Sheikh Hasina Archives - Website https://syedshahsalimahmed.com Sat, 16 Jul 2022 23:41:42 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.4.4 নয়াদিল্লি-ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কঃর` আইএসআই, সিআইএ মোসাদ তৎপরতা, বেনজীর-আজিজের ভুমিকায় পালটে গেলো সব ছক https://syedshahsalimahmed.com/archives/2030 Wed, 12 Aug 2020 01:31:46 +0000 http://syedshahsalimahmed.com/?p=2030 গত সংখ্যাতে লিখেছিলাম, বৈশ্বিক রাজনৈতিক পরিমন্ডলে একজন শেখ হাসিনা যেভাবে সব দিক সামাল নিয়ে খেলছেন, সকল সমালোচনা আলোচনাকে পেছনে ফেলে শেখ হাসিনাকে বিশ্ব সভায় এখন এক অপরিহার্য ও দৃঢ়চিত্ত রাষ্ট্রনায়কের মর্যাদায় এমনভাবে নিয়ে গেছে যে, হাসিনা ডাইন্যাস্টি এখন বিশ্ব রাজনীতির অপরিহার্য এক অংশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ফরেন মিনিস্টার আবদুল মোমেনের এই স্বাধীন ও […]

The post নয়াদিল্লি-ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কঃর` আইএসআই, সিআইএ মোসাদ তৎপরতা, বেনজীর-আজিজের ভুমিকায় পালটে গেলো সব ছক appeared first on Website.

]]>
গত সংখ্যাতে লিখেছিলাম, বৈশ্বিক রাজনৈতিক পরিমন্ডলে একজন শেখ হাসিনা যেভাবে সব দিক সামাল নিয়ে খেলছেন, সকল সমালোচনা আলোচনাকে পেছনে ফেলে শেখ হাসিনাকে বিশ্ব সভায় এখন এক অপরিহার্য ও দৃঢ়চিত্ত রাষ্ট্রনায়কের মর্যাদায় এমনভাবে নিয়ে গেছে যে, হাসিনা ডাইন্যাস্টি এখন বিশ্ব রাজনীতির অপরিহার্য এক অংশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ফরেন মিনিস্টার আবদুল মোমেনের এই স্বাধীন ও সবার সাথে বন্ধুত্বের নয়া অর্থনৈতিক কূটনীতির ফলে বাংলাদেশের সাথে ভারত রাশিয়ার সাথে মিলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, মধ্যপ্রাচ্য সহ চীন, পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠছে। এই অর্থনৈতিক কূটনৈতিক সম্পর্কের আলোকে কখনো কখনো বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ফরেন মিনিস্টারকে অনেক বৈপিরিত্যের সংবাদ ও বিশ্লেষণের মুখোমুখী হতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে অর্থনৈটিক কূটনৈতিক নয়া সম্পর্ক নেগেটিভ ইস্যুর মাত্রারও বিরোধীদের মাধ্যমে ছড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢেউ তুললেও বিশ্ব দরবরে বাংলাদেশের বার্তা সঠিকভাবে পৌছানোর ক্ষেত্রে কোন বাধা এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান হয়নি।

০২) কিন্তু পর্দার আড়ালের খেলা কিন্তু থেমে থাকেনি। ভৌগলিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভারত, চীন, পাকিস্তান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এক লোভনীয় দেশ হয়ে আছে। করোনা মহামারীর প্রেক্ষিতে বিশ্ব রাজনীতি এবং অর্থনীতি এখন আর আগের মতো অবস্থানে নেই। আগের অবস্থানে বিশ্ব আর কোনভাবেই ফিরেও যেতে পারবেনা। যদি যেতেই হয়, তাহলে যেমন অবেক কাঠ খড় পোহাতে হবে, সময় সুযোগের অপেক্ষার মাত্রা যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে প্রযুক্তির উন্নয়নের চ্যালেঞ্জের সাথে সহাবস্থান করে এগিয়ে চলার যুদ্ধ। যে যুদ্ধের অনেক দামামা এখন অনেকটাই পর্দার আড়াল থেকে দৃষ্টির গোচরে চলে এসেছে। প্রযুক্তি, অর্থনীতি আর সমরনীতির চ্যালেঞ্জে চীন এখন অনেকটাই এগিয়ে, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে নেতৃত্ব দেয়ার কথা, সেখানে চীন করোনার তান্ডবে বেশ যূতসইভাবেই সবাইকে টপকে এগিয়ে রয়েছে, যদিও চীনের এগিয়ে যাওয়ার সামনে এখনো পাহাড় সমান বাধা হয়ে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা।

০৩) প্যানডেমিক সময়কালীন সময়ে বিশ্ব দুই শিবিরে চলে এসেছে। চীন-রাশিয়া-ইরান সহ পাকিস্তান, তুরষ্ক, সিরিয়া অনেকটাই প্রকাশ্যে এক শিবিরে বিপরীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ব্রিটেন, কানাডা এক শিবিরে চলে এসেছে। বিশ্বের এই বিভাজন ও নয়া কূটনৈতিক, প্রযুক্তিগত আর অর্থনৈতিক কূটনীতির খেলায় বাংলাদেশ ভারত এবং চীন দুই শক্তির সাথে যেমন সমানভাবে সম্পর্ক রেখেছে, তেমনি নতুন করে পাকিস্তানের সাথেও সম্পর্কের উন্নতি করতে যাচ্ছে। পাশাপাশি রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও কানাডা, সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের সাথে সম্পর্ক রেখে চলছে।

০৪) উভয়বিধও কারণে ভারত এবং চীনের কাছে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের সাথে যেমন বাংলাদেশের গভীর সম্পর্ক আবার চীনের সাথে বাংলাদেশের নতুন এক অর্থনৈতিক এবং প্রযুক্তিগত সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। চীনের সাথে ভারতের যেমন বিশাল বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে, তেমনি চীনের সাথে পাকিস্তান ও ইরানের নানা বাণিজ্যিক ও প্রযুক্তিগত চুক্তিও স্থাপিত হয়েছে।

চীন-বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠতা-ফের মাইনাস টু ফর্মুলা সক্রিয়ঃপর্দার আড়ালে ঢাকা নিয়ে নতুন খেলা….

