Syed Shah Salim Ahmed Archives - Website https://syedshahsalimahmed.com Fri, 19 Aug 2016 10:26:59 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.4.4 সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ভোট দেয়ার জন্যে থেরেসা মে`র প্রতি আহবান https://syedshahsalimahmed.com/archives/1623 Fri, 19 Aug 2016 00:03:19 +0000 http://syedshahsalimahmed.com/?p=1623 সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ-    ব্রিটেনের রাজনীতিবিদ, হিউম্যান রাইটস গ্রুপ আর ক্যাম্পেইনরেরা সক্রিয় ও সোচ্চার হচ্ছেন জাতি সংঘের পাওয়ারফুল বডি হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের  সৌদি আরবের  চেয়ারম্যানশিপের বিরুদ্ধে। বছরব্যাপী সৌদি আরবের মানবতাবিরোধী কার্যক্রমের ক্যাম্পেইন তুলে ধরে তারা ব্রিটেনের সরকার প্রধানকে চাপ প্রয়োগের কৌশল করে যাচ্ছেন। ক্যম্পাইনর আর  সৌদি আরবের ইউএন  হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এর চেয়ারে বসার […]

The post সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ভোট দেয়ার জন্যে থেরেসা মে`র প্রতি আহবান appeared first on Website.

]]>
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ- 

 

ব্রিটেনের রাজনীতিবিদ, হিউম্যান রাইটস গ্রুপ আর ক্যাম্পেইনরেরা সক্রিয় ও সোচ্চার হচ্ছেন জাতি সংঘের পাওয়ারফুল বডি হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের  সৌদি আরবের  চেয়ারম্যানশিপের বিরুদ্ধে। বছরব্যাপী সৌদি আরবের মানবতাবিরোধী কার্যক্রমের ক্যাম্পেইন তুলে ধরে তারা ব্রিটেনের সরকার প্রধানকে চাপ প্রয়োগের কৌশল করে যাচ্ছেন। ক্যম্পাইনর আর  সৌদি আরবের ইউএন  হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এর চেয়ারে বসার বিরোধীরা  এখন তারা প্রধানমন্ত্রী টেরেজা মে`র দিকে তাকিয়ে আছেন। তারা সরাসরি থেরেজা মেকে সৌদি আরবের এই ইউএনএইচআরসির চেয়ারম্যান পদের বিরোধীতা ও চাপ প্রয়োগের জন্য আহবান জানিয়েছেন।

yemen-bomb.jpg

সৌদি আরব যখন ইউএন হিউম্যানরাইটস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের পদ পেয়ে যায়, তখন সারা বিশ্বের বিশেষ করে মানবতাবাদী আর লিবারেল রাজনীতিবিদদের জন্য ছিলো আচমকা এক সংবাদ। সবাই হতচকিত হয়ে গিয়েছিলেন। ব্রিটেনের প্রায় সব কটা মিডিয়ায় তখন সরগরম এবং প্রধান শিরোনাম ছিলো সৌদি আরবের এই চেয়ারম্যান শিপ প্রাপ্তি। তখনকার  প্রাইম মিনিস্টারের দিকে সেদিন মিডিয়া অঙ্গুলি তুলে সৌদি রাজপরিবারের কাছ থেকে উপঢৌকন পেয়ে এমন কাজ করার কূট কৌশলের সমালোচনা করা হচ্ছিলো। যদিও সেদিন ডাউনিং ষ্ট্রীট থেকে বরাবরের মতোই এধরনের কোন কিছুর ইঙ্গিতের বিরোধীতা করে আসছিলো।

 

সৌদি আরব যখন হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান পদের অধিকারি হয়ে যায়, তখনি আরেকটি সংবাদ ছিলো আরো চমকপ্রদ ও আচমকা এক সংবাদ। ব্রিটেন সৌদি আরবের কাছে বিশাল বাজেটের অস্র বিক্রির চুক্তি ও তাদের সামরিক সরঞ্জাম আধুনিকায়নের কথা বলে সেদিন মিডিয়ায় বিবৃতি দেয়া হয়েছিলো।যদিও মানবাধিকার ক্যাম্পেইনরেরা বিরোধীতা ও প্রতিবাদ করেছিলেন।

theresa

আগামী ১৩ই সেপ্টেম্বর ২০১৬ হচ্ছে ভোটাভুটির সময়। এই সময়কেই মানবাধিকার আর রাজনীতিবিদেরা সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে থেরেসা মে যেন সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ভোট দেন- সেটাই আহবান করেছেনতাদের বক্তব্য হলো- গত ১ বছর ধরে সৌদি আরন ইয়েমেনে বোম্বিং করছে প্রচন্ডভাবে, শিরচ্ছেদ করে শাস্তি দিচ্ছে,  অসংখ্য ফাসি এবং মানবাধিকার কর্মীদের আটক ও গ্রেপ্তার করছে।

 

ব্রিটেনের এই সব উদার গণতান্ত্রিক রাজনীতিক আর মানবাধিকার ক্যাম্পেইনরদের বক্তব্য হলো এহেন দেশ ইউএন হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান পদে আসীন হয়ে  হিউম্যান  রাইটস নিয়ে বৈঠক কল ও আবারো আহবান বসলে তা হবে কলঙ্ক। সেজন্যে তারা বিরোধীতা করছেন আর টেরেজা মে`কে আহবান জানাচ্ছেন।

 

বিশ্ব মানবাধিকার দিবসের প্রাক্কালে তাদের বক্তব্য যদিও তাতপর্যপূর্ণ, তথাপি তাদের এমন আহবানে ব্রিটিশ সরকারের খুব একটা সাড়া নেই। ব্রিটেন বরাবরের মতোই ধনী রাজপরিবারের সাথে দহরম মহরম ও ব্যবসা বাণিজ্য পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছে।

yemen-saana.jpg

লিবারেল ডেমোক্রেট পার্টির ফরেন এফেয়ার্স মুখপাত্র টম ব্রেক সৌদি আরবের ব্যাপারের ব্রিটিশ সরকারের এমন এন্ডলেস এক্সকিউজের সমালোচনা করেছেন তীব্র ভাবে। এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও ইয়েমেনে সৌদি হামলার সমালোচনা করে বলেছে ইউকে সৌদি আরবের এই পদ রুখে দিতে বা স্থগিত করে দিতে ভুমিকা নিতে পারে।

 

