Brexit Archives - Website https://syedshahsalimahmed.com Sun, 14 Aug 2016 23:50:08 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.4.4 ২০১৯ সাল পর্যন্ত ব্রেক্সিট বিলম্ব হতে পারে- সানডে টাইমস https://syedshahsalimahmed.com/archives/1612 Sun, 14 Aug 2016 22:09:10 +0000 http://syedshahsalimahmed.com/?p=1612 সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ-    সরকারী উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং মন্ত্রী সানডে টাইমসের প্রতিবেদকের কাছে স্বীকার করেছেন আগামী ২০১৯ সালের শেষের আগে ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেনা । তার মানেই হলো ব্রেক্সিট হতে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে আরো এক বছর অধিক সময় লাগবে। যদিও থেরেসা মে বলেছেন, আগামী বছর  জানুয়ারিতে আর্টিকল ৫০- এ তিনি ট্রিগার […]

The post ২০১৯ সাল পর্যন্ত ব্রেক্সিট বিলম্ব হতে পারে- সানডে টাইমস appeared first on Website.

]]>
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ- 

 

সরকারী উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং মন্ত্রী সানডে টাইমসের প্রতিবেদকের কাছে স্বীকার করেছেন আগামী ২০১৯ সালের শেষের আগে ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেনা । তার মানেই হলো ব্রেক্সিট হতে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে আরো এক বছর অধিক সময় লাগবে।

theresa

যদিও থেরেসা মে বলেছেন, আগামী বছর  জানুয়ারিতে আর্টিকল ৫০- এ তিনি ট্রিগার করবেন- যাতে পুরো দুই বছর সময় লেগে যায় নেগোসিয়েশন করার জন্যে। থেরেসা মে`র  উপর প্রেসার সত্যেও তার ব্রেক্সিট এবং ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ডিপার্টম্যান্টের কারনেই এই বিলম্ব হতে পারে বলে সানডে টাইমস অবগত হয়েছে।

 

সামনে রয়েছে জার্মান ও ফ্রান্সের নির্বাচন। নির্বাচন হেতু উভয় দেশের সাথে টার্মস এন্ড কন্ডিশন নিয়ে নেগোসিয়েশন পিছিয়ে যেতে পারে- যে কারণে ব্রেক্সিট পিছিয়ে যেতে পারে।

 

দুইজন সিনিয়র মিনিস্টার সম্প্রতি সংবাদ পত্রের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনার সময়েও এই পিছিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। তাতে তারা বলেছেন খুব সম্ভবতঃ আগামী অটামের (২০১৭) আগে সম্ভব হবেনা। তারা স্বীকার করেছেন, ব্রেক্সিটের জন্য সঠিক স্থান ও মানুষ জানা নেই যাকে প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা করা যাবে। এমনকি হায়ার করার জন্য  ইনফ্রাস্টাকচারও এখনো তাদের অবগত নয়।

 

ডাউনিং ষ্ট্রীটের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী ক্লিয়ারলি ম্যাসেজ দিয়েছেন তিনি এবং তার টিমের অগ্রাধিকার ব্রেক্সিট প্রসেস ডেলিভার করা। সেজন্যে আর্টিকল ৫০ ট্রিগার করার জন্যে  তিনি নতুন ব্রেক্সিট  ডিপার্টম্যান্ট তৈরি করে ডেভিড ডেভিস কে দায়িত্ব দিয়েছেন।

brexit

অবশ্য ওয়েলিংবারার কনজারভেটিভ এমপি পিটার বন এমন রিপোর্টের প্রেক্ষিতে বলেছেন, তার মনে হয়না, থেরেসা মে ব্রেক্সিট ইস্যুতে দেরী করবেন। কেননা তিনিইতো  ব্রেক্সিট প্রসেস ডেলিভারির দায়িত্ব নিয়েই এসেছেন এবং সেজন্যে দায়িত্ব বন্টন সহ আর্টিকল ৫০ ট্রিগারে সময়ও নির্ধারন করে দিয়েছেন। আমাদের উচিৎ হবেনা, ব্রিটিশ জনগনের মতামত ব্রেক্সিটের পক্ষে এসেছে, তাকে বিলম্ব করা।

 