০৫) শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর থেকে একটি গোষ্ঠী নানাভাবে শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য ছক এবং কৌশল বেশ কয়েকবার করেছে। প্রতিবারই সেই স্বার্থবাদী গোষ্ঠীর ছক ও খেলা ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং বাংলাদেশর আইন শৃংখলা বাহিনীর সংস্থাসমূহ বেশ দক্ষতার সাথে সেই সব বাতিল করে দিতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু দুষ্ট চক্রের খেলা ও তৎপরতা থেমে থাকেনি। গত ফেব্রুয়ারি থেকেই সেই তৎপরতা বেশ পরিকল্পিতভাবে  গড়ে উঠে। যার ইঙ্গিত গত লেখালে দিয়েছিলাম। সম্প্রতি সেই তথ্য সমূহ নতুনভাবে সামনে এনেছে ভারতীয় পত্রিকা আসামের নর্থ ইষ্ট নিউজের ইংরেজি পত্রিকা। আসামের সংবাদ মাধ্যমটি অনেকটাই খোলাসাভাবে তীর নির্দিষ্ট জায়গার দিকেই নির্দেশ করে লিখেছে, যদিও আমার গত লেখায় অনেক উপমা এবং ডিপ্লোম্যাটিক শব্দ চয়নের মাধ্যমে যথাযথ ম্যাসেজটি পাঠকদের দেবার চেষ্টা করেছিলাম। আসামের সংবাদ মাধ্যম অবশ্য কোন রাখঢাক করেনি। সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টাকে পাকিস্তানপন্থী বানিয়ে সংবাদ করেছে। এপ্রসঙ্গে আমার বাস্তব একটা ঘটনা মনে পরছে। ৯০ এর আন্দোলনের পর প্রথমবারের পরের দিকে শেখ হাসিনার সরকারের  জাদরেল অর্থমন্ত্রী এ এস এম কিবরিয়া যখন কালোটাকার বিরুদ্ধে কঠোর ভুমিকা নিয়েছিলেন, তখন একজন বিশিষ্ট ” ”  জনের প্রতিষ্ঠান মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হচ্ছিলো। সেই সময় সচিবালয়ে দরজা লক করে গুন্ডামি স্টাইলে প্রয়াত অর্থমন্ত্রী কিবরিয়াকে যেভাবে শাসিয়ে ছিলেন, হতভম্ব শুধু হইনি, মনে হয়েছিলো-এই যখন অর্থমন্ত্রীর ত্রাহি অবস্থা-এই দেশে জবাবদিহিতা এবং আইনের স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠিত হতে হলে অনেক কাঠ খড় এমনকি কয়েক দশক লেগেও যেতে পারে।