এক হিসেবে দেখা গেছে, এ পর্যন্ত ইয়েমেনে সৌদি হামলায় ৫,৫০০ ইয়েমেনির মৃত্যু হয়েছে, ২.৫ মিলিয়ন লোক বাস্তুহারা হয়েছেন, আর অর্ধেকেরও ইয়েমেনি খাদ্যাভাবে পড়েছেন।

yemen.jpg

কনজারভেটিভরাও দাবী করছে, হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের ভোট গোপনীয় কিন্তু তা সত্যেও তাদেরও দাবী এ ব্যাপারে স্বচ্ছতা এবং  সৌদির ব্যাপারে সরকারের অহেতুক এক্সকিউজের অবসান। তাদেরও দাবী বিশ্ব মানবাধিকার দিবসের দিনে সৌদি আরবের অমানবাধিকারের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার এবং পদক্ষেপ গ্রহণের।

 

উল্লেখ্য গত বছর উইকিলিকসে প্রকাশ হয়েছিলো ২০১৩ সালে সৌদি আরবের হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল পদ পেতে ইউকের সাথে সিক্রেট  ট্রেড ডিল হয়েছিলো, যদিও ইউকে এখনো সৌদি আরবের পূণরায় নির্বাচিত হওয়ার জন্যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের ভোটাভূটির ব্যাপারে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়। ফরেন অফিসের মুখপাত্র এব্যাপারে বলেন,  আন্তর্জাতিক ইলেকশনের ভোটের প্রসেসিং বিষয়ে প্রকাশ করতে “অন হার ম্যাজিস্টি” পলিসি হলো প্রকাশ্যে না বলা বা প্রকাশ না করা।

 

লন্ডনের বাংলা মিডিয়ার একজন সিনিয়র সাংবাদিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দেশে দেশে যখন মানবাধিকার ভুলুন্ঠিত হয়, ইরাক, লিবিয়া, প্যালেস্টাইন, সিরিয়া, বাংলাদেশ- তখন এই উদার রাজনীতিক আর মানবাধিকার ক্যাম্পেইনরেরা থাকেন নীরব, এখন সৌদিআরব  তার ঘোষিত ইসলামিক শরীয়া আইন অনুযায়ী দেশের ভিতরে যে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা করে আসছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার সক্ষমতা ও কূটনীতির জানান দিচ্ছে, তখন কেন তার বিরোধীতা ? অবশ্য তিনি বলেন, দেশে দেশে এমনকি সৌদি আরবে মানবাধিকার রক্ষা ও সমুন্নত রাখা উচিৎ বলেও অভিমত দেন।

 

১৯ আগস্ট ২০১৬-লন্ডন

 

 

 

The post সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ভোট দেয়ার জন্যে থেরেসা মে`র প্রতি আহবান appeared first on Website.

]]>
ইরাক যুদ্ধ : চিলকট রিপোর্ট এবং টনি ব্লেয়ার ( সাপ্তাহিকে বিশ্লেষণ ) https://syedshahsalimahmed.com/archives/1567 Thu, 04 Aug 2016 13:07:53 +0000 http://syedshahsalimahmed.com/?p=1567 সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ, লন্ডন থেকে   (এই লেখাটি বাংলাদেশের ন্যাশনাল উইকলি সাপ্তাহিকে প্রকাশিত হয়- বর্ষ ৯, সংখ্যা ৯, ৩রা আগস্ট ২০১৬)   ২০০২-০৩ সালে যখন ইরাক আক্রমণ করা হয় বা পশ্চিমাদের নেতৃত্বে ব্রিটেন যখন যুদ্ধে জড়ায়, তখন প্রাইমমিনিস্টার ছিলেন টনি ব্লেয়ার। ব্লেয়ারের একটা উক্তি তখন বেশ জনপ্রিয় ছিল, আর সেটা হলো- শোল্ডার টু শোল্ডার, […]

The post ইরাক যুদ্ধ : চিলকট রিপোর্ট এবং টনি ব্লেয়ার ( সাপ্তাহিকে বিশ্লেষণ ) appeared first on Website.

]]>
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ, লন্ডন থেকে

 

(এই লেখাটি বাংলাদেশের ন্যাশনাল উইকলি সাপ্তাহিকে প্রকাশিত হয়- বর্ষ ৯, সংখ্যা ৯, ৩রা আগস্ট ২০১৬)

 

২০০২-০৩ সালে যখন ইরাক আক্রমণ করা হয় বা পশ্চিমাদের নেতৃত্বে ব্রিটেন যখন যুদ্ধে জড়ায়, তখন প্রাইমমিনিস্টার ছিলেন টনি ব্লেয়ার। ব্লেয়ারের একটা উক্তি তখন বেশ জনপ্রিয় ছিল, আর সেটা হলো- শোল্ডার টু শোল্ডার, উই স্ট্যান্ড টুগেদার। মার্কিনিদের সঙ্গে ব্লেয়ার তার শোল্ডার টু শোল্ডার মিলিয়ে ব্রিটেনকে যেভাবে যুদ্ধে জড়িয়েছিলেন, তখন পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে এবং বলা যায় লেবার দলনেতা হিসেবে নিজের ক্ষমতা ও একগুঁয়েমি এবং জেদের বশবর্তী হয়ে পার্লামেন্টকে মিথ্যা তথ্য, গোয়েন্দা রিপোর্টকে ম্যানিপুলেট করে তিনি বিশ্ববাসীকে এমনভাবে যুদ্ধের দিকে ঝুঁকিয়েছিলেন, ইরাককে ধ্বংস শুধু নয়, একেবারে ম্যাসাকার করেন, সাদ্দামকে উৎখাতের নামে সেদিন তিনি মধ্যপ্রাচ্যকে বশে আনতে প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রের জন্যে মিথ্যা গোয়েবলসীয় জগাখিচুরি সব তথ্য হাজির করে মধ্যপ্রাচ্যকে ভুলিয়েছিলেন। ২০০৩ সালে টনি ব্লেয়ার আর বুশের সেই কারসাজি বিশ্ববাসী চুপ থাকলেও যুদ্ধের এতো বছর পরে আজ সেই ঘটনা টনি ব্লেয়ারের জন্যে বুমেরাং হয়ে ফিরে এসেছে। ব্লেয়ার ক্ষমতায় থাকতে ভাবতেও পারেননি, একদিন তাকে সত্যের মুখোমুখি হতে হবে।


টনি ব্লেয়ারের উত্তরসূরি হিসেবে ক্ষমতায় এসেছিলেন তারই চ্যান্সেলর গর্ডন ব্রাউন। তিনি প্রবল জনমতের চাপে স্যার চিলকোটের নেতৃত্বে ব্রিটেনের ইরাক যুদ্ধে জড়ানো নিয়ে কমিশন গঠন করলেও নানা অজুহাতে চিলকট রিপোর্ট প্রকাশিত হতে বিলম্ব হয়ে যায়। অবশেষে ডেভিড ক্যামেরন যখন ক্ষমতায় আসেন, তখন কোয়ালিশন সরকারের চাপ সত্ত্বেও চিলকট রিপোর্ট প্রকাশে বিলম্ব হতে থাকে। ক্যামেরন দ্বিতীয়বার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে যখন ক্ষমতায় আসেন তখন চিলকট রিপোর্ট প্রকাশের নির্ধারিত তারিখ ঘোষণা করেন। অবশেষে অনেক নাটকীয়তার পর ক্যামেরনের সময়ে দুইবার তারিখ পরিবর্তিত হয়ে চিলকট রিপোর্ট প্রকাশিত হয়।