অবশ্য তিনি স্বীকার করেছেন, এমন অসংখ্য মানুষ, অসংখ্য আমলা, আমলাতন্ত্র এবং এস্টাবলিশম্যান্ট আছেন,  যারা ব্রেক্সিট চান না, তারা কিছুতেই চাইবেননা ব্রেক্সিট হয়ে যাক।

sadiq-khan-

লন্ডনের বর্তমান মেয়র সাদিক খান অবশ্য চাচ্ছেন ব্রেক্সিট দেরি করতে। প্রসঙ্গ উত্থাপন করতে বিশ্বস্থ সোর্স  সাদিক খানের রেফারেন্স টেনে বলেছেন, সামনে জার্মান ইলেকশন, মেয়রও বলেছেন, আপনি জানেননা কার সাথে নেগোসিয়েশন করবেন- এমন অবস্থায় বিলম্ব করাটাই শ্রেয়।

sundaytimes Masthead

সানডে টাইমস অবলম্বনে-

১৪ আগস্ট ২০১৬

লন্ডন ।

 

 

 

 

The post ২০১৯ সাল পর্যন্ত ব্রেক্সিট বিলম্ব হতে পারে- সানডে টাইমস appeared first on Website.

]]>
ব্রেক্সিট এন্ড বিয়ন্ড এবং মিথ… https://syedshahsalimahmed.com/archives/1520 Sat, 30 Jul 2016 00:36:05 +0000 http://syedshahsalimahmed.com/?p=1520 সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ-   আগামী ২০২০ সালে ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে গণভোটের ফলাফলের প্রেক্ষিতে গণতন্ত্রের বিজয় ডঙ্কায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠদলের নেতা হয়েও ডেভিড ক্যামেরন পদত্যাগ করে গণতান্ত্রিক মতামতের প্রতি চরম শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে পদত্যাগ করেছেন। বলা যায় গণতন্ত্রের এক সুন্দর বলিদান ডেভিড ক্যামেরন। গণভোট চলাকালিন সময় থেকে গণভোট পরবর্তী অবস্থায় এখন […]

The post ব্রেক্সিট এন্ড বিয়ন্ড এবং মিথ… appeared first on Website.

]]>

সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ-

 

আগামী ২০২০ সালে ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে গণভোটের ফলাফলের প্রেক্ষিতে গণতন্ত্রের বিজয় ডঙ্কায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠদলের নেতা হয়েও ডেভিড ক্যামেরন পদত্যাগ করে গণতান্ত্রিক মতামতের প্রতি চরম শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে পদত্যাগ করেছেন। বলা যায় গণতন্ত্রের এক সুন্দর বলিদান ডেভিড ক্যামেরন। গণভোট চলাকালিন সময় থেকে গণভোট পরবর্তী অবস্থায় এখন পর্যন্ত ব্রিটিশ রাজনীতির হট টপিক্স হলো ব্রেক্সিট। আর ব্রেক্সিট এবং সম্ভাব্য পরিণতি নিয়ে প্রতিদিনই সিনারিও পরিবর্তন হচ্ছে। মতামত পক্ষে বিপক্ষে দুইভাগে বিভক্ত হয়ে প্রকাশিত হচ্ছে। এরই মধ্যে টেরেজা মে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে ইউরোপ ও বার্লিন সফরে গিয়ে ক্লিয়ারলি বলেছেন ব্রেক্সিট মিনস ব্রেক্সিট.. তারপরেও ব্রেক্সিট নিয়ে শঙ্কা, উৎকণ্ঠা, উদ্বেগ কিছুতেই কাটছেনা। এরই মধ্যে ব্রেক্সিট বিরোধী জনমতও প্রবল হয়ে উঠছে ধীরে ধীরে এবং অতি যত্নের সাথে ব্রেক্সিট বিরোধী লবি শক্তিশালী মাত্রায় প্রকাশিত হতে শুরু করেছে। যার ফলে বিজনেস ইনসাইডারে  জিম এডওয়ার্ড আশঙ্কা প্রকাশ করে লিখেছেন,  টেরেজা মে আলোচনার দরজা বিলম্বের মাধ্যমে হয়তো ব্রেক্সিট ডিল নাও করতে পারেন। কিন্তু কেন এই শঙ্কা, কেন এই এনালাইসিস। যেখানে খোদ থেরেসা মে নিজেই বলেছেন, ব্রেক্সিট মিনস ব্রেক্সিট।তারপরেও প্রশ্ন থেকে যায়- আদৌ কি ব্রেক্সিট হবে, ব্রেক্সিটের পর কী হতে পারে ?