০৬) ফিরে আসি আইএসআই এবং র এর প্রসঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সাথে নরেন্দ্র মোদীর সরকারের বেশ “রক্তের সম্পর্ক” (ঢাকার পত্র পত্রিকা থেকে ধার নিলাম) এতো শক্তভাবেই গড়ে উঠেছে যে, সেই স্থান দখল নিতে চাচ্ছে বেইজিং। বেইজিং এর সাথে সহযাত্রী হয়ে আছে পাকিস্তানের আইএসাআই, ইরানের এমওআই এস। তৃতীয় সঙ্গী এবং পৃথক এক মঞ্চের একচ্ছত্র খেলোয়াড় মোসাদ, মোসাদের সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে র সিআইএ, হালের বেইজিং, এমওআইএস, কেজেবি সহ সকলের সাথেই তার মাত্রা ভেদে সমান সম্পর্ক। ।ঢাকা ইস্যুতে সিআইএ  ভিন্নমত থাকলেও প্যানডেমিকে বিপর্যস্ত মার্কিনীদের কাছে এখন ভারতই ভরসা ও আস্থার স্থল। সেজন্য ঢাকার ইস্যুতে ওয়াশিংটন, নয়াদিল্লি এখন এক বলয়ে। সাথে ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া। ইসরাইল এখন ঢাকার মিত্র শক্তি প্রকাশ্য এবং অপ্রকাশ্যে। নয়াদিল্লি এবং ওয়াশিংটন যেকোন মূল্যে ঢাকার আধিপত্য থেকে বেইজিংকে বাইরে রাখতে চায়। নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটনের চাপের কাছে ঢাকা গভীর সমুদ্র বন্দর টার্মিনাল বেইজিংকে না দিয়ে জাপানকে দিতে হয়েছে। সব কিছুই নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটনের ছকে চললেও বেইজিং নাটকীয়ভাবে খেলা পালটে দিয়ে ঢাকায় বেশ গভীরভাবে অর্থনৈতিক কূটনৈতিক সম্পর্কে এগিয়ে যায়। বেইজিং এর পথ ধরে পাকিস্তান নাটকীয়ভাবে এক পা ভিতরে এগিয়ে আনে। ইতোমধ্যে বিশ্ব পরিমন্ডলে বেইজিং পাকিস্তান ইরান রাশিয়া তুরষ্ক সিরিয়া এক মডেল আবির্ভুত হওয়ার বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেয়, যা ওয়াশিংটন ও লন্ডনে টান টান মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে উঠে। ওয়াশিংটন ভারতের দিকে (ভারত যখন নিজের স্বার্থেই চীন ইস্যুতে) এগিয়ে আসে। লাদাখ ইস্যুতে ওয়াশিংটন ভারত অনেক কাছাকাছি চলে আসে।লাদাখ ইস্যুতে ঢাকা কারও পক্ষে প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান নেয়ায় ওয়াশিংটন নয়াদিল্লির কাছে নতুন এক বার্তা পৌছে যায়। ঢাকাকে চাপে রাখার জন্য নয়াদিল্লি নতুন খেলা খেলে। ওয়াশিংটন নয়াদিল্লিকে সেই খেলার সুযোগ এবং স্কোপ পূর্ণ মাত্রায় করে দেয়। যার প্রমাণ ডিজিএফআই এর হাতে বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। আসাম সংবাদ মাধ্যম সেই তথ্য অনেকটাই খোলামেলাভাবে তুলে ধরেছে।  মেজর সিনহা ইস্যু একটা নাটকের উপাখ্যান মাত্র। ঢাকাকে বাগে নিতে র সিআইএ  আইএসআই বেইজিং মোসাদ যে যার মতো করে খেলেছে। ছিলোনা কোন নিয়ন্ত্রণ বা একচ্ছত্র কোন পরিকল্পনা। একটাই টার্গেট ঢাকাকে বেইজিংমুখী থেকে ফেরানো- আবার তার কাউন্টার খেলা। সেজন্য চলে কাউন্টার এন্টি কাউন্টার পরিকল্পনা। আইএসআই বেইজিং এর মাথায় হাত রেখে ক্ষমতার পট পরিবর্তনের ষড়যন্ত্র করে। উদ্দেশ্য যুদ্ধাপরাধী বিচারের বদলা, যা দেশের ভিতরের কায়েমী গোষ্ঠী এবং কর্পোরেট রাজ্যের অধিপতিরা আইএসআইয়ের খেলার ক্রিড়নকে পরিণত হন ইচ্ছে কিংবা অনিচ্ছায়। চীন রাশিয়া ও তুরষ্কের সাথে ব্যবসায়িক ডিল পাকাপোক্ত করতে গিয়ে আমাদের দেশীয় কায়েমী হীন রাজনীতিবিদ, মেরুদন্ডহীন কর্পোরেট অধিপতিরা আর নখ দন্তহীন এনজিও কর্ণধারেরা মার্কিন “আর” অধ্যক্ষরকে সাথে নিয়ে কলকাতায় ও  দুবাইতে বৈঠক আর সিসকোতে ভার্চ্যুয়াল বৈঠক যখন করে, তাদের ধারণারও বাইরে তাদেরই মুরুব্বী আইএসআই তার নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে রাজাকার ও রাষ্ট্রদ্রোহীদের সাথে মিলে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আইএসআই চাইছিলো বাংলাদেশের প্রধান দুই বাহিনী সেনাবাহিনী ও পুলিশ র‍্যাবকে মুখোমুখী দাড় করিয়ে ফায়দা তুলে নিতে। চিহ্নিত রাষ্ট্রদ্রোহী আর দেশ বিরোধীরা যেকোনভাবেই ক্ষমতার পট পরিবর্তন চাইছিলো। সেজন্য তারা নিষ্টুর যেকোন পথ বেছে নিতে পিছপা হয়নি। তাদের উদ্দেশ্য ছিলো দুই বাহিনীর যুদ্ধংদেহী এবং বিশৃংখলার সুযোগে তাদের তাবেদার সেইগুনীজনকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসিয়ে আজকের প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রপতির আসনে নিয়ে দেশকে তাদের মতো করে পরিচালিত করা। যাতে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে সমর্থন পেতে খুব একটা অসুবিধা বা বেগ পেতে না হয় এবং অযাচিত রক্তপাতও এড়ানোর জন্য সস্তা বাহবা লাভ করা। র এবং সিআইএ এবং বেইজিং যাতে কোন বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতির আসনে আছেন- যেমন এখন আছেন আব্দুল হামিদ। মাঝখানে শেখ হাসিনার সরকারের একনিষ্ট সমর্থক সেনা প্রধান জেনারেল আজিজ, পুলিশের আইজি বেনজির আহমেদ, ফরেন মিনিস্টার আব্দুল মোমেন-এই তিনজনকে সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দু থেকে নয়াদিল্লি এবং ওয়াশিংটনের প্রভাবমুক্ত রাখা। আইএসআই জানে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমর্থনের বদলে নিজেদের ভরাডুবি শুধু নয় মৃত্যুদন্ডও হতে পারে। আইএসআই এর এই ভয়ংকর খেলা বেইজিং টের পেয়ে ঢাকাকে জানিয়ে দেয়। বেইজিং পুরোপুরি ব্যবসায়িক এবং তার টার্গেট বিশ্ব নেত্রীত্ব। বাংলাদেশের গভীর সমুদ্র  অঞ্চল হয়ে সুদূঢ় অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত জ্বালানি লাইন মজবুত ও প্রতিষ্ঠিত করা-আইএসআই এর কারণে বেইজিং তার এম্বিসিয়াস পরিকল্পনাকে ভেস্তে দিতে পারেনা। শুধু গভীর সমুদ্র বন্দর কিংবা বাংলাদেহের বাণিজ্যিক আধিপত্য নয়, গভীর সমুদ্রের একেবারে তলদেশ দিয়ে যে চ্যানেল সুদূঢ় অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত গিয়েছে-সেই চ্যানেল হলো স্বর্ণ আর তেলের মতো আরো এক খনি -মাছের খনি-যা ইউনেস্কো ৬২ সালেই বেইজিংকে জানিয়েছে।

