনকার সময়ে সৈয়দপুর হাই স্কুল জ্ঞান গরিমা, খেলা ধুলা, শরীর চর্চা, সর্বক্ষেত্রে অভাববনীয় সাফল্য সৃষ্টি করে সমগ্র থানা জেলা ও মহকুমার মধ্যে এক ব্যতিক্রমধর্মী গৌরবের অধিকারি হয়ে উঠেছিল। আমাদের সময়ে স্কুলের পরীক্ষা ও বোর্ড পরীক্ষায় একটি গ্রামীণ পরিবেশের স্কুল রেকর্ড সৃষ্টি করে তাক লাগিয়ে দেয়ার মত ঘটনাগুলো ছিল মুখে মুখে। ছাত্র ছাত্রীদের গ্রামের সকল লোকজন এবং গ্রাম ছাড়িয়ে আশে পাশের সকলেই অত্যন্ত স্নেহ এবং সমীহের চোখে দেখতেন, যা ছিল আমাদের সময়ে এক শ্রেষ্ট পাওনা।

(চ্যানেল আই ইউকে ইউরোপের  আমার এক্সক্লূসিভ অনুষ্ঠানে তখনকার প্রেস মিনিস্টার নাদিম কাদির)

আমার স্ক্ল সৈয়দপুর হাই স্কুলে ম্যানেজম্যান্ট কমিটির সকলেই ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক এবং ছাত্র ছাত্রীদের জ্ঞান বিজ্ঞান অধ্যয়নের জন্য সহায়ক এক শক্তি। ম্যানেজম্যান্ট কমিটির প্রয়াত সৈয়দ আমীরুল ইসলাম ফখরুল, প্রয়াত সৈয়দ আর্জুমান্দ আলী, প্রয়াত সৈয়দ আব্দুল মান্নান মাষ্টার, প্রয়াত আমার পিতা সৈয়দ জাহাদার মিয়া, খালিক মিয়া চেয়ারম্যান, প্রয়াত মল্লিক সিদ্দেক আহমদ সকলেই ছিলেন স্কুলের লেখা পড়া এবং স্কুল সুষ্টুভাবে পরিচালনায় অত্যন্ত আন্তরিক। সৈয়দ আমীরুল ইসলাম ফখরুল মাঝে মধ্যে স্কুল ক্লাস চলাকালীন সময়ে হাজির হয়ে ছাত্র ছাত্রীদের সমসাময়িক বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইতেন, যা অনেককেই  জ্ঞান আহরনে অনুপ্রাণীত করতো।

 

আমার তথ্যের মধ্যে যদি কোন অতিরঞ্জিত না হয়ে থাকে এবং আমি যদি ভুল না করে থাকি, তবে যতটুকু মনে পড়ে, ষষ্ট শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাসে ১ অথবা ২ নম্বর আমি এবং আমার প্রয়াত বন্ধু আব্দুস সবুরের মধ্যে হতো। শিক্ষকবৃন্দও প্রতিযোগিতায় লিপ্ত থাকতেন কিভাবে আমাদের দুজনের একজনকে সামান্য কম নম্বরে হলেও রেজাল্টে প্রথম স্থান আটকে দেয়া যায়-উত্তরপত্র অত্যন্ত নিখুতভাবে দেখার কথা বার বার আমাদের দুজনকে এমনভাবে ক্লাসে জানিয়ে দিতেন, যেন সারা বছরই আমরা দুজন লিপ্ত থাকতাম, কিভাবে ভুল ভ্রান্তি এড়িয়ে গিয়ে কত বেশী নতুন তথ্যের সমারোহ উত্তরপত্রে করা যায়। এ ক্ষেত্রে আমাদের ইংরেজির শিক্ষক হেড টিচার প্রয়াত মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান  এবং ভুগোলের শিক্ষক সিরাজ উদ্দিন স্যার অসাধারণভাবে ছাত্র ছাত্রীদের প্রেষিত করতেন দারুণভাবে। খেলাধুলার ক্ষেত্রে জসীম উদ্দীন স্যারের প্রচেষ্টায় থানা ও জেলা ব্যাপী বেডমিন্টন প্রতিযোগিতায় সৈয়দপুর হাইস্কুল কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখতে পারাটাও ছিল আমার স্কুল সৈয়দপুর হাই স্কুলের আরো এক গৌরবের উপাখ্যান মাত্র।

 

আবহাওয়া এখনকার মত এতো দরদী ছিলনা। শীতকালে যেমন প্রচন্ড ঠান্ডা ছিল, গরমে তখন অসম্ভব গরম পরত। টিনের স্কুলের ক্লাস্রুম গরমে তখন আমরা অতীষ্ট হতাম। প্রচন্ড গরমে টিউবওয়ে্লের পানি পান করা ছাড়া সেসময় ব্রেক টাইমে কোন কিছু খাওয়ার ব্যবস্থা স্কুলে ছিলনা।  আবার খাওয়ার জন্য বাড়ি কিংবা বাজারে গেলে নামাজের সময় চলে যেত, যা ইসলামী শিক্ষার স্যার পরের ক্লাসে কৈফিয়ত চাইতেন, শাস্তিও পেতে হত। এমনি সময়ে আমার স্কুলে বেড়াতে এলেন লন্ডন প্রবাসি সৈয়দ খালেদ মিয়া অলিদ। ম্যানেজম্যান্ট কমিটির অন্য সদস্যদের ফাঁকে হেড টিচারের সামনে লন্ডন প্রবাসি সৈয়দ খালেদ মিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি নিজ উদ্যোগে গ্রামেরই রজব আলীকে স্থানীয় ফান্ড সরবরাহ করে ছোট খাটো দোকানের ব্যবস্থা করে দিলেন, যাতে স্কুল ব্রেকের সময়ে ছাত্র ছাত্রীরা চা বিস্কিট  এবং সেই সাথে শিক্ষকদের জন্যো চায়ের সুন্দর এক ব্যবস্থা চালু হল। সেজন্য ধন্যবাদ দিয়ে সৈয়দ খালেদ মিয়া অলিদকে খাটো করতে চাইনা।

(নানা বাড়িতে মামা প্রয়াত সৈয়দ শাহ কামাল চৌধুরীর সাথে)

আমাদের সময়ে স্কুলে পড়া লেখার পাশাপাশি অন্যান্য শিক্ষমূলক কর্মকান্ড ছাত্র ছাত্রী এবং শিক্ষকবৃন্দ মিলে যৌথভাবে পালিত হত। আমার জানা মতে, আমাদের সময়ে আমরা সাদা কালো বিটিভির বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুসরন করে আমাদের স্কুলে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হতো। সেজন্য বিজয়ীদল ও দলনেতাকে পুরষ্কৃত করা হত, স্কুলের বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতার সময়ে সেরা তার্কিক হিসেবে জাতীয় দিবসের উপর বক্তব্য রাখার সুযোগ জহীরুল হক সরকার স্যার এবং জসীম উদ্দীন স্যার চালু করেছিলেন।

 

সৈয়দপুর বাজারে তখন বিশাল কাপডের (দোকান) ব্যবসা আমার পিতা মরহুম সৈয়দ জাহাদার মিয়া যেমন করতেন, তখন তেমনি আরো একজন কাপড়ের ব্যবসা করতেন, তিনি হলেন ইলিয়াস দাদা। বাবার ব্যবসায়ের সুবাদে আমাদের দোকানে এবং তৎসংলগ্ন স্থানে, আমাদের স্কুলের গন্ডীর বাইরেও আমাদের সময়ে আমরা বেশ রিচ এক সাংস্কৃতিক পরিবেশ পেয়েছিলাম। স্কুলের নানান জাতীয় অনুষ্ঠান ছাড়াও স্কুলের বাইরে ছুটির দিন এবং বিকেল বেলা খেলাধুলার পাশাপাশি ওবায়দুল হক মসনু, আহমদ ময়েজ, রফিকুল বারী, প্রয়াত সৈয়দ আশরাফ আহমেদ, প্রয়াত মল্লিক সিদ্দেক আহমেদ(যিনি বয়সের ব্যবধানে অনেক বড় হয়েও আমাদের সাথে সাহিত্য সংস্কৃতির আড্ডায় মিলিত হয়ে অনুপ্রাণীত করতেন), সৈয়দ রফিকুল হক, সহ বেশ কিছু সংস্কৃতিমনা তরুণ আমাদেরকে ঘিরে সাহিত্য সংস্কৃতি ও কাব্য কবিতা সংস্কৃতির চর্চার বিতর্ক জমিয়ে রাখতেন।

আমার এই স্কুল- স্কুল জীবন থেকেই আমাকে প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল। আর সেই প্রেরণায় নিত্য সঙ্গী ছিলেন সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, সৈয়দ শাহীন আহমেদ, আব্দুল হাই, এডভোকেট শায়েখ আহমেদ, মল্লিক সোহেল আহমেদ, সৈয়দ মোহাদ্দিস আহমেদ, মল্লিক শাকুর ওয়াদুদ, সালেহ আহমেদ রাণু, সহ আরো অনেকেই। সৈয়দ পুর হাই স্কুল থেকে কৃতিত্বের সাথে অধ্যয়নের ফলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন পড়ার সৌভাগ্য হয়েছিল, তেমনি আমিই সৈয়দপুর হাই স্কুল এবং সৈয়দপুর তথা গোটা থানা থেকে প্রথম এবং সম্ভবত এখন পর্যন্ত একমাত্র ছাত্র যে ডাকসুতে সরাসরি নির্বাচনে  রেজা আরিফ সেলিম পরিষদে নির্বাচনের গৌরবের অধিকারি। শুধু তাই নয়, এই সৈয়দপুর হাইস্কুলই আমাকে আজকের এই পড়ন্ত বেলায়ও ইংল্যান্ডের বিখ্যাত এবং প্রেস্টিজিয়াস গ্রিনউইচ ইউনিভার্সিটিতে রিসার্চের সুযোগ এনে দিয়েছে। সেজন্য আমি আমার কৈশোর যৌবনের শিক্ষার নীড় সৈয়দপুর হাই স্কুল আজকে ৫০ বছরের সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করছে, আর আমি সেই ৫০ বছরে আমার স্কুলের জীবন্ত স্বাক্ষী হতে পেরে নিজেকে আরো বেশী গৌরবান্বিত মনে করছি। আল্লাহপাকের দরবারে সেজন্য লাখোশুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। আমার স্কুল সৈয়দপুর হাই স্কুল আরো সামনে দিকে এগিয়ে যাক, জ্ঞান বিজ্ঞানের শ্রেষ্ট বিদ্যাপীঠে পরিণত হয়ে সমগ্র এলাকায় জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিক- এই আমার চাওয়া, এই আমার প্রার্থনা।

(লেখকঃ প্রাক্তন ছাত্র, লন্ডন প্রবাসী সাংবাদিক, সাবেক নিউজ এডিটর-বেতার বাংলা, সাবেক চীফ রিপোর্টার -চ্যানেল আই,প্রধান সম্পাদক– দ্য লন্ডন টাইমস । এনএইচএস এর পার্মানেন্ট স্টাফ)।

The post আমার স্কুল-সৈয়দপুর হাই স্কুলে যেভাবে বেড়ে উঠা appeared first on Website.

]]>
মোমেন ক্যারিশমায় ভেস্তেগেলো সংস্কারপন্থীদের পরিকল্পণা https://syedshahsalimahmed.com/archives/2314 Mon, 22 Aug 2022 23:42:17 +0000 https://syedshahsalimahmed.com/?p=2314 সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ। লন্ডন থেকে।   ১/১১ ফখরুদ্দীন-মঈনুদ্দিনের সরকারের প্রেতাত্মা এখনো বাংলাদেশের রাজনীতিতে নানা ছকে, নানা রূপে ঘুর পাক খাচ্ছে। পশ্চিমা দূতরা নানা ছলে বলে, পুরনো বোতলে নতুন পানি ঢেলে ১/১১ সেই কথিত ছক বার বার সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা কম করছে না। সুশীলদের অংশকে নানাভাবে প্রলুব্ধ করেও বাঙালিকে সেই পুরনো ট্যাবলেট আর হজম […]

The post মোমেন ক্যারিশমায় ভেস্তেগেলো সংস্কারপন্থীদের পরিকল্পণা appeared first on Website.

]]>
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ। লন্ডন থেকে।

 

১/১১ ফখরুদ্দীন-মঈনুদ্দিনের সরকারের প্রেতাত্মা এখনো বাংলাদেশের রাজনীতিতে নানা ছকে, নানা রূপে ঘুর পাক খাচ্ছে। পশ্চিমা দূতরা নানা ছলে বলে, পুরনো বোতলে নতুন পানি ঢেলে ১/১১ সেই কথিত ছক বার বার সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা কম করছে না। সুশীলদের অংশকে নানাভাবে প্রলুব্ধ করেও বাঙালিকে সেই পুরনো ট্যাবলেট আর হজম করানো যাচ্ছেনা। কিন্তু ১/১১ কুশীলব এবং সংস্কারপন্থীরা এখনো হাল ছাড়েননি। সময় সুযোগ পেলেই মাথা চাড়া দিয়ে উঠে।প্রশাসন, রাজনীতি, এনজিও, অর্থনীতি সহ বিভিন্ন সেক্টরে এই সুযোগ সন্ধানী কথিত সংস্কারবাদিরা ঘাপটি মেরে বসে আছে নানা রূপে ও নানা ছলে। সবচেয়ে দুর্বোধ্য এবং অজেয় সংস্কারবাদিরা ক্ষমতাসীন দলের ভিতরে বঙ্গবন্ধু ও মুজিবকোট লাগিয়ে ঝাকিয়ে বসে আছে আর দুর্দন্ড প্রতাপে সময় সুযোগে আঘাত করার চেষ্টা করে। তারা এতোই শক্রিশালী যে, সাধারণ বা খালি চোখ ও মাইক্রোস্কোপ যন্ত্রকেও হাড় মানিয়ে দেয়। কারণ যে পাত্রেই তারা থাকা সেই পাত্রের রঙ আকার ধারণ করে। শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে মাইনাস করার জন্য ১/১১ সরকারের ও সংস্কারবাদিদের সাথে যারা আঁতাত করেছিলো, পরবর্তীতে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকারের সভানেত্রীর কৃপা নিয়ে কেউ কেউ দলে ফিরে নীতি নির্ধারণী পরিষদে স্থান পেয়ে কিছুদিন দলের প্রতি চরম আনুগত্য দেখালেও সময় সুযোগে তাদের পরিকল্পপণা বাস্তবায়নে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাপিয়ে পরে। একই দৃশ্য আমরা বিএনপিতেও দেখতে পাই। সংস্কারবাদি পশ্চিমাদূত আর বিদেশী অর্থ পুষ্ট এনজিও এবং সুশীলদের সাথে শলাপরামর্শে এরা দিন দিন হ্নষ্ট পুষ্ট হয়ে ক্ষমতাসীনদের হ্নদযন্ত্রে আঘাত করার জন্য সর্বশক্তি দিয়ে ঝাপিয়ে পরার দৃশ্য এবং তাদের সার্কাস খেলা দেশবাসি বেশ ভালোভাবেই উপভোগ করেছেন।

মজার ব্যাপার হলো ১/১১র সংস্কারবাদীর তকমা যাদের মাথায়, যারা বঙ্গবন্ধু কন্যাকে রাজনীতি থেকে মাইনাসের ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে হাত মিলিয়েছিল-তাদের অধিকাংশই প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এবং বঙ্গবন্ধু কন্যার বিশ্বস্থ এবং শত হাজারো পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, সারাজীবন জীবন বাজী রেখে যে আবদুল মোমেন এবং মোমেন পরিবার আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে যাচ্ছেন, তাকে এবার মাইনাসের জন্য উঠে পড়ে লেগে যায়। সংস্কারপন্থীরা জানে, আব্দুল মোমেনকে যদি বঙ্গবন্ধুর কন্যার কাছ থেকে আলাদা করা যায়, তাহলে সরকার প্রধানকে চলমান বিশ্বের সংকটময় পরিস্থিতিতে অত্যন্ত কঠিণ চ্যালেঞ্জের মুখে শুধু পতিত করা হবেনা, ঢাকা ইস্যুতে ভারত-চীনের কৌশলী খেলার ছকে ত্রাহি অবস্থা পরে বিদায় নিতে হবে।