 

may-merkel-getty.jpg

 

এমন প্রশ্ন শুধু একজন এডওয়ার্ডের  নয়, এই প্রশ্ন অসংখ্য ব্রিটিশদের। অর্থনীতির বিশ্লেষকদের, তরুন-তরুনীদের, শিক্ষকদের, ব্যবসায়ীদের অর্থাৎ সকলেই এখনো উদ্বিগ্ন। ইতোমধ্যে ভদাফোন, এইচএসবিসি ব্রিটেন( ব্রেক্সিটের পরে) থেকে চলে গিয়ে নতুন  বাজার খুঁজছে এমন সংবাদও বেরিয়েছে। অর্থনীতির মন্দার সংবাদের আশঙ্কাও কেউ কেউ করেছেন। রাজনীতির বিশ্লেষকেরা বলছেন, যেহেতু সামনে ২০২০ সালের নির্বাচনের ইস্যু, এমন অবস্থায় কনজারভেটিভ হউক আর লেবার দল হউক- কেউই ব্রেক্সিট করে নির্বাচনী ভরা ডুবির ঝুকি নিবেনা । যুক্তি অকাট্য। কিন্তু গণভোটের ফলাফলের রায় ? সেটাও বড় প্রশ্ন। এক মিলিয়নের মতো ব্রিটিশ ইউরোপীয় ইউনিয়নে দামী চাকুরীতে নিয়োজিত- ২০২০ সালের ভোটে ব্রেক্সিটের পক্ষের দলকে কোন অবস্থাতেই তারা ভোট দিতে চাইবেননা- সঙ্গত কারণেই বোধগম্য। এমন ঝুকি এখন কোন দল নিবে ? ব্রেক্সিটের টার্মস এন্ড কন্ডিশন নির্ধারন করতে বিশেষ করে ব্রেক্সিট পরবর্তী টার্মস বির্ধারনের জন্য ২৮টি দেশের সাথে ব্রিটেনকে এক এক করে বসতে হবে, নেগোসিয়েশন করতে হবে। সেজন্যে সময় প্রয়োজন। টেরেজা মে ও অ্যাম্বার রূড ও সেটাই বলেছেন। আবার আর্টিকল ৫০ এ ট্রিগারের জন্যে ব্রিটেনের সব দিক নেগোসিয়েশন সম্পূর্ণ না করে ট্রিগার করবেনা- সেটাও ব্রিটেন বলেছে। আর সেজন্যেও দুই বছর সময় দরকার।সেই অবস্থায় ২০২০ সামনে চলে আসবে। বলা হচ্ছে ২০১৮ সালের মধ্যে ব্রেক্সিট হয়ে যাবে; কিন্তু সেটা কতোটুকু যুক্তিসঙ্গত ও লেজিটিমিট- সেটাই মোটা দাগের প্রশ্ন।

 

heath_brexit

আবার কনজারভেটিভ পার্টির ভিতরেও  ফুঁসছে ব্রেক্সিট বিরোধী লবি। অন্যদিকে গনোভোট এর ফলাফল মানতে  পার্লামেন্টের  বাধ্যবাধকতা নেই। এটা শুধু উপদেশমূলক। যদিও কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ারম্যান বলেছেন, তিনি মনে করেন এটা পার্লামেন্টের জন্য বাধ্যবাধকতা মূলক, যদিও তিনি মনে করেন আইনী বাধ্যবাধকতা নেই।  

 

যে কারণে ব্রেক্সিট না হওয়ার শঙ্কা

০১) কনজারভেটিভ পার্টি সংখ্যাগরিষ্ট সরকার হলেও ব্রেক্সিটের জন্যে তারা মূলতঃ মাত্র ১২%  অর্থাৎ খুবই ছোট আকারের সংখ্যাগরিষ্ট

০২)  প্রাইম মিনিস্টার টেরেজা মে- মূলতঃ প্রো-রিমেইন ক্যাম্পেইন গ্রুপের, যদিও তিনি বলেছেন ব্রেক্সিট মিনস ব্রেক্সিট