০৭) র আইএসআই  আর সিআইএর ত্রিমুখী খেলায় সম্ভাবনাময়ী তারুণ্য নিভে গেলেও সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ এবং পুলিশের আইজি বেনজির আহমেদ তাৎক্ষনিকভাবে প্রটোকল ও প্রথা ভেঙ্গে নাটকীয় এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়ে সকল দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র এমনভাবে ভেঙ্গে দিলেন, পাশাপাশি দুইবাহিনীর ভিতরে ক্ষোভ, হতাশাকেও প্রশমিত করে প্রশংসিত হলেন। দেশকে ভয়াবহ এক সংঘাতের দিক থেকে রক্ষা করলেন। জেনারেল আজিজ এবং বেনজির আহমেদ যদি সেদিনই প্রটোকল ভেঙ্গে তাৎক্ষনিকভাবে  বাঙালিয়ানা স্টাইলে যৌথ প্রেস ব্রিফিং করে পরিস্থিতি প্রশমিত না করতেন, তাহলে কলকাতা ও দুবাই এবং তাদের সিসকো ভার্চ্যুয়াল বৈঠকের আলোকে দেশে বিশেষ করে পার্বত্য অঞ্চলে দাঙ্গা বাধিয়ে দিয়ে বিপর্যয়ের মাত্রা ভয়াবহ করে তুলতো।

 

চলবে

লন্ডন ১৪ আগস্ট ২০২০।

The post নয়াদিল্লি-ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কঃর` আইএসআই, সিআইএ মোসাদ তৎপরতা, বেনজীর-আজিজের ভুমিকায় পালটে গেলো সব ছক appeared first on Website.

]]>
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীঃ আবদুল মোমেনকে সিলেট-১ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করুন https://syedshahsalimahmed.com/archives/1810 Sun, 18 Feb 2018 00:49:13 +0000 http://syedshahsalimahmed.com/?p=1810 সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ। ক্যাম্পেইন ফর আবদুল মোমেন । সিলেট-১ আসন। ২০১৮   মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আবদুল মোমেন  যখন বোস্টনে অর্থনীতির অধ্যাপক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন, তখন আপনি এবং আপনার সার্কেল প্রতিকূলতার  বিরুদ্ধে শক্তহাতে দাঁড়িয়ে ডঃ মোমেনকে জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য আমন্ত্রণ জানান। এ ছিলো বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে দেশ ও জাতির স্বার্থে আপনার এক অনন্য ও […]

The post মাননীয় প্রধানমন্ত্রীঃ আবদুল মোমেনকে সিলেট-১ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করুন appeared first on Website.

]]>
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ। ক্যাম্পেইন ফর আবদুল মোমেন । সিলেট-১ আসন। ২০১৮

 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,

আবদুল মোমেন  যখন বোস্টনে অর্থনীতির অধ্যাপক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন, তখন আপনি এবং আপনার সার্কেল প্রতিকূলতার  বিরুদ্ধে শক্তহাতে দাঁড়িয়ে ডঃ মোমেনকে জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য আমন্ত্রণ জানান। এ ছিলো বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে দেশ ও জাতির স্বার্থে আপনার এক অনন্য ও অনবদ্য উপহার।

Image may contain: 8 people, people smiling, people standing

বাংলাদেশ যখন বহির্বিশ্বে স্রেফ এক দুর্নাম আর দুর্নীতি আর কুসংস্কৃতির ধারক ও বাহক হিসেবে বিশ্ব দরবারে দুর্নামের সাথে মাথা নিচু করে হাটছিলো- তখনি আপনি যুগোপযোগি এক সিদ্ধান্ত নিলেন। আমন্ত্রণ জানালেন ডঃ মোমেনকে। স্থায়ী প্রতিনিধির অফিসের দায়ভার শুধু নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ মিশনের দুর্ণাম মুছে দিয়ে বিশ্ব দরবারে দেশ ও জাতির নাম উজ্জ্বল করার জন্য এক চ্যালেঞ্জিং দায়িত্ব দিয়ে মোমেনের কাধে সপে দিলে, ডঃ এ কে আবদুল মোমেনও অত্যন্ত সাহস ও দক্ষতার সাথে আপনার দেয়া সেই গুরু দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাব মুর্তি উজ্জ্বল করার এক অনবদ্য কারিগর আমাদের এই মোমেন।

 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,

ব্যক্তিগতভাবে আপনি ও আপনার প্রশাসন এ বিষয়ে ব্যাপকভাবে অবগত। মোমেন যখন জাতিসংঘে দায়িত্ব নেন, তখন আপনার অধীনস্ত মাথাভারি প্রশাসনের কূটিল ষড়যন্ত্রকারিরা দুই দুইবার মোমেনকে জাতি সংঘ থেকে সরিয়ে দেয়ার পাকা বন্দোবস্ত করলে আপনি শেষ মুহুর্তে দৃঢ়হাতে হস্তক্ষেপ শুধু করেননি, প্রশাসনিক সিদ্ধান্তকে বিমানে উড্ডয়নের মুহুর্তে আপনার গোচরীভুত করা হলে, আপনি ষড়যন্ত্রকারিদের সেই সিদ্ধান্ত ও ব্যবস্থা পাল্টে দিয়ে তাদের ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছিলেন। বিনিময়ে মোমেন তার কাজের স্বীকৃতি ও দক্ষতার সেরা স্বাক্ষর আপনাকে এবং গোটা জাতিকে দিয়েছেন।

