Featured Archives - Website https://syedshahsalimahmed.com Wed, 10 Apr 2024 01:02:24 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.4.4 The beauty of nature: Subhe Sadiq in London(video) https://syedshahsalimahmed.com/archives/2419 Sun, 17 Mar 2024 23:27:25 +0000 https://syedshahsalimahmed.com/?p=2419 Photo been taken couple a weeks before(just before start Ramadan), it was really rainy winter very early in the morning, rain was stop for a while just after fajar prayer, sky was glittering beautifully , Alhamdulillah. Subhe sadiq still going on in the london sky. Sky was shining beautifully, its really amazing, you just reciting […]

The post The beauty of nature: Subhe Sadiq in London(video) appeared first on Website.

]]>
Photo been taken couple a weeks before(just before start Ramadan), it was really rainy winter very early in the morning, rain was stop for a while just after fajar prayer, sky was glittering beautifully ,

Beuty of nature in the subhe sadiq time in london

Alhamdulillah.

Subhe sadiq in london photo salim

Subhe sadiq still going on in the london sky. Sky was shining beautifully, its really amazing, you just reciting quran or tasbeh to glorify the Allah, the creator, the masters of the Master of entire universe, the one and only “Allah” creating His sky beutifully with magnificent multi coloured, subhanaAllah.

 

ঈদ মোবারক

https://fb.watch/rlDEBAnNSI/

 

The post The beauty of nature: Subhe Sadiq in London(video) appeared first on Website.

]]>
আমার বিস্ময়ের ঘোর যেন কাটেনা… https://syedshahsalimahmed.com/archives/2398 Sat, 30 Dec 2023 23:08:25 +0000 https://syedshahsalimahmed.com/?p=2398 সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ আমার ছেলে মেয়েরা ২০২৩ সালের শেষের দিকে আমাকে বেশ সারপ্রাইজ দিলো অত্যন্ত সুন্দরভাবে, যা আমার কল্পনারও বাইরে। ভাবতেও পারিনি আমার ছেলে মেয়েরা আমাকে এভাবে, এতো সুন্দরভাবে এক সারপ্রাইজ দিবে। তদের এই আয়োজনের সঙ্গী তাদের খালাতো ভাই এবং বোন-যাও আমার সারপ্রাইজ মেলা পর্যন্ত অজানা ছিল। ছোট ছেলে রাইয়ান আমাকে শুধু জানিয়েছিল অক্টোবরের […]

The post আমার বিস্ময়ের ঘোর যেন কাটেনা… appeared first on Website.

]]>
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ

আমার ছেলে মেয়েরা ২০২৩ সালের শেষের দিকে আমাকে বেশ সারপ্রাইজ দিলো অত্যন্ত সুন্দরভাবে, যা আমার কল্পনারও বাইরে। ভাবতেও পারিনি আমার ছেলে মেয়েরা আমাকে এভাবে, এতো সুন্দরভাবে এক সারপ্রাইজ দিবে। তদের এই আয়োজনের সঙ্গী তাদের খালাতো ভাই এবং বোন-যাও আমার সারপ্রাইজ মেলা পর্যন্ত অজানা ছিল। ছোট ছেলে রাইয়ান আমাকে শুধু জানিয়েছিল অক্টোবরের দিকে হসপিটাল থেকে ছুটি নিয়ে রাখতে, বড় ছেলে রাইম বলেছিল যখন ছুটি মঞ্জুর হবে তখন যেন তাদেরকে জানাই। ব্যস ওয়ার্ডের ম্যানেজারও সদয়ের সাথে তড়িৎ গতিতে ছুটি মঞ্জুর করে দেন। যথারীতি আমি ছেলে মেয়েদের জানিয়ে দেই। এই পর্যন্তই। ছুটির আগের দিনও কাজ ছিলো, দীর্ঘ শিফট । এনএইচএসে এটাকে বলে লং ডে শিফট-১৪ ঘন্টার শিফট। শিফট শেষ করে বাসায় যখন ফিরি তখন মধ্যরাতের কাছাকাছি। ছেলে মেয়েরা জানিয়ে রাখে ভোরের দিকে উবার আসবে, আমি যেন তৈরি থাকি। আমিও উপভোগ করছিলাম, বেশ ভালোই লাগছিল, কোন কিছু জানতে চাইনি। শুধু তাদের ফলো করছিলাম। রাইম রাইয়ান জানালো সঙ্গে পাসপোর্ট নিতে। উবার এসে নক করলে পরিবারের সাথে ট্যাক্সিতে রওয়ানা দেই।

ট্যাক্সি এসে থামে স্ট্যান্সট্যাড এয়ারপোর্টে। পেগাসাস বিমানের কাউন্টারে লাইন দিয়ে চেকিং শেষে আমি যখন বললাম, চলো এখানে কোথাও নামাযের জায়গা আছে কিনা খুজে দেখি, তাহলে আসরের নামায জামায়াতের সাথে পড়ে ইমিগ্রেশনে ঢুকব।

মেভলিক কান্দিজিস মুবারেক অলসোন মসজিদ ছবি সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ

আমার ছেলে মেয়েরা বলে ঠিক আছে তাই হবে। এরই মধ্যে রাইয়ানের মোবাইলে রিং বেজে উঠে। রাইয়ানের খালাত বোন ডা শুরভীর ফোন। ভাবলাম হয়ত স্বাভাবিক ফোন কল। আমাকে কিছু না বলে রাইয়ান ফের পেগাসাস এয়ারলাইন্সের কাউন্টারের দিকে যেতে থাকে। কিছু পরেই দেখি রাইয়ানের পিছু পিছু শুরভী, তায়েফ এবং তাদের পিতা মাতা ও তুষার। প্রথমে ভাবলাম আমাদেরকে সী অফ করার জন্য হয়তো। কিন্তু না, কিছু পরে দেখি তুষার বলে, খালু আমি এখন চলে যাই, আপনাদের হলিডে শুভ হউক ইনশাআল্লাহ। তুষার চলে যেতেই শুরভী রাইয়ান তায়েফ রাইয়ান রাইসা পল্লভী বলতে লাগল আপনাদেরকে মূলত সারপ্রাইজ ইস্তানবুল ট্যুর করানোর জন্য আমাদের এই আয়োজন। সেজন্য আমরা কাউকেই কিছুই জানাইনি।

আমার বিস্ময়ের সীমা শুধু বাড়তেই লাগল।  প্রথম বিষ্ময় কল্পণারও বাইরে তুরস্ক সফর, দ্বিতীয় বিষ্ময় তাদের খালাত ভাই বোন পরিবার এক সাথে সবাই মিলে ট্যুরের আয়োজন, উভয় পরিবারের একে অন্যের জন্য এক বিস্ময়। উনারাও জানেন না আমিও সঙ্গী।

বসফরাস প্রণালীতে ক্রুজ ট্যুরের সময়ে ছবি মল্লিক তায়েফ

যাই হউক বিস্ময়ের ঘোর কাঠিয়ে কিছু পরে নামাজের জায়গায় জামায়াতের সাথে নামায আদায় করলাম। আল্লাহর দরবারের রাইম রাইয়ান তায়েফ শুরভী রাইসা পল্লভীর জন্য কায়মনোবাক্যে দোয়া করলাম আর আল্লাহর শোকরিয়া জ্ঞাপন করলাম। মহান আল্লাহর এতো দয়া আর মায়া  বার বার শোকরিয়া আদায় করেও শেষ হওয়ার নয়।

শুরভী পেশায় জিপি। রাইম এনএইচএসে কর্মরত, রাইয়ান আইন পেশায়, পল্লভীও পড়াশুনা এবং চাকরী দুটোই করছে, রাইসা এখনও পড়ছে, তায়েফ একাউন্ট্যান্ট- সব মিলিয়ে এতো সুন্দরের সমারোহ আর অভাবনীয় সফলতা আল্লাহ আমার হাতে দান করেছেন, যেন তার রহমতের অবারিত দরজা আকাশ থেকে সরাসরি খুলে ধরেছেন- শুধু শোকরিয়া জ্ঞাপনে কী চলে, সেজদায় অবনত মস্তকে হ্নদয়ের সবটুকু দরদ দিয়ে রাব্বুল আলামীনের প্রশংসা করলাম, যে প্রশংসার মালিক শুধু মাত্র একমাত্র আল্লাহ। আমিও দোয়া করেছি, আপনাদের কাছে তাদের সর্বাধিক কল্যাণ ও হেদায়েতের রাস্তায় থেকে সার্বিক সফলতার জন্য দোয়ার দরখাস্ত করছি।

গ্র্যান্ড বাজারের প্রবেশ দ্বারে আমি ও আমার মেয়ে

ইস্তানবুল যত দেখি ততোই মুগ্ধ হতে হয়। গভীর রাত যখন ইস্তানবুলের মাটিতে পা রাখি। গাড়ি দ্রুত গতিতে চলছে হোটেলের দিকে। কিন্তু সব কটা রাস্তা যেদিকে চোখ যায় শুধু গাড়ি আর গাড়ি, দ্রুত গতিতে ছুটে চলেছে। রোববার ছুটির দিন তথাপি মনে হলো এশহর কখনও ঘুমায়না।

ইস্তানবুল সিটি সেন্টার, ঐতিহাসিক  গ্র্যান্ডবাজার , আরাস্তা বাজার, হাগিয়া সোফিয়া, ব্লু মস্ক, টপক্যাপি প্যালেস, তাকসিম স্কোয়ার, গেঞ্জি বাজার শপিং মল, গালাটা টাওয়ার কোথাও খালি নেই। ভীড় আর ভীড়। শহরের যে গলিতেই যে রাস্তায় কিংবা যে সড়কে বা মার্কেটে যেখানেই খাবারের দোকান, রেস্তোরা সর্বত্রই ভীড়। সব কটা খাবারের দোকানে উপচে পরা ভীড় এবং সেটা প্রতিদিনই। তার্কিশ খাবারও সুস্বাদু। উবার ছাড়াও গেটায়ার আর মাইক্রোসফট দাপুটে ব্যবসা করে চলেছে ইস্তানবুলে।

মেডিনেটলার সফরাস-আল মদীনা রেস্তোরায় রাতের খাবার, ছবি রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ

তাকসিম স্কোয়ার পর্যটক আর ব্যবসা বাণিজ্য আর বিনোদন প্রেমিদের উপচে পরা ভীড় সারাক্ষণ লেগেই আছে, যেমন আছে হাগিয়া সোফিয়াতেও। সেলিব্রেটি রেস্তোরা নুসরাত কিংবা ইস্তানবুলের বিশ্বখ্যাত শেফ #সল্টবে প্রোডাক্ট ও নুসরাত রেস্টুরেন্ট এবং রেস্তোরার খাবার ও সার্ভিসের মান অসাধারণ। সেই সব রেস্টুরেন্টে খেতে হলে আপনাকে আগে থেকে বুকিং দেয়া লাগবে। তাকসিম স্কোয়ারের মেডিনেটলার সফরাস-আল মদীনা রেস্তোরায় যেখানে রোনালডো, প্রেসিডেন্ট এরদোগান, কাতারের আমীর থেকে শুরু করে সারা বিশ্বের হেন কোন রাষ্ট্রীয় বা সেলিব্রেটি নেই যে ঢু মারেন নি ও খারের স্বাদ গ্রহণ করেন নি। রেস্তোরায় ঢুকলেই তাদের ভিজিটের বিশাল ক্যানভাসে ছবি চতুর্দিকে লাগানো রয়েছে। অথচ রেস্টুরেন্টের সাজ সজ্জা তেমন কোন আহামরি কিংবা অত্যাধুনিকতার কোন ছোয়া নেই। তবে তাদের খাবারের মান, সার্ভিসের মান অত্যন্ত উন্নত এবং সুস্বাদু, যা সবাইকে এখানে টেনে নিয়ে আসে জাদুর মতো। খাবার পরিবেশনকালিন শেফ নিজেই এসে তদারকি করে যান, অতিথিদের সাথে কুশল বিনিময় করেন।

গালাটা টাওয়ারে রাইমের সেলফিতে আমি ও আমার পরিবার

ইস্তানবুল শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বিশাল সুন্দর সুন্দর স্থাপত্যের মসজিদ, যা আপনাকে মুগ্ধ করবেই। ইস্তানবুলের প্রাণকেন্দ্রে ভুমি থেকে উচুতে মেভলিক কান্দিজিস মুবারেক অলসোন মসজিদ ভুমি থেকে এতো উঁচুতে অবস্থিত, ইস্তানবুলের যেকোন স্থান থেকে এ মসজিদ দেখা যায় এমনভাবে যেন আকাশে খুব সুন্দর এক মসজিদ ঝুলে আছে যা ভুমি থেকে গ্রোথিত। এই মসজিদ কমিউনিটি হ্যাব হিসেবেও অনেক সেবা দিয়ে থাকে। ভিতরের নামাজের জন্য বিশাল মসজিদ ছাড়াও নারীদের জন্য দোতলায় পৃথক সুন্দর ব্যবস্থা, প্রবেশ এবং অজু আঙ্গিনা এতো ব্যাপক যা বর্ণনা করা যায়না। মসজিদ কম্পাউন্ড রাতের বেলা আলো আধারির অসম্ভব এক মায়াময় আলোকচ্ছটা চতুর্দিকে ছড়ায় যা পর্যটক এবং ইবাদতকারিদের বিমোহিত করে। এশার নামাজের আগে বিভিন্ন ক্বারিদের সুন্দর এবং সুমিষ্ট কোরআন তেলাওয়াত মনে হয় যেন আকাশ থেকে কোরআন এখনি নাজিল হচ্ছে।

গালাটা টাওয়ারের উপর থেকে সমগ্র সিটি প্যানোরোমা আপনাকে বিমুগ্ধ করবে। গালাটা টাওয়ারের পাশেই রয়েছে গালাটা ইউনিভার্সিটি। তবে হাগিয়া সোফিয়া আশে পাশের মার্কেটের ভিতরে রাতের বেলা অনেক কুকুর ঘুর ঘুর করে বেড়ায়, দেখলে মনে হয় যেন কালো কালো বিশাল কুকুর বুঝি এখনি তেড়ে আসবে। কিন্তু এগুলো রক্ষকের ভক্ত।