০৩) পার্লামেন্টের অধিকাংশ এমপি প্রায় ৭০% সদস্য প্রো-রিমেইনের, যাদের মধ্যে ৫০% এমপি কনজারভেটিভ দলের, ( সূত্রঃ মর্গ্যান ষ্ঠ্যানলি)

০৪)  সরকার যদি তার পরিকল্পনা মোতাবেক ব্রেক্সিট করে  ২০১৮ সালে, তাহলে এর ঠিক পর পরই ২০২০ সালে সাধারণ নির্বাচন

০৫) এক মিলিয়ন ভোটার ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশ সমূহে  কাজ করেন গুরুত্বপূর্ণ পদে। এমতাবস্থায় ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধে তাদের নাগরিক স্ট্যাটাস হুমকী হেতু তারা ব্রেক্সিট বিরোধী স্বাভাবিকভাবেই ধরে নেয়া হচ্ছে।

০৬)  ব্রেক্সিট এর ফলে সিঙ্গেল মার্কেটে কম অ্যাকসেস হেতু অর্থনৈতিক মন্দা- যা দ্বিতীয় অর্ধ-বার্ষিকীতেই এর আভাস শুরু হয়েছে

০৭) অর্থনৈতিক মন্দার ঝুকি, নির্বাচনে বিরূপ প্রভাবের ঝুকি, এক মিলিয়ন ভোটারের হুমকী- এতো সব হুমকী ও ঝুকি সামনে নিয়ে কেউ কী ঝুকিকে নিজের কাঁধে নিবে- যেখানে ক্যামেরনের দৃষ্ঠান্ত সামনে রয়েছে ?

 

ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনি যা বলছে

০১) ইউরোপীয় ইউনিয়ন ব্রিটেনের সিঙ্গেল মার্কেট এবং স্পেশাল অফার ডিলের ব্যাপারে কোন আলোচনা করবেনা, যতোক্ষন ব্রিটেন আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রেক্সিট করছে, আর্টিকল ৫০ এ ট্রিগার করছে। একই সাথে সিঙ্গেল মার্কেট ডিল নির্ভর করছে ইউনিয়নের মূল থিম ফ্রি মুভম্যান্টের উপর- সেটা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে। ইতোমধ্যেই ন্যাশনালিষ্ট মুভম্যান্ট এবং এন্টি ইইউ সেন্টিম্যান্টও বৃদ্ধি পাচ্ছে সর্বত্র।

 

pa-25381788.jpg

 

০২) ইউরোপীয় ইউনিয়ন ব্রিটেনের ব্যাংকের ইইউ সিঙ্গেল মার্কেট ঢোকার অ্যাক্সেস তুলে নিবে- যা অর্থনীতির জন্য অশনী সংকেত

 

০৩) আর্টিকল ৫০  বিপরীত (উল্টো) করার ব্যবস্থা- অনেকেরই এখনো  অজানা, যেহেতু এই আইন করার পরে এখনো সেটা ব্যবহারের অভিজ্ঞতা নেই। ইউকে চাইলে আর্টিকল ৫০ ট্রিগার করেও আবার সেi আর্টিকল ৫০ ট্রিগার তুলে নিতে পারে- ব্রেক্সিট হওয়ার ঠিক আগ মুহুর্তে- যদি ব্রিটেন সেটা চায়। সেক্ষেত্রে কোন আইনী বাধা নেই বা কোন অপশন নেই যে, সেটা করা যাবেনা। সুতরাং এমন অপশন এখনো ব্রিটেনের হাতে তুরুপের তাশ হয়ে আছে ।  

 

যা আশঙ্কা করা হচ্ছে, ব্রেক্সিট হলে-

০১) ব্রেক্সিট হয়ে গেলে ব্রিটিশদের ফরেন ট্রিপ বা হলিডে যেহেতু কম হারে পাউন্ড ব্যব হ্নত হবে,  তার মানেই হলো হলিডে অধিক এক্সপেনসিভ হয়ে যাবে।

০২) ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাসের ক্ষেত্রে ইমিডিয়েট কোন পরিবর্তন সাধিত হবেনা