 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,

আপনি নিশ্চয় অবগত আছেন, মোমেন তার চাকুরী জীবনের শুরুতে প্রবাসীদের কল্যাণে ওয়েজ আর্ণার স্কীম( তার খালুর প্রস্তাব তার কাছে এতোই পছন্দ হয়েছিলো যে, সে তাৎক্ষণিক  সেই প্রস্তাবটি বঙ্গবন্ধুর সরকারে গোচরীভূত করেন) বঙ্গবন্ধুর কাছে উত্থাপন করলে, বঙ্গবন্ধু সেটা সঙ্গে সঙ্গে গ্রহণ করে ওয়েজ আর্ণার্স স্কীম চালু করেন।

সম্প্রতি কতিপয় আমলা আপনাকে ভুল উপস্থাপনার মাধ্যমে প্রবাসীদের দ্বৈত নাগরিকত্বের সংশোধনীর মাধ্যমে প্রবাসীদের ভোটাধিকার হরণ, নির্বাচনী অধিকার হরণ সহ জটিল ব্যবস্থা নিলে চ্যানেল আইয়ের  এক্সক্লূসিভের প্রেজেন্টারের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ডঃ মোমেনের মাধ্যমে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে, আপনি নিজে মোমেনের কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত অবগত হয়ে উদ্যোগী হওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছিলেন- যার ফলে আইনমন্ত্রী গণ-মাধ্যমে প্রবাসীদের আশ্বস্থ করেন সেই আইন সংশোধন হচ্ছে।

 

মান্যবর প্রধানমন্ত্রী,

জাতিসংঘে ডঃ মোমেন যখন তার দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করছিলেন, আপনি তখন নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রীয় সফরে গেলে আবদুল মোমেনকে দেশে ফিরে অধিকতর দায়িত্ব পালনের জন্য ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিলে, মোমেন আপনার নির্দেশে তাৎক্ষণিকভাবে দায়িত্ব সমাপ্তির বেশ কিছু আগেই দেশে ফিরে আসেন। সেদিন আপনি এবং আপনার বোন শেখ রেহানা মোমেনকে যেভাবে বলেছিলেন, মোমেন এখনো সেভাবেই দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

 

মাননীয় দেশনেত্রী, 

সিলেট-১ আসন অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ। এই আসনে বর্তমান এমপি আজকের সফল অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। মুহিতের যোগ্যতা ও দক্ষতা এবং সুনাম প্রশ্নাতীত। কিন্তু মুহিত বয়সের ভারে ন্যুব্জ। নিজেও অবসরের বেশ কয়েকবার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। আর ইতোমধ্যেই সিলেটের মা মাটি ও জনগনের সাথে ডঃ আবদুল মোমেন একেবারে মিশে গেছেন। সিলেটের ব্যাপক উন্নয়ন আর উন্নয়নমূলক কাজ আর সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার এক দুর্দান্ত মিশন নিয়ে ডঃ মোমেন সিলেটের ১ আসনের আনাচে কানাচে চষে বেড়াচ্ছেন দেশে ফেরার পর থেকেই।আওয়ামীলীগের মাঠ পর্যায়ের নেতা কর্মীদের কাছেও ডঃ মোমেন একজন অতি আপনজন এবং শিক্ষিত সজ্জন ও জনগনের একেবারের কাছের মানুষ হিসেবে ব্যাপকভাবে সমাদৃত।

momen

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,

বয়স এবং গুনীজন ও একই সাথে গণতান্ত্রিক প্রশাসনিক কাঠামোর বিবেচনায় আপনি সাংবিধানিক এক পদ ন্যায়পাল সৃষ্টি করে আজকের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে ন্যায়পাল করে যোগ্য মর্যাদায় অধিষ্টিত করতে পারেন। সেক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রণালয়ের মতো গুরুদায়িত্ব আপনি  বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ ডঃ আবদুল মোমেনের উপর অবলিলায় দায়িত্ব দিতে পারেন। মোমেন শুধু কূটনীতিতে সফলতা দেখাননি। এর আগে তিনি বোস্টনের অর্থনীতির অধ্যাপক ছাড়াও প্রয়াত সৌদি বাদশাহ কিং ফাহদের অর্থনৈতিক উপদেষ্টারও দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে পালন করেছেন।বর্তমানে মোমেন আপনার প্রশাসনের অধীনের চট্রগ্রাম এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করছেন।