মেডিনেটলার সফরাস-আল মদীনা রেস্তোরা মেন্যু

গ্র্যান্ড বাজার যেন আমাদের গাওছিয়া নিউমার্কেট। তফাৎ শুধু গ্র্যান্ড বাজার ইস্তানবুলের সবচাইতে পুরনো বাজার, এর সাথে কনস্টান্টিনোপলের বাইজাইন্টাইন সাম্রাজ্যের এবং এর্তোগুল-ওসমান, অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস জড়িয়ে আছে। এছাড়া আকারের দিক থেকেও এটা গাওছিয়া-নিউমার্কেটকে ছাড়িয়ে যায় কয়েকগুন। সারাক্ষণ এখানে গাওছিয়ার মতো লোক ভীড় জমে থাকে। সব দোকানেই কাস্টমার পরিলক্ষিত হয়। তবে গাওছিয়ার মতো কাস্টমার ও ভিজিটরদের হেনস্থা গ্র্যান্ড বাজারে নেই।

বসফরাস প্রণালিতে ক্রুজে আমি ও আমার ভায়রা ভাই মল্লিক শাকুর ওয়াদুদ

ইস্তানবুল শহরে আপনি রাত-বিরাত একাকি ঘুরে বেড়ান, নারী পুরুষ সমানতালে ঘুরে বেড়াচ্ছে অনায়াসে। কোন ভয়ের কিংবা ছিনতাই, রাহাজানি বা বিপথগামী হওয়ার কোন ভয় নেই। এখানেই তার্কিশ শাসকদের সব চাইতে বড় কৃতিত্ব। যদিও এমনও অনেকের সাথে কথা হয়েছে, এরদোগানের দীর্ঘকালিন শাসনে তারা বিরক্ত না হলেও তেমন অপছন্দ নেই, কেননা অনেকের সাক্ষাত পেলাম রাজনৈতিক মতাদর্শে অপছন্দ হলেও এর্দোগানের শাসনামল নিয়ে তেমন কোন বিতর্ক নেই। তার্কিশ সরকার কাজ করছে-ট্যাক্সি, ব্যবসায়ী, প্রযুক্তি, আইন, শৃংখলা, পর্যটনে উপচে পরা ভীড়, বিমান বন্দরে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ও উন্নত সেবা-সবাই নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত দক্ষতা এবং পেশাদারিভাবে, কোন ভাওতাবাজি নয়। মানি এক্সচেঞ্জ সেবা অসাধারণ, সৌদি আরব কিংবা আরব দেশগুলোর মতো রুষ্ট-কাষ্ট নয়, কাষ্টমারদের সেবা কিভাবে দিতে হয় এদের বেশ ভালোভাবেই রপ্ত। এক্সচেঞ্জ রেইট যথাযথ আইনিভাবে প্রতিশ্রুতবদ্ধ। কোন হের ফের নেই।

The post আমার বিস্ময়ের ঘোর যেন কাটেনা… appeared first on Website.

]]>
ইস্তানবুলে সাহাবী আইয়ূব আল আনসারীর রওজা ও মসজিদ জেয়ারত https://syedshahsalimahmed.com/archives/2383 Fri, 29 Dec 2023 00:25:13 +0000 https://syedshahsalimahmed.com/?p=2383 সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ ।   তুরস্কের ইস্তানবুলে মুসলমানদের কাছে সবচাইতে প্রিয় এবং ভক্তি ও শ্রদ্ধার স্থান হলো তার্কিশ ভাষায় আইয়ূপ সুলতান বা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবী আইয়ূব আল আনসারীর রওজা জেয়ারত। রওজার পাশেই রয়েছে প্রাচীন তার্কিশ কারুকার্যখচিত ঐতিহ্যবাহী সুলতান আইয়ূপ মস্ক বা মসজিদ। মদীনায় মহানবীর হিযরতের পর তিনি ছিলেন মহানবীর সঙ্গী, সাহাবী। কথিত […]

The post ইস্তানবুলে সাহাবী আইয়ূব আল আনসারীর রওজা ও মসজিদ জেয়ারত appeared first on Website.

]]>
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ ।

 

তুরস্কের ইস্তানবুলে মুসলমানদের কাছে সবচাইতে প্রিয় এবং ভক্তি ও শ্রদ্ধার স্থান হলো তার্কিশ ভাষায় আইয়ূপ সুলতান বা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবী আইয়ূব আল আনসারীর রওজা জেয়ারত। রওজার পাশেই রয়েছে প্রাচীন তার্কিশ কারুকার্যখচিত ঐতিহ্যবাহী সুলতান আইয়ূপ মস্ক বা মসজিদ।

সাহাবী আইয়ূব আল আনসারীর রওজা শরীফ, ভিতরে, ছবি সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ

মদীনায় মহানবীর হিযরতের পর তিনি ছিলেন মহানবীর সঙ্গী, সাহাবী। কথিত আছে, ইতিহাসে দুই বক্তব্য রয়েছে, কারও কারও মতে, ৬৭০ এ কনন্সটান্টিনোপল দখলের সময়ে প্রথম আরব সিজের সময়ে যুদ্ধে তিনি নিহত হন। আবার কারও কারও মতে তিনি ডায়রিয়া সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরন করেন।

সাহাবী আইয়ূব আল আনসারির মসজিদ মিম্বরের সামনে সেলফিতে আমি

সাহাবী আইয়ূব আল আনসারীর রওজা মোবারকে পর্যটকেরা অত্যন্ত ভক্তি সহকারে ভ্রমণ করে থাকেন। তারা সেখানে জেয়ারত করেন দোয়া দুরুদ পড়েন। রওজার ভিতরে পর্যটকদের জন্য স্থান খুব ছোট। তবে একপাশে রয়েছে কোরআন তেলাওয়াতের জায়গা, আর রওজার ভিতরে ঠিক বিপরীত ওয়ালে গ্লাসের ভিতরে কাঠের কারুকার্যমন্ডিত অবয়বের ভিতরে রয়েছে মহানবীর পায়ের ছাপ, পর্যটকদের দেখার জন্য। ভিতরে মূল কবর কিছুটা উপরে, তবে দেয়াল দিয়ে পরিবেষ্ঠিত। লোহার গ্রিল দিয়ে ছোট জায়গা রয়েছে দেখার জন্য।

সাহাবী আইয়ূব আল আনসারি মসজিদের ভিতর, ছবি সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ ।

রওজাতে প্রবেশের আগে ডানদিকের ছোট জায়গায় ( যা বের হওয়ার সময় ) দানবাক্স রয়েছে। এখানে একজন দান সাদাকা গ্রহণ করে রশিদ প্রদান করেন।

রওজাতে প্রবেশের আগে মূল গেইট দিয়ে প্রবেশ করলে ডানদিকেই রয়েছে মসজিদ। এই মসজিদ সুলতান মেহমুদ টু নির্মাণ করেছিলেন বলে প্রসিদ্ধি রয়েছে।  ১৭৬৬ ভুমিকম্পে মসজিদটি ধবসে পরে। তারপরে ১৮০০সালে সুলতান সেলিম এই মসজিদ ফের পূণোনির্মাণ করেন।

সাহাবী আইয়ূব আল আনসারির রওজা ও মসজিদের প্রবেশ পথে

সাহাবীর রওজা ও মসজিদে যাওয়ার আগে বেশ সুন্দর ছিমছাম মনোরম জায়গাতে আমাদের দেশের দরগাহের মতো রাস্তার উভয়পার্শ্বে খাবারের ও নানা স্যূভেনিরের দোকান রয়েছে। তবে এখানে দেশের মতো কেউ কাউকে ডাকাডাকি করেনা। রওজার প্রবেশের সামনের খোলা জায়গায় একদিকে মনোরম ফাউন্টেন, অপরদিকে ঈদগাহের স্টাইলে বেশ খোলা জায়গা রয়েছে যা পর্যটকদের বেশ আকর্ষণ করে।

The post ইস্তানবুলে সাহাবী আইয়ূব আল আনসারীর রওজা ও মসজিদ জেয়ারত appeared first on Website.

]]>
ঐতিহাসিক হাগিয়া সোফিয়াতে (আয়া সোফিয়া) সাত দিন https://syedshahsalimahmed.com/archives/2368 Wed, 27 Dec 2023 00:47:28 +0000 https://syedshahsalimahmed.com/?p=2368 সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ, লন্ডন থেকে   তুরস্কের ইস্তানবুল- ইউরোপ এশিয়ার সংযোগস্থল যা বসফরাস প্রণালীর পানির তীরে প্রায় ১৫ মিলিয়নেরও অধিক লোকের বসবাস। সারাক্ষণ বলতে গেলেই ব্যস্ত থাকে। এর সব কটা সড়ক, মহাসড়ক, মোটরওয়ে কিংবা ছোট রাস্তা সবই অনবরত মোটরযান ছুটে চলায় সরব থাকে রাত দিন। এ যেন নির্ঘুম এক শহর-যে কখনও ঘুমায়না। রাত তিনটার […]

The post ঐতিহাসিক হাগিয়া সোফিয়াতে (আয়া সোফিয়া) সাত দিন appeared first on Website.

]]>
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ, লন্ডন থেকে

 

তুরস্কের ইস্তানবুল- ইউরোপ এশিয়ার সংযোগস্থল যা বসফরাস প্রণালীর পানির তীরে প্রায় ১৫ মিলিয়নেরও অধিক লোকের বসবাস। সারাক্ষণ বলতে গেলেই ব্যস্ত থাকে। এর সব কটা সড়ক, মহাসড়ক, মোটরওয়ে কিংবা ছোট রাস্তা সবই অনবরত মোটরযান ছুটে চলায় সরব থাকে রাত দিন। এ যেন নির্ঘুম এক শহর-যে কখনও ঘুমায়না। রাত তিনটার দিকেও যদি এর সড়ক, মোটরওয়ে কিংবা ছোট অলি গলিতে ঢু মারেন তবে লোকে সরব উপস্থিতি চোখে পরার মতো। সব কটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে নানান পসরার খাবারের দোকানগুলো উপচে পরা ভীড় পরিলক্ষিত হয়। ইস্তানবুল নানা কারণে বিখ্যাত হয়ে আছে। এর আদি নাম ছিল কনস্টান্টিনোপল, যা থেকে পরবর্তীতে ইস্তানবুল নামে প্রসিদ্ধি লাভ করলেও আজও কনস্টান্টিনোপল নামও সমানভাবে উচ্চারিত হয়।

আয়া সোফিয়া মসজিদের মূল মিম্বরের ভিতরে নামায শেষে

সমগ্র ইস্তানবুলে এতো সুন্দর সুন্দর বিশাল মসজিদ এবং প্রাগৈতিহাসিক যুগের ইমারত রয়েছে, যা আপনাকে নিয়ে যাবে এর ঐতিহাসিক স্মৃতিমন্থনে এবং গুরুত্বে ভাবনা খোরাক জোগাবে প্রতিনিয়ত। খ্রিস্টান, অর্থোডক্স, বাইজাইন্টান, ব্রিটিশ, স্পেন সাম্রাজের অনেক পুরনো ভবন আদি এবং অকৃত্রিম এবং ভঙ্গুর অবস্থায় এমনভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে যা দেখলে তুরস্কের নানা পর্যায়ের যুদ্ধ করে জয়ের ইতিহাস অনায়াসে স্মৃতিপটে ভেসে উঠে।

 

ইস্তানবুলের অন্যতম সেরা পর্যটন আকর্ষণ যে কটা ঐতিহাসিক নিদর্শন এবং দর্শনীয় স্থান রয়েছে তার মধ্যে হাগিয়া সোফিয়া বা তার্কিশ ভাষায় আয়া সোফিয়া সর্বাধিক খ্যাত। প্রতিদিন আয়া সোফিয়া দেখার জন্য লক্ষ লক্ষ ভিজিটর সারা বিশ্ব থেকে এখানে এসে জড়ো হন এবং সারাক্ষণ নানান ধর্মের বিশেষ করে অর্থোডক্স এবং মুসলিম দর্শনার্থীদের সমান সরব  উপস্থিতি লক্ষণীয়।

মসজিদের ভিতর নামায শেষে যখন দর্শনার্থীদের জন্য খোলে দেয়া হবে

৩৬০ এডিতে  বাইজাইন্টান সম্রাট কনস্টান্টিনিয়াস ১ এই হাগিয়া সোফিয়া নির্মাণ করেন। শুরুতে এটা কাঠের তৈরি ছিলো। এর আর্কিটেকচারাল ডিজাইন এবং নির্মাণ শৈলি এতো অসাধারণ যা দর্শনার্থী ছাড়াও সারা বিশ্বের স্থাপত্যশৈলিদের বিমুগ্ধ করে। নিজেদের মধ্যেকার মারামারি আর আগুনে ৪০৪ এডিতে ভস্মিভুত হলে হাগিয়া সোফিয়া দ্বিতীয়বার  রাজা থিওডোসিস টু পূণনির্মাণ করেন। এরপরেও হাগিয়া সোফিয়া আরও বেশ কয়েকবার ধ্বংস হওয়ার প্রেক্ষিতে বার বার নতুন করে নির্মাণ করতে হয়েছিলো।

ভিতরের ওয়ালের উপরে ঠিক উল্টোদিকেই আছে অর্থডোক্সদের ক্যালিগ্রাফি

প্রায় ২০০ বছর পর ১৪৫৩ তে অটোমান সাম্রাজ্যের  ফাতিহ সুলতান মেহমুদ যখন কনস্টান্টিনোপল জয় করেন তখন মুসলমানদের প্রাণকেন্দ্র এই হাগিয়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তর করেন। পরবর্তীতে সুলতান সোলেইমান  এবং সুলতান মুরাদ টু এর ভিতরের মেহরাব, মিনার নির্মাণ ও সংস্কার করেন।