০৩) হাই ইনফ্লেমেশন- যেহেতু পাউন্ড ব্যবহার কম হবে, আমদানী মূল্য তখন বৃদ্ধি পাবে। দীর্ঘদিন ধরে মূল্য একই জায়গায় স্থবির থাকবে- প্রেডিক্ট করা হচ্ছে ২% বৃদ্ধি পেতে পারে মাত্র। ফুড এবং কাপড়ের ক্ষেত্রেঈ সেটা বেশী মাত্রায় প্রভাব বিস্তার করবে।

০৪) ইন্টারেস্ট রেইট বৃদ্ধি পাবে- যদিও ব্যাংক অব ইংল্যান্ড লিগ্যালি বাধ্যবাধকতা আছে ২% পর্যন্ত ধরে রাখার কিন্তু পাউন্ড মূল্য নীচের দিকে নেমে গেলে দাম বৃদ্ধির দিকে গেলে ব্যাংক ইন্টারেস্ট রেইট বৃদ্ধি করবে।ব্যবসা ও মর্গেজ পেমেন্টের ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে

০৫) ব্রেক্সিটের নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট হিসেবে রিসেশনের কথা অর্থনীতিবিদেরা আশঙ্কা করছেন। এমনকি ব্রেক্সিট আলোচনার সময়েই কোম্পানী ও বিনিয়োগকারীরা ইনভেস্টম্যান্ট ও মানি স্থানান্তরিত করছেন বা ভাবছেন।

 

 

মর্গান ষ্ট্যানলির অর্থনীতিবিদ জ্যাকোব নীল এবং মেলানি বেকার সম্প্রতি ব্রেক্সিট এবং আফটার ম্যাথ নিয়ে তাদের মতামত সম্বলিত রিপোর্ট পাবলিশ করেছেন । তাদের ফোরকাষ্টের বিজনেস ইনসাইডারে এডওয়ার্ড আরো কিছু বক্তব্য সংযোজন করেছেন। সব কিছু মিলিয়ে দেখা যায় এখনো ব্রেক্সিট নিয়ে রয়ে গেছে নানা দিক, নানা সংশয় এবং আরো ব্যাপক আলোচনা ও বিশ্লেষনের দাবী রাখে। যদিও তাদের অনেক মতের সাথে আমি কিংবা অনেকেই একমত নন বা হওয়াটাও সম্ভব নয়।

 

মোটা দাগের যে প্রশ্ন সেটা হলো,  গণতন্ত্রের সূতিকাগার হিসেবে  খ্যাত ব্রিটেনের জনগনের মতামতের ভিত্তিতে  ব্রেক্সিটের  যে ফলাফল এসেছে, সেই প্রেক্ষিতে ব্রিটেন কী এমন জনমতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাবে ? সহজেই চোখ বুঝে বলা যায় ব্রিটেনে এমন হবেনা। কিন্তু যেহেতু ব্রিটেনবাসী মাত্র অল্প সংখ্যক মার্জিনে ( 48-52%) দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে আছেন এবং গণভোটের ফলাফল ও ব্রেক্সিটের আর্টিকল ৫০ ট্রিগার এ পার্লামেন্টের অনুমোদন দরকার- গণতান্ত্রিক রীতি নীতির সুন্দরের এই চর্চায়- শেষ পর্যন্ত নাটকীয় কোন কিছু ঘটে যাওয়াও ব্যতিক্রম নয়।ব্রেক্সিট যাই বলা হউক না কেন- আমাদেরকে তার রেশ দেখতে আরো কয়েক বছর যে অপেক্ষা করতে হবে সেটা বলাই বাহুল্য।

েোতগস

 

 

 

 

 

salim932@googlemail.com

30th July 2016, London

 

The post ব্রেক্সিট এন্ড বিয়ন্ড এবং মিথ… appeared first on Website.