Image may contain: 6 people, people smiling, people standing

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,

কায়েমী স্বার্থবাদীরা সিলেট-১ আসন নিয়ে নানা খেলা শুরু করে দিয়েছে। আপনি আরো অবগত আছেন যে, সিলেটের জনগন ক্ষমতাসীনদের ভালোবাসা উজাড় করে দিতে কার্পন্য করেনি কখনো। দুটি পাতা একটি কুড়ির দেশ এই সিলেটে হযরত শাহজালাল শাহপরাণ সহ অসংখ্য ওলি আওলিয়া শায়িত। এই মাটির জন্য দরকার একজন যোগ্য সিলেটি- যিনি সিলেটের শিক্ষা, যোগাযোগ, উন্নয়ন, মসজিদ, মক্তব, মাদ্রাসা,  স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মন্দির, প্যাগোটা, চার্চ, পাঠশালা, ব্যবসা বাণিজ্য, খেলা ধুলা,  সাহিত্য, সংস্কৃতির লালন উন্নয়নে সঠিক ভুমিকা নেয়ার জন্য দরকার একজন দক্ষ এবং সুযোগ্য মা, মাটি ও সিলেটের সন্তান। আর আবদুল মোমেনই হলেন আওয়ামীলীগের জন্য এমন এক অ্যাসেট, এমন এক সম্বল- যিনি হতে পারেন সিলেট-১ আসনের যোগ্য দাবীদার এবং আওয়ামীলীগকে সিলেট-১ আসন যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে তিনিই দিতে পারেন উপহার। শেখ হাসিনার হাতকেও সিলেটের মাটিতে শক্তিশালী এবং শক্ত ভিতের উপর স্থাপনে ডঃ আবদুল মোমেনের কোন বিকল্প নেই।যেমনভাবে নগর পিতা  হিসেবে কামরান  হতে পারেন আওয়ামীলীগের জন্য এক যোগ্যদাবীদার, তেমনি সিলেট-১ আসনে মোমেনের মনোনয়ন হবে- এই দুই- এর সমন্বয়ে অপ্রতিরোধ্য এক দুর্গ।

Image may contain: 4 people, indoor

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ষড়যন্ত্রকারিদের ডালপালা বিস্তারের মাধ্যমে সমাজে বিষ ছড়ানোর আগেই সিলেট-১ আসনের যোগ্য প্রার্থী দাবীদার হিসেবে ডঃ আবদুল মোমেনকে ঘোষণা করুন এখনি । সেটাই হবে বঙ্গবন্ধু কন্যার সঠিক এবং সময়োপযোগি সিদ্ধান্ত ।

Image may contain: 4 people, indoor

salim932@googlemail.com

১৮ ফেব্রুয়ারি। ২০১৮

 

 

The post মাননীয় প্রধানমন্ত্রীঃ আবদুল মোমেনকে সিলেট-১ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করুন appeared first on Website.

]]>
জঙ্গিবাদঃ শেখ হাসিনা ভিতরের শত্রু- বাইরের শত্রু https://syedshahsalimahmed.com/archives/1387 https://syedshahsalimahmed.com/archives/1387#respond Fri, 08 Jul 2016 13:50:32 +0000 http://syedshahsalimahmed.com/?p=1387 সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ- লন্ডন থেকে     বেশ কিছুদিন থেকেই মুক্তমনা, ব্লগার, ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত ইত্যাদি নামের তকমায় বাংলাদেশে একের পর এক হত্যাকান্ড চলছিলো। হত্যাকান্ডগুলো ঘটার পর মার্কিনীভিত্তিক সাইট অনলাইন থেকে এসব হত্যাকান্ডের স্বীকারোক্তি বা দায় জানিয়ে দেয়া হচ্ছিলো। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে সেই সব হত্যাকান্ডের ব্যাপারে আইএস এর সম্পৃক্ততা শুধু নাকচই নয়, বাংলাদেশ […]

The post জঙ্গিবাদঃ শেখ হাসিনা ভিতরের শত্রু- বাইরের শত্রু appeared first on Website.

]]>
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ- লন্ডন থেকে

 

 

বেশ কিছুদিন থেকেই মুক্তমনা, ব্লগার, ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত ইত্যাদি নামের তকমায় বাংলাদেশে একের পর এক হত্যাকান্ড চলছিলো। হত্যাকান্ডগুলো ঘটার পর মার্কিনীভিত্তিক সাইট অনলাইন থেকে এসব হত্যাকান্ডের স্বীকারোক্তি বা দায় জানিয়ে দেয়া হচ্ছিলো। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে সেই সব হত্যাকান্ডের ব্যাপারে আইএস এর সম্পৃক্ততা শুধু নাকচই নয়, বাংলাদেশ নামক এই রাষ্ট্রে আইএস এর অস্তিত্ব স্বীকার করা হচ্ছিলোনা। শেখ হাসিনার সরকারের তরফ থেকে এই সিগন্যাল আইএসএস এর মুরুব্বীরাও চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলো- ধরেই নেয়া যায়। কেননা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা শক্তি এবং ভারতীয় শক্তি আইএসের আড়ালে জঙ্গিবাদ বাংলাদেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে- সেটা বার বার সিগন্যাল  ডিপ্লোম্যাটিক আলোচনাতেই কেবল নয়, প্রকাশ্যে বিবৃতিতে দিয়ে আসছিলো। আবার সরকারের কতিপয় মন্ত্রী যেভাবে মাদ্রাসা কেন্দ্রিক জঙ্গিবাদকে দায়ী করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে ব্যস্ত, ঠিক সেখানে শেখ হাসিনার সরকারের একেবারে ভিতরের অংশ এই মতের সাথে একমত নয়, যেমন নয় পেন্টাগন এবং নয়াদিল্লী ও ও ব্রিটেনের এমআইসিক্স। আবার ভারতীয় গোয়েন্দা র- এর দক্ষিণ দক্ষিণ ব্লক আর ওয়াশিংটন(পেন্টাগনের লবি নয়) আর ব্রিটিশ সোয়াত- জঙ্গিবাদের সাথে মাদ্রাসাকে সম্পৃক্ততা বড় করে দেখছেন বা দেখাতে ব্যস্ত। শেখ হাসিনার ইনার লবি, পেন্টাগন, নয়াদিল্লী, এমআইসিক্স- এর বক্তব্য দুইশ বছরের উপরের পুরনো মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার ইতিহাসে জঙ্গিবাদের অস্তিত্ব প্রমাণ করেনা। গোয়েন্দা খেলার ও চালের জগতে কাউকে না কাউকেতো হারতেই হবে- তার খেসারতও দিতে হয় কঠোর ও ভয়াবহভাবে। বাংলাদেশ এখন সেই খেলার নির্মম ট্র্যাজেডির গল্পের উপাখ্যান শুধু নয়, বাস্তব এক পরিণত হতে চলেছে।