এর ভিতরে ছাদের উপরে এখনো খ্রিস্টান অর্থোডক্স চারটি ক্যালিগ্রাফি রয়ে গেছে, যার পাশে চার মিনারে রয়েছে আল্লাহ, মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নাম বড় বড় করে স্বর্ণখচিত খোদাই করে লেখা রয়েছে।

 

ভিতরে আযানের সময় হলে পাচ ওয়াক্ত নামায জামায়াতের সাথে পড়া হয়। আযান যখন পড়ে তখন অন্য ধর্মের পর্যটক নারী পুরুষদের জন্য গেইট নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা বন্ধ করে দেন। তখন কেবল মাত্র মুসলমানেরা যাতায়াত করতে পারেন নামাযের জামায়াতের জন্য।

নবীজীর সেই হাদীস আয়া সোফিয়ার প্রধান প্রবেশ পথের পিলারে, ছবি সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ

আয়া সোফিয়ার প্রধান ফটকের পিলারের নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীসের বাণী খোদাই করে লেখা রয়েছে, যেখানে নবীজী বলেছেন, কনস্টান্টিনোপল জয়ের অধিনায়ক,সেনাপতি সে কতোইনা সৌভাগ্যবান হবে যে এই কনস্টান্টিনোপল জয় করবে।

 

আয়া সোফিয়ায় একেবারের উপরে বাইরের অংশে রাতের বেলা অন্ধকার চাদের রস্মিভেদ করে ইলেক্ট্রিক ব্যবস্থায় রাতের সময়ে জ্বলে উঠে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, যা পর্যটকদের বিমোহিত করে।

আয়া সোফিয়ায় রাতের বেলা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ

আয়া সোফিয়া ঘিরে নানা পদের খাবারের দোকান আশে পাশে এবং আয়া সোফিয়া ও ঐতিহাসিক ব্লু মস্কের মাঝামাঝি সুন্দর পরিপাঠি করে সাজানো মনোরম বাগান ও পার্কের মধ্যে সারাক্ষন পর্যটকদের ভীড় লেগেই থাকে। ঐতিহাসিক ব্লু মস্কে আয়া সোফিয়ার ঠিক বিপরীত দিকে হওয়ায় রাতের বেলা পার্ক থেকে জনসাধারণের উপভোগের জন্য রয়েছে লাইট এন্ড সাউন্ড সিস্টেম যা ব্লু মস্কের অসাধারণ সৌন্দর্যকে নানান রঙের আলোয় সাজিয়ে পর্যটকদের কাছে আকর্ষিত করা হয়। ২০২০ সালে তার্কিশ স্টেট কাউন্সিল এবং প্রেসিডেন্ট এরদোগান আয়া সোফিয়াকে পূণরায় মসজিদ হিসেবে রিক্লাসিফাইড করেন। এখানে কো্ন ডোনেশন প্রদানের ব্যবস্থা নেই, তবে সাহাবী আইয়ূব আল আনসারির রওজা ও মসজিদে ডোনেশন গ্রহণের ব্যবস্থা রয়েছে অফিসিয়ালভাবে।

ব্লু মস্ক এবং পার্ক, আয়া সোফিয়া থেকে, ছবি সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ

আয়া সোফিয়া থেকে আরেক ঐতিহাসিক তাকসীম স্কোয়ারের দূরত্ব খুব বেশী নয়। সেখানে সব কটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সারারাত পর্যটকদের উপচে পরা ভীড়, লোকে লোকারন্য থাকে।

 

আয়া সোফিয়া থেকে কিছু দূরেই সুলতান আইয়ূপ তথা রসূলের সাহাবী হযরত আইয়ূব আল আনসারীর রওজা এবং মসজিদ রয়েছে। সেখানেও পর্যটকদের ভীড় সব সময় লেগে থাকে।

তাকসীম স্কোয়ারে পেছেনে জামে মসজিদ

আয়া সোফিয়া থেকে ইস্তানবুলের আধুনিক এবং সব চাইতে বৃহৎ নির্মাণশৈলির বড় মসজিদ, যা ইস্তানবুলের যেকোন জায়গা থেকে দেখা যায় মসজিদটি যেন ঠিক আকাশের মধ্যে লেগে আছে। যার নির্মাণশৈলি, স্থাপত্য এবং এর ভিতরের কারুকাজ আপনাকে বিমোহিত করবেই। মসজিদের প্রবেশ পথে যখন দাড়াবেন তখন ডানে বামে সামনে পেছনে যেদিকেই তাকাবেন পুরো ব্যস্ত ইস্তানবুল সিটি আপনার নজর কাড়বে।

The post ঐতিহাসিক হাগিয়া সোফিয়াতে (আয়া সোফিয়া) সাত দিন appeared first on Website.

]]>
ইস্তানবুল টুপকাপি প্যালেস মিউজিয়ামে নবীজীর চুল, জুতা মোবারক ও নবী পরিবারের স্মৃতি সংরক্ষণাগার পরিদর্শন https://syedshahsalimahmed.com/archives/2357 Mon, 25 Dec 2023 00:25:55 +0000 https://syedshahsalimahmed.com/?p=2357 সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ, ইস্তানবুল থেকে তুরস্কের ইস্তানবুল সিটির ফাতিহ জেলার পূর্বে টুপকাপি প্যালেসে এক বিশাল মিউজিয়াম অবস্থিত। যেখানে রয়েছে অটোমান সাম্রাজের নানা ঐতিহ্য কীর্তি, একই সাথে এই টুপক্যাপি প্যালেসের এক ভবনেই রয়েছে বিশ্বনবী মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র দাড়ি মোবারকের চুল, পায়ের স্যান্ডেল, জুতা-যা অত্যন্ত যত্নের সাথে মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে। সর্বসাধারণের জন্য বিশেষ […]

The post ইস্তানবুল টুপকাপি প্যালেস মিউজিয়ামে নবীজীর চুল, জুতা মোবারক ও নবী পরিবারের স্মৃতি সংরক্ষণাগার পরিদর্শন appeared first on Website.

]]>
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ, ইস্তানবুল থেকে

তুরস্কের ইস্তানবুল সিটির ফাতিহ জেলার পূর্বে টুপকাপি প্যালেসে এক বিশাল মিউজিয়াম অবস্থিত। যেখানে রয়েছে অটোমান সাম্রাজের নানা ঐতিহ্য কীর্তি, একই সাথে এই টুপক্যাপি প্যালেসের এক ভবনেই রয়েছে বিশ্বনবী মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র দাড়ি মোবারকের চুল, পায়ের স্যান্ডেল, জুতা-যা অত্যন্ত যত্নের সাথে মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে। সর্বসাধারণের জন্য বিশেষ কাচের ভিতর বাক্সের মধ্যে প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে। এই মিউজিয়ামেই আছে আম্মাজান হযরত ফাতেমা রাদিআল্লাহু আনহা এবং হযরত আলী রাদিআল্লাহু আনহুর বিবাহের কাপড়, ইমামা শরীফ এবং বিয়েতে রসূলের দেয়া চেস্ট উপহার।

মহানবীর পবিত্র দাড়ি মোবারকের চুল

এ ছাড়া হযরত শিশ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সেই বিশেষ স্বর্ণ খচিত হাতের বর্ম, হযরত দাউদ আলাইহি ওয়াসাল্লামের দ্বারা লোহার তৈরি তলোয়ার এবং এর কারু কার্যখচিত বিশেষায়িত লৌহ প্রদর্শনের জন্যো রয়েছে। এখানেই রয়েছে অটোমান সাম্রাজ্যের নানা কীর্তি সংগ্রহশালা। সম্রাটের মেহমান খানা এবং রয়েছে হেরেমখানা।

মহানবীর পায়ের স্যান্ডেল ও জুতা মোবারক

প্রায় ১৫শ এবং ১৯ শতাব্দিতে এই টুপক্যাপি প্যালেস মূলত ছিলো অটোমান সাম্রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন এবং সুলতানের প্রাসাদ ভবন হিসেবেও ইতিহাসে প্রসিদ্ধ রয়েছে। সমগ্র ইস্তানবুলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে  আছে ৩০০টির মতো মিউজিয়াম, যার মধ্যে এই টুপক্যাপি প্যালেস মিউজিয়াম হলো ইস্তানবুলের মধ্যে সব চাইতে বেশি পর্যটক প্রতিদিন ভিজিট করেন। এখানে প্রবেশ এবং বের হওয়ার সময় আপনাকে অতিরিক্ত সময় হাতে নিয়ে যেতে হবে-দীর্ঘ লাইন অপেক্ষা করা লাগবে।

বিভিন্ন রাজ্যে ইসলামের দাওয়াত দিয়ে লেখা মহানবীর চিঠি

১৪৫৩ সাল থেকে সুলতান মেহমুদ এই প্যালেস দখলে নেয়ার পর পরই বসবাস করতে থাকেন এবং ১৪৮১ সালে এখানেই তিনি মৃত্যু বরন করেন।

টুপক্যাপি প্যালেস মিউজিয়ামের মূল প্রবেশ মুখ

বিশাল কম্পাউন্ডে যেদিকে চোখ যায় খুব সুন্দর পরিপাটি করে সাজানো রয়েছে বিশাল এই মিউজিয়াম অঙ্গন। এর গেইটের একদিকে রয়েছে আয়া সোফিয়ার পেছনের অংশ ও ঐতিহাসিক গ্র্যান্ড বাজার এবং ব্লু মস্ক। অপর অংশে রয়েছে আয়া সোফিয়ার দিকে যাওয়ার রাস্তা, যেখান থেকে উঠলে আপনাকে অনেক উচু রাস্তা বেয়ে উঠতে হবে এবং হাটতে হবে প্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট।

হযরত ফাতেমা রাদিআল্লাহু আনহার বিয়ের পোশাক এবং বিয়েতে নবীজীর দেয়া চেস্ট

মূল মিউজিয়ামের প্রবেশ পথের এক পাশে রয়েছে মিউজিয়ামের প্রবেশের পাস, হেরেমে প্রবেশের জন্য আপনাকে পৃথক চার্জ বা ফি দিতে হবে। বিশাল এই নিউজিয়াম ঘুরে দেখতে হলে আপনাকে কমপক্ষে সারা দিনের জন্য যেতে হবে। একদিনে পুরো মিউজিয়াম দেখে শেষ করা অনেকটাই অসম্ভব। সেজন্য সময় এবং সুযোগ নেয়ার জন্য আপনাকে শুরুতে মহানবীর স্মৃতিবিজড়িত এবং ইসলামের ইতিহাস ঐতিহ্যের কৃষ্টি সংস্কৃতি দেখার জন্য প্রথমেই মিউজিয়ামের ভিতরে ঢুকেই গার্ড বা পুলিশ কাউকে জিজ্ঞেস করে সোজা ভিতরের প্রথম দুটো মহল বা ভবন ডিঙ্গিয়ে বাম দিকের কোনার ভবনের দিকে হেটে নবীজীর স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক চুল ও জুতা মোবারক দেখার জন্য ঢুকে যাবেন। তাতে আপনার মিউজিয়ামে আসার প্রকৃত উদ্দেশ্য সফল হবে।

নবীজীর চুল মোবারক

কারণ এই মিউজিয়াম নানা গেইট এবং নানা পর্ষদে বিভক্ত, বিভিন্ন গেইটের রয়েছে নানা নামও।  ভিতরের তৃতীয় কোর্ট ইমপেরিয়াল ট্রেজারিতে রয়েছে সুলতানের নানা অবিস্মরণীয় কীর্তির সংগ্রহ শালা, সুলেমানি সোর্ড সহ আরও অনেক ঐতিহাসিক সংগ্রহ। সুলতানের হেরেম রয়েছে ওয়েস্টার্ন সাইডের সেকেন্ড কোর্টে।

দাউদ আলাইহি ওয়াসাল্লামের লোহার তরবারি

টুপক্যাপি প্যালেস সামারে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকলেও উইন্টারে ৫.৩০ পর্যন্ত খোলা থাকে। আর প্রবেশ খরচ পরবে সর্বসাকুল্যে ৭৫০ থেকে ৮৫০ তার্কিশ লিরার মধ্যে।

Salim932@googlemail.com

The post ইস্তানবুল টুপকাপি প্যালেস মিউজিয়ামে নবীজীর চুল, জুতা মোবারক ও নবী পরিবারের স্মৃতি সংরক্ষণাগার পরিদর্শন appeared first on Website.

]]>
আমার স্কুল-সৈয়দপুর হাই স্কুলে যেভাবে বেড়ে উঠা https://syedshahsalimahmed.com/archives/2352 Sun, 24 Dec 2023 00:25:20 +0000 https://syedshahsalimahmed.com/?p=2352 সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ     কোন প্রকারের ভনিতা না করে সরাসরি যে কথাটা না বললেই নয়, আমি বড় সৌভাগ্যবানদের মধ্যে একজন, যে সৈয়দপুর হাইস্কুলে লেখাপড়া করার বিরল এক গৌরবের অধিকারি। বিরল এই গৌরব এই কারণে যে, আমাদের সময়ে, যখন লেখাপড়ার প্রতি সমাজে জোক ছিল খুব নগন্য, গোষ্টী, দলবাজী, লাঠিবাজী, আর বিদেশ গিয়ে উপার্জন করাটাই […]

The post আমার স্কুল-সৈয়দপুর হাই স্কুলে যেভাবে বেড়ে উঠা appeared first on Website.