]]>
আর্টিকল ৫০ উইল বি ট্রিগার বিফর নেক্সট ইলেকশনঃ কনজারভেটিভ চেয়ারম্যান( ভিডিও ) https://syedshahsalimahmed.com/archives/1466 https://syedshahsalimahmed.com/archives/1466#respond Sun, 24 Jul 2016 21:23:09 +0000 http://syedshahsalimahmed.com/?p=1466 সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদঃ                     কনজারভেটিভ পার্টি চেয়ারম্যান প্যাট্রিক ম্যাক লাফলিন  দৃঢ়তার সাথে বলেছেন, লিসবন চুক্তির  আর্টিকল ৫০ প্রয়োগ করা হবে আগামী সাধারণ নির্বাচনের পূর্বে। তিনি আজ বিবিসির অ্যান্ড্রো মার শোতে সাক্ষাতকার দেয়ার সময় জোর দিয়ে এই কথা বলেন। টোরি চেয়ারম্যানের এমন জবাবের প্রেক্ষিতে অ্যান্ড্রো মার […]

The post আর্টিকল ৫০ উইল বি ট্রিগার বিফর নেক্সট ইলেকশনঃ কনজারভেটিভ চেয়ারম্যান( ভিডিও ) appeared first on Website.

]]>
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদঃ

Mcloughlin

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কনজারভেটিভ পার্টি চেয়ারম্যান প্যাট্রিক ম্যাক লাফলিন  দৃঢ়তার সাথে বলেছেন, লিসবন চুক্তির  আর্টিকল ৫০ প্রয়োগ করা হবে আগামী সাধারণ নির্বাচনের পূর্বে। তিনি আজ বিবিসির অ্যান্ড্রো মার শোতে সাক্ষাতকার দেয়ার সময় জোর দিয়ে এই কথা বলেন। টোরি চেয়ারম্যানের এমন জবাবের প্রেক্ষিতে অ্যান্ড্রো মার আবারো জোর দিয়ে বলেন, ডেফিনিটলি, তখন ম্যাক লাফলিন বলেন অবশ্যই সাধারণ নির্বাচনের আগে ট্রিগার করা হবে।

 

 

ম্যাক লাফলিন  আরো বলেন, প্রাইম মিনিস্টার টেরেজা মে বলেছেন, ব্রেক্সিট মিনস ব্রেক্সিট। সুতরাং ব্রেক্সিট হবেই।তবে তিনি আর্লি সাধারণ নির্বাচনের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে বলেন, ব্রিটেন প্রতিদিন  নির্বাচনের সুযোগ নেই।নির্ধারিত সময়ে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

 

 

সেই সাথে টোরি চেয়ারম্যান আরো বলেন,  প্রাইম মিনিস্টার বর্তমানে নেগোসিয়েশন শুরু  করে দিয়েছেন। গণভোটের রেজাল্ট ব্রেক্সিটের পক্ষে। সুতরাং আমি এটা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, যদিও গণভোটের রেজাল্ট বাধ্যবাধকতা নয়, তথাপি গনভোটের রেজাল্ট মানতে  পার্লামেন্টের জন্য বাধ্যবাধকতা রয়েছে। টেকনিক্যালি এটা নয়, কিন্তু আমি বলছি এটা বাধ্যবাধকতা মূলক।

 

 

তিনি আরো বলেন, ট্যুরিজম হলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইন্ডাস্ট্রি। গনোভোটে  ব্রেক্সিটের পক্ষে- এর মানেই নয় যে ইমিগ্রেশনের কারণে জনগন রায় দিয়েছে। এর অনেকগুলো কারণ রয়েছে। ব্রেক্সিটের অজুহাতে আমাদের বর্ডার কন্ট্রোলের মাধ্যমে ট্যুরিজম ক্ষতিগ্রস্থ করা যাবেনা।

 

 

এর আগে হাইকোর্টে  সিনিয়র আইনজীবী জেসন  কোপেল কিউসি জানিয়েছিলেন,  সরকার এ বছর লিসবন চুক্তির আর্টিকল ৫০ এ ট্রিগার করার ইচ্ছা নাই। কিন্তু   আরেকজন সিনিয়র আইনজীবী  ব্যারিস্টার চার্লস ষ্ট্রীটেন  মতামত দিয়েছিলেন, সরকার সম্ভবতঃ এর আগেই আর্টিকল ৫০ ইনভক করবে।

 

 

২৪ জুলাই ২০১৬-লন্ডন ।

The post আর্টিকল ৫০ উইল বি ট্রিগার বিফর নেক্সট ইলেকশনঃ কনজারভেটিভ চেয়ারম্যান( ভিডিও ) appeared first on Website.