 

 

০২) বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোকে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এদেশে তিন স্তরের বা ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের পৃষ্টপোষকতা চলছে যে পৃষ্টপোষকতা অস্পৃশ্যতা ও ভেতরের কঠিণ শক্তির কাছে সরকারও অসহায় বা জিম্মি অথবা ক্ষমতার স্বাদ যাতে নষ্ট না হয়, সেজন্যে লাভ এন্ড ওয়ার- সব কিছুই হালাল- এমন নীতিতে চলতে অভ্যস্থ।

 

ক) তিন স্তরের জঙ্গিবাদ বা সমর্থকদের মধ্যে বলা হচ্ছে জামায়াত-বিএনপি জঙ্গিবাদ উস্কে দিচ্ছে।বিশেষ করে ক্ষেত্র বা এভিডেন্স হিসেবে ১৯৭১ সালের অনিবার্য মুক্তিযুদ্ধকে পটভুমি ও ক্ষেত্র হিসেবে সামনে নিয়ে আসা হয়েছে। সেই ষ্ট্রং এভিডেন্সের উপস্থিতিহেতু আওয়ামীলীগ ও শেখ হাসিনা স্বচ্ছন্দে জামায়াত-বিএনপিকে জঙ্গিবাদের পৃষ্টপোষক, আর তা প্রমাণ করতে দোষের রাজনীতি নিয়ে আইএসএস এর উপস্থিতি দৃশ্যমান ঢাকতে জামায়াত-বিএনপিকে সামনে রেখে তীর-বন্দুক চালাচ্ছেন। দৃশ্যমান এবং সংগঠিত ঘটনাগুলো সরকারি বক্তব্যে বিএনপি-জামায়াত প্রথম ধাপের জঙ্গিবাদের সমর্থক ও আমদানীতে ব্যস্ত। যেকারণে বিগত দশ বছরের জঙ্গিবাদী কার্যক্রম ও ঘটনাগুলোর সাথে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির নাম ওতোপ্রোতভাবে জড়িত হওয়া সত্যেও কোন সরকারই নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে গোয়েন্দা ভিজিল্যান্স বা রিফর্ম কার্যক্রম সম্বন্ধে ভাবতেও পারেনি। একেবারে রাজধানীর হার্টের মধ্যে যখন আঘাত করলো, তখন কেবল টনক নড়লো।

 

 

খ) দ্বিতীয় ধাপের জঙ্গিবাদের সমর্থক ও পৃষ্টপোষক যদি আমরা দেখি, একটু সরকারের অস্থির কার্যক্রমের আলোকে, সহজেই চোখে পড়ে, আর সেটা বিএনপি, জামায়াত এর যারা আওয়ামীলীগে আশ্রিত এবং আওয়ামীলীগের ভেতরের নতুন বা সংস্কারপন্থীগ্রুপের বা আশ্রিত যে অংশটি- যাদেরকে ধরা যায়না, ছোয়া যায়না- এমন নিরাপদ এক শক্তিশালী সংস্কার গ্রুপ পশ্চিমা কানেকশনের জোরে জঙ্গিবাদ উস্কে দিচ্ছে বাংলাদেশে। যারা সরকারের ভেতরের লোক অথচ পশ্চিমাদের চোখে এরা অনেক প্রিয় ও কাছের এবং বিশ্বাসযোগ্য গণতন্ত্রী হিসেবে খ্যাত। এদের পৃষ্টপোষকতায় জঙ্গিবাদ এখন ছোবল মারছে বাংলাদেশে ব্যাপকহারে- এরা পশ্চিমা শক্তি ও ভারতীয় শক্তিকে বাংলাদেশে ইন্টারভেন করার আমদানীতে অগ্রসেনার কাজ করছে। এই ইন্টারভেনশন হবে অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক, কোন কোন ক্ষেত্রে সহযোগিতার আড়ালে সামরিক ইন্টারভেনশন বা জঙ্গিবাদ দমনে সহযোগিতা। কারণ বাংলাদেশের পুলিশ, অধাসামরিক ও সেনাবাহিনী আধুনিক এই জঙ্গিবাদ বা আইএসএস দমনে অভ্যস্থ নয়-সহযোগিতা প্রয়োজন।এই শক্তিশালী গ্রুপ কিন্তু উভয় দলের নেত্রীর নেতৃত্ব বিরোধী- কিন্তু সেটা প্রকাশিত নয়, অপ্রকাশিত। যেকোন সময় ফুসে উঠবে- শুধু সময়ের অপেক্ষা।সেজন্যে চাই অস্থির রাজনীতি ও অস্থির সময়।

 

 