]]>
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ

 

 

কোন প্রকারের ভনিতা না করে সরাসরি যে কথাটা না বললেই নয়, আমি বড় সৌভাগ্যবানদের মধ্যে একজন, যে সৈয়দপুর হাইস্কুলে লেখাপড়া করার বিরল এক গৌরবের অধিকারি। বিরল এই গৌরব এই কারণে যে, আমাদের সময়ে, যখন লেখাপড়ার প্রতি সমাজে জোক ছিল খুব নগন্য, গোষ্টী, দলবাজী, লাঠিবাজী, আর বিদেশ গিয়ে উপার্জন করাটাই ছিল প্রাধান্য। আজকের মত যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নয়ন তেমন কিছুই ছিলনা। ছিলনা কম্পিউটর, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, আইপ্যাড, মোবাইল, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, ইউটিউব-এসবের বালাই ছিলনা।মানুষের মধ্যে আজকের মত যান্ত্রিকতার প্রাধান্য ছিল নগন্য। বলা যায় ছিলইনা। টেলিফোনে যোগাযোগ ছিল বেশ কষ্টসাধ্য।তখন কেবল টেলিগ্রাম(সাদা একখান কাগজে ছোট্র দু হরফ, আর ডাক যোগে চিঠির আধিক্য ছিল প্রচুর। ডাক বিভাগই ছিল একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম। আর এখনকার মত গুগলে এক ক্লিকে সারা বিশ্বের সর্বশেষ খবর যেভাবে জানা যায়, তথ্যের আদান প্রদান যেভাবে সহজে করা যায়, নোটস, ফুট নোটস, রেফারেন্স, জার্ণাল, বুক যেভাবে সহজে পাওয়া যায় ক্লিকের নাগালে, সেরকম কোন কিছু ছিলনা আমার সৈয়দপুর হাই স্কুলে।

 

তবে সে সময়ে যা ছিল, আমার ছোট্র মনে সেদিন যা দাগ কেটেছিল, যাদের সাহচর্যে জ্ঞান বিজ্ঞানের দার আমাদের দারগোড়ায় এসে পৌছেছিল অবলীলায় এবং সহজে, যাদের কথা না বললেই নয়, তাদের মধ্যে হেড মাস্টার আব্দুল মতিন স্যার,  মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, নজমুল হোসেন চৌধুরী মাস্টার, জসীম উদ্দীন, মোহাম্মদ জহীরুল হক, মোহাম্মদ মমতাজ, শামসুল ইসলাম, মুনীর হোসেন, সিরাজ উদ্দীন, আব্দুস সামাদ, বশীর আহমেদ বিএসসি, এস এম সোলায়মান, সুখেন কুমার সাহা, আব্দুল হক, মাওলানা আমীরুল ইসলাম অন্যতম। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর নিরলস প্রচেষ্টার ফলে তখনকার সময়ে সৈয়দপুর হাই স্কুল জ্ঞান গরিমা, খেলা ধুলা, শরীর চর্চা, সর্বক্ষেত্রে অভাববনীয় সাফল্য সৃষ্টি করে সমগ্র থানা জেলা ও মহকুমার মধ্যে এক ব্যতিক্রমধর্মী গৌরবের অধিকারি হয়ে উঠেছিল। আমাদের সময়ে স্কুলের পরীক্ষা ও বোর্ড পরীক্ষায় একটি গ্রামীণ পরিবেশের স্কুল রেকর্ড সৃষ্টি করে তাক লাগিয়ে দেয়ার মত ঘটনাগুলো ছিল মুখে মুখে। ছাত্র ছাত্রীদের গ্রামের সকল লোকজন এবং গ্রাম ছাড়িয়ে আশে পাশের সকলেই অত্যন্ত স্নেহ এবং সমীহের চোখে দেখতেন, যা ছিল আমাদের সময়ে এক শ্রেষ্ট পাওনা।

(চ্যানেল আই ইউকে ইউরোপের  আমার এক্সক্লূসিভ অনুষ্ঠানে তখনকার প্রেস মিনিস্টার নাদিম কাদির)

আমার স্ক্ল সৈয়দপুর হাই স্কুলে ম্যানেজম্যান্ট কমিটির সকলেই ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক এবং ছাত্র ছাত্রীদের জ্ঞান বিজ্ঞান অধ্যয়নের জন্য সহায়ক এক শক্তি। ম্যানেজম্যান্ট কমিটির প্রয়াত সৈয়দ আমীরুল ইসলাম ফখরুল, প্রয়াত সৈয়দ আর্জুমান্দ আলী, প্রয়াত সৈয়দ আব্দুল মান্নান মাষ্টার, প্রয়াত আমার পিতা সৈয়দ জাহাদার মিয়া, খালিক মিয়া চেয়ারম্যান, প্রয়াত মল্লিক সিদ্দেক আহমদ সকলেই ছিলেন স্কুলের লেখা পড়া এবং স্কুল সুষ্টুভাবে পরিচালনায় অত্যন্ত আন্তরিক। সৈয়দ আমীরুল ইসলাম ফখরুল মাঝে মধ্যে স্কুল ক্লাস চলাকালীন সময়ে হাজির হয়ে ছাত্র ছাত্রীদের সমসাময়িক বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইতেন, যা অনেককেই  জ্ঞান আহরনে অনুপ্রাণীত করতো।

 

আমার তথ্যের মধ্যে যদি কোন অতিরঞ্জিত না হয়ে থাকে এবং আমি যদি ভুল না করে থাকি, তবে যতটুকু মনে পড়ে, ষষ্ট শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাসে ১ অথবা ২ নম্বর আমি এবং আমার প্রয়াত বন্ধু আব্দুস সবুরের মধ্যে হতো। শিক্ষকবৃন্দও প্রতিযোগিতায় লিপ্ত থাকতেন কিভাবে আমাদের দুজনের একজনকে সামান্য কম নম্বরে হলেও রেজাল্টে প্রথম স্থান আটকে দেয়া যায়-উত্তরপত্র অত্যন্ত নিখুতভাবে দেখার কথা বার বার আমাদের দুজনকে এমনভাবে ক্লাসে জানিয়ে দিতেন, যেন সারা বছরই আমরা দুজন লিপ্ত থাকতাম, কিভাবে ভুল ভ্রান্তি এড়িয়ে গিয়ে কত বেশী নতুন তথ্যের সমারোহ উত্তরপত্রে করা যায়। এ ক্ষেত্রে আমাদের ইংরেজির শিক্ষক হেড টিচার প্রয়াত মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান  এবং ভুগোলের শিক্ষক সিরাজ উদ্দিন স্যার অসাধারণভাবে ছাত্র ছাত্রীদের প্রেষিত করতেন দারুণভাবে। খেলাধুলার ক্ষেত্রে জসীম উদ্দীন স্যারের প্রচেষ্টায় থানা ও জেলা ব্যাপী বেডমিন্টন প্রতিযোগিতায় সৈয়দপুর হাইস্কুল কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখতে পারাটাও ছিল আমার স্কুল সৈয়দপুর হাই স্কুলের আরো এক গৌরবের উপাখ্যান মাত্র।

 

আবহাওয়া এখনকার মত এতো দরদী ছিলনা। শীতকালে যেমন প্রচন্ড ঠান্ডা ছিল, গরমে তখন অসম্ভব গরম পরত। টিনের স্কুলের ক্লাস্রুম গরমে তখন আমরা অতীষ্ট হতাম। প্রচন্ড গরমে টিউবওয়ে্লের পানি পান করা ছাড়া সেসময় ব্রেক টাইমে কোন কিছু খাওয়ার ব্যবস্থা স্কুলে ছিলনা।  আবার খাওয়ার জন্য বাড়ি কিংবা বাজারে গেলে নামাজের সময় চলে যেত, যা ইসলামী শিক্ষার স্যার পরের ক্লাসে কৈফিয়ত চাইতেন, শাস্তিও পেতে হত। এমনি সময়ে আমার স্কুলে বেড়াতে এলেন লন্ডন প্রবাসি সৈয়দ খালেদ মিয়া অলিদ। ম্যানেজম্যান্ট কমিটির অন্য সদস্যদের ফাঁকে হেড টিচারের সামনে লন্ডন প্রবাসি সৈয়দ খালেদ মিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি নিজ উদ্যোগে গ্রামেরই রজব আলীকে স্থানীয় ফান্ড সরবরাহ করে ছোট খাটো দোকানের ব্যবস্থা করে দিলেন, যাতে স্কুল ব্রেকের সময়ে ছাত্র ছাত্রীরা চা বিস্কিট  এবং সেই সাথে শিক্ষকদের জন্যো চায়ের সুন্দর এক ব্যবস্থা চালু হল। সেজন্য ধন্যবাদ দিয়ে সৈয়দ খালেদ মিয়া অলিদকে খাটো করতে চাইনা।

(নানা বাড়িতে মামা প্রয়াত সৈয়দ শাহ কামাল চৌধুরীর সাথে)

আমাদের সময়ে স্কুলে পড়া লেখার পাশাপাশি অন্যান্য শিক্ষমূলক কর্মকান্ড ছাত্র ছাত্রী এবং শিক্ষকবৃন্দ মিলে যৌথভাবে পালিত হত। আমার জানা মতে, আমাদের সময়ে আমরা সাদা কালো বিটিভির বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুসরন করে আমাদের স্কুলে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হতো। সেজন্য বিজয়ীদল ও দলনেতাকে পুরষ্কৃত করা হত, স্কুলের বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতার সময়ে সেরা তার্কিক হিসেবে জাতীয় দিবসের উপর বক্তব্য রাখার সুযোগ জহীরুল হক সরকার স্যার এবং জসীম উদ্দীন স্যার চালু করেছিলেন।

 

সৈয়দপুর বাজারে তখন বিশাল কাপডের (দোকান) ব্যবসা আমার পিতা মরহুম সৈয়দ জাহাদার মিয়া যেমন করতেন, তখন তেমনি আরো একজন কাপড়ের ব্যবসা করতেন, তিনি হলেন ইলিয়াস দাদা। বাবার ব্যবসায়ের সুবাদে আমাদের দোকানে এবং তৎসংলগ্ন স্থানে, আমাদের স্কুলের গন্ডীর বাইরেও আমাদের সময়ে আমরা বেশ রিচ এক সাংস্কৃতিক পরিবেশ পেয়েছিলাম। স্কুলের নানান জাতীয় অনুষ্ঠান ছাড়াও স্কুলের বাইরে ছুটির দিন এবং বিকেল বেলা খেলাধুলার পাশাপাশি ওবায়দুল হক মসনু, আহমদ ময়েজ, রফিকুল বারী, প্রয়াত সৈয়দ আশরাফ আহমেদ, প্রয়াত মল্লিক সিদ্দেক আহমেদ(যিনি বয়সের ব্যবধানে অনেক বড় হয়েও আমাদের সাথে সাহিত্য সংস্কৃতির আড্ডায় মিলিত হয়ে অনুপ্রাণীত করতেন), সৈয়দ রফিকুল হক, সহ বেশ কিছু সংস্কৃতিমনা তরুণ আমাদেরকে ঘিরে সাহিত্য সংস্কৃতি ও কাব্য কবিতা সংস্কৃতির চর্চার বিতর্ক জমিয়ে রাখতেন।

আমার এই স্কুল- স্কুল জীবন থেকেই আমাকে প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল। আর সেই প্রেরণায় নিত্য সঙ্গী ছিলেন সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, সৈয়দ শাহীন আহমেদ, আব্দুল হাই, এডভোকেট শায়েখ আহমেদ, মল্লিক সোহেল আহমেদ, সৈয়দ মোহাদ্দিস আহমেদ, মল্লিক শাকুর ওয়াদুদ, সালেহ আহমেদ রাণু, সহ আরো অনেকেই। সৈয়দ পুর হাই স্কুল থেকে কৃতিত্বের সাথে অধ্যয়নের ফলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন পড়ার সৌভাগ্য হয়েছিল, তেমনি আমিই সৈয়দপুর হাই স্কুল এবং সৈয়দপুর তথা গোটা থানা থেকে প্রথম এবং সম্ভবত এখন পর্যন্ত একমাত্র ছাত্র যে ডাকসুতে সরাসরি নির্বাচনে  রেজা আরিফ সেলিম পরিষদে নির্বাচনের গৌরবের অধিকারি। শুধু তাই নয়, এই সৈয়দপুর হাইস্কুলই আমাকে আজকের এই পড়ন্ত বেলায়ও ইংল্যান্ডের বিখ্যাত এবং প্রেস্টিজিয়াস গ্রিনউইচ ইউনিভার্সিটিতে রিসার্চের সুযোগ এনে দিয়েছে। সেজন্য আমি আমার কৈশোর যৌবনের শিক্ষার নীড় সৈয়দপুর হাই স্কুল আজকে ৫০ বছরের সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করছে, আর আমি সেই ৫০ বছরে আমার স্কুলের জীবন্ত স্বাক্ষী হতে পেরে নিজেকে আরো বেশী গৌরবান্বিত মনে করছি। আল্লাহপাকের দরবারে সেজন্য লাখোশুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। আমার স্কুল সৈয়দপুর হাই স্কুল আরো সামনে দিকে এগিয়ে যাক, জ্ঞান বিজ্ঞানের শ্রেষ্ট বিদ্যাপীঠে পরিণত হয়ে সমগ্র এলাকায় জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিক- এই আমার চাওয়া, এই আমার প্রার্থনা।

(লেখকঃ প্রাক্তন ছাত্র, লন্ডন প্রবাসী সাংবাদিক, সাবেক নিউজ এডিটর-বেতার বাংলা, সাবেক চীফ রিপোর্টার -চ্যানেল আই,প্রধান সম্পাদক– দ্য লন্ডন টাইমস । এনএইচএস এর পার্মানেন্ট স্টাফ)।

The post আমার স্কুল-সৈয়দপুর হাই স্কুলে যেভাবে বেড়ে উঠা appeared first on Website.

]]>
হ্নদয়ে আল-আকসা, মক্কা মদীনা বই প্রকাশিত https://syedshahsalimahmed.com/archives/2342 Sun, 26 Nov 2023 23:50:47 +0000 https://syedshahsalimahmed.com/?p=2342 সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ লিখিত ইসলামের তিন ঐতিহাসিক পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদ, মক্কা মদীনা জেয়ারতের উপর ভিত্তি করে ফিলিস্তিন, জেরুজালেম, জেরিকো, আল খলিল, বেথেলহ্যাম সহ নবী রাসূলদের বসত বাড়ি রওজা জেয়ারতের পবিত্র স্থান সমূহ জেয়ারতের ফটো ডকুম্যান্টারি বই প্রকাশিত হয়েছে। এটি লেখকের চতুর্থ বই এবং এই বইয়ের এটা দ্বিতীয় সংস্করণ। দ্বিতীয় সংস্করণকে আরও আধুনিক, উন্নত […]

The post হ্নদয়ে আল-আকসা, মক্কা মদীনা বই প্রকাশিত appeared first on Website.