]]>
https://syedshahsalimahmed.com/archives/1466/feed 0
থেরেসা মে ও ফ্র্যান্সিস হল্যান্ডের মধ্যে বৈঠকঃ ব্রেক্সিট নিয়ে তাড়াহুড়ো নেই https://syedshahsalimahmed.com/archives/1454 https://syedshahsalimahmed.com/archives/1454#respond Thu, 21 Jul 2016 23:23:35 +0000 http://syedshahsalimahmed.com/?p=1454 সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদঃ লন্ডন থেকে-   ব্রিটিশ প্রাইম মিনিস্টার টেরেজা মে তার বার্লিন সফর শেষে ঝটিকা সফরে ফ্রান্স গেলেন। সেখানে তিনি ফ্র্যান্সের কাউন্টার পার্ট ফ্র্যান্সিস হল্যান্ডের সাথে বৈঠকে মিলিত হন। জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের সাথে বই  উপহার কূটনীতি দিয়ে দ্যুতিয়ালি ও বন্ধুত্বের বার্তা দিয়ে টেরেজা মে এবার ফ্র্যান্সিস হল্যান্ডকে ক্লিয়ার ম্যাসেজ দিলেন। সফরের পূর্বে […]

The post থেরেসা মে ও ফ্র্যান্সিস হল্যান্ডের মধ্যে বৈঠকঃ ব্রেক্সিট নিয়ে তাড়াহুড়ো নেই appeared first on Website.

]]>
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদঃ লন্ডন থেকে-

 

ব্রিটিশ প্রাইম মিনিস্টার টেরেজা মে তার বার্লিন সফর শেষে ঝটিকা সফরে ফ্রান্স গেলেন। সেখানে তিনি ফ্র্যান্সের কাউন্টার পার্ট ফ্র্যান্সিস হল্যান্ডের সাথে বৈঠকে মিলিত হন। জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের সাথে বই  উপহার কূটনীতি দিয়ে দ্যুতিয়ালি ও বন্ধুত্বের বার্তা দিয়ে টেরেজা মে এবার ফ্র্যান্সিস হল্যান্ডকে ক্লিয়ার ম্যাসেজ দিলেন। সফরের পূর্বে ব্রিটেন ও ইউরোপের মধ্যে যে টেনশন চলছিলো, মে`র ঝটিকা সফরের মধ্য দিয়ে যেন সেই টেনশনে শীতল বাতাস বইতে শুরু করেছে।

 

বার্লিন থেকে বিকেল বেলা ফ্র্যান্স পৌছলে ফ্র্যান্সিদ হল্যান্ড তাকে  উষ্ণ সম্বর্ধনা জানান। দুনেতা এসময় করমর্দনও করেন।

 

May_arrival

 

থেরেসা মে ও হল্যান্ড বৈঠকের পর প্রেসের সামনে কথা বলেন। প্রেসের সামনে কথা বলার সময় থেরেসা মে বলেন, ব্রেক্সিটের জন্য আর্লটিক ৫০ এ ট্রিগার চাপার জন্যে ব্রিটেনের খুব তাড়াহুড়ো নেই। এ জন্য সময় দরকার।   থেরেসা মে`র বক্তব্যের আগে হল্যান্ড জানিয়েছিলেন মিসেস মে আজই  আর্টিকল ৫০ এ ট্রিগারে চাপ দেবেননা। যদিও চান আলোচনা শীগ্র শুরু হউক।

 

 

Ms May stressed that the UK remains

 

থেরেসা মে সাংবাদিকদের জানান ফ্র্যান্সিস হল্যান্ডের সাথে তার আলোচনা  এক্সিল্যান্ট এবং ভেরি ওপেন ডিসকাশন হয়েছে। তবে সেজন্যে আরো অনেক কাজ করতে হবে বলে জানান।

 

 

Live updates: Theresa May on first foreign trip as Prime Minister

 

 

salim932@googlemail.com

21st July 2016, London

The post থেরেসা মে ও ফ্র্যান্সিস হল্যান্ডের মধ্যে বৈঠকঃ ব্রেক্সিট নিয়ে তাড়াহুড়ো নেই appeared first on Website.