গ) ভারতীয় উলফা, আফগানিস্তানের তালেবান, সিরিয়ার আইএসএস, ইরাকের আইএসএস- এখন পশ্চিমাদের তাড়া খেয়ে নিজ নিজ দেশ থেকে ছড়িয়ে বাংলাদেশের ভুমিকে নিরাপদ ও উর্বর মনে করছে। এদের সহযোগি এদেশের প্রতিষ্ঠিত ফ্রন্ট লাইনের সুযোগ সন্ধানী জ্ঞানী, এক্টিভিস্ট, রাজনৈতিক নেতা রয়েছেন- যারা আওয়ামীলীগকে দীর্ঘদিন থেকে মুক্তিযুদ্ধের শক্তির সহায়ক এবং সেক্যুলার রাজনীতির সহায়ক হিসেবে প্রচার করছিলো সুশৃঙ্খলভাবে।তারা যেমন আওয়ামীলীগ সরকারের মিত্র, একইভাবে মিডিয়ারও মিত্র, সুশীল সমাজেরও মিত্র। এরা ছদ্মবেশী নয়। ভাসমানও নয়। কারণ এরা উচ্চ শিক্ষিত, প্রতিষ্ঠিত, অর্থনীতির বিশ্লেষক, রাজনীতি কর্মকান্ডের সংগঠক, আবার দক্ষিণ এশিয়ার সেভেন সিস্টারের আপ-রাইজিং এর  বিরোধী ভেতর থেকে, রাজনৈতিক কারণে মোটিভেটেড।

 

 

৩) বিশ্ব রাজনীতির ও দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি ও কূটনীতির চালে বঙ্গোপসাগর, কক্সবাজার(আরাকান-মিয়ানমারের অংশে)বান্দরবন, সেন্টমার্টিন নিঝুম দ্বীপ- নয়া  অদৃশ্য এক রাজনীতির সূক্ষ্ম খেলা্র টার্গেট। এই খেলায় নয়াদিল্লী, গণচীন, জাপান, মায়ানমার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েছে। আর এই তিন বিশেষ অঞ্চলের রাজনীতির সাংগঠনিক সুবিধার জন্যে প্রয়োজন সামনে থাকা শেখ হাসিনার সরকারের। শেখ হাসিনা না চাইলে বিকল্প চয়েসের রাজনীতিও ড্রেস রিহার্সাল হচ্ছে দেশে ঘন ঘন।সেটাও একটা কারণ। এই রাজনীতিতে খালেদা জিয়া আসলেও সামনে থাকতে হবে। কারণ এই ছক এখন বাংলাদেশ ভুল করে হউক, আর সজ্ঞানে ফায়দা উঠানোর জন্যে হউক, শরিক হয়ে গিয়েছে। যেখান থেকে পেছনে ফেরার সুযোগ নেই। কারণ পেছনে ফেরা মানেই এই তিন অঞ্চলে চরম অশান্তি- যা বাংলাদেশ এই মুহুর্তে সামাল দিতে প্রস্তুত নয়। এখানে যেমন অর্থনীতি জড়িত, তেমনি জড়িত রাজনীতি, একই সাথে সামরিক অবস্থাও জড়িত। ৬২ সালের ব্রিটিশের দ্বারা ইউনেস্কোর রিপোর্টের পর থেকে যে চাল এই তিন অঞ্চল কে কেন্দ্র করে দানা বেধেছিলো, ধীরে ধীরে আজ তা ভারত, চীন, মার্কিনীদের নিজেদের প্রতিযোগীতার ক্ষেত্র হিসেবে উর্বর এক ক্ষেত্র হিসেবে সামনে চলে এসেছে। এই খেলায় কোন কোন ক্ষেত্রে চরম বৈরিতা সত্যেও একে অন্যের সাথে পার্টনারশিপের ও অর্থনৈতিক সমঝোতার রাজনীতি ও কূটনৈতিক খেলা দৃশ্যপটে মাঝে মধ্যে দেখা যাচ্ছে।

 

 

 

জঙ্গিবাদ আছে আবার জঙ্গিবাদ নেই, আইএসেস আছে, আইএস নেই- এমন রাজনীতির চালে এখন শেখ হাসিনার সরকার অস্থির করার নতুন মাত্রা পাচ্ছে। এতে আরো হামলা,আরো প্রাণহানি হবে। বলা হচ্ছে সিকিম হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই রাজনীতির খেলা বুঝতে হলে সিকিম নয়, ইরাক, আফগানিস্তান, লিবিয়া, পাকিস্তানের দিকে গভীর অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে তাকাতে হবে।সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে শুধু মাত্র আইএসএস ও তৎপরবর্তী রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-কূটনৈতিক ফ্রন্টের আফটার ম্যাথের খেলা নিয়ে ভাবতে হবে।হাসিনা সরকারের ভিতরের ও বাইরের এই শত্রুদের ডিপ্লোম্যাটিক কায়দায় ফেস করে আইএসএস বিরোধী কঠিণ জাতীয় ঐক্যের সঠিক রাজনীতির সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট গড়তে না পারলে- বাংলাদেশ আইএসএসের নিরাপদ উর্বর চর্চার ও গিনিপিগ হিসেবে পরিণত হবে সন্দেহ নাই।এখন আর সন্দেহ ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করলে হবেনা, সঠিক একশন নিতে হবে।

 

Salim932@googlemail.com

7th July 2016, London.

The post জঙ্গিবাদঃ শেখ হাসিনা ভিতরের শত্রু- বাইরের শত্রু appeared first on Website.

]]>
https://syedshahsalimahmed.com/archives/1387/feed 0