চিলকট রিপোর্ট-

The Iraq Inquiry Logo
ইরাক যুদ্ধের পর  ২০০৯ সালে গঠিত  কমিটি দীর্ঘ সাত বছর পর তাদের ঐতিহাসিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ইরাকে হামলায় যুক্তরাজ্যের যৌক্তিকতা অনুসন্ধান ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার সরকারের ভূমিকা তদন্তে স্যার জন চিলকটকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। স্যার জন চিলকটের নাম অনুসারেই এ প্রতিবেদনকে ‘চিলকট রিপোর্ট’  নামে ব্যাপকভাবে পরিচিতি পায়। এ রিপোর্ট প্রকাশের আগে ব্রিটিশ মিডিয়ায়, পার্লামেন্টে ব্যাপক আলোচনা ও প্রশ্নের উদ্রেক করেছিল। অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সেই রিপোর্ট আলোর মুখ দেখলে নতুন করে টনি ব্লেয়ার আলোচনায় চলে আসেন।

 
স্যার জন চিলকট বলেন, বিচার কিংবা রায় দেওয়ার দায়িত্ব তাদের নয়। তারা কেবল ইরাক যুদ্ধের যৌক্তিকতা ও প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনে কাজ করেছেন। তবে যেখানে প্রত্যাশিত মানদণ্ড লঙ্ঘিত হয়েছে, সেখানে কাক্সিক্ষত সমালোচনা করেছেন তারা।

 
২০০৩ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে মিলে যুক্তরাজ্য ইরাকে যে হামলা চালিয়েছে, তা কোনো যৌক্তিক বিবেচনার ভিত্তিতে ছিল না।

The Iraq Inquiry commitee
চিলকট রিপোর্টে বলা হয়, অসত্য তথ্যের ভিত্তিতে এবং বিস্তারিত পরিস্থিতি অনুধাবন ছাড়াই ইরাকে আক্রমণ চালানোর ঘটনা, ব্রিটিশ সৈন্য ও যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রীয় কোষাগারের বড় ধরনের ক্ষতিসাধন করেছেন। সেই সঙ্গে ইরাকসহ ওই অঞ্চলের দেশগুলোতে দীর্ঘমেয়াদি সংকট তৈরি করেছেন।

 
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রশাসন ইরাকের তৎকালীন স্বৈরশাসক সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে যে, সাদ্দাম ইরাকে রাসায়নিক অস্ত্রের মজুত গড়ে তুলেছেন এবং সাদ্দাম হোসেন বিশ্বশান্তির জন্য হুমকি। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ইরাকে হামলার উদ্যোগ নেন বুশ সরকার। যুক্তরাজ্যের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারও একই দোহাই দিয়ে ইরাকে হামলা চালাতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অনুমোদন নেন। শুরু থেকেই এই হামলার বিরোধিতায় ফুঁসে ওঠে যুক্তরাজ্যের মানুষ। যার পরিণতিতে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে বিদায় নিতে হয় ব্লেয়ারকে। ইরাকযুদ্ধে ১৭৯ জন ব্রিটিশ সৈন্য নিহত হয়। সরকারের ব্যয় হয় প্রায় ১০ বিলিয়ন পাউন্ড। এই যুদ্ধে প্রায় দেড় লাখ ইরাকি নিহত হয় এবং ১০ লাখের বেশি ইরাকি বাস্তুহারা হয়।

 

চিলকট রিপোর্টের উল্লেখযোগ্য দিক-

 
ক) সাদ্দাম হোসেনকে নিরস্ত্র করতে কিংবা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার শান্তিপূর্ণ উপায়গুলো পাশ কাটিয়ে ইরাকে হামলা চালানো হয়েছে। ওই সময়ে ইরাকে হামলা করা ‘অনিবার্য ছিল না’। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বেশিরভাগ সদস্যই চেয়েছিল হামলা না চালিয়ে সাদ্দাম হোসেনের প্রতি চাপ অব্যাহত রাখতে।
খ) ইরাকের কাছে থাকা সমরাস্ত্র বিশ্ব শান্তির জন্য হুমকিÑ এমন ধারণা ও বিবেচনা ছিল ভিত্তিহীন।
গ) সাদ্দাম হোসেন রাসায়নিক অস্ত্রের মজুদ অব্যাহত রেখেছেন বলে যে গোয়েন্দা তথ্য দেওয়া হয়েছিল, সেটা সন্দেহাতীত কি-না তা যাচাই করা হয়নি।
ঘ) ইরাকযুদ্ধের পুরো পরিকল্পনাই একটি গলদপূর্ণ তথ্যের ওপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওইসব তথ্যের চ্যালেঞ্জ করা হয়নি।
ঙ) ব্রিটিশ সৈন্যদের ইরাকে হামলায় অংশ নেয়ার বৈধতা কোনোভাবেই ‘সন্তোষজনক’ ছিল না।
চ) ব্রিটিশ সৈন্যদের ইরাকে হামলার প্রস্তুতি নিতে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়নি। এই হামলার ঝুঁকিও যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি
ছ) বিস্তারিত সতর্ক করা সত্ত্বেও পরিণতিকে খাটো করে দেখা হয়েছে এবং প্রস্তুতিও ছিল অপর্যাপ্ত।
জ) সরকার এই হামলার যে লক্ষ্য অর্জনের ঘোষণা দিয়েছিল, তা অর্জন করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
ঝ) তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার যুক্তরাষ্ট্রকে প্রভাবিত করতে নিজের সামর্থ্যরে অতিরঞ্জন করেছিলেন।
ঞ) ভবিষ্যতে কোনো দেশে হস্তক্ষেপ কিংবা হামলার বিষয়টি সুনির্দিষ্ট হিসাবের ভিত্তিতে করতে হবে। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত বিতর্ক হতে হবে। পাশাপাশি হামলার চ্যালেঞ্জ ও পরিণতি নিয়ে কঠোর বিশ্লেষণ হতে হবে।