]]>
https://syedshahsalimahmed.com/archives/1454/feed 0
ব্রেক্সিট মানেই নয় ইউরোপের বন্ধুদের কাছ থেকে এখনি দূরে হাটা- টেরেজা মে https://syedshahsalimahmed.com/archives/1449 https://syedshahsalimahmed.com/archives/1449#respond Thu, 21 Jul 2016 00:13:05 +0000 http://syedshahsalimahmed.com/?p=1449 সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ-    টেরেজা  মে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে আজ বুধবারই  প্রথম  জার্মানির বার্লিন সফরে যান, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের সাথে সাক্ষাতের জন্য। গণভোটের পর ব্রেক্সিট নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্রিটেনের মধ্যে টেনশন চলছে। এই সময়ে টেরেজা মে বার্লিন সফর বেশ তাতপর্যপূর্ণ সন্দেহ নাই। অপরদিকে বুধবার ছিলো মার্কেলের   জন্মদিন। এদিন টেরেজা মে […]

The post ব্রেক্সিট মানেই নয় ইউরোপের বন্ধুদের কাছ থেকে এখনি দূরে হাটা- টেরেজা মে appeared first on Website.

]]>
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ- 

may_german

 

টেরেজা  মে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে আজ বুধবারই  প্রথম  জার্মানির বার্লিন সফরে যান, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের সাথে সাক্ষাতের জন্য। গণভোটের পর ব্রেক্সিট নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্রিটেনের মধ্যে টেনশন চলছে। এই সময়ে টেরেজা মে বার্লিন সফর বেশ তাতপর্যপূর্ণ সন্দেহ নাই। অপরদিকে বুধবার ছিলো মার্কেলের   জন্মদিন। এদিন টেরেজা মে তার সফরে মার্কেলের জন্য দুটি বই এবং নিজের হাতে লেখা জন্মদিন কার্ড উপহার দেন।

 

May_clip

 

বার্লিন সফরে জার্মান চ্যান্সেলর মার্কেলের সাথে  আলোচনার সময় ক্লিয়ারলি যে ম্যাসেজটি দিয়েছেন, আর তাহলো টেরেজা মে বলেছেন, ব্রেক্সিট মানেই নয় যে এখনি আমরা ইউরোপ ছেড়ে হেটে যাচ্ছি।

 

টেরেজা মে আরো বলেন, রেফারেন্ডামের পর বরং ব্রিটেন  বাহ্যিকভাবে  এক সুন্দর দেশ যা বাইরে খুজে চলছে।

 

May_germany_vt

 

টেরেজা মে বলেন, ব্রেক্সিট মানেই ব্রেক্সিট এবং  ইউনাইটেড কিংডম সেটাই সফল করতে যাচ্ছে। কিন্তু আমি সেই সাথে এই কথাটাই পরিষ্কার ভাবে বলতে চাই, এবং আগামী সপ্তাহগুলোতে ইউরোপ গিয়ে যা বলতে চাই, তার মানেই এই নয় যে আমরা ইউরোপের বন্ধুদের ছেড়ে এখনি দূরে হেটে যাচ্ছি।বরং ব্রিটেন বাইরের সুন্দর দর্শন এবং জার্মানি হলো ব্রিটেনের ভাইটাল পার্টনার  ও স্পেশাল ফ্রেন্ড হিসেবে থাকবে।

 

তবে জার্মান অফিসিয়াল বলেছেন,  আর্টিকল ৫০ এ ব্রিটেন প্রয়োগ না করা পর্যন্ত কোন অফিসিয়াল  প্রি-নেগোসিয়েশন হচ্ছেনা ।

 

Ms Merkel turned 62 a few days before Ms May's visit

 

এর আগে টেরেজা মে বার্লিন এয়ারপোর্টে  পৌছলে  জার্মান চ্যান্সেলর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে রিসিভ করেন এবং দুজনে হ্যান্ড শেকও করেন । এর পর টেরেজা মেকে  ফুল গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

 

“I have been clear that Brexit means Brexit and the United Kingdom is going to make a success of it.

But I also want to be clear here today, and across Europe in the weeks ahead, that we are not walking away from our European friends.”

Britain will remain an outward-looking country and Germany will remain a vital partner and a special friend for us.

– THERESA MAY

 

 

salim932@googlemail.com

20th July 2016, London

The post ব্রেক্সিট মানেই নয় ইউরোপের বন্ধুদের কাছ থেকে এখনি দূরে হাটা- টেরেজা মে appeared first on Website.

]]>
https://syedshahsalimahmed.com/archives/1449/feed 0