সারা বিশ্বের নানা ক্ষেত্রে সংস্কারবাদীরা হয় উদার, গণতান্ত্রিক, জবাবদিহিমূলক,স্বচ্ছ এবং সকলের সাথে অংশগ্রহণমূলক। বিপরীতে আমরা দেখি বাংলাদেশের কথিত সংস্কারবাদীরা অত্যন্ত কঠোর, নিষ্টুর, ষড়যন্ত্রকারী, কিংসপার্টি, অস্বচ্ছ, মেধাহীন,জনগনের থেকে দূরে।

বিশ্ব রাজনীতি অর্থনীতির পরিবর্তনের নয়া ছকে ঢাকা ইস্যুতে ভারত-চীনের কৌশলী খেলায় শেখ হাসিনা এবং আব্দুল মোমেন কান্ডারির ভুমিকায়। কথিত সংস্কারবাদীদের সাম্প্রতিক ইস্যুগুলোতে সিনারীওর পেছনে ভারত-চীন কৌশলী খেলা বুঝতে এরা শুধু অক্ষমই নয়, বরং ইস্যু থেকে যোজন যোজন দূরে। যে কারণে আমরা দেখি মিডিয়ায় তাদের অতি বাগাড়ম্বর এবং লাফালাফি। নেহায়েত এক ভদ্র, মার্জিত, উন্নত রুচি ও চিন্তা চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর অনুসৃত আদর্শ এবং নীতিতে সমুজ্জ্বল অর্থনীতিবিদ ও অধ্যাপককে নিষ্টুর ও অশালীনভাবে অমর্যাদা ও অপদস্থ করার জন্য দিনের রাত ঘুম হারাম করে উঠে পরে লেগে যায়। অথচ এরাই আবার সারাজীবন রাজনীতির পেছনে জীবন যৌবন বিলীন করে দিয়ে আসছে। স্বার্থ, ভোগ, লালসা যখন প্রাধান্য পেয়ে যায় তখন নীতি নৈতিকতা এবং রাজনীতির কুশলী খেলা থেকে ওরা ছিটকে কখন যে পরে যায় তা টের পায়না। বাংলাদেশ নিয়ে পশ্চিমাদের শুধু নয়, প্রতিবেশী ভারত-চীন কী ছকে খেলছে, সরকার প্রধান এবং তার চোখ কী ছকে বাংলাদেশের যতটুকু স্বার্থ সম্ভব আদায় করা যায়-সেটা বুঝতে যে রাজনৈতিক কুশলতা দরকার-সেটাও তারা হারিয়ে ফেলে।

পশ্চিমা বিশ্ব, চীন, ভারতের এই ত্রি সাথে নতুন উপদ্রব সীমান্তে ইসরায়েলের উপস্থিতি এই চতুর্মুখী খেলায় শেখ হাসিনা এবং আব্দুল মোমেনের সরকারের দরকার আরও ব্যালেন্স কূটনৈতিক কুশলী খেলা। সেজন্য দরকার সাথে আরও কিছু লজিস্টিক সাপোর্ট, দক্ষ এবং কুশলী খেলোয়াড়ের-যারা এই নয়া রাজনীতির ভেতরকার খেলা বুঝে। বাংলাদেশের শৃঙ্খলাপূর্ণ শক্তির প্রধান উৎস চীন কেন্দ্রিক-যা আগে ছিলো ভারত কেন্দ্রিক। সরকার প্রধান এবং আব্দুল মোমেনকে এখন ব্যালেন্স পাওয়ার কূটনীতিতে আগের ভারত কেন্দ্রিক সাবেক শক্তি প্রধানকে গুরুত্বপূর্ণ কোন এক স্থানে নিয়ে এসে চীন-ভারতের মধ্যকার ব্যালেন্স কূটনীতির খেলা দরকার, তাতে আরও বেশী ফায়দা হাসিল করা যাবে-উভয় শক্তির কাছ থেকে।

২২ আগস্ট ২০২২।

(বানান রীতি সাবেক পড়ে, বর্তমান পরে)

The post মোমেন ক্যারিশমায় ভেস্তেগেলো সংস্কারপন্থীদের পরিকল্পণা appeared first on Website.

]]>
হিসাবটা যেমন পরিষ্কার, ম্যাসেজটাও তেমনি পরিষ্কার হওয়া দরকার-আব্দুল মোমেন ভারতকে সেই ম্যাসেজটাই দিয়েছেন। https://syedshahsalimahmed.com/archives/2310 Sat, 20 Aug 2022 23:34:10 +0000 https://syedshahsalimahmed.com/?p=2310 ##মুশতাক এই সুযোগটাই ৭৫ নিয়েছিল-আওয়ামীলীগের নেতারাই সেই একই ক্ষেত্র তৈরি করে দিচ্ছেন ##হিসাবটা যেমন পরিষ্কার, ম্যাসেজটাও তেমনি পরিষ্কার হওয়া দরকার-আব্দুল মোমেন ভারতকে সেই ম্যাসেজটাই দিয়েছেন। সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ। লন্ডন থেকে ।   ০১) বাংলাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি কেবলমাত্র বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির মধ্যে সীমাবদ্ধ-এমন কায়েমী সূত্র নিয়ে যারা এখনও রাজনীতি, অর্থনীতিকে দেখেন, বিশ্লেষণ করেন কিংবা রাজনীতি […]

The post হিসাবটা যেমন পরিষ্কার, ম্যাসেজটাও তেমনি পরিষ্কার হওয়া দরকার-আব্দুল মোমেন ভারতকে সেই ম্যাসেজটাই দিয়েছেন। appeared first on Website.

]]>
##মুশতাক এই সুযোগটাই ৭৫ নিয়েছিল-আওয়ামীলীগের নেতারাই সেই একই ক্ষেত্র তৈরি করে দিচ্ছেন

##হিসাবটা যেমন পরিষ্কার, ম্যাসেজটাও তেমনি পরিষ্কার হওয়া দরকার-আব্দুল মোমেন ভারতকে সেই ম্যাসেজটাই দিয়েছেন।

সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ। লন্ডন থেকে ।

 

০১) বাংলাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি কেবলমাত্র বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির মধ্যে সীমাবদ্ধ-এমন কায়েমী সূত্র নিয়ে যারা এখনও রাজনীতি, অর্থনীতিকে দেখেন, বিশ্লেষণ করেন কিংবা রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতি চালু রাখতে চান, তারা এই শতাব্দীর সবচাইতে ঘুণে ধরা, পচা, দুর্গন্ধময়, বস্তাপচা মরা লাশ ছাড়া আর কিছুই নয়। তাদের দ্বারা আর যাই হউক, পুকুরের জলে জারমুনির ফেনার ন্যায় বুদ বুদ সাময়িক তুলে শোরগোল ও মিডিয়া কাভারেজ সাময়িক পেতে পারেন, কিন্তু বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির অগ্রগতি ও উন্নতি এবং আজকের পৃথিবীর আধুনিক বিজ্ঞান, প্রগতি, প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে সামনে নিয়ে চলার জন্য একেবারেই অনুপযুক্তই শুধু নন, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, বিশ্বের নতুন ভরকেন্দ্রের রাজনীতি, নয়া বিশ্ব অর্থনীতি এবং নয়া ডিজিটাল টেকনোলজি বুঝতে, আত্মস্থ করতে, প্রয়োগ করতে একেবারেই ব্যর্থ। ফেসবুকে সুন্দর ছবি আর কতিপয় ছন্দমাখা স্ট্যাটাস আর লাখো লাইক মানেই নয় যে, এরা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, নয়া বিশ্ব রাজনীতি, অর্থনীতি বুঝেন।

০২) মনে রাখা দরকার, কোভিড নাইন্টিন উত্তর বিশ্ব রাজনীতি অর্থনীতি যে পর্যায়ে গিয়ে দাড়িয়েছিল, ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ আর চীন-তাইওয়ান টেনশন, সাথে ইসরায়েল-প্যালেস্টাইল সম্পর্ক মাড়িয়ে আরব বিশ্বের সাথে ইসরায়েলের নয়া কূটনীতিতে বিশ্ব রাজনীতি, বিশ্ব অর্থনীতি, বিশ্ব টেকনোলজি নতুন এক মোড় নিয়েছে। এই নতুন মোড়ের সব কেন্দ্রেই যেমন ভারত এক বিরাট অবস্থানে রয়েছে, ঠিক তেমনি বাংলাদেশ চাক বা না চাক, ভারত-চীন-মার্কিন-ইসারেয়েল প্রেক্ষিতে উপমহাদেশে বাংলাদেশ এই নতুন বিশ্ব ভরকেন্দ্রিক রাজনীতি, অর্থনীতি এবং টেকনোলজিতে জড়িয়ে আছে-জ্ঞাতে কিংবা অজ্ঞাতে। এই নতুন বিশ্ব ভর কেন্দ্রিক রাজনীতি, অর্থনীতি, টেকনোলজি অনেকেরই এখনো চিন্তা, চেতনা ও কল্পণারও অতীত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডঃ এ কে আব্দুল মোমেন-এই নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা কেন্দ্রিক রাজনীতি, অর্থনীতি, টেকরাজনীতিতে যতটুকু সম্ভব বাংলাদেশের স্বার্থে বা অনুকুলে নিয়ে নয়া বিশ্বের টেক-রাজনীতিতে বলা যায় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর মতো বিশাল দুঃসাহস নিয়ে বিশ্ব পরিমন্ডলে খেলছেন অতি সঙ্গোপনে। টেক-কেন্দ্রিক নয়া রাজনীতির এই সূত্র আজকের আওয়ামীলীগ নেতৃত্ব কিংবা আওয়ামীলীগের পুরনো নেতৃত্ব কারও বোধগম্যের শুধু বাইরে নয়, বিরোধী রাজনীতিক বিএনপি কিংবা গণতন্ত্র মঞ্চ কারও নখদর্পনে এবং চিন্তা ও কল্পণার অতীত। যেকারণে আমরা দেখি, একজন শেখ হাসিনা ১৫ আগস্ট ৩২ নম্বরে আওয়ামীলীগের শ্লোগান থামিয়ে দিয়ে জানতে চান সেদিন সবাই কোথায় ছিল-যখন লাশটি পড়েছিল ৩২ নম্বরে? শেখ হাসিনা এই সিগন্যালের পরের দিনই পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকা কেন ভারত এবং বাংলাদেশ উভয়ের জন্য জরুরী খোলাখুলি সেটা বলেন। বাস আর যায় কোথায়? আব্দুল মোমেন কিংবা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের দুজনের কারও বক্তব্য বিশ্লেষণ না করেই খোদ আওয়ামীলীগ নেতারা বিএনপি-জামায়াতের ভাষায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের বিরোধীতা এমনভাবে করে যেন সরকার এখনি বিদায় নিতে হবে, যেমনটা বিএনপি, জামায়াত গণতন্ত্র মঞ্চ বলে। তফাতটা হলো এতোদিন বিএনপি জামায়াত বলছে, এখন ওবায়দুল কাদের,আব্দুর রহমানরা বলছে।

 

০৩) উপমহাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, টেকনোলজিতে ভারত এবং চীন অতি গুরুত্বপূর্ণ এক শক্তি। এই উভয় শক্তি আবার টেকনোলজির শীর্ষে থাকা ইসরায়েল, রাশিয়া এবং মার্কিনীদের সাথে ব্যবসা, বাণিজ্য, অস্ত্র, সামরিক অর্থাৎ সব ক্ষেত্রেই জড়িয়ে আছে। এই পাঁচের মধ্যে আবার ব্যবসায়িক সম্পর্ক থাকলেও সামরিক ও অস্ত্র তৈরি ও বিক্রিতে একে অন্যের আবার চরম বৈরি এবং প্রতিদ্বন্ধি। ভারত-মার্কিন একই বলয়ে থাকলেও ভারত-রাশিয়া-ইসরায়েল সম্পর্কও  গভীর। আবার মার্কিন-ইসরায়েল সম্পর্কও অনেক গভীরে। চীনের সাথে মার্কিনীদের বৈরিতা থাকলেও বাণিজ্য সম্পর্ক জিইয়ে রেখে সামরিক সম্পর্কে দ্বন্ধ জিইয়ে চীন-রাশিয়া-ইসরায়েল সম্পর্কও সর্বজনবিদিত। বাংলাদেশের শেখ হাসিনার সরকার ভারত-চীন-মার্কিনীদের সাথে যেমন কাজ করছে, তেমনি সমানভাবে রাশিয়ার সাথেও কাজ করছে। হালের ভারত, মধ্যপ্রাচ্য ও তার্কি তিন ইস্যুতেই ইসরায়েলের সাথেও অঘোষিতভাবে কাজ করছে, সেটা বলাই বাহুল্য। এই কূটনীতির অনেক কিছুই খোলাখুলিভাবে লেখা যাবেনা, শুধু ফুটনোটে এবং মোটাদাগের হরফে যে কথা না বললে নয়, ভারত, চীন কিংবা মার্কিন কেউই শেখ হাসিনার সরকারের সাথে কাজ করতে অস্বচ্ছন্দবোধ করছেনা। ইসরায়েল, মধ্যপ্রাচ্য, ইরান, রাশিয়াতো প্রশ্নাতীত।

০৪) ভারতের সীমান্ত রাজ্যগুলোতে যে সন্ত্রাসের ঝনঝনানি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছিল, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন শেখ হাসিনার সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কারণে ভারত তার অখন্ডতা যেমন আজ নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোগ করছে, বিনিময়ে বাংলাদেশও ভারতের কাছে আশা করে সীমান্তের এই পারের দেশ বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় শেখ হাসিনার সরকার থাকার জন্য রোহিঙ্গা ইস্যুতে মায়ানমারকে চাপ দেয়া, সাম্প্রতিক সময়ের কিছু বিশিষ্টজনের আন্তর্জাতিক ক্যাপিটাল ও লবিষ্টদ্বারা মার্কিন কংগ্রেসে বাংলাদেশ বিরোধী যে চাপ অব্যাহত আছে, সেটা রোধকল্পে দুইদেশ একসাথে কাজ করা, বৈশ্বিক জ্বালানি ও খাদ্য ইস্যুতে চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশও ভারতের মতো জ্বালানি, তেল, খাদ্য যাতে সহজে ও নিরাপদে পায়, বিদ্যুৎ সরবরাহ যাতে পায়-সেব্যাপারে ভারত শেখ হাসিনা সরকারের স্থিতিশীলতায় বিশ্ব পরিমন্ডলে ইসরায়েল,রাশিয়া, মার্কিনীদের সাথে ছোট দেশ বাংলাদেশকে সাপোর্ট ও সহায়তা করতে পারে। এবং সেটা করা দরকার এই কারণে যে, এতোদিন শেখ হাসিনার সরকার ভারতকে যা দিয়েছে, বিনিময়ে সময় এসেছে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি, খাদ্য, বিদ্যুৎ ইস্যুতে বাংলাদেশ যাতে পশ্চিমা জোটের বিরোধীতা কিংবা সেংশনের মুখে না পরে-সেটা ভারত যেমন কাজ করবে, তার্কি, মধ্যপ্রাচ্যও তখন কাজ করবে। আব্দুল মোমেন এর মতো লোক বলেই সরাসরি ভারতকে এটা বলতে পেরেছেন। হলফ করে বলতে পারি, বাংলাদেশের কোন ব্যক্তির পক্ষে বর্তমান বিশ্ব সংকটময় সময়ে ভারতকে এভাবে বলার মতো দুঃসাহস দেখাতে পারা দূরে থাকুক, বলার চিন্তাও করতে পারতোনা। আব্দুল মোমেন ৫ সেপ্টেম্বরের শেখ হাসিনার ভারত সফরের মোক্ষম সময়ের আগেই বলেছেন-যাতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার শেখ হাসিনাকে এই জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ আর খাদ্য এই তিন ইস্যুতে বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশকে আশ্বস্থ ও বিশ্বস্থতায় নিবে-এমনটাই -নরেন্দ্র মোদীর কাছ থেকে বাংলাদেশ আজ আশা করে। বাংলাদেশ যখনি তার জ্বালানি সংকট মোকাবেলায় রাশিয়ার বাজারের দিকে যাবে, মার্কিনীরা খড়গ হাতে এগিয়ে আসবে। তখন কী হবে? এমনকি ফেডারেল সরকারের হাতে বাংলাদেশের যে এসেট, বাংলাদেশ ব্যাংকের যে রিজার্ভ আছে সেটাও বন্ধ হয়ে যাবে। তখন কী হবে? পারবে ওবায়দুল কাদের কিংবা অন্যরা মার্কিনীদের সেংশন আটকাতে। নাকি সেই পথে যাতে না আসে-তার আগাম ব্যবস্থা বাংলাদেশ করা। বিরোধীরা চাচ্ছে বাংলাদেশও শ্রীলংকার মতো অবস্থা হতে। চলমান জ্বালানি তেল ও বিদ্যুৎ সংকট চলতে থাকলে জনগনের দূঃসহ অবস্থা হবে। সেই সংকট থেকে উত্তরণের এই মুহুর্তে বিকল্প পথ রাশিয়ার সস্তা তেল কিংবা ইউক্রেনের খাদ্য অথবা রাশিয়া ইউক্রেন হয়ে ভারত, মধ্যপ্রাচ্য, তার্কি, ইসরায়েল বা তৃতীয় পক্ষ হয়ে বাংলাদেশের জন্য সুযোগ আদায় করা। আব্দুল মোমেন এবং শেখ হাসিনা জানেন, জাতিসংঘ কোটায়ও এই সংকট মোকাবেলা সম্ভব নয়। ক্রমাগত সংকট- একের পর এক সংকট আসতে থাকবে-যা মোকাবেলা করা হবে অসম্ভব। ইউরোপ, যুক্তরাজ্য এই সংকটে ত্রাহি অবস্থায়, মার্কিনীরা অর্থিক সংকটে। বাংলাদেশকে ইউরোপ কিংবা মার্কিনীরা তেমন সহায়তা দিতে সক্ষম হবেনা-যতোটুকু এই মুহুর্তে বাংলাদেশের দরকার। হিসাবটা যেমন পরিষ্কার, ম্যাসেজটাও তেমনি পরিষ্কার হওয়া দরকার। আজকের কূটনীতিতে সেটাও জরুরী।মান্দাতার আমলের কূটনীতি দিয়ে আজকের কূটনৈতিক সংকট মোকাবেলা করে ফল আনা যাবেনা।