]]>
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ লিখিত ইসলামের তিন ঐতিহাসিক পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদ, মক্কা মদীনা জেয়ারতের উপর ভিত্তি করে ফিলিস্তিন, জেরুজালেম, জেরিকো, আল খলিল, বেথেলহ্যাম সহ নবী রাসূলদের বসত বাড়ি রওজা জেয়ারতের পবিত্র স্থান সমূহ জেয়ারতের ফটো ডকুম্যান্টারি বই প্রকাশিত হয়েছে।

এটি লেখকের চতুর্থ বই এবং এই বইয়ের এটা দ্বিতীয় সংস্করণ। দ্বিতীয় সংস্করণকে আরও আধুনিক, উন্নত এবং তথ্য সমৃদ্ধ ও কিছু নতুন তথ্য, ছবি সংযুক্ত করে প্রকাশিত হয়েছে।

বইটি মুসলমান, অমুসলিম যে কারও কাছে অসম্ভব এক মহব্বত এবং পবিত্র গ্রন্থ আল্লাহর কালাম কোরআনে পাকে বর্ণিত ও উল্লেখিত প্রায় সকল নবী, রসূল এবং বর্ণিত ঘটনাসমূহের বাস্তব এক জীবনে পাঠকদেরকে নিয়ে যাবে সন্দেহ নেই। প্রথম সংস্করণ প্রকাশের মুহুর্তেই সব কপি নিঃশেষ হয়ে যাওয়াই এর বাস্তবতা প্রমাণ করে।

১০০ পেইজের সম্পূর্ণ কালার মুদ্রিত এই  বইয়ে ফিলিস্তিনের আল আকসা মসজিদ, ১০ হাজার বছরের পুরনো জেরিকো সিটি ছাড়া নবী ইবরাহিম আলাইহিওয়াসাল্লামের স্মৃতি বিজড়িত আল খলিল সিটি ও  নবী ইসা আলাইহিওয়াসাল্লামের স্মৃতি জড়িত বেথেলহ্যাম সিটি এবং নবী শোয়াইব আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শোয়েব ভ্যালি(জর্ডান) ছাড়াও ঐতিহাসিক ডেড সী এবং পবিত্র মক্কা মদীনা ঐতিহাসিক তথ্য সম্বলিত অসাধারণ এক ডকুম্যান্টারি যা ইসলামের ইতিহাস গবেষণার ছাত্র ছাত্রী এবং কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের পাঠের খোড়াক যোগাতে সহায়তা করবে।

নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল আকসা থেকে এহরাম বেঁধে মক্কায় পবিত্র উমরাহ সম্পন্ন করলে আগে পিছের সব গোনাহ আল্লাহপাক মাফ করে দেন। তাছাড়া আল আকসার ডোম অব দ্য রক মসজিদের গেটেও নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইওয়াসাল্লামের সেই হাদীস খোদাই করে লিখিত রয়েছে, আল আকসায় বাতি দেয়ার(সাদাকা) জন্য। যেমন করে আছে আয়া সোফিয়ার গেটে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সেই হাদীস কন্সটান্টিনোপল(আজকের ইস্তানবুল) মুসলিম সেনাপতি জয় করবেন এবং সেই সেনাপতি সেনাবাহিনী কতোই না সৌভাগ্যবান।

আপনার কপির জন্য এই লিংকে ক্লিক করে অর্ডার দিতে পারেন। প্রকাশনী সংস্থা সরাসরি আপনার ঠিকানায় বই পাঠিয়ে দিবে।

 

 

The post হ্নদয়ে আল-আকসা, মক্কা মদীনা বই প্রকাশিত appeared first on Website.

]]>
মোমেন ক্যারিশমায় ভেস্তেগেলো সংস্কারপন্থীদের পরিকল্পণা https://syedshahsalimahmed.com/archives/2314 Mon, 22 Aug 2022 23:42:17 +0000 https://syedshahsalimahmed.com/?p=2314 সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ। লন্ডন থেকে।   ১/১১ ফখরুদ্দীন-মঈনুদ্দিনের সরকারের প্রেতাত্মা এখনো বাংলাদেশের রাজনীতিতে নানা ছকে, নানা রূপে ঘুর পাক খাচ্ছে। পশ্চিমা দূতরা নানা ছলে বলে, পুরনো বোতলে নতুন পানি ঢেলে ১/১১ সেই কথিত ছক বার বার সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা কম করছে না। সুশীলদের অংশকে নানাভাবে প্রলুব্ধ করেও বাঙালিকে সেই পুরনো ট্যাবলেট আর হজম […]

The post মোমেন ক্যারিশমায় ভেস্তেগেলো সংস্কারপন্থীদের পরিকল্পণা appeared first on Website.

]]>
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ। লন্ডন থেকে।

 

১/১১ ফখরুদ্দীন-মঈনুদ্দিনের সরকারের প্রেতাত্মা এখনো বাংলাদেশের রাজনীতিতে নানা ছকে, নানা রূপে ঘুর পাক খাচ্ছে। পশ্চিমা দূতরা নানা ছলে বলে, পুরনো বোতলে নতুন পানি ঢেলে ১/১১ সেই কথিত ছক বার বার সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা কম করছে না। সুশীলদের অংশকে নানাভাবে প্রলুব্ধ করেও বাঙালিকে সেই পুরনো ট্যাবলেট আর হজম করানো যাচ্ছেনা। কিন্তু ১/১১ কুশীলব এবং সংস্কারপন্থীরা এখনো হাল ছাড়েননি। সময় সুযোগ পেলেই মাথা চাড়া দিয়ে উঠে।প্রশাসন, রাজনীতি, এনজিও, অর্থনীতি সহ বিভিন্ন সেক্টরে এই সুযোগ সন্ধানী কথিত সংস্কারবাদিরা ঘাপটি মেরে বসে আছে নানা রূপে ও নানা ছলে। সবচেয়ে দুর্বোধ্য এবং অজেয় সংস্কারবাদিরা ক্ষমতাসীন দলের ভিতরে বঙ্গবন্ধু ও মুজিবকোট লাগিয়ে ঝাকিয়ে বসে আছে আর দুর্দন্ড প্রতাপে সময় সুযোগে আঘাত করার চেষ্টা করে। তারা এতোই শক্রিশালী যে, সাধারণ বা খালি চোখ ও মাইক্রোস্কোপ যন্ত্রকেও হাড় মানিয়ে দেয়। কারণ যে পাত্রেই তারা থাকা সেই পাত্রের রঙ আকার ধারণ করে। শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে মাইনাস করার জন্য ১/১১ সরকারের ও সংস্কারবাদিদের সাথে যারা আঁতাত করেছিলো, পরবর্তীতে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকারের সভানেত্রীর কৃপা নিয়ে কেউ কেউ দলে ফিরে নীতি নির্ধারণী পরিষদে স্থান পেয়ে কিছুদিন দলের প্রতি চরম আনুগত্য দেখালেও সময় সুযোগে তাদের পরিকল্পপণা বাস্তবায়নে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাপিয়ে পরে। একই দৃশ্য আমরা বিএনপিতেও দেখতে পাই। সংস্কারবাদি পশ্চিমাদূত আর বিদেশী অর্থ পুষ্ট এনজিও এবং সুশীলদের সাথে শলাপরামর্শে এরা দিন দিন হ্নষ্ট পুষ্ট হয়ে ক্ষমতাসীনদের হ্নদযন্ত্রে আঘাত করার জন্য সর্বশক্তি দিয়ে ঝাপিয়ে পরার দৃশ্য এবং তাদের সার্কাস খেলা দেশবাসি বেশ ভালোভাবেই উপভোগ করেছেন।

মজার ব্যাপার হলো ১/১১র সংস্কারবাদীর তকমা যাদের মাথায়, যারা বঙ্গবন্ধু কন্যাকে রাজনীতি থেকে মাইনাসের ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে হাত মিলিয়েছিল-তাদের অধিকাংশই প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এবং বঙ্গবন্ধু কন্যার বিশ্বস্থ এবং শত হাজারো পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, সারাজীবন জীবন বাজী রেখে যে আবদুল মোমেন এবং মোমেন পরিবার আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে যাচ্ছেন, তাকে এবার মাইনাসের জন্য উঠে পড়ে লেগে যায়। সংস্কারপন্থীরা জানে, আব্দুল মোমেনকে যদি বঙ্গবন্ধুর কন্যার কাছ থেকে আলাদা করা যায়, তাহলে সরকার প্রধানকে চলমান বিশ্বের সংকটময় পরিস্থিতিতে অত্যন্ত কঠিণ চ্যালেঞ্জের মুখে শুধু পতিত করা হবেনা, ঢাকা ইস্যুতে ভারত-চীনের কৌশলী খেলার ছকে ত্রাহি অবস্থা পরে বিদায় নিতে হবে।

সারা বিশ্বের নানা ক্ষেত্রে সংস্কারবাদীরা হয় উদার, গণতান্ত্রিক, জবাবদিহিমূলক,স্বচ্ছ এবং সকলের সাথে অংশগ্রহণমূলক। বিপরীতে আমরা দেখি বাংলাদেশের কথিত সংস্কারবাদীরা অত্যন্ত কঠোর, নিষ্টুর, ষড়যন্ত্রকারী, কিংসপার্টি, অস্বচ্ছ, মেধাহীন,জনগনের থেকে দূরে।

বিশ্ব রাজনীতি অর্থনীতির পরিবর্তনের নয়া ছকে ঢাকা ইস্যুতে ভারত-চীনের কৌশলী খেলায় শেখ হাসিনা এবং আব্দুল মোমেন কান্ডারির ভুমিকায়। কথিত সংস্কারবাদীদের সাম্প্রতিক ইস্যুগুলোতে সিনারীওর পেছনে ভারত-চীন কৌশলী খেলা বুঝতে এরা শুধু অক্ষমই নয়, বরং ইস্যু থেকে যোজন যোজন দূরে। যে কারণে আমরা দেখি মিডিয়ায় তাদের অতি বাগাড়ম্বর এবং লাফালাফি। নেহায়েত এক ভদ্র, মার্জিত, উন্নত রুচি ও চিন্তা চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর অনুসৃত আদর্শ এবং নীতিতে সমুজ্জ্বল অর্থনীতিবিদ ও অধ্যাপককে নিষ্টুর ও অশালীনভাবে অমর্যাদা ও অপদস্থ করার জন্য দিনের রাত ঘুম হারাম করে উঠে পরে লেগে যায়। অথচ এরাই আবার সারাজীবন রাজনীতির পেছনে জীবন যৌবন বিলীন করে দিয়ে আসছে। স্বার্থ, ভোগ, লালসা যখন প্রাধান্য পেয়ে যায় তখন নীতি নৈতিকতা এবং রাজনীতির কুশলী খেলা থেকে ওরা ছিটকে কখন যে পরে যায় তা টের পায়না। বাংলাদেশ নিয়ে পশ্চিমাদের শুধু নয়, প্রতিবেশী ভারত-চীন কী ছকে খেলছে, সরকার প্রধান এবং তার চোখ কী ছকে বাংলাদেশের যতটুকু স্বার্থ সম্ভব আদায় করা যায়-সেটা বুঝতে যে রাজনৈতিক কুশলতা দরকার-সেটাও তারা হারিয়ে ফেলে।

পশ্চিমা বিশ্ব, চীন, ভারতের এই ত্রি সাথে নতুন উপদ্রব সীমান্তে ইসরায়েলের উপস্থিতি এই চতুর্মুখী খেলায় শেখ হাসিনা এবং আব্দুল মোমেনের সরকারের দরকার আরও ব্যালেন্স কূটনৈতিক কুশলী খেলা। সেজন্য দরকার সাথে আরও কিছু লজিস্টিক সাপোর্ট, দক্ষ এবং কুশলী খেলোয়াড়ের-যারা এই নয়া রাজনীতির ভেতরকার খেলা বুঝে। বাংলাদেশের শৃঙ্খলাপূর্ণ শক্তির প্রধান উৎস চীন কেন্দ্রিক-যা আগে ছিলো ভারত কেন্দ্রিক। সরকার প্রধান এবং আব্দুল মোমেনকে এখন ব্যালেন্স পাওয়ার কূটনীতিতে আগের ভারত কেন্দ্রিক সাবেক শক্তি প্রধানকে গুরুত্বপূর্ণ কোন এক স্থানে নিয়ে এসে চীন-ভারতের মধ্যকার ব্যালেন্স কূটনীতির খেলা দরকার, তাতে আরও বেশী ফায়দা হাসিল করা যাবে-উভয় শক্তির কাছ থেকে।

২২ আগস্ট ২০২২।

(বানান রীতি সাবেক পড়ে, বর্তমান পরে)

The post মোমেন ক্যারিশমায় ভেস্তেগেলো সংস্কারপন্থীদের পরিকল্পণা appeared first on Website.

]]>
হিসাবটা যেমন পরিষ্কার, ম্যাসেজটাও তেমনি পরিষ্কার হওয়া দরকার-আব্দুল মোমেন ভারতকে সেই ম্যাসেজটাই দিয়েছেন। https://syedshahsalimahmed.com/archives/2310 Sat, 20 Aug 2022 23:34:10 +0000 https://syedshahsalimahmed.com/?p=2310 ##মুশতাক এই সুযোগটাই ৭৫ নিয়েছিল-আওয়ামীলীগের নেতারাই সেই একই ক্ষেত্র তৈরি করে দিচ্ছেন ##হিসাবটা যেমন পরিষ্কার, ম্যাসেজটাও তেমনি পরিষ্কার হওয়া দরকার-আব্দুল মোমেন ভারতকে সেই ম্যাসেজটাই দিয়েছেন। সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ। লন্ডন থেকে ।   ০১) বাংলাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি কেবলমাত্র বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির মধ্যে সীমাবদ্ধ-এমন কায়েমী সূত্র নিয়ে যারা এখনও রাজনীতি, অর্থনীতিকে দেখেন, বিশ্লেষণ করেন কিংবা রাজনীতি […]

The post হিসাবটা যেমন পরিষ্কার, ম্যাসেজটাও তেমনি পরিষ্কার হওয়া দরকার-আব্দুল মোমেন ভারতকে সেই ম্যাসেজটাই দিয়েছেন। appeared first on Website.