চিলকট ইনকোয়ারিতে ব্লেয়ার-

স্যার চিলকট ফুল ইনকোয়ারিতে টনি ব্লেয়ারকে বক্তব্য দিতে, তার বক্তব্য ক্রস এক্সামিনেশনের জন্য উপস্থিত করা হয়। সেদিনও ব্লেয়ার ইরাকযুদ্ধে তার ভূমিকার জন্য সাফাই গেয়েছিলেন। সেজন্যে কোনো অনুতপ্ত হননি।
কিন্তু রিপোর্ট প্রকাশের পর অনেকটা ঘুরিয়ে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন, যদিও যুদ্ধে যাওয়াটা সঠিক হিসেবে উল্লেখ করতেও ভুল করেননি।

যুদ্ধে আহত পরিবারদের ক্ষোভ-

ইরাকযুদ্ধে নিহত সৈনিকদের পরিবার স্বজনরা এবং যুদ্ধবিরোধী মানবতাবাদীরা বরাবরই ইরাকযুদ্ধে ব্রিটেনের জড়ানোর জন্যে টনি ব্লেয়ারের কড়া সমালোচনা করে আসছিলেন শুরু থেকেই। নিহত ১৭৯ জন সৈনিকের কেউ কেউ প্রকাশ্যে টনি ব্লেয়ারকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দাবি করে আসছিলেন- তখনো চিলকট রিপোর্ট প্রকাশিত হয়নি। অনেকেই ব্লেয়ারকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবেও বিচারের দাবি ক্ষীণকণ্ঠে হলেও করে আসছিলেন। কিন্তু ব্লেয়ার তখনো ইরাকযুদ্ধে ব্রিটেনে যাওয়া সঠিক বলে আসছিলেন। সাদ্দাম তখনকার বিশ্বের জন্য ভয়ানক ছিলেন- দাবি করছিলেন।

 

PA Wire

পার্লামেন্টে মোশন আনার চিন্তা-

২০০৩ সালে ইরাকযুদ্ধে ব্রিটেনকে জড়ানো এবং ইরাক দখলের জন্যে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের বিরুদ্ধে এবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে মোশন আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
বিবিসি টেলিভিশনের অ্যান্ড্রো মার শোতে বিরোধীদলীয় নেতা জেরেমি করবিন এবং ডেভিড ডেভিস এমপি আলোচনার সময় জোরালোভাবে এমন বক্তব্য উত্থাপন করেন। ডেভিড ডেভিস এমপি মোশন উত্থাপন করবেন, জেরেমি করবিন বলেন, তিনি এই মোশনে সমর্থন করবেন। ডেভিড ডেভিস বলেন, তিনি টনি ব্লেয়ারের বিরুদ্ধে মশন আনবেন- ১. পার্লামেন্টকে মিথ্যা তথ্য দেয়ার জন্যে, ২. মাস ডেস্ট্রাকশন ধ্বংসের জন্যে তিনবারের ভুল তথ্য প্রদান, ৩. ভুল তথ্যের মাধ্যমে জাতিসংঘের রেজুলেশন উপস্থাপন ও পাস ৪. ঝুঁকি এবং শঙ্কার অজুহাতে যুদ্ধে যাওয়া ইত্যাদি কারণে টনি ব্লেয়ারের বিরুদ্ধে ধোঁকা ও মিথ্যা তথ্য দেয়ার জন্যে মোশন আনা হবে বলে ডেভিড দাবি করেন।
তার মতে, অবমাননা ও প্রতারণার জন্য ধোঁকা দিয়েছেন টনি ব্লেয়ার, সেটা প্রমাণিত।

 

 

Alex Salmond appears on Peston on Sunday.

অ্যালেক্স সালমন্ডের সমর্থন-

এদিকে স্কটল্যান্ডের সাবেক ফার্স্ট মিনিস্টার অ্যালেক্স সালমন্ড রবার্ট প্রেস্টনকে বলেছেন, তিনি মোশনকে সমর্থন করবেন- তার মতে ব্লেয়ারকে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।
আর যুদ্ধে আহত ও নিহত সৈনিকদের পরিবারের সদস্যদেরও দাবি ব্লেয়ারকে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।

ইরাকযুদ্ধ অবৈধ ছিল : প্রেসকট-

John Prescott has turned on his old boss Tony Blair
২০০৩ সালের ইরাক আগ্রাসনের সময়ে জন প্রেসকট ছিলেন টনি ব্লেয়ারের সরকারের ডেপুটি  প্রাইমমিনিস্টার। লন্ডনের ডেইলি মিররে এক নিবন্ধে তিনি ইরাক যুদ্ধে ব্রিটেন ও আমেরিকার অংশগ্রহণ অবৈধ উল্লেখ করে লিখেছেন টনি ব্লেয়ার জোরপূর্বক মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে ব্রিটেনকে ইরাকযুদ্ধে নিয়েছিলেন।
টনি ব্লেয়ার ক্ষমতা থেকে বিদায় নিলে গর্ডন ব্রাউন ক্ষমতায় আসেন। ঐ সময় ইরাকযুদ্ধের যৌক্তিকতা ইত্যাদি নিয়ে তিনি স্যার চিলকোটের নেতৃত্বে কমিশন গঠন করেন এবং সাত বছর পর সম্প্রতি চিলকট রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। চিলকট রিপোর্টে ইরাকযুদ্ধের যৌক্তিকতা এবং ঐ সময় যুদ্ধে যাওয়া অবধারিত ছিল না, এমনকি সাদ্দাম হোসেনের কাছে বিধ্বংসী রাসায়নিক অস্ত্র ছিল, এমন প্রমাণ ছিল না বলেও মন্তব্য করা হয়। ফলশ্র“তিতে প্রবল জনমতের চাপে টনি ব্লেয়ারও রিপোর্ট প্রকাশের পর দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
২.৬ মিলিয়ন শব্দের চিলকট রিপোর্টে ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট যথার্থ ছিল না বলে মন্তব্য করা হয়। এর পর পরই প্রেসকটের এই যুদ্ধকে অবৈধ বলার পরই পার্লামেন্টে মোশন আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ব্লেয়ারকে আইনের মুখোমুখি হতে হবে। ধীরে ধীরে এই দাবি এখন জোরালো হচ্ছে।

 