০৫) ভুলে গেলে চলবেনা, ১৯৭৫ সালে আওয়ামীলীগ নিজেদের মধ্যে চরম রেষারেষি, চরম অন্তর্দ্বন্ধে ভুগছিল, যদিও তখন বঙ্গবন্ধু ক্ষমতায়। বঙ্গবন্ধুকে ক্ষমতায় রেখেও আওয়ামীলীগ নেতৃত্ব ঠিক আজকের মতো নিজেদের মধ্যে সীমাহীন দ্বন্ধ আর বিরোধীতা চলমান। কোথায় শেখ হাসিনার সরকারের হয়ে জনগনের কষ্ট লাঘবে কাজ করবে, তা না করে বিএনপি-জামায়াত-গণতন্ত্র মঞ্চের ন্যায় একই ভাষা, একই বক্তব্য দিয়ে সরকারের শুধু বারোটা বাজাচ্ছেনা বরং মুশতাকের মতো ঘাপটি মেরে থাকা ষড়যন্ত্রের কুশীলবদের উস্কে দিচ্ছে। “প্রধানমন্ত্রী যেমন বলেন, তখন শুনি। যখন বলি তখন তিনি শুনেন। এটাই শেখ হাসিনা। সেজন্য তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আওয়ামীলীগে নেতৃত্ব দেয়ার মতো সঠিক যোগ্য বিশেষকরে আজকের বিশ্ব রাজনীতি, অর্থনীতির এই ভর কেন্দ্রিক নয়া রাজনীতির নেতৃত্ব খুজে পাইনা।“

০৬) যে কথার অবতারনা না করলেই নয়, আওয়ামীলীগ নেতৃত্বের মনে রাখা দরকার আব্দুল মোমেন কিংবা মুহিত পরিবার খড়কোটার মতো আওয়ামীলীগে ভেসে আসেনি। একটু পড়া লেখা করে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ও মুক্তিসংগ্রামের দিনগুলোতে চোখ বুলানোর আহবান জানাই। তাতে জ্ঞান বাড়বে বৈ কমবেনা। বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবন্ধু পরিবার, আওয়ামীলীগ ও আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আবদুল মোমেন কিংবা মুহিত পরিবারের সম্পর্ক কখন থেকে-সেটা ফেসবুকে কতিপয় অতি উৎসাহী  ওবায়দুল কাদেরের নিজের ভাষায় “হাইব্রীড” (ওবায়দুল কাদেরের কাছ থেকে ধার নিলাম) নেতাদের কাছ থেকে জনগনের জানার কোন প্রয়োজন নেই। ইতিহাসই যুগে যুগে কথা বলে। আর সত্য কখনো চাপা দেয়া যায় না। তার আপন মহিমায় অন্ধকার ভেদ করে ভোরের আলোয় উদ্ভাসিত হয়। এটাই নিয়ম।

২০ আগস্ট ২০২২। লন্ডন ।

The post হিসাবটা যেমন পরিষ্কার, ম্যাসেজটাও তেমনি পরিষ্কার হওয়া দরকার-আব্দুল মোমেন ভারতকে সেই ম্যাসেজটাই দিয়েছেন। appeared first on Website.

]]>
কেন শিনজো আবেকে হত্যা করা হয়? https://syedshahsalimahmed.com/archives/2304 Sat, 09 Jul 2022 17:07:55 +0000 https://syedshahsalimahmed.com/?p=2304 সবাইকে ঈদ মোবারক। আমন্ত্রণ আলোচিত সংবাদ বিশ্লেষণ ভিত্তিক অনুষ্ঠান টিএলটি পডকাষ্টে। আজকের প্রসঙ্গ কেন শান্তির দেশ জাপানে শিনজো আবেকে হত্যা করা হয়? তার আগে সারা বিশ্বের আজকের সংবাদের টুকিটাকি- বিক্ষোভের মুখে বাসভবন ছেড়ে পালিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে। বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ঢুকে পড়েছেন। সেখানে গোটাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ চলছে।শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সৈন্যরা […]

The post কেন শিনজো আবেকে হত্যা করা হয়? appeared first on Website.

]]>
সবাইকে ঈদ মোবারক। আমন্ত্রণ আলোচিত সংবাদ বিশ্লেষণ ভিত্তিক অনুষ্ঠান টিএলটি পডকাষ্টে। আজকের প্রসঙ্গ কেন শান্তির দেশ জাপানে শিনজো আবেকে হত্যা করা হয়?

তার আগে সারা বিশ্বের আজকের সংবাদের টুকিটাকি-

বিক্ষোভের মুখে বাসভবন ছেড়ে পালিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে। বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ঢুকে পড়েছেন। সেখানে গোটাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ চলছে।শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সৈন্যরা গোটাবায়া রাজাপাকসেকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে গেছেন। বিক্ষুদ্ধদের মোকাবিলায় তারা খোলা আকাশে গুলি ছোড়ে।প্রেসিডেন্টের বাসভবনে বিক্ষোভকারীদের হানার পর শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে ইচ্ছুক বলে দলীয় নেতাদের জানিয়েছেন। তিনি একটি সর্বদলীয় সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পথ তৈরি করতে আগ্রহী।

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে আজ শনিবার পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্‌যাপন করা হচ্ছে।করোনা মহামারি সামলে এ বছর বিভিন্ন দেশে অনেকটাই বিধিনিষেধের আওতামুক্ত হয়ে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করছেন মুসল্লিরা। খোলা আকাশের নিচে আদায় করা হচ্ছে ঈদের জামাত।ফিলিস্তিনে পবিত্র আল–আকসা মসজিদে পশ্চিম তীরের মুসল্লিরা আদায় করেন পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ। এতে অংশ নিতে দেখা গেছে হাজারো ফিলিস্তিনিকে।মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, কুয়েত, মিসর ও জর্ডানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোনা মহামারি শুরুর পর এবারই উন্মুক্ত স্থানে খুতবা ও জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়াতে আজ পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্‌যাপন করা হচ্ছে।

 

কোরবানির সময়ে ভারতের ত্রিপুরার কোথাও যাতে ‘বেআইনিভাবে’ গরু, বাছুর, উট বা অন্য কোনও প্রাণী হত্যা না করা হয়, তার জন্য জেলা প্রশাসন ও পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।ত্রিপুরার প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী ভগবান দাস বিবিসিকে জানিয়েছেন, তারা কোরবানি বন্ধ করার কোনও নির্দেশ দেননি, তবে নিয়ম মেনেই পশু জবাই করতে হবে। এছাড়াও, তিনি বলেন, “অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষের ভাবাবেগে আঘাত” যাতে না লাগে, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ১৯৮ জনে দাঁড়িয়েছে। সেই সঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ২৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৯৩৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

অসন্তুষ্টি থেকে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। হামলাকারী আগে থেকেই আবেকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। জাপানের পুলিশের বরাত দিয়ে দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এমন খবর প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। তবে ঠিক কী কারণে হামলাকারীর অসন্তুষ্টি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি পুলিশ। বিস্তারিত অডিওতে শুনুন-

……

১৯৯৫ সালে টোকিও পাতালরেলের কয়েকটি স্টেশনে উগ্রপন্থী ওম শিনরিকিওর চালানো সারিন গ্যাস হামলার ঘটনা মনে পড়ে। তবে দেশটির কোনো রাজনৈতিক নেতা বা বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দল সেই হামলার লক্ষ্য ছিল না; বরং কিছুটা বিকারগ্রস্ত সেই উগ্রপন্থীরা নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে নিজেদের ত্রাতা হিসেবে তুলে ধরার ভ্রান্ত চিন্তা থেকে এমন হামলা চালিয়েছিল। এর বাইরে তেমন কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড গত কয়েক দশকে জাপানে ঘটেনি।

আবে হত্যাকাণ্ডের পর কোনো কোনো বিশ্লেষক বলছেন, জাপানে গুলি করে ঘটনা শুধু বিরলই নয়, এটি সত্যিকার অর্থে সাংস্কৃতিকভাবে সাদৃশ্যপূর্ণও নয়।

অবশ্য এর আগে দুটি হামলার ঘটনা দেশজুড়ে আলোচনায় ছিল। প্রথমটি ঘটে ১৯৬০ সালের অক্টোবর মাসে টোকিওর কেন্দ্রস্থলের হিবিয়া এলাকার একটি নাগরিক মিলনায়তনে। ছুরি হাতে নিয়ে চরম দক্ষিণপন্থী এক তরুণ সেই সময়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল সমাজতন্ত্রী পার্টির নেতা ইনেজিরো আসানুমার ওপর মঞ্চে উঠে হামলা চালিয়ে তাঁকে খুন করেছিল। আসানুমাকে ছুরিকাঘাত করার সেই ছবি সারা বিশ্বে প্রচারিত হয়। হামলাকারীর চোখে আসানুমার অপরাধ ছিল, জাপান-মার্কিন সামরিক চুক্তির বিরোধিতা করা।

দ্বিতীয় ঘটনাটি এর ঠিক ৩০ বছর পর, ১৯৯০ সালে। সে সময় হামলাকারী ছিল একজন চরম দক্ষিণপন্থী জাতীয়তাবাদী। হামলায় নাগাসাকির সেই সময়ের মেয়র গুলিবিদ্ধ হন। হামলাকারীর দৃষ্টিতে মেয়রের অপরাধ ছিল, জাপানের সম্রাটের যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকা নিয়ে করা তাঁর মন্তব্য।

এর বাইরে জাপানে রাজনৈতিক সহিংসতা সেভাবে ঘটতে দেখা যায়নি।

……

রয়টার্স জানায়, আইনপ্রেণতা হিসেবে সর্বপ্রথম ২০০৬ সালে প্রথমবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী হন আবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানে সবচেয়ে কম বয়সী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি। সেবার মাত্র এক বছর ক্ষমতায় ছিলেন তিনি। ২০১২ সালে তিনি আবার ক্ষমতায় ফেরেন দ্বিতীয় মেয়াদে। ভঙুর অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আমলে করা শান্তিবাদী সংবিধান পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনপ্রিয়তা পান তিনি। একইসঙ্গে ঐতিহ্যবাহী মূল্যবোধ রক্ষার কথা বলেও মানুষের মন কাড়েন। ওই বছরের ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে আবের দল জয়ী হয়ার পর আবারও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। দুই বছরের মাথায় ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে তিনি ‘আবেনোমিক্স’ বা ‘আবেতত্ত্ব’ চালু করেন যাতে বলা হয় দেশটির অর্থনীতিকে আরও বেশি চাঙ্গা করবে। এরপর স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

কয়েক দশক ধরে সামরিক খাতে ব্যয় বাড়ানোর সাহসী পদক্ষেপ নেন আবে। ইন্দো–প্যাসিফিক অঞ্চলে সামরিক শক্তি জোরদারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এই অঞ্চলে চীনের প্রভাব মোকাবিলায় কৌশলগত সামরিক জোট কোয়াড গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন জাপানের এই প্রধানমন্ত্রী।

রয়টার্স জানায়, ১৯৫৪ সালের সেপে্‌টম্বরে টোকিওতে জন্ম নেওয়া আবের পরিবার আগে থেকেই জাপানের রাজনীতিতে বেশ প্রভাবশালী। তাঁর বাবা একসময় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। নানা নবোসুকে কিশি ১৯৫৭ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত ছিলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর পরিবারের আরও একজন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।বাবার মৃত্যুর পর আবে ১৯৯৩ সালে প্রথমবারের মতো এলডিপির টিকিটে এমপি নির্বাচিত হন। কয়েক দশক আগে পিয়ংইয়ংয়ের হাতে জাপানি নাগরিক অপহরণের ঘটনা নিয়ে প্রতিবেশী উত্তর কোরিয়ার বিষয়ে শক্ত অবস্থান তাকে দেশজুড়ে ব্যাপক পরিচিতি এনে দেয়।

……

অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব সিডনির স্কুল অব পাবলিক হেলথের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে জাপানে গুলিতে নয়জনের মৃত্যু হয়। আর সে বছর যুক্তরাষ্ট্রে গুলিতে নিহতের সংখ্যা ছিল ৩৯ হাজার ৭৪০।

ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কাউন্সিলের জাপানবিষয়ক পরিচালক ন্যান্সি স্নো বলেন, আবের এই গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনা জাপানকে অনেকটা পাল্টে দেবে।

স্নো সিএনএনকে বলেন, ‘জাপানে গুলি করে হত্যার ঘটনা শুধু বিরল নয়, এটি সত্যিকার অর্থে সাংস্কৃতিকভাবেও সাদৃশ্যপূর্ণ নয়। আমাদের দেশে অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকের যে সংস্কৃতি আছে, তা জাপানের সাধারণ মানুষ কল্পনাও করতে পারে না। এ সময়টায় বলার মতো কিছু নেই। আমি আসলে ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।’

…….

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ-জাপানের সম্পর্কে যে ব্যক্তিটির ছোঁয়ায় ভালোবাসার প্রগাঢ়তা বেড়েছে, তিনি হলেন শিনজো আবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই (সংকলিত)।

The post কেন শিনজো আবেকে হত্যা করা হয়? appeared first on Website.

]]>
কেন এতো লোডশেডিং, সমাধান কী? https://syedshahsalimahmed.com/archives/2288 Tue, 05 Jul 2022 16:39:52 +0000 https://syedshahsalimahmed.com/?p=2288 ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছে রাজশাহী বিভাগ, লোডশেডিংয়ের কবলে পাবনা শহরসহ গোটা জেলা। রাত ও দিনে আধা ঘণ্টা, এক ঘণ্টা পরপরই বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার মধ্যে রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। জাতীয় গ্রিড থেকে চাহিদামত বিদ্যুৎ না পাওয়ায় গত তিন দিন ধরে রাজশাহীর প্রত্যেক এলাকায় গড়ে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা লোডশেডিং করতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত […]

The post কেন এতো লোডশেডিং, সমাধান কী? appeared first on Website.