]]>
##মুশতাক এই সুযোগটাই ৭৫ নিয়েছিল-আওয়ামীলীগের নেতারাই সেই একই ক্ষেত্র তৈরি করে দিচ্ছেন

##হিসাবটা যেমন পরিষ্কার, ম্যাসেজটাও তেমনি পরিষ্কার হওয়া দরকার-আব্দুল মোমেন ভারতকে সেই ম্যাসেজটাই দিয়েছেন।

সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ। লন্ডন থেকে ।

 

০১) বাংলাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি কেবলমাত্র বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির মধ্যে সীমাবদ্ধ-এমন কায়েমী সূত্র নিয়ে যারা এখনও রাজনীতি, অর্থনীতিকে দেখেন, বিশ্লেষণ করেন কিংবা রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতি চালু রাখতে চান, তারা এই শতাব্দীর সবচাইতে ঘুণে ধরা, পচা, দুর্গন্ধময়, বস্তাপচা মরা লাশ ছাড়া আর কিছুই নয়। তাদের দ্বারা আর যাই হউক, পুকুরের জলে জারমুনির ফেনার ন্যায় বুদ বুদ সাময়িক তুলে শোরগোল ও মিডিয়া কাভারেজ সাময়িক পেতে পারেন, কিন্তু বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির অগ্রগতি ও উন্নতি এবং আজকের পৃথিবীর আধুনিক বিজ্ঞান, প্রগতি, প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে সামনে নিয়ে চলার জন্য একেবারেই অনুপযুক্তই শুধু নন, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, বিশ্বের নতুন ভরকেন্দ্রের রাজনীতি, নয়া বিশ্ব অর্থনীতি এবং নয়া ডিজিটাল টেকনোলজি বুঝতে, আত্মস্থ করতে, প্রয়োগ করতে একেবারেই ব্যর্থ। ফেসবুকে সুন্দর ছবি আর কতিপয় ছন্দমাখা স্ট্যাটাস আর লাখো লাইক মানেই নয় যে, এরা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, নয়া বিশ্ব রাজনীতি, অর্থনীতি বুঝেন।

০২) মনে রাখা দরকার, কোভিড নাইন্টিন উত্তর বিশ্ব রাজনীতি অর্থনীতি যে পর্যায়ে গিয়ে দাড়িয়েছিল, ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ আর চীন-তাইওয়ান টেনশন, সাথে ইসরায়েল-প্যালেস্টাইল সম্পর্ক মাড়িয়ে আরব বিশ্বের সাথে ইসরায়েলের নয়া কূটনীতিতে বিশ্ব রাজনীতি, বিশ্ব অর্থনীতি, বিশ্ব টেকনোলজি নতুন এক মোড় নিয়েছে। এই নতুন মোড়ের সব কেন্দ্রেই যেমন ভারত এক বিরাট অবস্থানে রয়েছে, ঠিক তেমনি বাংলাদেশ চাক বা না চাক, ভারত-চীন-মার্কিন-ইসারেয়েল প্রেক্ষিতে উপমহাদেশে বাংলাদেশ এই নতুন বিশ্ব ভরকেন্দ্রিক রাজনীতি, অর্থনীতি এবং টেকনোলজিতে জড়িয়ে আছে-জ্ঞাতে কিংবা অজ্ঞাতে। এই নতুন বিশ্ব ভর কেন্দ্রিক রাজনীতি, অর্থনীতি, টেকনোলজি অনেকেরই এখনো চিন্তা, চেতনা ও কল্পণারও অতীত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডঃ এ কে আব্দুল মোমেন-এই নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা কেন্দ্রিক রাজনীতি, অর্থনীতি, টেকরাজনীতিতে যতটুকু সম্ভব বাংলাদেশের স্বার্থে বা অনুকুলে নিয়ে নয়া বিশ্বের টেক-রাজনীতিতে বলা যায় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর মতো বিশাল দুঃসাহস নিয়ে বিশ্ব পরিমন্ডলে খেলছেন অতি সঙ্গোপনে। টেক-কেন্দ্রিক নয়া রাজনীতির এই সূত্র আজকের আওয়ামীলীগ নেতৃত্ব কিংবা আওয়ামীলীগের পুরনো নেতৃত্ব কারও বোধগম্যের শুধু বাইরে নয়, বিরোধী রাজনীতিক বিএনপি কিংবা গণতন্ত্র মঞ্চ কারও নখদর্পনে এবং চিন্তা ও কল্পণার অতীত। যেকারণে আমরা দেখি, একজন শেখ হাসিনা ১৫ আগস্ট ৩২ নম্বরে আওয়ামীলীগের শ্লোগান থামিয়ে দিয়ে জানতে চান সেদিন সবাই কোথায় ছিল-যখন লাশটি পড়েছিল ৩২ নম্বরে? শেখ হাসিনা এই সিগন্যালের পরের দিনই পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকা কেন ভারত এবং বাংলাদেশ উভয়ের জন্য জরুরী খোলাখুলি সেটা বলেন। বাস আর যায় কোথায়? আব্দুল মোমেন কিংবা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের দুজনের কারও বক্তব্য বিশ্লেষণ না করেই খোদ আওয়ামীলীগ নেতারা বিএনপি-জামায়াতের ভাষায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের বিরোধীতা এমনভাবে করে যেন সরকার এখনি বিদায় নিতে হবে, যেমনটা বিএনপি, জামায়াত গণতন্ত্র মঞ্চ বলে। তফাতটা হলো এতোদিন বিএনপি জামায়াত বলছে, এখন ওবায়দুল কাদের,আব্দুর রহমানরা বলছে।

 

০৩) উপমহাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, টেকনোলজিতে ভারত এবং চীন অতি গুরুত্বপূর্ণ এক শক্তি। এই উভয় শক্তি আবার টেকনোলজির শীর্ষে থাকা ইসরায়েল, রাশিয়া এবং মার্কিনীদের সাথে ব্যবসা, বাণিজ্য, অস্ত্র, সামরিক অর্থাৎ সব ক্ষেত্রেই জড়িয়ে আছে। এই পাঁচের মধ্যে আবার ব্যবসায়িক সম্পর্ক থাকলেও সামরিক ও অস্ত্র তৈরি ও বিক্রিতে একে অন্যের আবার চরম বৈরি এবং প্রতিদ্বন্ধি। ভারত-মার্কিন একই বলয়ে থাকলেও ভারত-রাশিয়া-ইসরায়েল সম্পর্কও  গভীর। আবার মার্কিন-ইসরায়েল সম্পর্কও অনেক গভীরে। চীনের সাথে মার্কিনীদের বৈরিতা থাকলেও বাণিজ্য সম্পর্ক জিইয়ে রেখে সামরিক সম্পর্কে দ্বন্ধ জিইয়ে চীন-রাশিয়া-ইসরায়েল সম্পর্কও সর্বজনবিদিত। বাংলাদেশের শেখ হাসিনার সরকার ভারত-চীন-মার্কিনীদের সাথে যেমন কাজ করছে, তেমনি সমানভাবে রাশিয়ার সাথেও কাজ করছে। হালের ভারত, মধ্যপ্রাচ্য ও তার্কি তিন ইস্যুতেই ইসরায়েলের সাথেও অঘোষিতভাবে কাজ করছে, সেটা বলাই বাহুল্য। এই কূটনীতির অনেক কিছুই খোলাখুলিভাবে লেখা যাবেনা, শুধু ফুটনোটে এবং মোটাদাগের হরফে যে কথা না বললে নয়, ভারত, চীন কিংবা মার্কিন কেউই শেখ হাসিনার সরকারের সাথে কাজ করতে অস্বচ্ছন্দবোধ করছেনা। ইসরায়েল, মধ্যপ্রাচ্য, ইরান, রাশিয়াতো প্রশ্নাতীত।

০৪) ভারতের সীমান্ত রাজ্যগুলোতে যে সন্ত্রাসের ঝনঝনানি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছিল, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন শেখ হাসিনার সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কারণে ভারত তার অখন্ডতা যেমন আজ নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোগ করছে, বিনিময়ে বাংলাদেশও ভারতের কাছে আশা করে সীমান্তের এই পারের দেশ বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় শেখ হাসিনার সরকার থাকার জন্য রোহিঙ্গা ইস্যুতে মায়ানমারকে চাপ দেয়া, সাম্প্রতিক সময়ের কিছু বিশিষ্টজনের আন্তর্জাতিক ক্যাপিটাল ও লবিষ্টদ্বারা মার্কিন কংগ্রেসে বাংলাদেশ বিরোধী যে চাপ অব্যাহত আছে, সেটা রোধকল্পে দুইদেশ একসাথে কাজ করা, বৈশ্বিক জ্বালানি ও খাদ্য ইস্যুতে চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশও ভারতের মতো জ্বালানি, তেল, খাদ্য যাতে সহজে ও নিরাপদে পায়, বিদ্যুৎ সরবরাহ যাতে পায়-সেব্যাপারে ভারত শেখ হাসিনা সরকারের স্থিতিশীলতায় বিশ্ব পরিমন্ডলে ইসরায়েল,রাশিয়া, মার্কিনীদের সাথে ছোট দেশ বাংলাদেশকে সাপোর্ট ও সহায়তা করতে পারে। এবং সেটা করা দরকার এই কারণে যে, এতোদিন শেখ হাসিনার সরকার ভারতকে যা দিয়েছে, বিনিময়ে সময় এসেছে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি, খাদ্য, বিদ্যুৎ ইস্যুতে বাংলাদেশ যাতে পশ্চিমা জোটের বিরোধীতা কিংবা সেংশনের মুখে না পরে-সেটা ভারত যেমন কাজ করবে, তার্কি, মধ্যপ্রাচ্যও তখন কাজ করবে। আব্দুল মোমেন এর মতো লোক বলেই সরাসরি ভারতকে এটা বলতে পেরেছেন। হলফ করে বলতে পারি, বাংলাদেশের কোন ব্যক্তির পক্ষে বর্তমান বিশ্ব সংকটময় সময়ে ভারতকে এভাবে বলার মতো দুঃসাহস দেখাতে পারা দূরে থাকুক, বলার চিন্তাও করতে পারতোনা। আব্দুল মোমেন ৫ সেপ্টেম্বরের শেখ হাসিনার ভারত সফরের মোক্ষম সময়ের আগেই বলেছেন-যাতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার শেখ হাসিনাকে এই জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ আর খাদ্য এই তিন ইস্যুতে বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশকে আশ্বস্থ ও বিশ্বস্থতায় নিবে-এমনটাই -নরেন্দ্র মোদীর কাছ থেকে বাংলাদেশ আজ আশা করে। বাংলাদেশ যখনি তার জ্বালানি সংকট মোকাবেলায় রাশিয়ার বাজারের দিকে যাবে, মার্কিনীরা খড়গ হাতে এগিয়ে আসবে। তখন কী হবে? এমনকি ফেডারেল সরকারের হাতে বাংলাদেশের যে এসেট, বাংলাদেশ ব্যাংকের যে রিজার্ভ আছে সেটাও বন্ধ হয়ে যাবে। তখন কী হবে? পারবে ওবায়দুল কাদের কিংবা অন্যরা মার্কিনীদের সেংশন আটকাতে। নাকি সেই পথে যাতে না আসে-তার আগাম ব্যবস্থা বাংলাদেশ করা। বিরোধীরা চাচ্ছে বাংলাদেশও শ্রীলংকার মতো অবস্থা হতে। চলমান জ্বালানি তেল ও বিদ্যুৎ সংকট চলতে থাকলে জনগনের দূঃসহ অবস্থা হবে। সেই সংকট থেকে উত্তরণের এই মুহুর্তে বিকল্প পথ রাশিয়ার সস্তা তেল কিংবা ইউক্রেনের খাদ্য অথবা রাশিয়া ইউক্রেন হয়ে ভারত, মধ্যপ্রাচ্য, তার্কি, ইসরায়েল বা তৃতীয় পক্ষ হয়ে বাংলাদেশের জন্য সুযোগ আদায় করা। আব্দুল মোমেন এবং শেখ হাসিনা জানেন, জাতিসংঘ কোটায়ও এই সংকট মোকাবেলা সম্ভব নয়। ক্রমাগত সংকট- একের পর এক সংকট আসতে থাকবে-যা মোকাবেলা করা হবে অসম্ভব। ইউরোপ, যুক্তরাজ্য এই সংকটে ত্রাহি অবস্থায়, মার্কিনীরা অর্থিক সংকটে। বাংলাদেশকে ইউরোপ কিংবা মার্কিনীরা তেমন সহায়তা দিতে সক্ষম হবেনা-যতোটুকু এই মুহুর্তে বাংলাদেশের দরকার। হিসাবটা যেমন পরিষ্কার, ম্যাসেজটাও তেমনি পরিষ্কার হওয়া দরকার। আজকের কূটনীতিতে সেটাও জরুরী।মান্দাতার আমলের কূটনীতি দিয়ে আজকের কূটনৈতিক সংকট মোকাবেলা করে ফল আনা যাবেনা।