এবং সর্বশেষ-

 
এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে যুদ্ধে আহত পরিবারের সদস্য ও আইনজীবীরা টনি ব্লেয়ারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্যে চ্যারিটি ফান্ডের আয়োজন করতে যাচ্ছেন। চিলকট রিপোর্টে নির্দিষ্ট কোনো সুপারিশ তথা আইনগত কোনো পয়েন্টের দিকে ইঙ্গিত না থাকায় ব্রিটিশ পুলিশ কোনো ব্যবস্থায় বা ইনভেস্টিগেশনে যাচ্ছে না। সাধারণত এরকম কোনো রিপোর্ট প্রকাশিত হলে পুলিশ তদন্তে নামে। যেহেতু চিলকট রিপোর্টে এমন কোনো নির্দেশনা নেই, তাই যুদ্ধাহত পরিবারের সদস্যদের ব্যক্তিগত বা বেসরকারি ব্যবস্থায় ফান্ডের ব্যবস্থা করে আইনি প্রক্রিয়ায় যেতে হবে। এদিকটা কিছুটা জটিল এবং সময়সাপেক্ষ হলেও জানা গেছে, যুদ্ধাহত পরিবারগুলো প্রাইভেট প্রসিকিউশনের দিকেই যাচ্ছে। মানবতাবাদীরাও পেছন থেকে এগিয়ে আসছেন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে টনি ব্লেয়ারকে ইরাকযুদ্ধের কনসিকোয়েন্সের মুখোমুখি হতে হবে অদূর ভবিষ্যতে। সময় সেদিকেই যাচ্ছে।
স্কটল্যান্ডের সাবেক ফার্স্ট মিনিস্টার অ্যালেক্স সালমন্ড রবার্ট প্রেস্টনকে বলেছেন, তিনি মোশনকে সমর্থন করবেন, তার মতে ব্লেয়ারকে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।

চিলকট রিপোর্ট : ছয়টি বিষয় দীর্ঘ এই রিপোর্টে যে ছয়টি উল্লেখযোগ্য বিষয় সামনে চলে আসে, তা হলো

Michael Fallon
* বিকল্প থাকা সত্যেও, এবং বিকল্প ব্যবস্থায় না গিয়ে, এমনকি সাদ্দাম হোসেনের কাছে বিধ্বংসী অস্ত্র মজুদ ছিল না- এমন অবস্থায় ইরাক যুদ্ধে যাওয়া হয়।
* ইরাকযুদ্ধের নয় মাস আগে টনি ব্লেয়ার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের কাছে লিখেন, আমি আপনার সঙ্গে আছি- যেকোনোভাবেই।
*  ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট এমনভাবে প্রভাবিত করে উপস্থাপিত হয়েছিল- যা চ্যালেঞ্জ করা উচিত ছিল। কেননা, ব্লেয়ার ডোসিয়ার এমনভাবে উপস্থিত করেছিলেন পার্লামেন্টে- যা জাস্টিফাই করা হয় নাই।
* ইরাকযুদ্ধের লিগ্যাল বেসিস সন্তোষজনক ছিল না
* ব্রিটিশ সৈন্যদের বিপজ্জনক অবস্থায় ফেলা হয়েছিল
* যুদ্ধ-পরবর্তী পুনর্বাসন ব্যবস্থা ও পরিকল্পনা অপর্যাপ্ত ছিল।

 
Salim932@googlemail.com

 

http://www.shaptahik.com/v2/?DetailsId=11472

 

The post ইরাক যুদ্ধ : চিলকট রিপোর্ট এবং টনি ব্লেয়ার ( সাপ্তাহিকে বিশ্লেষণ ) appeared first on Website.

]]>
ব্রেক্সিট এন্ড বিয়ন্ড এবং মিথ… https://syedshahsalimahmed.com/archives/1520 Sat, 30 Jul 2016 00:36:05 +0000 http://syedshahsalimahmed.com/?p=1520 সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ-   আগামী ২০২০ সালে ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে গণভোটের ফলাফলের প্রেক্ষিতে গণতন্ত্রের বিজয় ডঙ্কায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠদলের নেতা হয়েও ডেভিড ক্যামেরন পদত্যাগ করে গণতান্ত্রিক মতামতের প্রতি চরম শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে পদত্যাগ করেছেন। বলা যায় গণতন্ত্রের এক সুন্দর বলিদান ডেভিড ক্যামেরন। গণভোট চলাকালিন সময় থেকে গণভোট পরবর্তী অবস্থায় এখন […]

The post ব্রেক্সিট এন্ড বিয়ন্ড এবং মিথ… appeared first on Website.

]]>

সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ-

 

আগামী ২০২০ সালে ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে গণভোটের ফলাফলের প্রেক্ষিতে গণতন্ত্রের বিজয় ডঙ্কায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠদলের নেতা হয়েও ডেভিড ক্যামেরন পদত্যাগ করে গণতান্ত্রিক মতামতের প্রতি চরম শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে পদত্যাগ করেছেন। বলা যায় গণতন্ত্রের এক সুন্দর বলিদান ডেভিড ক্যামেরন। গণভোট চলাকালিন সময় থেকে গণভোট পরবর্তী অবস্থায় এখন পর্যন্ত ব্রিটিশ রাজনীতির হট টপিক্স হলো ব্রেক্সিট। আর ব্রেক্সিট এবং সম্ভাব্য পরিণতি নিয়ে প্রতিদিনই সিনারিও পরিবর্তন হচ্ছে। মতামত পক্ষে বিপক্ষে দুইভাগে বিভক্ত হয়ে প্রকাশিত হচ্ছে। এরই মধ্যে টেরেজা মে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে ইউরোপ ও বার্লিন সফরে গিয়ে ক্লিয়ারলি বলেছেন ব্রেক্সিট মিনস ব্রেক্সিট.. তারপরেও ব্রেক্সিট নিয়ে শঙ্কা, উৎকণ্ঠা, উদ্বেগ কিছুতেই কাটছেনা। এরই মধ্যে ব্রেক্সিট বিরোধী জনমতও প্রবল হয়ে উঠছে ধীরে ধীরে এবং অতি যত্নের সাথে ব্রেক্সিট বিরোধী লবি শক্তিশালী মাত্রায় প্রকাশিত হতে শুরু করেছে। যার ফলে বিজনেস ইনসাইডারে  জিম এডওয়ার্ড আশঙ্কা প্রকাশ করে লিখেছেন,  টেরেজা মে আলোচনার দরজা বিলম্বের মাধ্যমে হয়তো ব্রেক্সিট ডিল নাও করতে পারেন। কিন্তু কেন এই শঙ্কা, কেন এই এনালাইসিস। যেখানে খোদ থেরেসা মে নিজেই বলেছেন, ব্রেক্সিট মিনস ব্রেক্সিট।তারপরেও প্রশ্ন থেকে যায়- আদৌ কি ব্রেক্সিট হবে, ব্রেক্সিটের পর কী হতে পারে ?