]]>
ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছে রাজশাহী বিভাগ, লোডশেডিংয়ের কবলে পাবনা শহরসহ গোটা জেলা। রাত ও দিনে আধা ঘণ্টা, এক ঘণ্টা পরপরই বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার মধ্যে রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। জাতীয় গ্রিড থেকে চাহিদামত বিদ্যুৎ না পাওয়ায় গত তিন দিন ধরে রাজশাহীর প্রত্যেক এলাকায় গড়ে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা লোডশেডিং করতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ময়মনসিংহ অঞ্চলের জেলাগুলোতেও ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। সিলেট এবং নোয়াখালী অঞ্চলে গ্রাহকরা তিন চার ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না।রাজধানী ঢাকাতেও বিভিন্ন এলাকায় দু’দিন ধরে দিনে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে।কর্মকর্তারা দাবি করেন, দেশে বিদ্যুতের চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদনের সক্ষমতা তৈরি হওয়ায় চার বছর ধরে কোন লোডশেডিং হয়নি।কিন্তু দু’দিন ধরে দিনে সাড়ে ১৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতে চাহিদার বিপরীতে সরবরাহে ১২০০ মেগাওয়াটের বেশি ঘাটতি হচ্ছে।গ্যাসের অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে দেয়া হয়েছে।

রাজশাহী বিভাগে আগে পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিদ্যুৎ বিতরণের কাজটি করত। ২০১৬ সালে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের কার্যক্রম গুটিয়ে নেয়। এরপর থেকে উত্তরের ১৬ জেলার গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে সরকারি মালিকানাধীন বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি নর্দান ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)। পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে পল্লি বিদ্যুৎ সমিতিও বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।

এই দুই সংস্থার গ্রাহকদেরই ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়তে হচ্ছে। দিনে রাতে সব সময় একটু পর পর বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। কখনও ৩০ মিনিট পর কখনও এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ আসছে। আবার ঘণ্টাখানেক পরই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। এতে এই গরমে মানুষ দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন। কাজে-কামে স্থবিরতা নেমে এসেছে। শিল্প-কারাখানায় উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। ‘রাজশাহীতে বিদ্যুৎ যায় না, মাঝে মাঝে আসে’- এ ধরনের কথা লিখে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন তিন দিন ধরে।

রাজশাহী শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু বলেন, ‘সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পরে এ ধরনের লোডশেডিংয়ের মুখে পড়তে হবে তা কল্পনা করিনি। ব্যবসা-বাণিজ্য ভীষণ রকমের ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শিল্প-কারাখানায় উৎপাদন বিপর্যয় ঘটছে। বিদ্যুৎ ছাড়া আসলে কিছুই করা যাচ্ছে না। দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে এমনটাই আশা করি।’

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ‘বিদ্যুৎ চলে গেলে রোগীদের খুব অসুবিধা হচ্ছে। ঘন ঘন বিদ্যুৎ যাচ্ছে। তবে ১০, ১৫ কিংবা ৩০ মিনিট পর আবার আসছে। আমরা অনুরোধ করেছি, হাসপাতালটাকে যেন বিশেষ বিবেচনা করা হয়। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন এই মূহুর্তে আসলে কিছু করার নেই। এটা জাতীয় সমস্যা।’

বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে গ্যাসের দাম কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক খোলাবাজার বা স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনা হচ্ছে না।সেজন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন কমানো হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

“গ্যাসের দাম প্রচুর বেড়ে গেছে। সরকার যে পরিমাণ ভর্তুকি দিচ্ছে, সেটা দিয়েও কাভার করা যাচ্ছে না” বলেন নসরুল হামিদ।তিনি জ্বালানির বিশ্ববাজার পরিস্থিতি নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, “গ্যাসের দাম এখন আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেটে প্রতি ঘনফুট ৩৬ ডলার হয়েছে।

গুগল নিউজ ফিডে দ্য লন্ডন টাইমস অনুসরন, শেয়ারে ক্লিক করুন এখানে 

এদিকে পাবনাতে  সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়ছে মাকের্ট-শপিংমলগুলোতে। শপিংমলগুলো দিনের বেশিরভাগ সময়ই অন্ধকার থাকছে, ফলে তীব্র গরমে ক্রেতারা দোকানে ভিড়ছেন না। এভাবে লোডশেডিং অব্যাহত থাকলে ঈদ বাজারে বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

পাবনার নেসকো লিমিটেড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত দুইদিন ধরে গোটা জেলাতেই এমন লোডশেডিং হচ্ছে। কর্মকর্তারা বলছেন- এটা প্রায় সারা বাংলাদেশেই হচ্ছে। মূলত জাতীয় গ্রিড থেকে চাহিদার তুলনায় অনেক কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে, ফলে ঘন ঘন লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। তবে অবস্থা স্বাভাবিক হতে কত সময় লাগবে তা জানাতে পারেননি কেউ। আজ-কালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করা না গেলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে, পাবনা জেলায় ভ্যাবসা গরম পড়ছে। প্রচণ্ড গরমে মানুষ প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের হচ্ছেন না। এরপর আবার এমন লোডশেডিং। গরম আর লোডশেডিংয়ে সাধারণ মানুষের জীবনও দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। তবে লোডশেডিংয়ের বড় প্রভাব পড়েছে মাকের্ট-শপিংমলগুলোতে।

টিএলটি-দ্য লন্ডন টাইমস পডকাষ্ট এবং লন্ডন রেডিও এখন অ্যাপল, গুগল। আরএসএস, স্পটিফাই, অ্যাংকর, রেডিও রিপাবলিক, ওভারকাস্ট, পকেস্টকাস্ট সহ সকল মেজর পডকাষ্ট প্ল্যাটফর্মে শুনা যায়। অ্যামাজন মিউজিকেও টিএলটি-দ্য লন্ডন টাইমস পডকাষ্ট এভেইলেবল।    

গত কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘন ঘন লোডশেডিং বা বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। গ্যাস স্বল্পতার কারণেই এমনটি ঘটছে বলে জানালেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। রোববার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এ তথ্য জানান তিনি।

নসরুল হামিদ তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, গ্যাস স্বল্পতার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে অনেক জায়গাতেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন পুনরায় স্বাভাবিক হবে।

তিনি আরও লেখেন, যুদ্ধের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির উচ্চমূল্য ও সরবরাহ অন্যান্য সব দেশের মতো আমাদেরকেও সমস্যায় ফেলেছে। এ পরিস্থিতিতে সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত নিয়ে কাজ করেন সাংবাদিক অরুণ কর্মকার।তিনি মনে করেন, দেশের অভ্যন্তরীণ গ্যাস অনুসন্ধান এবং উৎপাদনে ব্যর্থতার কারণে তা আমদানি নির্ভর হয়ে পড়ায় এমন পরিস্থিতি হয়েছে।কর্মকার বলেন, যুদ্ধ পরিস্থিতি বা যে কোন কারণে যে কোন সময় জ্বালানির বিশ্ববাজার অস্থির হতে পারে।”যেহেতু তেল আমাদের নেই। ফলে তা আমদানি করতে হবে। কিন্তু আমাদের গ্যাস ও কয়লা সম্পদের অনুসন্ধান, উত্তোলন বাড়াতে সরকারের উদ্যোগের ঘাটতি ছিল।”সেকারণে আমরা গ্যাসের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি এবং এখন এই সমস্যা তৈরি হয়েছে” বলেন অরুণ কর্মকার।

অভ্যন্তরীণ গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর ক্ষেত্রে ব্যর্থতার অভিযোগ মানতে রাজি নন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।তিনি দাবি করেন, গত চার বছরে এক হাজার ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বেড়েছে।তবে এখন বিশ্ববাজারে দাম চড়া হওয়ায় গ্যাস কেনা বন্ধ করায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে লোডশেডিং করতে হচ্ছে, এই অবস্থার সহসাই উন্নতি সম্ভব কিনা-এমন প্রশ্নে  হামিদ কোন নিশ্চয়তা দিতে পারেননি(সংকলিত)।

The post কেন এতো লোডশেডিং, সমাধান কী? appeared first on Website.

]]>
সৌদিআরব বাংলাদেশী হাজিদের ইমিগ্রেশন ঢাকায় করছে(ভিডিও) https://syedshahsalimahmed.com/archives/2284 Sun, 03 Jul 2022 00:38:03 +0000 https://syedshahsalimahmed.com/?p=2284 হজ্ব যাত্রীদের জন্য এবার সৌদি আরব ঢাকা এয়ারপোর্ট থেকে মক্কা রুট ইনিশিয়েটেভের যাত্রা শুরু করল। এর লক্ষ্যে সৌদি আরব ৫০ জনের মতো সৌদি অফিসিয়েল ইমিগ্রেশন স্টাফ ঢাকা হযরত শাহজালাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে নিয়োগ দিয়েছে। এবার সৌদি আরব হজ্ব করার জন্য ৬০,০০০ হজ্ব যাত্রী সৌদি আরব যাচ্ছেন। বাংলাদেশী হজ্ব যাত্রীদের সকল ইমিগ্রেশন, হেলথ চেক, ভিসা চেক সহ […]

The post সৌদিআরব বাংলাদেশী হাজিদের ইমিগ্রেশন ঢাকায় করছে(ভিডিও) appeared first on Website.

]]>
হজ্ব যাত্রীদের জন্য এবার সৌদি আরব ঢাকা এয়ারপোর্ট থেকে মক্কা রুট ইনিশিয়েটেভের যাত্রা শুরু করল। এর লক্ষ্যে সৌদি আরব ৫০ জনের মতো সৌদি অফিসিয়েল ইমিগ্রেশন স্টাফ ঢাকা হযরত শাহজালাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে নিয়োগ দিয়েছে।

এবার সৌদি আরব হজ্ব করার জন্য ৬০,০০০ হজ্ব যাত্রী সৌদি আরব যাচ্ছেন। বাংলাদেশী হজ্ব যাত্রীদের সকল ইমিগ্রেশন, হেলথ চেক, ভিসা চেক সহ যাবতীয় ইমিগ্রেশন ঢাকা এয়ারপোর্টেই মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভ ডেস্কের মাধ্যমে দ্রুততার সাথেই সম্পন্ন হচ্ছে।

অনেক হজ্ব যাত্রী সেজন্য স্বস্তিও প্রকাশ করেছেন-ইমিগ্রেশনের সব ঝামেলা ঢাকাতে সম্পন্ন করেই তারা বিমানের যাত্রী হচ্ছেন সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে। সময় এবং ঝামেলামুক্ত হওয়ায় অনেকেই খুশী।

সৌদি আরব ২০০৯ সালে এই মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভ প্রোগ্রাম চালু করে। বাংলাদেশ ছাড়াও পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং মরক্কোর নাগরিকেরা নিজ নিজ দেশের বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন চেকিং সম্পন্ন করে হজ্ব করার এই সুযোগ পাচ্ছেন।

The post সৌদিআরব বাংলাদেশী হাজিদের ইমিগ্রেশন ঢাকায় করছে(ভিডিও) appeared first on Website.

]]>
ছাত্র-শিক্ষক অপমানজনক ঘটনা নিয়ে সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ`র পডকাষ্ট https://syedshahsalimahmed.com/archives/2275 Sat, 02 Jul 2022 16:26:49 +0000 https://syedshahsalimahmed.com/?p=2275 নড়াইল সাভার কিংবা দেশের অন্যত্র সব খানেই একই চিত্র আজ। কেন কেন? নড়াইলের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মোবাইল আনা বন্ধে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরপরও কোনো শিক্ষার্থীর কাছে মোবাইল পাওয়া গেলে, তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম ছায়েদুর রহমান জেলার সব স্কুল-কলেজের প্রধানদের এমন নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মোবাইল […]

The post ছাত্র-শিক্ষক অপমানজনক ঘটনা নিয়ে সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ`র পডকাষ্ট appeared first on Website.

]]>
নড়াইল সাভার কিংবা দেশের অন্যত্র সব খানেই একই চিত্র আজ। কেন কেন?

নড়াইলের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মোবাইল আনা বন্ধে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরপরও কোনো শিক্ষার্থীর কাছে মোবাইল পাওয়া গেলে, তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম ছায়েদুর রহমান জেলার সব স্কুল-কলেজের প্রধানদের এমন নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন।

চিঠিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ব্যবহারে নিষেধ থাকা সত্ত্বেও এর ব্যবহার বাড়ায় উদ্বেগ জানানো হয়। একই সঙ্গে ঈদুল আজহার ছুটির পর নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে অভিভাবক সমাবেশ করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশে যারা শিক্ষকতা করেন তারাই জানেন বর্তমানে শিক্ষকতা কতটা চ্যালেঞ্জিং পেশায় পরিণত হয়েছে এবং কতটা চাপে তাদের কাজ করতে হয়। শিক্ষকদের আর্থিক চাপতো লেগেই থাকে, এখন আবার নতুন করে শুরু হয়েছে শিক্ষক লাঞ্ছনা এবং নির্যাতন। তুচ্ছ এবং সাজানো ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষকদের লাঞ্ছনার ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। শিক্ষকদের এই অপমান কি জাতির জন্য লজ্জা নয়? যে শিক্ষক দেশ ও নাগরিক গঠনে কাজ করে চলেছেন তার এ অপমান পাওনা?
কোন মানুষ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। কোন শিক্ষক যদি অন্যায় করে থাকেন তবে আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে; কিন্তু শিক্ষকদের গায়ে হাত তোলা, অপমান করা কি রাষ্ট্রের জন্য অস্বস্তিকর নয়? নড়াইলে শিক্ষকের গলায় জুতার মালা পরানো কি সমগ্র জাতির জন্য লজ্জার নয়? কেউ যদি অন্যায় করে সেটা তদন্তসাপেক্ষে বিচার হবে; কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার রাষ্ট্রতো কাউকে দেয়নি।

শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে কান ধরে ওঠবস করানোর সেই দৃশ্য মানুষ ভুলেনি। ২০১৩ সালে পাবনায় একজন ছাত্র তথাকথিত অভিযোগে শিক্ষককে দুই হাতে ইট দিয়ে মাঠের মধ্যে দাঁড় করিয়ে রেখেছিল। সাভারে কলেজ শিক্ষককে এক বখাটে ছাত্র পেটালো। হাসপাতালে তার মৃত্যু হলো। ওই শিক্ষক ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করেছিলেন।

শিক্ষক হৃদয় মন্ডলকে মারধর করা হলো। আশালতা নামের আরেকজন শিক্ষিকাকে মিথ্যা অভিযোগে সাম্প্রদায়িকতার তকমা লাগানোর চেষ্টা করা হলো। বাংলাদেশের শিক্ষকরা আর্থ- সামাজিকভাবে কতটা ভালো থাকেন তা সবাই জানে। কৃমিকীটে খাওয়া দগ্ধ লাশের চেহারা তাদের বেতন কাঠামোর। শিক্ষকরা আর্থিক বঞ্চনার শিকার। তবুও জাতি গঠনে তারা কাজ করে চলেছেন। কিন্তু তাদের প্রাপ্তি কি এই অপমান? সামান্য বেতনের দাবিতে প্রেসক্লাবে এসে শিক্ষককে মরিচের গুঁড়ার নির্যাতনও সহ্য করতে হয়েছে। শিক্ষকদের এ ধরনের লাঞ্ছনা কি জাতির বিবেককে নাড়া দেয় না।

আসলে শিক্ষকদের স্বার্থ রক্ষায় সেই ধরনের কোন প্লাটফর্ম এখনো গড়ে ওঠেনি। শিক্ষক সমিতির নামে যে সংগঠনগুলো কাজ করছে তারাও তেমন কিছু করতে পারছে না। কেননা এই সমিতিগুলো লেজুড়বৃত্তি, স্বজনপ্রীতি, দলীয়করণ আর অপরাজনীতির জালে আটকা পড়ে আছে। শিক্ষকদের হয়রানি করা হয় বিভিন্নভাবে। সেগুলোর মধ্যে আর্থ-সামাজিক নির্যাতন এবং মনো-দৈহিক নির্যাতন অন্যতম। জরিমানা, বেতন না দেয়া, অপমান, বরখাস্তকরণ, হামলা-মামলাসহ নানাভাবে তাদের অপদস্ত করা হয়।

শিক্ষা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের সাবেক অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান বলছেন সব ক্ষেত্রে সহনশীলতা আর নৈতিক মূল্যবোধের অভাব বড় একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

“তবে এই টানাপোড়েনের জন্য কোন এক পক্ষকে দায়ী করা ঠিক হবে না। এখানে নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক দরকার যারা শিক্ষার্থীদের সামনে রোল মডেল হয়ে উঠবেন। শিক্ষকদেরও যেমন শিক্ষার্থীদের অকৃত্রিম ভালোবাসতে হবে তেমনি ছাত্রদেরও তাদের শিক্ষকদের মানতে হবে

পত্রিকায় মাঝে-মধ্যেই শিক্ষকদের অপমান করার খবর প্রকাশিত হচ্ছে। এ ধরনের ঘটনার যেন আর পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা এ ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। শিক্ষককে মেরে শিক্ষা কায়েম করার অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। শিক্ষকদেরও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। শিক্ষার্থী-শিক্ষক সম্পর্কেরও দিনে দিনে অবনতি হচ্ছে। এটা মোটেও ভালো দিক নয়। একটি বন্ধুসুলভ বন্ধন তাদের মধ্যে কাম্য। শিক্ষককে অপমান করার অর্থ পুরো জাতিকে অপমান করা। তাই শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক। শিক্ষকেরা যেন স্বস্তিতে এবং নিরাপদে শিক্ষকতা করতে পারেন- সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের ওপরই বর্তায়(সংকলিত) ।

The post ছাত্র-শিক্ষক অপমানজনক ঘটনা নিয়ে সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ`র পডকাষ্ট appeared first on Website.