০৫) ভুলে গেলে চলবেনা, ১৯৭৫ সালে আওয়ামীলীগ নিজেদের মধ্যে চরম রেষারেষি, চরম অন্তর্দ্বন্ধে ভুগছিল, যদিও তখন বঙ্গবন্ধু ক্ষমতায়। বঙ্গবন্ধুকে ক্ষমতায় রেখেও আওয়ামীলীগ নেতৃত্ব ঠিক আজকের মতো নিজেদের মধ্যে সীমাহীন দ্বন্ধ আর বিরোধীতা চলমান। কোথায় শেখ হাসিনার সরকারের হয়ে জনগনের কষ্ট লাঘবে কাজ করবে, তা না করে বিএনপি-জামায়াত-গণতন্ত্র মঞ্চের ন্যায় একই ভাষা, একই বক্তব্য দিয়ে সরকারের শুধু বারোটা বাজাচ্ছেনা বরং মুশতাকের মতো ঘাপটি মেরে থাকা ষড়যন্ত্রের কুশীলবদের উস্কে দিচ্ছে। “প্রধানমন্ত্রী যেমন বলেন, তখন শুনি। যখন বলি তখন তিনি শুনেন। এটাই শেখ হাসিনা। সেজন্য তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আওয়ামীলীগে নেতৃত্ব দেয়ার মতো সঠিক যোগ্য বিশেষকরে আজকের বিশ্ব রাজনীতি, অর্থনীতির এই ভর কেন্দ্রিক নয়া রাজনীতির নেতৃত্ব খুজে পাইনা।“

০৬) যে কথার অবতারনা না করলেই নয়, আওয়ামীলীগ নেতৃত্বের মনে রাখা দরকার আব্দুল মোমেন কিংবা মুহিত পরিবার খড়কোটার মতো আওয়ামীলীগে ভেসে আসেনি। একটু পড়া লেখা করে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ও মুক্তিসংগ্রামের দিনগুলোতে চোখ বুলানোর আহবান জানাই। তাতে জ্ঞান বাড়বে বৈ কমবেনা। বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবন্ধু পরিবার, আওয়ামীলীগ ও আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আবদুল মোমেন কিংবা মুহিত পরিবারের সম্পর্ক কখন থেকে-সেটা ফেসবুকে কতিপয় অতি উৎসাহী  ওবায়দুল কাদেরের নিজের ভাষায় “হাইব্রীড” (ওবায়দুল কাদেরের কাছ থেকে ধার নিলাম) নেতাদের কাছ থেকে জনগনের জানার কোন প্রয়োজন নেই। ইতিহাসই যুগে যুগে কথা বলে। আর সত্য কখনো চাপা দেয়া যায় না। তার আপন মহিমায় অন্ধকার ভেদ করে ভোরের আলোয় উদ্ভাসিত হয়। এটাই নিয়ম।

২০ আগস্ট ২০২২। লন্ডন ।

The post হিসাবটা যেমন পরিষ্কার, ম্যাসেজটাও তেমনি পরিষ্কার হওয়া দরকার-আব্দুল মোমেন ভারতকে সেই ম্যাসেজটাই দিয়েছেন। appeared first on Website.

]]>
কেন শিনজো আবেকে হত্যা করা হয়? https://syedshahsalimahmed.com/archives/2304 Sat, 09 Jul 2022 17:07:55 +0000 https://syedshahsalimahmed.com/?p=2304 সবাইকে ঈদ মোবারক। আমন্ত্রণ আলোচিত সংবাদ বিশ্লেষণ ভিত্তিক অনুষ্ঠান টিএলটি পডকাষ্টে। আজকের প্রসঙ্গ কেন শান্তির দেশ জাপানে শিনজো আবেকে হত্যা করা হয়? তার আগে সারা বিশ্বের আজকের সংবাদের টুকিটাকি- বিক্ষোভের মুখে বাসভবন ছেড়ে পালিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে। বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ঢুকে পড়েছেন। সেখানে গোটাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ চলছে।শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সৈন্যরা […]

The post কেন শিনজো আবেকে হত্যা করা হয়? appeared first on Website.

]]>
সবাইকে ঈদ মোবারক। আমন্ত্রণ আলোচিত সংবাদ বিশ্লেষণ ভিত্তিক অনুষ্ঠান টিএলটি পডকাষ্টে। আজকের প্রসঙ্গ কেন শান্তির দেশ জাপানে শিনজো আবেকে হত্যা করা হয়?

তার আগে সারা বিশ্বের আজকের সংবাদের টুকিটাকি-

বিক্ষোভের মুখে বাসভবন ছেড়ে পালিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে। বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ঢুকে পড়েছেন। সেখানে গোটাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ চলছে।শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সৈন্যরা গোটাবায়া রাজাপাকসেকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে গেছেন। বিক্ষুদ্ধদের মোকাবিলায় তারা খোলা আকাশে গুলি ছোড়ে।প্রেসিডেন্টের বাসভবনে বিক্ষোভকারীদের হানার পর শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে ইচ্ছুক বলে দলীয় নেতাদের জানিয়েছেন। তিনি একটি সর্বদলীয় সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পথ তৈরি করতে আগ্রহী।

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে আজ শনিবার পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্‌যাপন করা হচ্ছে।করোনা মহামারি সামলে এ বছর বিভিন্ন দেশে অনেকটাই বিধিনিষেধের আওতামুক্ত হয়ে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করছেন মুসল্লিরা। খোলা আকাশের নিচে আদায় করা হচ্ছে ঈদের জামাত।ফিলিস্তিনে পবিত্র আল–আকসা মসজিদে পশ্চিম তীরের মুসল্লিরা আদায় করেন পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ। এতে অংশ নিতে দেখা গেছে হাজারো ফিলিস্তিনিকে।মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, কুয়েত, মিসর ও জর্ডানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোনা মহামারি শুরুর পর এবারই উন্মুক্ত স্থানে খুতবা ও জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়াতে আজ পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্‌যাপন করা হচ্ছে।

 

কোরবানির সময়ে ভারতের ত্রিপুরার কোথাও যাতে ‘বেআইনিভাবে’ গরু, বাছুর, উট বা অন্য কোনও প্রাণী হত্যা না করা হয়, তার জন্য জেলা প্রশাসন ও পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।ত্রিপুরার প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী ভগবান দাস বিবিসিকে জানিয়েছেন, তারা কোরবানি বন্ধ করার কোনও নির্দেশ দেননি, তবে নিয়ম মেনেই পশু জবাই করতে হবে। এছাড়াও, তিনি বলেন, “অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষের ভাবাবেগে আঘাত” যাতে না লাগে, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ১৯৮ জনে দাঁড়িয়েছে। সেই সঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ২৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৯৩৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

অসন্তুষ্টি থেকে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। হামলাকারী আগে থেকেই আবেকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। জাপানের পুলিশের বরাত দিয়ে দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এমন খবর প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। তবে ঠিক কী কারণে হামলাকারীর অসন্তুষ্টি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি পুলিশ। বিস্তারিত অডিওতে শুনুন-

……

১৯৯৫ সালে টোকিও পাতালরেলের কয়েকটি স্টেশনে উগ্রপন্থী ওম শিনরিকিওর চালানো সারিন গ্যাস হামলার ঘটনা মনে পড়ে। তবে দেশটির কোনো রাজনৈতিক নেতা বা বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দল সেই হামলার লক্ষ্য ছিল না; বরং কিছুটা বিকারগ্রস্ত সেই উগ্রপন্থীরা নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে নিজেদের ত্রাতা হিসেবে তুলে ধরার ভ্রান্ত চিন্তা থেকে এমন হামলা চালিয়েছিল। এর বাইরে তেমন কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড গত কয়েক দশকে জাপানে ঘটেনি।

আবে হত্যাকাণ্ডের পর কোনো কোনো বিশ্লেষক বলছেন, জাপানে গুলি করে ঘটনা শুধু বিরলই নয়, এটি সত্যিকার অর্থে সাংস্কৃতিকভাবে সাদৃশ্যপূর্ণও নয়।

অবশ্য এর আগে দুটি হামলার ঘটনা দেশজুড়ে আলোচনায় ছিল। প্রথমটি ঘটে ১৯৬০ সালের অক্টোবর মাসে টোকিওর কেন্দ্রস্থলের হিবিয়া এলাকার একটি নাগরিক মিলনায়তনে। ছুরি হাতে নিয়ে চরম দক্ষিণপন্থী এক তরুণ সেই সময়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল সমাজতন্ত্রী পার্টির নেতা ইনেজিরো আসানুমার ওপর মঞ্চে উঠে হামলা চালিয়ে তাঁকে খুন করেছিল। আসানুমাকে ছুরিকাঘাত করার সেই ছবি সারা বিশ্বে প্রচারিত হয়। হামলাকারীর চোখে আসানুমার অপরাধ ছিল, জাপান-মার্কিন সামরিক চুক্তির বিরোধিতা করা।

দ্বিতীয় ঘটনাটি এর ঠিক ৩০ বছর পর, ১৯৯০ সালে। সে সময় হামলাকারী ছিল একজন চরম দক্ষিণপন্থী জাতীয়তাবাদী। হামলায় নাগাসাকির সেই সময়ের মেয়র গুলিবিদ্ধ হন। হামলাকারীর দৃষ্টিতে মেয়রের অপরাধ ছিল, জাপানের সম্রাটের যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকা নিয়ে করা তাঁর মন্তব্য।

এর বাইরে জাপানে রাজনৈতিক সহিংসতা সেভাবে ঘটতে দেখা যায়নি।

……

রয়টার্স জানায়, আইনপ্রেণতা হিসেবে সর্বপ্রথম ২০০৬ সালে প্রথমবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী হন আবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানে সবচেয়ে কম বয়সী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি। সেবার মাত্র এক বছর ক্ষমতায় ছিলেন তিনি। ২০১২ সালে তিনি আবার ক্ষমতায় ফেরেন দ্বিতীয় মেয়াদে। ভঙুর অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আমলে করা শান্তিবাদী সংবিধান পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনপ্রিয়তা পান তিনি। একইসঙ্গে ঐতিহ্যবাহী মূল্যবোধ রক্ষার কথা বলেও মানুষের মন কাড়েন। ওই বছরের ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে আবের দল জয়ী হয়ার পর আবারও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। দুই বছরের মাথায় ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে তিনি ‘আবেনোমিক্স’ বা ‘আবেতত্ত্ব’ চালু করেন যাতে বলা হয় দেশটির অর্থনীতিকে আরও বেশি চাঙ্গা করবে। এরপর স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

কয়েক দশক ধরে সামরিক খাতে ব্যয় বাড়ানোর সাহসী পদক্ষেপ নেন আবে। ইন্দো–প্যাসিফিক অঞ্চলে সামরিক শক্তি জোরদারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এই অঞ্চলে চীনের প্রভাব মোকাবিলায় কৌশলগত সামরিক জোট কোয়াড গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন জাপানের এই প্রধানমন্ত্রী।

রয়টার্স জানায়, ১৯৫৪ সালের সেপে্‌টম্বরে টোকিওতে জন্ম নেওয়া আবের পরিবার আগে থেকেই জাপানের রাজনীতিতে বেশ প্রভাবশালী। তাঁর বাবা একসময় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। নানা নবোসুকে কিশি ১৯৫৭ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত ছিলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর পরিবারের আরও একজন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।বাবার মৃত্যুর পর আবে ১৯৯৩ সালে প্রথমবারের মতো এলডিপির টিকিটে এমপি নির্বাচিত হন। কয়েক দশক আগে পিয়ংইয়ংয়ের হাতে জাপানি নাগরিক অপহরণের ঘটনা নিয়ে প্রতিবেশী উত্তর কোরিয়ার বিষয়ে শক্ত অবস্থান তাকে দেশজুড়ে ব্যাপক পরিচিতি এনে দেয়।

……

অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব সিডনির স্কুল অব পাবলিক হেলথের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে জাপানে গুলিতে নয়জনের মৃত্যু হয়। আর সে বছর যুক্তরাষ্ট্রে গুলিতে নিহতের সংখ্যা ছিল ৩৯ হাজার ৭৪০।

ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কাউন্সিলের জাপানবিষয়ক পরিচালক ন্যান্সি স্নো বলেন, আবের এই গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনা জাপানকে অনেকটা পাল্টে দেবে।

স্নো সিএনএনকে বলেন, ‘জাপানে গুলি করে হত্যার ঘটনা শুধু বিরল নয়, এটি সত্যিকার অর্থে সাংস্কৃতিকভাবেও সাদৃশ্যপূর্ণ নয়। আমাদের দেশে অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকের যে সংস্কৃতি আছে, তা জাপানের সাধারণ মানুষ কল্পনাও করতে পারে না। এ সময়টায় বলার মতো কিছু নেই। আমি আসলে ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।’

…….

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ-জাপানের সম্পর্কে যে ব্যক্তিটির ছোঁয়ায় ভালোবাসার প্রগাঢ়তা বেড়েছে, তিনি হলেন শিনজো আবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই (সংকলিত)।

The post কেন শিনজো আবেকে হত্যা করা হয়? appeared first on Website.

]]>
কেবিনেটের ৪৬ এমপির পদত্যাগ, বড় বিপর্যয়ের মুখোমুখি জনসন https://syedshahsalimahmed.com/archives/2297 Thu, 07 Jul 2022 00:47:38 +0000 https://syedshahsalimahmed.com/?p=2297 প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিদায় ঘন্টা বলা যায় বেজেই গেছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেবিনেট থেকে ৪৬ এমপি পদত্যাগ করেছেন। রাতে বরিস জনসন প্রভাবশালী মন্ত্রী মাইকেল গোভকে কেবিনেট থেকে সাক করেছেন। সব মিলিয়ে বরিস জনসনের জন্য বুধবার দিন এবং রাত এক বড় বিপর্যয়ের রাত পার করছেন। রাজনৈতিক পন্ডিতেরা বলছেন, আরও পদত্যাগ আসছে, বরিসের পক্ষে টিকে থাকা […]

The post কেবিনেটের ৪৬ এমপির পদত্যাগ, বড় বিপর্যয়ের মুখোমুখি জনসন appeared first on Website.