 

may-merkel-getty.jpg

 

এমন প্রশ্ন শুধু একজন এডওয়ার্ডের  নয়, এই প্রশ্ন অসংখ্য ব্রিটিশদের। অর্থনীতির বিশ্লেষকদের, তরুন-তরুনীদের, শিক্ষকদের, ব্যবসায়ীদের অর্থাৎ সকলেই এখনো উদ্বিগ্ন। ইতোমধ্যে ভদাফোন, এইচএসবিসি ব্রিটেন( ব্রেক্সিটের পরে) থেকে চলে গিয়ে নতুন  বাজার খুঁজছে এমন সংবাদও বেরিয়েছে। অর্থনীতির মন্দার সংবাদের আশঙ্কাও কেউ কেউ করেছেন। রাজনীতির বিশ্লেষকেরা বলছেন, যেহেতু সামনে ২০২০ সালের নির্বাচনের ইস্যু, এমন অবস্থায় কনজারভেটিভ হউক আর লেবার দল হউক- কেউই ব্রেক্সিট করে নির্বাচনী ভরা ডুবির ঝুকি নিবেনা । যুক্তি অকাট্য। কিন্তু গণভোটের ফলাফলের রায় ? সেটাও বড় প্রশ্ন। এক মিলিয়নের মতো ব্রিটিশ ইউরোপীয় ইউনিয়নে দামী চাকুরীতে নিয়োজিত- ২০২০ সালের ভোটে ব্রেক্সিটের পক্ষের দলকে কোন অবস্থাতেই তারা ভোট দিতে চাইবেননা- সঙ্গত কারণেই বোধগম্য। এমন ঝুকি এখন কোন দল নিবে ? ব্রেক্সিটের টার্মস এন্ড কন্ডিশন নির্ধারন করতে বিশেষ করে ব্রেক্সিট পরবর্তী টার্মস বির্ধারনের জন্য ২৮টি দেশের সাথে ব্রিটেনকে এক এক করে বসতে হবে, নেগোসিয়েশন করতে হবে। সেজন্যে সময় প্রয়োজন। টেরেজা মে ও অ্যাম্বার রূড ও সেটাই বলেছেন। আবার আর্টিকল ৫০ এ ট্রিগারের জন্যে ব্রিটেনের সব দিক নেগোসিয়েশন সম্পূর্ণ না করে ট্রিগার করবেনা- সেটাও ব্রিটেন বলেছে। আর সেজন্যেও দুই বছর সময় দরকার।সেই অবস্থায় ২০২০ সামনে চলে আসবে। বলা হচ্ছে ২০১৮ সালের মধ্যে ব্রেক্সিট হয়ে যাবে; কিন্তু সেটা কতোটুকু যুক্তিসঙ্গত ও লেজিটিমিট- সেটাই মোটা দাগের প্রশ্ন।

 

heath_brexit

আবার কনজারভেটিভ পার্টির ভিতরেও  ফুঁসছে ব্রেক্সিট বিরোধী লবি। অন্যদিকে গনোভোট এর ফলাফল মানতে  পার্লামেন্টের  বাধ্যবাধকতা নেই। এটা শুধু উপদেশমূলক। যদিও কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ারম্যান বলেছেন, তিনি মনে করেন এটা পার্লামেন্টের জন্য বাধ্যবাধকতা মূলক, যদিও তিনি মনে করেন আইনী বাধ্যবাধকতা নেই।  

 

যে কারণে ব্রেক্সিট না হওয়ার শঙ্কা

০১) কনজারভেটিভ পার্টি সংখ্যাগরিষ্ট সরকার হলেও ব্রেক্সিটের জন্যে তারা মূলতঃ মাত্র ১২%  অর্থাৎ খুবই ছোট আকারের সংখ্যাগরিষ্ট

০২)  প্রাইম মিনিস্টার টেরেজা মে- মূলতঃ প্রো-রিমেইন ক্যাম্পেইন গ্রুপের, যদিও তিনি বলেছেন ব্রেক্সিট মিনস ব্রেক্সিট

০৩) পার্লামেন্টের অধিকাংশ এমপি প্রায় ৭০% সদস্য প্রো-রিমেইনের, যাদের মধ্যে ৫০% এমপি কনজারভেটিভ দলের, ( সূত্রঃ মর্গ্যান ষ্ঠ্যানলি)

০৪)  সরকার যদি তার পরিকল্পনা মোতাবেক ব্রেক্সিট করে  ২০১৮ সালে, তাহলে এর ঠিক পর পরই ২০২০ সালে সাধারণ নির্বাচন

০৫) এক মিলিয়ন ভোটার ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশ সমূহে  কাজ করেন গুরুত্বপূর্ণ পদে। এমতাবস্থায় ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধে তাদের নাগরিক স্ট্যাটাস হুমকী হেতু তারা ব্রেক্সিট বিরোধী স্বাভাবিকভাবেই ধরে নেয়া হচ্ছে।

০৬)  ব্রেক্সিট এর ফলে সিঙ্গেল মার্কেটে কম অ্যাকসেস হেতু অর্থনৈতিক মন্দা- যা দ্বিতীয় অর্ধ-বার্ষিকীতেই এর আভাস শুরু হয়েছে

০৭) অর্থনৈতিক মন্দার ঝুকি, নির্বাচনে বিরূপ প্রভাবের ঝুকি, এক মিলিয়ন ভোটারের হুমকী- এতো সব হুমকী ও ঝুকি সামনে নিয়ে কেউ কী ঝুকিকে নিজের কাঁধে নিবে- যেখানে ক্যামেরনের দৃষ্ঠান্ত সামনে রয়েছে ?

 

ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনি যা বলছে

০১) ইউরোপীয় ইউনিয়ন ব্রিটেনের সিঙ্গেল মার্কেট এবং স্পেশাল অফার ডিলের ব্যাপারে কোন আলোচনা করবেনা, যতোক্ষন ব্রিটেন আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রেক্সিট করছে, আর্টিকল ৫০ এ ট্রিগার করছে। একই সাথে সিঙ্গেল মার্কেট ডিল নির্ভর করছে ইউনিয়নের মূল থিম ফ্রি মুভম্যান্টের উপর- সেটা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে। ইতোমধ্যেই ন্যাশনালিষ্ট মুভম্যান্ট এবং এন্টি ইইউ সেন্টিম্যান্টও বৃদ্ধি পাচ্ছে সর্বত্র।

 

pa-25381788.jpg

 

০২) ইউরোপীয় ইউনিয়ন ব্রিটেনের ব্যাংকের ইইউ সিঙ্গেল মার্কেট ঢোকার অ্যাক্সেস তুলে নিবে- যা অর্থনীতির জন্য অশনী সংকেত

 

০৩) আর্টিকল ৫০  বিপরীত (উল্টো) করার ব্যবস্থা- অনেকেরই এখনো  অজানা, যেহেতু এই আইন করার পরে এখনো সেটা ব্যবহারের অভিজ্ঞতা নেই। ইউকে চাইলে আর্টিকল ৫০ ট্রিগার করেও আবার সেi আর্টিকল ৫০ ট্রিগার তুলে নিতে পারে- ব্রেক্সিট হওয়ার ঠিক আগ মুহুর্তে- যদি ব্রিটেন সেটা চায়। সেক্ষেত্রে কোন আইনী বাধা নেই বা কোন অপশন নেই যে, সেটা করা যাবেনা। সুতরাং এমন অপশন এখনো ব্রিটেনের হাতে তুরুপের তাশ হয়ে আছে ।  