]]>
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ`র আজকের পডকাষ্ট https://syedshahsalimahmed.com/archives/2257 Sun, 26 Jun 2022 21:38:14 +0000 https://syedshahsalimahmed.com/?p=2257 বাংলাদেশের ঘটের যাওয়া শীর্ষ সংবাদ আর বিশ্বের সকল খবরাখবর ও কমেন্টারি নিয়ে দ্য লন্ডন টাইমসের আয়োজনে সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ এর আজকের টিএলটি পডকাষ্ট এখন সকল মেজর পডকাষ্ট প্ল্যাটফর্মে।শুনার জন্য ক্লিক করুন যেকোন ফর্মেটে Sunday TLT Podcast:Bangladesh & World news | RSS.com  https://music.amazon.com/podcasts/a1354b01-5891-455d-b5c8-82f7d561fe79/episodes/9c765e94-b126-48aa-8e8b-065a95bfa97f/tlt-the-london-times-podcast-sunday-tlt-podcast-bangladesh-world-news

The post সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ`র আজকের পডকাষ্ট appeared first on Website.

]]>
বাংলাদেশের ঘটের যাওয়া শীর্ষ সংবাদ আর বিশ্বের সকল খবরাখবর ও কমেন্টারি নিয়ে দ্য লন্ডন টাইমসের আয়োজনে সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ এর আজকের টিএলটি পডকাষ্ট এখন সকল মেজর পডকাষ্ট প্ল্যাটফর্মে।শুনার জন্য ক্লিক করুন যেকোন ফর্মেটে

https://music.amazon.com/podcasts/a1354b01-5891-455d-b5c8-82f7d561fe79/episodes/9c765e94-b126-48aa-8e8b-065a95bfa97f/tlt-the-london-times-podcast-sunday-tlt-podcast-bangladesh-world-news

The post সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ`র আজকের পডকাষ্ট appeared first on Website.

]]>
সিলেটের মেয়র পদে নাদেল কেন অপরিহার্য (০১) https://syedshahsalimahmed.com/archives/2185 Thu, 23 Jun 2022 15:46:37 +0000 https://syedshahsalimahmed.com/?p=2185 সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ। ০৮ মে ২০২২, লন্ডন। শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল-এক সময়ের সিলেটের রাজপথের আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী, যিনি আজ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠণিক সম্পাদক। তৃণমূল থেকে উঠে আসা শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল-অন্য ৮/১০ জনের মতো রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নয়। তৃণমূলের ছাত্ররাজনীতির একেবারের ঘাত-প্রতিঘাত, অনেক উত্থান পতন আর কষ্টকর ও দুর্গম রাজনৈতিক বর্ণাঢ্যময় ক্যারিয়ারের দুর্লভ […]

The post সিলেটের মেয়র পদে নাদেল কেন অপরিহার্য (০১) appeared first on Website.

]]>
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ। ০৮ মে ২০২২, লন্ডন।

শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল-এক সময়ের সিলেটের রাজপথের আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী, যিনি আজ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠণিক সম্পাদক। তৃণমূল থেকে উঠে আসা শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল-অন্য ৮/১০ জনের মতো রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নয়। তৃণমূলের ছাত্ররাজনীতির একেবারের ঘাত-প্রতিঘাত, অনেক উত্থান পতন আর কষ্টকর ও দুর্গম রাজনৈতিক বর্ণাঢ্যময় ক্যারিয়ারের দুর্লভ অধিকারি, যে জীবনে কখনও অন্যায়, অবিচার, অত্যাচার ও গড্ডালিকা প্রবাহের তথাকথিত ছাত্ররাজনীতি কিংবা রাজনীতির অন্ধগলির সাথে কখনও হাত মেলায়নি, আপোষও করেনি। সব সময় সাধারণ ছাত্র ছাত্রী আর সকল স্তরের রাজনৈতিক নেতা কর্মী পরিবেষ্ঠিত ও সমন্বয়ের মাধ্যমে মুখে সদা হাস্যোজ্জ্বল এক দ্যুতি ছড়িয়ে ক্লিন পরিচ্ছন্ন এক রাজনীতির সুন্দরের যাত্রা শুরু করে, যা আজও সেই ধারাটি যত্নের সাথে চলমান রেখেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মতো সবার সাথে বন্ধুত্ব কিন্তু বঙ্গবন্ধু ও মুজিবকন্যা এবং মুজিব পরিবারের প্রশ্নে জিরো টলারেন্স- যা শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলকে করে তুলেছে নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আরো বিশ্বস্ত ও আস্থার এক তরুণ প্রজন্মের প্রতিভু হিসেবে।

আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সূর্যসেন হলের ৫২৭ নম্বর রুম আমার তখনকার সময়ের আবাসস্থল। সিলেটের সকল রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী যেমন সেসময় এই ৫২৭ তাদের আশ্রয় ও ভরসার স্থল মনে করতেন, তেমনি তরুণ ক্রিকেটার ও ফুটবলার থেকে শুরু করে সংস্কৃতির অঙ্গনের সবাই কোন না কোনভাবে এই ৫২৭ তাদের আপন হিসেবে ভাবতেন।আমি নাদেলকে দেখেছি, যখনই সে ঢাকা আসতো-আমার এই ৫২৭(পরবর্তীতে ৪০৮ নম্বরের) অতিথি যেমন হতো, ঠিক তেমনি সারাক্ষন লেগে থাকতো কেমন করে বঙ্গবন্ধুর কর্ম, কাজ, রাজনীতি, শেখ হাসিনার চিন্তা ধারা ছাত্র সমাজ, খেলাধুলা ও যুব সমাজের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া যায়। জেনারেল এরশাদের দুঃসময়ের সেই সামরিক শাসনের যাতাকলে সবাই যখন মাঠ ছাড়া, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল নিতান্ত একজন ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে ৩২ নম্বর থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, সিলেটের অলিগলি সর্বত্র চষে বেড়াতো বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার দর্শন বাস্তবায়নের স্বপ্ন নিয়ে।

সেই ছাত্রলীগের কর্মী থেকে একেবারে পুরোদস্তর ছাত্রনেতা, তারপর ধীরে ধীরে নিজের যোগ্যতা, কাজ, কর্ম ও প্রতিভা দিয়ে আজ আওয়ামীলীগের সাংগঠণিক সম্পাদক। সিলেটে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির বিশেষ করে সিটিতে বিএনপির একচ্ছত্র কর্তৃত্ব দাপটের সাথে চলছে। তার মানে আজকের মেয়র আরিফের বিকল্প আওয়ামীলীগের তখনো যেমন ছিলোনা ( যদিও প্রয়াত বদর উদ্দিন কামরান খুব ঝানু মেয়র ও নেতা ছিলেন কিন্তু কালের বিবর্তনে তিনি সেটা ধরে রাখতে সক্ষম হননি), এখনও খুব একটা যে আছে সেটা খুব জোর দিয়ে বলা যায়না। আর এই বিকল্প না থাকার কারণে কাজ পাগল, বয়োজ্যেষ্ট মুরুব্বী, আলোকিত সিলেটের স্বপ্নদষ্ট্রা সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এই বিকল্পের অনুপস্থিতিতে সিলেটের উন্নয়নে নিরলসভাবে আরিফ চৌধুরীকে সমর্থন ও সহযোগীতা দিয়ে গেছেন। কারও প্রতি বিদ্বেষ কিংবা অনুরাগ বা বিরোধীতা করে নয় বরং বাস্তবতার নিরেট কষ্ঠি পাথরে রুঢ় হলেও কঠিণ সত্য যে, এই মুহুর্ত পর্যন্ত বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরীর সাথে প্রতিদ্বন্ধিতা করে ক্ষমতাসীনদের ঘরে জয় ছিনিয়ে নেয়ার মতো সিলেটের আওয়ামীলীগে শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের বিকল্প কোন নেতৃত্ব দল মত নির্বিশেষে সর্ব মহলের কাছে গ্রহণযোগ্য তৈরি হয়নি। বিগত ছয় মাস সমগ্র সিলেটের আনাচে কানাচে, অলি গলি, বাসা বাড়ি, প্রশাসন, রাজনীতি, অর্থনীতি, ব্যবসা বাণিজ্য, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অঙ্গন, আলেম উলামা, দিন মজুর, রিক্সা শ্রমিকদের প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষের কাছে প্রশ্ন ছিল- কাকে তারা আরিফের বিকল্প হিসেবে মনে করেন এবং কেন- তাদের মধ্যে ৯৮.৯ শতাংশই এক বাক্যে বলেছেন শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের নাম।

এটা সত্য, নাদেল তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার আর ব্যক্তি ইমেজ এর সমন্বয়ে সিলেটের সমগ্র সিটি কর্পোরেশনে নিজের এক ক্লিন ইমেজ তৈরি করেছেন-যা সর্ব সাধারণের কাছে তাকে করে তুলেছে প্রিয় ও গ্রহণযোগ্য এক নেতা হিসেবে।

সিলেটের বিভিন্ন ওয়ার্ডে সরকার দলীয় প্রতিপক্ষ গ্রুপের নেতা কর্মীদের কাছেও রয়েছে শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের অসম্ভব জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা।

প্রশাসনের সর্বস্তরে শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের গ্রহণযোগ্যতা অপ্রতিদ্বন্ধি-সন্দেহ নাই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ২০৩০ সফল বাস্তবায়ন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডঃ আব্দুল মোমেনের সিলেটের উন্নয়নের রূপকল্প বাস্তবায়ন ও এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে, সরকার প্রধান(নেত্রী) ও মন্ত্রী মহোদয়ের ক্লিন ইমেজ যুগপৎভাবে অক্ষুন্ন এবং নিরলস উন্নয়নের ধারাবাহিকতা সাধারণের জন্য অবারিত ও বেগবান রাখার স্বার্থে, আওয়ামীলীগের ঐক্য,সংহতি এবং শক্তিশালী অবস্থান তরুণ ছাত্র সমাজ যুব সমাজ ও শ্রমজীবীদের মধ্যে শক্তভিতের উপর মজবুত করে ধরে রাখার জন্যও শফিউল আলম চৌধুরীর রাজনৈতিক ক্লিন ইমেজ আবশ্যক।

আমার বিশ্বাস এবং দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আওয়ামীলীগ নির্বাচনী বোর্ড, হাইকমান্ড এবং সিলেট আওয়ামীলীগ যদি শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলকে নিয়ে সিলেটের আগামী মেয়র নির্বাচন প্রতিদ্বন্ধিতা করে, তবে ইনশাআল্লাহ,এবার আওয়ামীলীগ সিলেটের মেয়র নিজেদের ঘরে আনতে পারবে। সিলেটের হাজার হাজার তরুন এবং নতুন প্রজন্মের ভোটার থেকে শুরু করে যুবক, বৃদ্ধ, ব্যবসায়ী, শ্রমিক, দিনমজুর সবাই মনে করেন- “আওয়ামীলীগ যদি মেয়র নিজেদের করে পেতে চায় তবে নাদেল ভাইকে নিয়ে নির্বাচনী মাঠে থাকতে হবে।“

বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামীলীগ দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা সিলেটের মেয়র পদে শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলকে নিয়ে এখন থেকে পরিকল্পনা করতে পারেন। কারণ প্রধানমন্ত্রী তার চিন্তা ভাবনা বাস্তবায়নের জন্য দীর্ঘদিন আগ থেকে কাজ(হোম ওয়ার্ক) শুরু করে দেন। প্রধানমন্ত্রী নিজেও চান, দলের নেতৃত্বে তরুন এবং ক্লিন ইমেজের প্রতিভাবান নেতৃত্ব এগিয়ে আসুক। সিলেটের আগামীর মেয়র নির্বাচনে নাদেলের মতো ক্লিন-প্রতিভাবান নেতৃত্বেরও আর কোন বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী বিষয়টি ভেবে দেখতে পারেন।

The post সিলেটের মেয়র পদে নাদেল কেন অপরিহার্য (০১) appeared first on Website.

]]>
ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ফের এক কাতারে https://syedshahsalimahmed.com/archives/2182 Thu, 23 Jun 2022 00:21:29 +0000 https://syedshahsalimahmed.com/?p=2182 সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ।  ভুরাজনীতির কেন্দ্রে ইতোমধ্যেই নানান পরিবর্তন সাধিত হয়ে গেছে। ইউক্রেন রাশিয়া ইস্যু সেই পরিবর্তনের মাত্রায় নতুন পারদ ঢেলে দিয়েছে। ইউক্রেন রাশিয়া ইস্যুতে বিশ্ব রাজনীতির শক্তিধর মোড়লদের মধ্যে মতানৈক্য থাকলে ছোট ছোট উদীয়মান ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর রাজনীতি, অর্থনীতি, ব্যবসা বাণিজ্য, সমরাস্ত্র ও সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে এক ও অভীন্ন কৌশল নিয়ে এগুচ্ছে। একই ইস্যুতে ইউরোপ […]

The post ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ফের এক কাতারে appeared first on Website.