]]>
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিদায় ঘন্টা বলা যায় বেজেই গেছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেবিনেট থেকে ৪৬ এমপি পদত্যাগ করেছেন। রাতে বরিস জনসন প্রভাবশালী মন্ত্রী মাইকেল গোভকে কেবিনেট থেকে সাক করেছেন। সব মিলিয়ে বরিস জনসনের জন্য বুধবার দিন এবং রাত এক বড় বিপর্যয়ের রাত পার করছেন। রাজনৈতিক পন্ডিতেরা বলছেন, আরও পদত্যাগ আসছে, বরিসের পক্ষে টিকে থাকা অসম্ভব। কিন্তু বরিস জনসন বলছেন, তিনি পানি থেকে ভেসে উঠবেন-লড়াই চালিয়ে যাবেন।

টালমাটাল এক অবস্থায়, রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের সবচাইতে দুঃসময়ে একা কীভাবেই বা তিনি কেবিনেটের এতো ক্যু মোকাবেলা করে টিকবেন-সেটাই এখন দেখার বিষয়।

কারণ আরও কেবিনেট মন্ত্রী পদত্যাগ করলে তাকে বিদায় নেয়া ছাড়া আর কোন গত্যন্তর নেই।

পাওয়ারফুল কমিটি ১৯২২ এক্সিকিউটিভ কমিটির ১৮ সদস্যকেও প্রভাবিত করার বা নতুন করে লেখার ক্ষমতা অর্জনের পথে বিদ্রোহী এমপি মন্ত্রীরা। যদি তাই হয় তাহলে ফের অনাস্থা ভোটের মুখোমুখীও হতে পারেন জনসন।

গুঞ্জন আর্লি ইলেকশনের কথাও বাতাসে উড়ছে।

আবার বিবিসি, আইটিভি, স্কাই সহ প্রভাবশালী মিডিয়ায় কনজারভেটিভ লিডারশিপ দৌড়ের কারও কারও নাম উল্লেখ করে রিপোর্টও প্রকাশিত হচ্ছে।

এমনি অবস্থা বরিস জনসন তার বাইওয়ান্ট ডিটারমিনেশন ম্যাজিক কতোটুকু টিকবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

The post কেবিনেটের ৪৬ এমপির পদত্যাগ, বড় বিপর্যয়ের মুখোমুখি জনসন appeared first on Website.

]]>
কেবিনেট মন্ত্রীরা অপেক্ষায়, জনসন শোড গো(ভিডিও) https://syedshahsalimahmed.com/archives/2291 Wed, 06 Jul 2022 17:05:31 +0000 https://syedshahsalimahmed.com/?p=2291 প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের নেতৃত্ব এখন কঠিণ চ্যালেঞ্জের মুখে। এর মধ্যে পদত্যাগ করেছেন ৩৫ জন টোরি এমপি। গতকাল আচমকা ক্রিচ পিঞ্চার ইস্যুতে পদত্যাগ করেন সাজিদ জাভিদ এবং রিশি সোনাক। ইতোমধ্যে কেবিনেট মন্ত্রীরা  নতুন চ্যান্সেলর নাদিম জাহাভি সহ একদল প্রবীন নেতৃত্ব চীফ হুইপকে ১০ নম্বর ডাউনিং ষ্ট্রীটে পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলার জন্য। স্কাই নিউজ মনে করছে, […]

The post কেবিনেট মন্ত্রীরা অপেক্ষায়, জনসন শোড গো(ভিডিও) appeared first on Website.

]]>
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের নেতৃত্ব এখন কঠিণ চ্যালেঞ্জের মুখে। এর মধ্যে পদত্যাগ করেছেন ৩৫ জন টোরি এমপি। গতকাল আচমকা ক্রিচ পিঞ্চার ইস্যুতে পদত্যাগ করেন সাজিদ জাভিদ এবং রিশি সোনাক।

ইতোমধ্যে কেবিনেট মন্ত্রীরা  নতুন চ্যান্সেলর নাদিম জাহাভি সহ একদল প্রবীন নেতৃত্ব চীফ হুইপকে ১০ নম্বর ডাউনিং ষ্ট্রীটে পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলার জন্য। স্কাই নিউজ মনে করছে, কেবিনেট মন্ত্রীরা অপেক্ষায় প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগের জন্য।

এদিকে সংসদীয় নির্বাচন কমিটির চেয়ারদের দ্বারা গঠিত  শক্তিশালী লিয়াজো কমিটির শুনানিতে বক্তৃতা দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রীকে এসএনপি এমপি অ্যাঙ্গাস ম্যাকনিল বলেন  গেইম ওভার বা “খেলা শেষ”। জবাবে ম্যাকনিলকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আগামীকালও তিনি অবশ্যই থাকবেন।

এদিকে দলের ভিতরে এমপিদের দ্বারা প্রচন্ড চাপের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, তিনি আগামীকালও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আছেন।

ওয়েস্টমিনিস্টারের রাজনীতি এখন বলা যায় টাল মাটাল অবস্থানে। নাটকীয় যেকোন সংবাদ যেকোন সময় চলে আসতে পারে। জনসনের নেতৃত্ব টলটলায়মান, যদিও তিনি প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিদ্রোহ ও চাপ সামাল দিতে।

The post কেবিনেট মন্ত্রীরা অপেক্ষায়, জনসন শোড গো(ভিডিও) appeared first on Website.

]]>
কেন এতো লোডশেডিং, সমাধান কী? https://syedshahsalimahmed.com/archives/2288 Tue, 05 Jul 2022 16:39:52 +0000 https://syedshahsalimahmed.com/?p=2288 ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছে রাজশাহী বিভাগ, লোডশেডিংয়ের কবলে পাবনা শহরসহ গোটা জেলা। রাত ও দিনে আধা ঘণ্টা, এক ঘণ্টা পরপরই বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার মধ্যে রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। জাতীয় গ্রিড থেকে চাহিদামত বিদ্যুৎ না পাওয়ায় গত তিন দিন ধরে রাজশাহীর প্রত্যেক এলাকায় গড়ে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা লোডশেডিং করতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত […]

The post কেন এতো লোডশেডিং, সমাধান কী? appeared first on Website.

]]>
ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছে রাজশাহী বিভাগ, লোডশেডিংয়ের কবলে পাবনা শহরসহ গোটা জেলা। রাত ও দিনে আধা ঘণ্টা, এক ঘণ্টা পরপরই বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার মধ্যে রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। জাতীয় গ্রিড থেকে চাহিদামত বিদ্যুৎ না পাওয়ায় গত তিন দিন ধরে রাজশাহীর প্রত্যেক এলাকায় গড়ে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা লোডশেডিং করতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ময়মনসিংহ অঞ্চলের জেলাগুলোতেও ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। সিলেট এবং নোয়াখালী অঞ্চলে গ্রাহকরা তিন চার ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না।রাজধানী ঢাকাতেও বিভিন্ন এলাকায় দু’দিন ধরে দিনে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে।কর্মকর্তারা দাবি করেন, দেশে বিদ্যুতের চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদনের সক্ষমতা তৈরি হওয়ায় চার বছর ধরে কোন লোডশেডিং হয়নি।কিন্তু দু’দিন ধরে দিনে সাড়ে ১৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতে চাহিদার বিপরীতে সরবরাহে ১২০০ মেগাওয়াটের বেশি ঘাটতি হচ্ছে।গ্যাসের অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে দেয়া হয়েছে।

রাজশাহী বিভাগে আগে পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিদ্যুৎ বিতরণের কাজটি করত। ২০১৬ সালে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের কার্যক্রম গুটিয়ে নেয়। এরপর থেকে উত্তরের ১৬ জেলার গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে সরকারি মালিকানাধীন বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি নর্দান ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)। পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে পল্লি বিদ্যুৎ সমিতিও বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।

এই দুই সংস্থার গ্রাহকদেরই ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়তে হচ্ছে। দিনে রাতে সব সময় একটু পর পর বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। কখনও ৩০ মিনিট পর কখনও এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ আসছে। আবার ঘণ্টাখানেক পরই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। এতে এই গরমে মানুষ দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন। কাজে-কামে স্থবিরতা নেমে এসেছে। শিল্প-কারাখানায় উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। ‘রাজশাহীতে বিদ্যুৎ যায় না, মাঝে মাঝে আসে’- এ ধরনের কথা লিখে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন তিন দিন ধরে।

রাজশাহী শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু বলেন, ‘সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পরে এ ধরনের লোডশেডিংয়ের মুখে পড়তে হবে তা কল্পনা করিনি। ব্যবসা-বাণিজ্য ভীষণ রকমের ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শিল্প-কারাখানায় উৎপাদন বিপর্যয় ঘটছে। বিদ্যুৎ ছাড়া আসলে কিছুই করা যাচ্ছে না। দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে এমনটাই আশা করি।’

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ‘বিদ্যুৎ চলে গেলে রোগীদের খুব অসুবিধা হচ্ছে। ঘন ঘন বিদ্যুৎ যাচ্ছে। তবে ১০, ১৫ কিংবা ৩০ মিনিট পর আবার আসছে। আমরা অনুরোধ করেছি, হাসপাতালটাকে যেন বিশেষ বিবেচনা করা হয়। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন এই মূহুর্তে আসলে কিছু করার নেই। এটা জাতীয় সমস্যা।’

বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে গ্যাসের দাম কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক খোলাবাজার বা স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনা হচ্ছে না।সেজন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন কমানো হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

“গ্যাসের দাম প্রচুর বেড়ে গেছে। সরকার যে পরিমাণ ভর্তুকি দিচ্ছে, সেটা দিয়েও কাভার করা যাচ্ছে না” বলেন নসরুল হামিদ।তিনি জ্বালানির বিশ্ববাজার পরিস্থিতি নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, “গ্যাসের দাম এখন আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেটে প্রতি ঘনফুট ৩৬ ডলার হয়েছে।

গুগল নিউজ ফিডে দ্য লন্ডন টাইমস অনুসরন, শেয়ারে ক্লিক করুন এখানে 

এদিকে পাবনাতে  সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়ছে মাকের্ট-শপিংমলগুলোতে। শপিংমলগুলো দিনের বেশিরভাগ সময়ই অন্ধকার থাকছে, ফলে তীব্র গরমে ক্রেতারা দোকানে ভিড়ছেন না। এভাবে লোডশেডিং অব্যাহত থাকলে ঈদ বাজারে বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

পাবনার নেসকো লিমিটেড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত দুইদিন ধরে গোটা জেলাতেই এমন লোডশেডিং হচ্ছে। কর্মকর্তারা বলছেন- এটা প্রায় সারা বাংলাদেশেই হচ্ছে। মূলত জাতীয় গ্রিড থেকে চাহিদার তুলনায় অনেক কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে, ফলে ঘন ঘন লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। তবে অবস্থা স্বাভাবিক হতে কত সময় লাগবে তা জানাতে পারেননি কেউ। আজ-কালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করা না গেলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে, পাবনা জেলায় ভ্যাবসা গরম পড়ছে। প্রচণ্ড গরমে মানুষ প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের হচ্ছেন না। এরপর আবার এমন লোডশেডিং। গরম আর লোডশেডিংয়ে সাধারণ মানুষের জীবনও দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। তবে লোডশেডিংয়ের বড় প্রভাব পড়েছে মাকের্ট-শপিংমলগুলোতে।

টিএলটি-দ্য লন্ডন টাইমস পডকাষ্ট এবং লন্ডন রেডিও এখন অ্যাপল, গুগল। আরএসএস, স্পটিফাই, অ্যাংকর, রেডিও রিপাবলিক, ওভারকাস্ট, পকেস্টকাস্ট সহ সকল মেজর পডকাষ্ট প্ল্যাটফর্মে শুনা যায়। অ্যামাজন মিউজিকেও টিএলটি-দ্য লন্ডন টাইমস পডকাষ্ট এভেইলেবল।    

গত কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘন ঘন লোডশেডিং বা বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। গ্যাস স্বল্পতার কারণেই এমনটি ঘটছে বলে জানালেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। রোববার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এ তথ্য জানান তিনি।

নসরুল হামিদ তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, গ্যাস স্বল্পতার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে অনেক জায়গাতেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন পুনরায় স্বাভাবিক হবে।

তিনি আরও লেখেন, যুদ্ধের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির উচ্চমূল্য ও সরবরাহ অন্যান্য সব দেশের মতো আমাদেরকেও সমস্যায় ফেলেছে। এ পরিস্থিতিতে সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত নিয়ে কাজ করেন সাংবাদিক অরুণ কর্মকার।তিনি মনে করেন, দেশের অভ্যন্তরীণ গ্যাস অনুসন্ধান এবং উৎপাদনে ব্যর্থতার কারণে তা আমদানি নির্ভর হয়ে পড়ায় এমন পরিস্থিতি হয়েছে।কর্মকার বলেন, যুদ্ধ পরিস্থিতি বা যে কোন কারণে যে কোন সময় জ্বালানির বিশ্ববাজার অস্থির হতে পারে।”যেহেতু তেল আমাদের নেই। ফলে তা আমদানি করতে হবে। কিন্তু আমাদের গ্যাস ও কয়লা সম্পদের অনুসন্ধান, উত্তোলন বাড়াতে সরকারের উদ্যোগের ঘাটতি ছিল।”সেকারণে আমরা গ্যাসের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি এবং এখন এই সমস্যা তৈরি হয়েছে” বলেন অরুণ কর্মকার।

অভ্যন্তরীণ গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর ক্ষেত্রে ব্যর্থতার অভিযোগ মানতে রাজি নন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।তিনি দাবি করেন, গত চার বছরে এক হাজার ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বেড়েছে।তবে এখন বিশ্ববাজারে দাম চড়া হওয়ায় গ্যাস কেনা বন্ধ করায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে লোডশেডিং করতে হচ্ছে, এই অবস্থার সহসাই উন্নতি সম্ভব কিনা-এমন প্রশ্নে  হামিদ কোন নিশ্চয়তা দিতে পারেননি(সংকলিত)।

The post কেন এতো লোডশেডিং, সমাধান কী? appeared first on Website.

]]>