 

যা আশঙ্কা করা হচ্ছে, ব্রেক্সিট হলে-

০১) ব্রেক্সিট হয়ে গেলে ব্রিটিশদের ফরেন ট্রিপ বা হলিডে যেহেতু কম হারে পাউন্ড ব্যব হ্নত হবে,  তার মানেই হলো হলিডে অধিক এক্সপেনসিভ হয়ে যাবে।

০২) ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাসের ক্ষেত্রে ইমিডিয়েট কোন পরিবর্তন সাধিত হবেনা

০৩) হাই ইনফ্লেমেশন- যেহেতু পাউন্ড ব্যবহার কম হবে, আমদানী মূল্য তখন বৃদ্ধি পাবে। দীর্ঘদিন ধরে মূল্য একই জায়গায় স্থবির থাকবে- প্রেডিক্ট করা হচ্ছে ২% বৃদ্ধি পেতে পারে মাত্র। ফুড এবং কাপড়ের ক্ষেত্রেঈ সেটা বেশী মাত্রায় প্রভাব বিস্তার করবে।

০৪) ইন্টারেস্ট রেইট বৃদ্ধি পাবে- যদিও ব্যাংক অব ইংল্যান্ড লিগ্যালি বাধ্যবাধকতা আছে ২% পর্যন্ত ধরে রাখার কিন্তু পাউন্ড মূল্য নীচের দিকে নেমে গেলে দাম বৃদ্ধির দিকে গেলে ব্যাংক ইন্টারেস্ট রেইট বৃদ্ধি করবে।ব্যবসা ও মর্গেজ পেমেন্টের ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে

০৫) ব্রেক্সিটের নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট হিসেবে রিসেশনের কথা অর্থনীতিবিদেরা আশঙ্কা করছেন। এমনকি ব্রেক্সিট আলোচনার সময়েই কোম্পানী ও বিনিয়োগকারীরা ইনভেস্টম্যান্ট ও মানি স্থানান্তরিত করছেন বা ভাবছেন।

 

 

মর্গান ষ্ট্যানলির অর্থনীতিবিদ জ্যাকোব নীল এবং মেলানি বেকার সম্প্রতি ব্রেক্সিট এবং আফটার ম্যাথ নিয়ে তাদের মতামত সম্বলিত রিপোর্ট পাবলিশ করেছেন । তাদের ফোরকাষ্টের বিজনেস ইনসাইডারে এডওয়ার্ড আরো কিছু বক্তব্য সংযোজন করেছেন। সব কিছু মিলিয়ে দেখা যায় এখনো ব্রেক্সিট নিয়ে রয়ে গেছে নানা দিক, নানা সংশয় এবং আরো ব্যাপক আলোচনা ও বিশ্লেষনের দাবী রাখে। যদিও তাদের অনেক মতের সাথে আমি কিংবা অনেকেই একমত নন বা হওয়াটাও সম্ভব নয়।

 

মোটা দাগের যে প্রশ্ন সেটা হলো,  গণতন্ত্রের সূতিকাগার হিসেবে  খ্যাত ব্রিটেনের জনগনের মতামতের ভিত্তিতে  ব্রেক্সিটের  যে ফলাফল এসেছে, সেই প্রেক্ষিতে ব্রিটেন কী এমন জনমতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাবে ? সহজেই চোখ বুঝে বলা যায় ব্রিটেনে এমন হবেনা। কিন্তু যেহেতু ব্রিটেনবাসী মাত্র অল্প সংখ্যক মার্জিনে ( 48-52%) দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে আছেন এবং গণভোটের ফলাফল ও ব্রেক্সিটের আর্টিকল ৫০ ট্রিগার এ পার্লামেন্টের অনুমোদন দরকার- গণতান্ত্রিক রীতি নীতির সুন্দরের এই চর্চায়- শেষ পর্যন্ত নাটকীয় কোন কিছু ঘটে যাওয়াও ব্যতিক্রম নয়।ব্রেক্সিট যাই বলা হউক না কেন- আমাদেরকে তার রেশ দেখতে আরো কয়েক বছর যে অপেক্ষা করতে হবে সেটা বলাই বাহুল্য।

েোতগস

 

 

 

 

 

salim932@googlemail.com

30th July 2016, London

 

The post ব্রেক্সিট এন্ড বিয়ন্ড এবং মিথ… appeared first on Website.

]]>
ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রশ্নে ক্লিয়ারের আগে ইউকে-ইউএস ট্রেড এগ্রিম্যান্ট হবেনা- মাইকেলফোরমান https://syedshahsalimahmed.com/archives/1473 https://syedshahsalimahmed.com/archives/1473#respond Mon, 25 Jul 2016 23:32:50 +0000 http://syedshahsalimahmed.com/?p=1473 সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদঃ   ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে   ব্রিটেনের সম্পর্ক পরিষ্কার করার আগে নতুন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউনাইটেড কিংডমের মধ্যে কোন ট্রেড এন্ড ইনভেষ্টম্যান্ট এগ্রিম্যান্ট হবেনা। সোমবার ব্রিটিশ সেক্রেটারি লিয়াম ফক্সের সাথে আলোচনার সময়ে ইউএস  ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ মাইকেল ফোরমান এই কথা বলেন।         মাইকেল ফোরমান  লিয়াম ফক্সের সাথে আলোচনার সময়ে […]

The post ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রশ্নে ক্লিয়ারের আগে ইউকে-ইউএস ট্রেড এগ্রিম্যান্ট হবেনা- মাইকেলফোরমান appeared first on Website.