]]>
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ।  ভুরাজনীতির কেন্দ্রে ইতোমধ্যেই নানান পরিবর্তন সাধিত হয়ে গেছে। ইউক্রেন রাশিয়া ইস্যু সেই পরিবর্তনের মাত্রায় নতুন পারদ ঢেলে দিয়েছে। ইউক্রেন রাশিয়া ইস্যুতে বিশ্ব রাজনীতির শক্তিধর মোড়লদের মধ্যে মতানৈক্য থাকলে ছোট ছোট উদীয়মান ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর রাজনীতি, অর্থনীতি, ব্যবসা বাণিজ্য, সমরাস্ত্র ও সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে এক ও অভীন্ন কৌশল নিয়ে এগুচ্ছে। একই ইস্যুতে ইউরোপ ও বড় মাপের দেশগুলোর জন্য যেমন, উদীয়মান ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য সেই কৌশল,নীতি ভিন্ন-যদিও তা নিয়ে রাজনৈতিক পন্ডিতদের মধ্যে রয়েছে মতানৈক্য ও সমালোচনায় মুখর।

সম্প্রতি বাংলাদেশের র‍্যাব ও মানবাধিকার এবং নির্বাচন ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমারা ধীরে ধীরে খোলস উম্মোচন করে চলেছে। র‍্যাব ও মানবাধিকার ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের অবস্থান যেমন পরিষ্কার করেছে, ঠিক একইভাবে আগামী নির্বাচন প্রশ্নে সকল দলের অংশ গ্রহণের এক কৌশলী বক্তব্যও খোলাসাভাবে দিয়েছে।

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ২০০৮ সালের ন্যায় থাকলে(র‍্যাব নিষেধাজ্ঞার সময় পর্যন্ত), কেননা, নিষেধাজ্ঞার আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবশ্যই নয়াদিল্লির সাথে আলোচনা  না করে করেনি। নিষেধাজ্ঞার পূর্বে মার্কিনযুক্তরাষ্ট্রের বার্তা নয়াদিল্লির টেবিল পর্যন্তই আটকে যায়,সেই বার্তা ঢাকায় আসেনি।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নো-অবজেকশন নোটে উপমাহাদেশের এই দেশটির রাষ্ট্রীয় বাহিনীর কতিপয় কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে ইতস্তত করেনি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের সাথে প্রায় সহমত অবস্থানে যুক্তরাজ্যও নিজেদের বক্তব্য দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেছে। এদিকে ভারত আগ বাড়িয়ে কিছু না বললেও নির্বাচন প্রশ্নে বিদ্যমান আইনে ও প্রতিষ্ঠানের আওতায় আগামী নির্বাচন সকল দল নিয়ে করার কথা মোটাদাগে না হলেও বলেছে।

এমনি অবস্থায় দেশের ভিতরের বিরোধীদলগুলো একমত না হলেও ছোট ছোট ও বামদলগুলো জাতীয় সরকারের অধীনে আগামীর নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। প্রধান বিরোধীদল বিএনপির মধ্যে দুটি ধারা বিদ্যমান। একটি ধারা জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আর অপর ধারাটি তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনের নির্বাচনের কথা বলছে।

এই যখন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনের অবস্থা বা আন্তর্জাতিক মুরুব্বীদের সিনারীও সরকারের অনেকটা বিব্রতকর অবস্থানে, ঠিক তখনি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর অনেকটা আগ বাড়িয়েই দীর্ঘ এক বিরতি তথা ঠান্ডা-গরম-শীতল এক সম্পর্কের আবহের মধ্যেই ঢাকা সফরে আসলেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সচিবের এক্ষেত্রে সফলতাটা আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়-যা তাদেরকেও অনেকটা বিব্রতকর নাজুক অবস্থা থেকে শ্বাস নেয়ার অবস্থানে নিয়ে আসে। জয় শংকরের ঢাকা সফরের মধ্য দিয়ে মার্কিন-ভারত রাজনীতির খেলার কুশলী ছকটা অনেকটাই প্রকাশ্যে চলে আসে, যদিও ঢাকা সফরের সময় জয়শংকর ঝানু কূটনীতিকের ন্যায় বেশ মুন্সিয়ানা এবং অনেকটা রাজনৈতিক খেলার ছক সকলের নাগালের বাইরে সযত্নে আগলে রাখার কৌশলী ও দক্ষতায় পারদর্শীতা দেখিয়েছেন দারুনভাবে।

বাংলাদেশের অর্থনীতির ও উন্নয়নের এক সিংহভাগ অংশীদার চীন। শেখ হাসিনা ও মোমেনের পূর্বমুখী নীতির ফলে চীনকে নিয়ে যেমন আলোচনা তুঙ্গে, তেমনি ভুরাজনীতির খেলার ছকে ভারত-মার্কিনীরা চীনের মাত্রাতিরিক্ত অংশগ্রহণ অস্বস্তির কারণ। বাংলাদেশ এতোদিন স্বীকার করুক আর না করুক, র‍্যাব ও মানবাধিকার ইস্যু আর পাকিস্তানের ইমরান খানের আচমকা ক্ষমতাচ্যুতিতে ঢাকার গণভবন আর সেগুনবাগিচার কূটনীতিকপাড়ায় মার্কিনীদের খেলার চাল বোধগম্যে সময় বেশী নেয়নি, যার ফলে তড়িৎ ভারসাম্যের উন্নয়নের কূটনীতিকে কিছুটা আপাতঃ পিছনে রেখে পূর্বের (২০০৮) ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুপ্রতীম ও একে অন্যের সহযোগী নীতিতে সেগুনবাগিচার অবস্থান ভারতের বিদেশ মন্ত্রক সচিব শ্রী শ্রীংলার দপ্তরে তড়িৎ গতিতে পৌছে গেলে, ভারত সঙ্গে সঙ্গে সব অভিমান গোস্বা ভুলে গিয়ে লুফে নেয় ( যদিও সেই প্রেক্ষিত তৈরিতে আওয়ামীলীগকে অনেক কাটখড় পোড়াতে হয়েছে, পররাষ্ট্র সচিব ছাড়াও তথ্যমন্ত্রী, দলীয় সাধারণ সম্পাদক সহ একগুচ্ছ দলীয় টিমকে ভারতে পাঠাতে হয়েছিলো)।

এটা অকাট্য সত্য, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের নির্বাচন ও আন্তর্জাতিক পলিসি ইস্যুতে প্রতিবেশী শক্তিশালী দেশের যেমন বিরাট এক ভুমিকা থাকে, তেমনি মার্কিনী ও পশ্চিমাদের আগ্রহ ও ইন্টারেস্ট থাকে সমান মাত্রায়।

সেগুনবাগিচার কর্তারা ভালো করেই জানেন মার্কিনযুক্তরাষ্ট্রের সাথে চলমান এই ইস্যুতে সুরাহা বা আগুনে বা ঘি  পানি ঢালতে নয়াদিল্লির সেই ঢাকা-নয়াদিল্লি সহযোগিতার সম্পর্ক পুণরুজ্জীবিত করার বিকল্প নেই।যদিও সেই বোধগম্যে কিছুটা নয়, বেশ দেরিই হয়ে গেছে ঢাকার পক্ষে।তারপরেও মন্দের ভালো, দেরিতে হলেও ঢাকা-নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন এক কাতারে আসতে সম্মত হয়েছে, যা আগামীর জটিল কূটনীতির পথচলাকে সহজ করবে(যদিও র‍্যাব ইস্যু সমাধানে ঢাকার জন্য কিছুটা সময় লাগবে-সম্পর্কের ক্রমাবনতির খেসারততো দিতেই হয়।সেটা সব ক্ষেত্রে, সব জায়গায়, সব দেশেই হয়ে থাকে, ব্যক্তিগত কিংবা সামষ্ঠিক যেভাবেই হউক)

জয়শংকরের ঢাকা সফরের শুরুতেই ডঃ আব্দুল মোমেন র‍্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ইস্যুতে ভারতের সহযোগিতার কথা খোলাসাভাবেই জানিয়েছেন। বুঝতে অসুবিধা হয়না, ইতোপূর্বেকার নানান বক্তব্য(পাবলকলি বলা হলেও), মূলতঃ এতোসব আদ্যোপান্তের মূল ছক মার্কিনযুক্তরাষ্ট্রেই তিনদেশের মধ্যে বুঝাপরা(প্রচলিত বুঝাপড়া) হয়ে গেছে। কারণ ঐ একই সময়ে ভারত বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছিল। বাংলাদেশকে সহযোগিতার বিষয়ে জয়শংকর কিংবা ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয় প্রকাশ্যে কিছু না বললেও আপনাদের আব্দুল মোমেন বলবেন-ডিপ্লোম্যাটিক জবাবই সেক্ষেত্রে সিনারিও প্লট তৈরির জন্য যথেষ্ট ছিল বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন। শুধু র‍্যাব নয়, বাংলাদেশের নানান গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন একযোগে এক কাতারে থেকে কাজ করবে। সেই সিনারিও, সেই বুঝাপরা পরিষ্কার হওয়ার পরেই তড়িৎ তথা অনেকটা ঝড়োগতিতে জয়শংকরের দুদিনের ঢাকা সফর এবং প্রধানমন্ত্রীর সাথে দীর্ঘ বৈঠক ও নরেন্দ্র মোদীর ভারত আমন্ত্রণের চিঠি হস্তান্তর-সেই বুঝাপরারই(প্রচলিত বুঝাপড়া) ইঙ্গিত নয় বরং ক্লিয়ারেন্স দেয়। এই বুঝাপরায়(বুঝাপড়া) চীনের সাথে সম্পর্কের ইস্যুও অনেকটা ভারত-মার্কিন কূটনৈতিক চালের ছকেই আবর্তিত হবে, ছন্দ, গতি, তাল, লয় ক্ষনে ক্ষনে পরিবর্তীত মাত্রায় এগিয়ে যাবে-সেরকমই বোধগম্য।

চলবে…

৪ মে ২০২২, লন্ডন।

The post ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ফের এক কাতারে appeared first on Website.

]]>
ওমর (রাঃ) প্রশ্নের জবাবে ইবনে আব্বাস(রাঃ) বললেন ২৭ তারিখে “লাইলাতুল কদরের” যে “কোরআন ও বৈজ্ঞানিক” ব্যাখ্যা দিলেন https://syedshahsalimahmed.com/archives/2127 Sat, 08 May 2021 17:07:11 +0000 https://syedshahsalimahmed.com/?p=2127 হাজার রাত্রির উত্তম লাইলাতুল কদর এর সঠিক তারিখ নিয়ে ইমাম, উলামায়ে কেরাম এবং স্কলারদের মধ্যে যুগ যুগ ধরে  ভিন্ন ভিন্ন মত প্রচলিত রয়েছে। গবেষণায় কমপক্ষে ৪০টি মত পাওয়া যায়-যা এক হিসেবে বলা যায় ভিন্নমত সত্যেও লাইলাতুল কদরের রাত তালাশের জন্য ইমামদের এই ভিন্নমত বরং আল্লাহপাকের এক রহমত এবং নেয়ামত। সাধারণতঃ ভিন্ন মত বৈরিতা এবং শত্রুতা […]

The post ওমর (রাঃ) প্রশ্নের জবাবে ইবনে আব্বাস(রাঃ) বললেন ২৭ তারিখে “লাইলাতুল কদরের” যে “কোরআন ও বৈজ্ঞানিক” ব্যাখ্যা দিলেন appeared first on Website.

]]>
হাজার রাত্রির উত্তম লাইলাতুল কদর এর সঠিক তারিখ নিয়ে ইমাম, উলামায়ে কেরাম এবং স্কলারদের মধ্যে যুগ যুগ ধরে  ভিন্ন ভিন্ন মত প্রচলিত রয়েছে। গবেষণায় কমপক্ষে ৪০টি মত পাওয়া যায়-যা এক হিসেবে বলা যায় ভিন্নমত সত্যেও লাইলাতুল কদরের রাত তালাশের জন্য ইমামদের এই ভিন্নমত বরং আল্লাহপাকের এক রহমত এবং নেয়ামত। সাধারণতঃ ভিন্ন মত বৈরিতা এবং শত্রুতা বাড়ায় অথচ লাইলাতুল কদরের তারিখ বা সময় নিয়ে অসংখ্য ভিন্ন মত, ব্যাখ্যা বৈরিতার বিপরীতে বরং লাইলাতুল কদর তালাশের জন্য মুসলমানদের আরও অনুপ্রাণীত এবং জানার আগ্রহ বাড়িয়ে দেয় এবং লাইলাতুল কদরের রাত্রির মর্যাদা, ভালবাসা মুসলিম বিশ্বের জনগনের মধ্যে আরও গুরুত্ব বাড়িয়ে দেয়। এটাই আল্লাহর রহমত এবং নেয়ামত।

বিখ্যাত খলিফা ওমর ইবনুল খাত্তাব একদা কোরআনের শ্রেষ্ঠ মোফাসসির, রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাকে কোরআনের শেষ্ঠ মোফাসসিরের জন্য দোয়া করে গেছেন, সেই ইবনে আব্বাস (রাঃ)কে জিজ্ঞেস করলেন, হে ইবনে  আব্বাস(রাঃ) তোমার মতে লাইলাতুল কদরের সময় কোনটি?

জবাবে ইবনে আব্বাস(রাঃ) তার কোরানিক জ্ঞান এবং বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের আলোকে বললেন, .

০১) কোরআনের লাইলাতুল কদর শব্দে ৯টি লেটার সমৃদ্ধ  এবং একই সাথে ৩(তিন) বার একই সূরাতে (কদরের) উল্লেখ করেছেন আল্লাহপাক।

০২) সুরা কদর ( ইন্না আনজালনাহু ফি লাইলাতুল কাদরী…) ৩০টি  শব্দের সমন্বয়ে আল্লাহপ্রদত্ত নাজিল হয়েছে,  এবং এই  কদর সুরাতে (সালামুন ) “হিয়া”( মানে ইহা/স্পেসিফিক)  শব্দ দিয়ে যা বুঝিয়েছেন, মানে কদরের অর্থে  ২৭ শব্দের মধ্যেই এসেছে। মানে আল্লাহপাক ইঙ্গিত দিয়েছেন এই “হিয়া” ২৭ শব্দের মধ্যে দিয়ে।

০৩) শুধু কি তাই, ইবনে আব্বাস (রাঃ) ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) কে আরও বললেন, আল্লাহপাক,  বেজোড় নাম্বারকে পছন্দ করেন, যা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও বেজোড় রাত্রিতে লাইলাতুল কদর তালাশের কথা বলেছেন একাধিকবার(বোখারি শরীফ)। তিনি বলেন আল্লাহপাক ৭(সাত) লেটারকে /শব্দটিকে বড় পছন্দ করেন। সেজন্য ৭ দিনে তিনি আকাশমন্ডলী সৃষ্ঠি করেছেন,  ৭দিনে সেভেন ওয়ার্ল্ড, ৭ দিনে সপ্তাহ, পবিত্র কাবা শরীফে ৭টি সার্কিট যা তাওয়াফকারীদের জন্য  এক তাওয়াফ হয়(মাতাফ চক্করে)। আমরা আল্লাহর এসব সৃষ্টিতে ৭ এর আধিক্য দেখি।

এই সব কারণে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) ওমর(রাঃ) বলেন  ২৭ তারিখকেই লাইলাতুল কদর নির্দেশ করে। তারপরেও এটাই চূড়ান্ত কথা নয়। কারণ আল্লাহপাকই সবচাইতে ভাল জানেন।

পাদটিকা-

::Allah says in the Qur’an, “The Night of Decree is better than a thousand months,” (Qur’an, 97:3). The Prophet (peace be upon him) said, “Whoever prays on Laylatul Qadr out of faith and sincerity, shall have all their past sins forgiven,” (Hadith, Bukhari and Muslim).

##::The exact date of Laylatul Qadr is unknown, although it is thought to occur on an odd night in the last ten days of Ramadan (e.g. the 21st, 23rd, 25th, 27 or 29th night). The Prophet Muhammad (peace be upon him) said, “Seek it in the last ten days, on the odd nights,” (Hadith, Bukhari and Muslim).

When Lady Aisha (may Allah be well pleased with her) asked the Prophet (peace be upon him) “O Messenger of Allah, if it is Laylatul Qadr, then what should I supplicate with?” he replied with the famous dua: “Allahumma, innaka Afuwwun Karimun, tuḥibbu al-afwa fa‘afu anna” – “O Allah, indeed You are Pardoning and Generous; You love to pardon, so pardon us.

##:: 2014 N0:: “حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ حَفِظْنَاهُ وَإِنَّمَا حَفِظَ مِنَ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ صَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ، وَمَنْ قَامَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‏”‏‏.‏ تَابَعَهُ سُلَيْمَانُ بْنُ كَثِيرٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রমযানে ঈমানের সাথে ও সওয়াব লাভের আশায় সাওম পালন করে, তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হয় এবং যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে, সওয়াব লাভের আশায় লাইলাতুল ক্বদ্‌রে রাত জেগে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করে, তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হয়। সুলায়মান ইব্‌নু কাসীর (রহঃ) যুহরী (রহঃ) হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।

##::2015::حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ رِجَالاً، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أُرُوا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْمَنَامِ فِي السَّبْعِ الأَوَاخِرِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أَرَى رُؤْيَاكُمْ قَدْ تَوَاطَأَتْ فِي السَّبْعِ الأَوَاخِرِ، فَمَنْ كَانَ مُتَحَرِّيَهَا فَلْيَتَحَرَّهَا فِي السَّبْعِ الأَوَاخِرِ ‏”‏‏.‏

ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর কতিপয় সাহাবীকে স্বপ্নের মাধ্যমে রমযানের শেষের সাত রাত্রে লাইলাতুল কদর দেখানো হয়। (এ শুনে) আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমাকেও তোমাদের স্বপ্নের অনুরূপ দেখানো হয়েছে। (তোমাদের দেখা ও আমার দেখা) শেষ সাত দিনের ক্ষেত্রে মিলে গেছে। অতএব যে ব্যক্তি এর সন্ধান প্রত্যাশী, সে যেন শেষ সাত রাতে সন্ধান করে।

 

 

 

 

The post ওমর (রাঃ) প্রশ্নের জবাবে ইবনে আব্বাস(রাঃ) বললেন ২৭ তারিখে “লাইলাতুল কদরের” যে “কোরআন ও বৈজ্ঞানিক” ব্যাখ্যা দিলেন appeared first on Website.

]]>
হঠাৎ অস্থিরতা- থানায় এলএমজি স্থাপন, ধরাশায়ী হেফাজত, ইন্ডিয়ার সেনা প্রধান ও জনকেরির একই সাথে ঢাকা সফর https://syedshahsalimahmed.com/archives/2115 https://syedshahsalimahmed.com/archives/2115#comments Fri, 09 Apr 2021 23:45:55 +0000 https://syedshahsalimahmed.com/?p=2115 রাজনৈতিক কৌশলী খেলায় হেফাজত দ্বিতীয়বারের মতো ধরা খেয়ে বলা যায় চুপসে গেছে। শাপলা চত্বরে বিরোধীদের চরম বৈপিরিত্ব অবস্থানের কারণে অসহায়ভাবে ধরাশায়ী হয়ে বিদায় নিয়েও হেফাজতের রাজনৈতিক কৌশল শেখা হয়নি। রাজনীতি করতে হলে শুধু ধর্মীয় জিগির তুলে জোয়ার তোলা গেলেও ফায়দা ঘরে তোলা যায়না-হেফাজত এখনও সেই রাজনীতির কৌশলী খেলার কাছে শিশুর মতো আচরণ, অসহায়ভাবে রাজনীতির মাঠ […]

The post হঠাৎ অস্থিরতা- থানায় এলএমজি স্থাপন, ধরাশায়ী হেফাজত, ইন্ডিয়ার সেনা প্রধান ও জনকেরির একই সাথে ঢাকা সফর appeared first on Website.

]]>
রাজনৈতিক কৌশলী খেলায় হেফাজত দ্বিতীয়বারের মতো ধরা খেয়ে বলা যায় চুপসে গেছে। শাপলা চত্বরে বিরোধীদের চরম বৈপিরিত্ব অবস্থানের কারণে অসহায়ভাবে ধরাশায়ী হয়ে বিদায় নিয়েও হেফাজতের রাজনৈতিক কৌশল শেখা হয়নি। রাজনীতি করতে হলে শুধু ধর্মীয় জিগির তুলে জোয়ার তোলা গেলেও ফায়দা ঘরে তোলা যায়না-হেফাজত এখনও সেই রাজনীতির কৌশলী খেলার কাছে শিশুর মতো আচরণ, অসহায়ভাবে রাজনীতির মাঠ থেকে সব কটা ষ্টেক হোল্ডারদের সাথে যোগাযোগ সত্যেও সরকারের কৌশলী খেলায় ফের অসহায় ভাবে মুখ থুবরে পরা ছাড়া উপায় ছিলনা। প্রয়াত মালেক উকিল বেশ চমৎকারভাবে এই কৌশলী খেলাকে মুন্সীয়ানাভাবে স্বীকৃতি দিয়ে গেছেন রাজনীতি বিজ্ঞানে । এখানে নীতি নৈতিকতার প্রশ্ন উত্থাপিত হলে অবশ্য ভিন্ন ব্যাখ্যা চলে আসে। তবে এই আলোচনা কেবল রাজনীতির কৌশলী খেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে চাই।

অন্য অর্থে যদি বলি, আগামী ২০-২৫ বছর পরে বাংলাদেশে আফগানিস্তানের মতো অবস্থা তৈরি করে মার্কিনীদের নেতৃত্বে বহুজাতিক বাহিনী কিংবা ভারতীয় বোমারু বিমান থেকে বি-৫২ বা ফাইটার জেট থেকে বোমা ফেলে আমার অসহায় নিরীহ জনসাধারণকে হত্যা করা হউক এমন ক্ষেত্রে বা এমন রাজনীতি বাংলাদেশের জন্য কল্যাণকর নয়।

০২) হেফাজতের সাথে সরকারের কৌশলী রাজনৈতিক চালের বিপরীতে হঠাত করে বাংলাদেশের প্রশাসন ও সরকারের মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা চরম পর্যায়ে প্রকাশিত হয়ে যায়। ঠিক সেই সময়, যখন কোন প্রকারের কূটনীতির মারপ্যাচ বা সরকারি প্রচার প্রচারণা ছাড়া ( অন্য শব্দ হলো শুধু মাত্র টেলিফোনের উপর ভর করেই) ভারতের সেনা প্রধান বাংলাদেশ সেনা প্রধানের আমন্ত্রণে ঢাকায় পৌছেন (এই লেখা পর্যন্ত, আরও কিছুদিন তিনি ঢাকায় অবস্থান করবেন, তখন হয়ত আরও বৈঠক হতে পারে অনেকের সাথে)। এ ধরনের সফর হতেই পারে দুই বাহিনীর মধ্যে সৌজন্য সফরের রেওয়াজ রয়েছে বিশ্বের দেশে দেশে।   ভারতের সেনা প্রধান যখন ঢাকায় ঠিক তখনি জন কেরি ভারত হয়ে ঢাকায় ঝটিকা সফরে আসেন। আবার নয়া দিল্লী হয়েই তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ফিরে যাবেন। এই পর্যন্তই খবর মার্কিন দূতাবাস সূত্রেই জানানো হয়েছে। এই দুই হেভী ওয়েটের ঢাকা সফরের প্রাক্কালেই সরকারের সব চাইতে লজিস্টিক বাহিনীর নিজেদের নিরাপত্তার ইস্যুতে ( যেখানে জনগনের জান মালের নিরাপত্তা দেয়ার কথা, সেখানে তাদেরই নিরাপত্তা দরকার ) থানায় সেনাবাহিনীর ভারি অস্র সস্র স্থাপনের সচিত্র ছবি সংবাদ মাধ্যম সমূহে ফলাও করে প্রচারিত হচ্ছে। অথচ দেশে যুদ্ধপরিস্থিত কিংবা বহিঃশত্রুর( কিংবা আকাশ পথে আক্রমণের) আক্রমণের মতো কোন পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত বিরাজমান নয়। তারপরেও এলএমজি এবং বাংকার স্থাপন জনমনে নানা প্রশ্ন এখন উকি ঝুকি মারছে। বিভিন্ন সন্ত্রাসি গোষ্ঠী বরং আস্কারা পেয়ে যাবে তাতে। তার চেয়ে ভাল হতো ভ্যানে বা ট্র্যাকে করে যদি মেশিনিগান নিয়ে কোন ঝটলার সামনে দিয়ে পুলিশ ট্র্যাক যেত সেটাই বেশী ইফেক্টিভ হত। সন্ত্রাসিরা গা ঢাকা দিত। এখনতো দেশে এক ধরনের অস্থিতিশীলতা তৈরি হতে পারে। অনেক থানার পুলিশ এলএমজি বাংকার স্থাপনে মনোবল ভেঙ্গে থানার বাইরে অপারেশনে যেতে ইতস্থত করবে। দলীয় রাজনৈতিক (সত্যিকারে রাজনীতিবিদ) নেতাদের মধ্যে ভয় কাজ করবে সন্দেহ নাই। কার এমন দুর্বল পরামর্শে থানায় এলএমজি বাংকার স্থাপন করা হলো। সরকারের ভঙ্গুর অবস্থাকে এমন খোলাশা বিশ্বের কাছে কারা করল?

এই ম্যাকানিজম একবার স্থাপন করে ফের উঠিয়ে নেয়াও হবে বিপদজনক। এমন ভুল কৌশলী পরামর্শ সরকারকে যে বা যারা দিয়ে কার্য সিদ্ধি করেছে তারা অবশ্যই সরকারের ভাল চায়নি। কারণ হঠাত করে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে একটা মনস্থাত্বিক দ্বন্ধ এমনভাবে তৈরি করা হল-যা সরকারের জন্য সুখকর নয়। সরকারের লজিস্টিক বাহিনী হিসেবে পুলিশ বিজিবি সেনা নৌ আনসার সবাই নিয়োজিত। এমতাবস্থায় এমন যুদ্ধপরিস্থিতির ভারি অস্র পুলিশকে দিয়ে সব বাহিনীর মধ্যে দূরত্ব তৈরির ক্ষেত্র কারা করছে, সরকারকে ভেবে দেখতে হবে।

০৩) দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে চীনের দুটি ফ্রিগেট নিয়ে এমনিতেই ভারত-মার্কিনীদের সাথে ঢাকার এক ধরনের শীতল-গরম সম্পর্ক চলতেছে। চায়নার একচেটিয়া ঢাকার বাজারে নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন ভাগ বসাতে ব্যস্ত। নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরের পর পরই ভারতের সেনাপ্রধান ও কেরির ঢাকা সফর সেই বার্তাই দেয়। যদিও সফরের আড়ালে বন্ধুত্ব ও সৌহাদ্রের নতুন দিগন্তের কথাই বার বার বলা হচ্ছে। কিন্তু ঘুরে ফিরে চীনের দেয়া দুটি ফ্রিগেট ভারত-মার্কিনীদের অন্তর ভেদ করে দিয়েছে, যা নিয়ে তারা এখন দক্ষিণ চীন সাগরে নিজেদের আধিপত্য নিয়েই ব্যস্ত। বাংলাদেশ একই সাথে চীনের রোড এন্ড বেল্ট নীতি আর ইন্দো-মার্কিন এই দুই আলোচনায় সমানভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ঢাকার উদ্দেশ্য মহৎ- ভারসাম্যের কূটনীতি। নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন চায় একনীতি, চায়না চায় ঢাকা থাকুক তাদের সাথে। এমনি এক নাতিশীতোষ্ণ পরিস্থিতিতে হেফাজতকে ঢাকা নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটনের উত্থাল এক খেলায় আপাততঃ হেফাজত ধরাশায়ী হয়ে মাঠ থেকে বিদায় নিলেও হঠাত করে থানায় এলএমজি বাংকার নতুন করে পরিস্থিতিকে ভিন্ন  এক মাত্রায় নিয়ে যাচ্ছে। হতে পারে এটা এক ধরনের নতুন এক প্রচারের কৌশল। এক খেলাকে চাপা দিতে আরেক কৌশলী খেলা।

 

সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ

১০ এপ্রিল ২০২১, লন্ডন

The post হঠাৎ অস্থিরতা- থানায় এলএমজি স্থাপন, ধরাশায়ী হেফাজত, ইন্ডিয়ার সেনা প্রধান ও জনকেরির একই সাথে ঢাকা সফর appeared first on Website.

]]>
https://syedshahsalimahmed.com/archives/2115/feed 1
প্রসঙ্গ মামুনুল নাটক ও নরেন্দ্র মোদীর দুই ঘন্টা আকষ্মিক বিলম্ব, প্রধানমন্ত্রীর কৌশল -“এই হেফাজত আর শাপলা চত্বরের হেফাজত এক নয়” https://syedshahsalimahmed.com/archives/2109 Sun, 04 Apr 2021 23:15:55 +0000 https://syedshahsalimahmed.com/?p=2109 সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ     ০১) শাপলা চত্বরের ঘটনা যখন ঘটে তখন হেফাজতের নেতৃত্বে ছিলেন মরহুম আল্লামা শফী হুজুর, যিনি ছিলেন আধ্যাত্মিক এক ধর্মীয় গুরু। তারও আগে যখন শায়খুল হাদীসেরা ছিলেন, তারাও ছিলেন আধ্যাত্মিক ধর্মীয় গুরু। প্রচলিত দুনিয়াবী রাজনীতির রঙ্গ মঞ্চ নিয়ে খেলা খেলতে তারা খুব একটা অভ্যস্থ এবং ব্যতিব্যস্ত ছিলেননা। হাফেজ্জী হুজুর, আল্লামা […]

The post প্রসঙ্গ মামুনুল নাটক ও নরেন্দ্র মোদীর দুই ঘন্টা আকষ্মিক বিলম্ব, প্রধানমন্ত্রীর কৌশল -“এই হেফাজত আর শাপলা চত্বরের হেফাজত এক নয়” appeared first on Website.

]]>
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ

 

 

০১) শাপলা চত্বরের ঘটনা যখন ঘটে তখন হেফাজতের নেতৃত্বে ছিলেন মরহুম আল্লামা শফী হুজুর, যিনি ছিলেন আধ্যাত্মিক এক ধর্মীয় গুরু। তারও আগে যখন শায়খুল হাদীসেরা ছিলেন, তারাও ছিলেন আধ্যাত্মিক ধর্মীয় গুরু। প্রচলিত দুনিয়াবী রাজনীতির রঙ্গ মঞ্চ নিয়ে খেলা খেলতে তারা খুব একটা অভ্যস্থ এবং ব্যতিব্যস্ত ছিলেননা। হাফেজ্জী হুজুর, আল্লামা আজিজুল হক, লুতফুর রহমান শায়েখ বর্ণভীর, আল্লামা শাফীর পর হেফাজতের  বাবু নগরী, শায়েখ নূরুল ইসলাম চট্রগ্রামী, মামুনুল হকদের হাতে এসে বর্তায়। এই নেতৃত্ব প্রকৃত পক্ষে তখনকার আধ্যাত্মিক নেতৃত্বের চাইতে আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞান ও বর্তমান বাস্তবতার সাথে রাজনীতি ও ধর্মীয় রীতি নীতি পরিপালনে ও খাপ খাইয়ে নিতে ও কৌশলী খেলায় অনেক পরিপক্ক এবং সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। যা বর্তমান ট্র্যাডিশনাল শিক্ষিত শ্রেণীর সাথে হেফাজতের এই সংঘাত অনেকটাই এখন প্রকাশ্য।

 

এই কারণে বলছি যে, সাম্প্রতিক সময়ে হেফাজতের হরতাল কিংবা ভাংচুর অথবা গতরাতের মামুনুল হকের হেনস্থা নাটক, সব কিছু মিলিয়ে যে ম্যাসেজটি তারা শক্তভাবে দিয়েছে, তাহল হরতাল করতে আওয়ামীলীগ কিংবা বিএনপি কোনটারই হেফাজতের দরকার নেই। একাই তারা যথেষ্ঠ। আর দ্বিতীয় যে ম্যাসেজটি তারা দিয়েছে, বাংলাদেশের যেকোন জায়গায় যেকোন স্থানে, যেকোন সময়ে যে কোন প্রতিপক্ষের সাথে তারা লড়তে প্রস্তুত।

 

এই দুই ম্যাসেজের বিপরীতে সিনারীওর পেছনে যে ঘটনাগুলো ঘটছে, রাজনীতি সচেতন ও বিশ্লেষকদের কাছে বেশ ধর্তব্য।

 

০২) ক্ষমতাসীন সরকার মাহমুদুর রহমান মান্না, নূরুদের  বিরোধীদলের ভুমিকায় নিয়ে আসতে ব্যর্থ হয়ে বলা যায় তাদের দ্বিতীয় ছক হেফাজতকে নিয়ে নিরাকরনে নিরাকন শুরু করে। শুরুতে আল্লামা শাফীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হেফাজতে এক ধরনের ভাঙ্গন বা ফাটল ধরানোর চেষ্ঠা করে রাজনীতির চাল চালিয়ে সুবিধাজনক পর্যায়ে পৌছতে না পারলেও বাবু নগরীকে কেন্দ্র করে নতুন আশার সঞ্চার দেখে। ক্ষমতাসীনদের পরিকল্পনা ছিল হেফাজতকে আগামী রাজনীতিতে বিরোধীদলের ভুমিকায় নিয়ে আসলে একদিকে বিএনপি-জামায়াতকে যেমন চেক এন্ড ব্যালেন্স করা যাবে, অপরদিকে বিশ্ব মোড়লদেরও সিগন্যাল দেয়া যাবে, বাংলাদেশ থেকে নতুন করে জঙ্গিবাদ মাথা চাড়া দিয়ে যাতে উঠতে না পারে, সেজন্য  ধর্মীয় শক্তিশালী এই অংশটিকে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে ভারত ও মার্কিনীদের স্বার্থেই বরং সরকার ভুমিকা রেখেছে।

 

০২) মামুনুল হক নিজেই বলেছেন তারা সবার সাথেই  যোগাযোগ রাখেন এবং যোগাযোগ রাখছেন। সরকারের ভেতরের গোয়েন্দাদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দেয় হেফাজত ইস্যুতে। দেয়াটাই স্বাভাবিক। পৃথিবীর যে জায়গায়ই ধর্মীয় অংশকে নিয়ে রাজনীতির খেলা খেলা হয়েছে, সেখানেই সরকারের ভেতরের ষ্ঠেক হোল্ডারদের মধ্যেই দ্বিধা দ্বন্ধ এবং বিভক্তি দেখা দেয়। সেই বিভক্তির বহিঃপ্রকাশ আমরা দেখি হেফাজতের হরতালের সময়ে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী একশতভাগ সরকারের লজিস্টিক সাপোর্ট হিসেবে দেখা যায়নি। এটাই হওয়াই স্বাভাবিক। উন্নত বিশ্বে যখন এরকম পলিসি নিয়ে সরকার খেলে তখন সব কটা লজিস্টিক বাহিনীকে আগে থেকে এডুকেটেড করা হয়, যেমন করে ব্রিটেন, ইউরোপ এবং আমেরিকা এমনকি তুরষ্ক ও ইরান। হেফাজতের হরতালের সময়ে গোয়েন্দাদের মধ্যে চরম হতাশা এবং সমন্বয়হীন লক্ষ্য অনেকেরই দৃষ্ঠিগোচর এখন ওপেন সিক্রেট।

 

০৩) নরেন্দ্র মোদী যখন বাংলাদেশে আসেন, ক্ষমতাসীন সরকার ঢাক ঢোল পিঠিয়ে বঙ্গবন্ধুর শতবার্ষিকী আর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে প্রধান অতিথি করে নিয়ে আসে। দেশের ভেতরে নির্বাচনের ঢামা ঢোলে মোদী প্রায় বিপর্যস্ত ও কাবু। অপরদিকে দক্ষিণ এশিয়ায় লিডারশিপ ভারতের নেতৃত্ব হয়ে পরে নানা কারণে প্রশ্নবিদ্ধ ও হুমকীর মুখে। চীন রাশিয়া পাকিস্তান ইরান তুরস্কের নতুন জোট মোদীকে যেমন করে তোলে বিপর্যস্ত তেমনি মুরুব্বী বাইডেন প্রশাসনকেও করে তোলে ব্যতিব্যস্ত। বাইডেন তোড়জোড় চালাচ্ছেন ঢাকায় মার্কিন পরামর্শক এক্সপার্ট বসাতে(সামাল দিতে ও দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে চীনকে ঠেকাতে)। সেক্ষেত্রে মার্কিনীদের হয়ে ভারতের ক্যাপ্টেনসির উপর খুব একটাও বাইডেন প্রশাসন এককভাবে ভরসা করতে পারছেনা। আবার ভারতও মার্কিনীদের হয়ে ক্যাপ্টেনসির হাতছাড়া কোনভাবে করতে চাচ্ছেনা। তুরষ্ক  ইরান যখন ঢাকায় ইন করে ভারতের তখন মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠে। তার উপর আছে মরার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে চীনের সরব উপস্থিতি। চীনকে ভর করে চুপিসারে পাকিস্তান ঢাকায় ঢুকে যায় নিরবে সঙ্গোপনে। বাইডেন মোদী রাজনীতির খেলায় চীন-তুরষ্ক-রাশিয়ার চালে বলা যায় সিনারীওর পেছনে পরে যান। তাদের জন্য দরকার হয়ে পরে শক্তিশালী এজেন্ট। দোরাস্বামী দৌড় ঝাপ করে হেফাজতের সাথে নরেন্দ্র মোদীর এবং মার্কিনীদের সাথে হেফাজত নেতৃত্বে যোগাযোগ স্থাপিত হওয়ার পরেই নরেন্দ্র মোদী ঢাকা সফরের গ্রিন সিগন্যাল দিলেন। ক্ষমতাসীন সরকারের রাষ্ট্রীয় অতিথি হয়ে এসেও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের আড়ালে নরেন্দ্র মোদী সরকার ছাড়াও আগামীদিনের সব কটা ষ্ঠেক হোল্ডারদের সাথে বৈঠক করেন। মামুনুল হকের সাথে যোগাযোগের পর মোদী বিরোধী কট্রর ভুমিকা থামিয়ে দ্বিমুখী কৌশল হেফাজত-মোদী অনেকটাই রাষ্ট্রীয় রীতি নীতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মোদী তার সফরের দুই ঘন্টা পর্যন্ত বিলম্ব করেন। মামুনুল হক একজন মাওলানা, আল্লামা নূরুল ইসলামও মাওলানা অথচ আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় রাজনীতিতে তাদের দক্ষতা এবং পরিপক্কতা এখন দেশ ছাড়িয়ে নয়াদিল্লি এবং পেন্টাগনের টেবিলেও বিশ্লেষণ হয়। যেকারণে আমরা দেখি হরতাল পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে নূরুল ইসলাম চট্রগ্রামী অত্যন্ত মার্জিত এবং সম্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির ভাষায় বক্তব্য উপস্থাপন করেন। যা অনেককে তাক লাগিয়ে দেয়।

 

০৪) ব্রাম্মণবাড়িয়ার ঘটনা হেফাজত নেতৃত্বকে নতুন করে ভাবনার উদ্রেক করে দেয়। আবার যদি বলি হেফাজতকে রুখতে রাস্তা বন্ধ করে পাঁচ ফিট উচু ইটের প্রাচীর দেয়ার মতো আজগুবি ফর্মুলা কারা দিয়ে সরকারকে বিব্রতকর এক অবস্থায় ফেলে দিয়েছে? খালেদা জিয়াকে বালির বস্তা ও ট্র্যাক দিয়ে আটকানো সফলতা পেলেও হেফাজতকে ইটের প্রাচীর দিয়ে আটকানো কৌশল বুমেরাং হতে বাধ্য।সেটাতো দিবালোকের মতো পরিষ্কার। সরকারের দ্বৈত খেলা হেফাজত নেতৃত্ব এতো দ্রুততার সাথে আত্মস্থ করে যা ক্ষমতাসীনদের নীতি নির্ধারনীদের চিন্তাও করতে পারেনি। সম্পূর্ণ পুলিশী তথ্যের উপর ভর করে ( এটাই বাংলাদেশে স্বাভাবিক ) ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠণের নেতারা মামুনুল হক ও গোয়েন্দাদের বিপরীত অংশের পাতানো ফাদে ধরা দিয়ে দেয় ( সরকার সেখানে যাওয়ার আগে একবারও চিন্তা করেনা, মামুনুল কেন হঠাত এমন করছে? উত্তাল পরিস্থিতির সময়ে সে কেনইবা রিসোর্টে যাবে? শুধু এই প্রশ্ন নিয়ে নাড়া চাড়া করলেইতো খেলা পরিষ্কার হয়ে যায় ?)। মামুনুল জানতেন ( সমস্ত ঘটনা বিশ্লেষণ করলেই বোধগম্য হয়ে যায়, নায়ক তার খেলার ছকে  অপেক্ষায় বসে ছিলেন- । কারণ তার্কিশ ইতিহাস কিংবা মুসলিম ইতিহাসের অনেক ঘটনাই মোনাফেকী রাজনীতির বিপরীতে এরকম কৌশলী খেলা আত্মস্থের বিবরণ রয়েছে, হালের এর্তুগুল এবং কুরুলুস ওসমানেও সেসব নাটকের রূপ দিয়ে দেখানো হয়। হেফাজতের এই নেতৃত্ব বর্তমান সরকারের কৌশলী খেলা বেশ ভালোভাবেই আত্মস্থ করেই মাঠে নেমেছে বুঝা যায়)) এমন ঘটনার প্রেক্ষিতে আওয়ামীলীগ এমপি ও স্থানীয় নেতারা হোটেল ঘেরাও করে উত্তপ্ত করে তুলবে। হেফাজতের নেতা কর্মীরাও উত্তপ্ত হয়ে মুখোমুখি অবস্থানে চলে আসবে। রাতের আধারে সরকার শাপলা চত্বরের মত ঘটনার দিকে যাবে। উত্তাল পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে হেফাজত থাকবে সরকার প্রধান বিরোধী অবস্থানে, নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে তাদের হাতেই। গোয়েন্দাদের বিপরীত অংশ (ভারতীয়-মার্কিনীদের সমর্থন পুষ্ট) থাকবে নিরব ভুমিকায়। তুরষ্ক-ইরান-চীন লবিষ্ট অঘটনে থাকবে সক্রিয়। আইন শৃংখলা বাহিনীর ধারণা ছিল নূরু মান্নাদের মত মামুনুলকে হেনস্থা করে শেষ করে দেয়া যাবে। কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে গোয়েন্দা কাউন্টার গোয়েন্দাদের সক্রিয় অবস্থানে আইন শৃংখলা বাহিনীর টনক নড়ে। সমস্ত ঘটনা বুঝে উঠতে বিন্দু মাত্র সময় নেয়নি। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে কড়া নির্দেশ চলে যায় পরিস্থিতি কোনভাবেই কাউকে ঘোলা করতে দেয়া যাবেনা। কড়া বার্তায় মামুনুলকে পুলিশী হেফাজতে হেফাজত নেতৃত্বের কাছে তুলে দেয়া হয় সসম্মানে। মামুনুল নিজের দৃঢ়চিত্তের কারণে পরিস্থিতি সরকার সমর্থক গোয়েন্দাদের বোধগম্য হয়ে যায়- । মুহুর্তেই হেফাজতের নেতা কর্মীরা সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ শুধু নয়, অসংখ্য নেতা কর্মী হোটেলে ঘেরাও করে মামুনুলকে উদ্ধার-সমস্ত ঘটনাই সরকারের বিরুদ্ধে যায়। এর মধ্যেই অতি উৎসাহী মিডিয়া(যারা বার বার সরকারকে বিপদে ও বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলছে, তারা উদ্ভট এক নারীকে নিয়ে ইন্টারভিউ প্রচার করে, যেকিনা ইন্টারভিউয়ের সময়ে হেসে ফেলে, বাথরুমের জানালা খোলা থাকা সত্যেও বাইরের উত্তপ্ত পরিস্থিতির কোন শব্দই আসেনা, ম্যাক্সি পরিহিত নারীও সে সময়-সন্দেহের ভিতকে আরো বড় করে তোলে।) পরিস্থিতিকে আরও হাল্কা ও রসালো করে ফেলে। যা সরকারের ইমেজ সংকটের দিকেই দ্রুততার সাথে ধাবিত করে। এই ধরনের অতি উৎসাহীদের  না থামালে ক্ষমতাসীনদেরকে আরও কঠিণ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। কারণ এদের অতি উতসাহীতার কারণে ১৯৯৬ সালে শায়খুল হাদীসের সাথে আলীগ হাইব্রীডরা বেয়াদবী করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলে দিয়েছিল, যার খেসারত শেখ হাসিনার সরকারকে দিতে হয়েছিল, অথচ ওবায়দুল কাদেরের ভাষায় হাইব্রীডরা তখন পালিয়েছিল। রাজনৈতিক খেলায় দক্ষ এবং কৌশলী শেখ হাসিনা শেষ মুহুর্তে সক্রিয় না হলে গত রাতে পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে মোড় নিত। শেখ হাসিনা জানেন কখন কোন চাল দেয়া দরকার। সরকার প্রধানতো হবেন সেরকম দক্ষ এবং কৌশলী। প্রধানমন্ত্রীর টিমকেও সেভাবে হতে হবে দক্ষ এবং চৌকস। মামুনুলও তৎপরবর্তী পরিপক্ক রাজনীতিবিদের মতো সবাইকে শান্ত থাকার বক্তব্য দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখায় রাজনীতির দাবার চাল ও অন্দর মহলে হয়ে যান আরও জনপ্রিয় এবং অপ্রতিদ্বন্ধি। একশ্রেণীর অতি উৎসাহী দলকানা অন্ধদের প্রোপাগান্ডায় মামুনুল ক্রমেই হয়ে উঠছেন অপ্রতিদ্বন্ধি, অপ্রতিরোধ্য, যা ক্ষমতাসীনদের জন্য হেফাজতকে নিয়ে খেলার কৌশল হয়ে উঠছে আরও কঠিণ ।

 

অবাক করার বিষয় কোন তথ্য আগাম কেন সরকারকে জানানো হয়নি বা হয়না কেন? অন্যভাবে যদি বলা যায়, পাতানো ছকে সরকার কেন পা দিবে? আবার এটাও যদিও বলি সরকার ছক একে নিজেই কেন ধরা দিল? সরকারেরতো নিরাপদ দুরত্বে অবস্থান করে খেলা দেখার কথা। সেখানে সরকারকে কারা নিয়ে গেল? তাদের কী উদ্দেশ্য? তারা কাদের হয়ে মাঠে সক্রিয়? সেসব খতিয়ে দেখা দরকার? হরতালে কারা টাকা দিয়েছ? সরকারের ভেতরের কোন অংশ টাকা বিতরনে জড়িত সেসব আগে দেখা দরকার এবং স্ট্র্যাটেজী নতুন করে সাজানো দরকার। কেননা শাপলা চত্বেরর হেফাজত আর এই হেফাজত এক নয়। এক ভাবা হলে রাজনীতির চাল এভাবে মুখ থুবরে পরবে। অন্যভাবে যদি বলি, মাহমুদুর রহমান মান্না, নূরুল হক নূরু কিংবা বয়সের ভারে ন্যুব্জ ঐক্যজোটের মতো এই হেফাজতের সাথে যত তামাশার রাজনীতি করা হবে, এই হেফাজত ততো বেপরোয়া হয়ে উঠবে। ঢাকার রাজনীতিতে আরও নাটকীয়তা ও কৌশলী খেলা চলবে আগামী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত, সেটা এখন অনেকটাই পরিষ্কার। তবে খেলা যত চৌকস এবং পরিচ্ছন্ন হবে সেটা জনগনের জন্য হিতকর হবে, নতুবা দেশ জাতি ও জনগনের জন্য ভোগান্তির কারণ হতে পারে।

 

 

চলবে ।

 

০৪ এপ্রিল ২০২১  লন্ডন

 

 

বিঃদ্রঃ- মনে রাখা দরকার এটা একটা রাজনৈতিক বিশ্লেষণ। এটা কোন ব্যক্তিগত মতামত নয়। কারো প্রতি অনুরাগ বা বিরাগভাজন কিংবা কোন দলীয় আনুগত্য বা মতাদর্শের প্রতি সমর্থন অথবা বিরোধীতা নয়। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শাখা প্রশাখায় বিচরণের এক রাজনৈতিক বিশ্লেষণ। 

 

The post প্রসঙ্গ মামুনুল নাটক ও নরেন্দ্র মোদীর দুই ঘন্টা আকষ্মিক বিলম্ব, প্রধানমন্ত্রীর কৌশল -“এই হেফাজত আর শাপলা চত্বরের হেফাজত এক নয়” appeared first on Website.

]]>