]]>
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদঃ

 

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে   ব্রিটেনের সম্পর্ক পরিষ্কার করার আগে নতুন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউনাইটেড কিংডমের মধ্যে কোন ট্রেড এন্ড ইনভেষ্টম্যান্ট এগ্রিম্যান্ট হবেনা। সোমবার ব্রিটিশ সেক্রেটারি লিয়াম ফক্সের সাথে আলোচনার সময়ে ইউএস  ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ মাইকেল ফোরমান এই কথা বলেন।

 

 

Michael Froman met with Liam Fox on Monday

 

 

মাইকেল ফোরমান  লিয়াম ফক্সের সাথে আলোচনার সময়ে  পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে ব্রিটেনের সম্পর্ক কেমন শেইপের মাধ্যমে দাঁড়ায়, সেই বিষয়  পরিষ্কারের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে কোন ট্রেড এন্ড ইনভেষ্টম্যান্টের ব্যাপারে দ্বিপাক্ষিক কোন চুক্তিতে যাবেনা।

 

 

ব্রিটেনের সাথে ইউএসের ট্রেড এন্ড ইনভেষ্টম্যান্ট ডিল দীর্ঘ দিনের পরীক্ষিত বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ। প্রেসিডেন্ট  ওবামা জুন মাসের শেষের দিকে বলেছিলেন, ব্রেক্সিট হয়ে গেলে  ব্রিটেনের সাথে ইউএসের স্পেশাল ডিল বা এগ্রিম্যান্টের মাধ্যমে ট্রেড এন্ড ইনভেষ্টম্যান্ট ডিল হতে পারে। গণভোটের দামামা যখন চলছিলো তখন পলিটিকো রিপোর্ট করেছিলো ব্রেক্সিটের পরে ইউএস-ইউকে ভিন্ন এক পদ্ধতিতে স্পেশাল রিলেশনশিপ  মাধ্যমে হবে।

 

 

 

 

আজ লিয়াম ফক্সের সাথে আলোচনায় মাইকেল ফোরমান বলেছেন, আমেরিকা  সঠিক সময়েই ইউকের সাথে বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগের সম্পর্কের নতুন  চুক্তিতে  শুরু করতে চায় -ব্রিটেনের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্ক কেমনভাবে স্থাপিত ও সজ্ঞায়িত হয়, সেটা দেখেই  তখন আলোচনা চূড়ান্ত করতে আগ্রহী।

 

salim932@googlemail.com

25th July 2016, London

The post ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রশ্নে ক্লিয়ারের আগে ইউকে-ইউএস ট্রেড এগ্রিম্যান্ট হবেনা- মাইকেলফোরমান appeared first on Website.

]]>
https://syedshahsalimahmed.com/archives/1473/feed 0
থেরেসা মে ও ফ্র্যান্সিস হল্যান্ডের মধ্যে বৈঠকঃ ব্রেক্সিট নিয়ে তাড়াহুড়ো নেই https://syedshahsalimahmed.com/archives/1454 https://syedshahsalimahmed.com/archives/1454#respond Thu, 21 Jul 2016 23:23:35 +0000 http://syedshahsalimahmed.com/?p=1454 সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদঃ লন্ডন থেকে-   ব্রিটিশ প্রাইম মিনিস্টার টেরেজা মে তার বার্লিন সফর শেষে ঝটিকা সফরে ফ্রান্স গেলেন। সেখানে তিনি ফ্র্যান্সের কাউন্টার পার্ট ফ্র্যান্সিস হল্যান্ডের সাথে বৈঠকে মিলিত হন। জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের সাথে বই  উপহার কূটনীতি দিয়ে দ্যুতিয়ালি ও বন্ধুত্বের বার্তা দিয়ে টেরেজা মে এবার ফ্র্যান্সিস হল্যান্ডকে ক্লিয়ার ম্যাসেজ দিলেন। সফরের পূর্বে […]

The post থেরেসা মে ও ফ্র্যান্সিস হল্যান্ডের মধ্যে বৈঠকঃ ব্রেক্সিট নিয়ে তাড়াহুড়ো নেই appeared first on Website.

]]>
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদঃ লন্ডন থেকে-

 

ব্রিটিশ প্রাইম মিনিস্টার টেরেজা মে তার বার্লিন সফর শেষে ঝটিকা সফরে ফ্রান্স গেলেন। সেখানে তিনি ফ্র্যান্সের কাউন্টার পার্ট ফ্র্যান্সিস হল্যান্ডের সাথে বৈঠকে মিলিত হন। জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের সাথে বই  উপহার কূটনীতি দিয়ে দ্যুতিয়ালি ও বন্ধুত্বের বার্তা দিয়ে টেরেজা মে এবার ফ্র্যান্সিস হল্যান্ডকে ক্লিয়ার ম্যাসেজ দিলেন। সফরের পূর্বে ব্রিটেন ও ইউরোপের মধ্যে যে টেনশন চলছিলো, মে`র ঝটিকা সফরের মধ্য দিয়ে যেন সেই টেনশনে শীতল বাতাস বইতে শুরু করেছে।

 

বার্লিন থেকে বিকেল বেলা ফ্র্যান্স পৌছলে ফ্র্যান্সিদ হল্যান্ড তাকে  উষ্ণ সম্বর্ধনা জানান। দুনেতা এসময় করমর্দনও করেন।

 

May_arrival

 

থেরেসা মে ও হল্যান্ড বৈঠকের পর প্রেসের সামনে কথা বলেন। প্রেসের সামনে কথা বলার সময় থেরেসা মে বলেন, ব্রেক্সিটের জন্য আর্লটিক ৫০ এ ট্রিগার চাপার জন্যে ব্রিটেনের খুব তাড়াহুড়ো নেই। এ জন্য সময় দরকার।   থেরেসা মে`র বক্তব্যের আগে হল্যান্ড জানিয়েছিলেন মিসেস মে আজই  আর্টিকল ৫০ এ ট্রিগারে চাপ দেবেননা। যদিও চান আলোচনা শীগ্র শুরু হউক।

 

 

Ms May stressed that the UK remains

 

থেরেসা মে সাংবাদিকদের জানান ফ্র্যান্সিস হল্যান্ডের সাথে তার আলোচনা  এক্সিল্যান্ট এবং ভেরি ওপেন ডিসকাশন হয়েছে। তবে সেজন্যে আরো অনেক কাজ করতে হবে বলে জানান।

 

 

Live updates: Theresa May on first foreign trip as Prime Minister

 

 

salim932@googlemail.com

21st July 2016, London

The post থেরেসা মে ও ফ্র্যান্সিস হল্যান্ডের মধ্যে বৈঠকঃ ব্রেক্সিট নিয়ে তাড়াহুড়ো নেই appeared first on Website.

]]>
https://syedshahsalimahmed.com/archives/1454/feed 0
আমি বিশ্বাস করিনা ইইউ নাগরিকদের ইউকে ত্যাগ করতে হবে- অ্যাম্বার রুড https://syedshahsalimahmed.com/archives/1441 https://syedshahsalimahmed.com/archives/1441#respond Tue, 19 Jul 2016 21:48:55 +0000 http://syedshahsalimahmed.com/?p=1441 সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদঃ নতুন ব্রিটিশ হোম সেক্রেটারি অ্যাম্বার রূড বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেননা যে, ইউরোপীয় নাগরিক যারা ব্রিটেনে বসবাস করছেন, তাদেরকে ব্রিটেন ত্যাগ করতে হবে। তার আগে আমাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে এই কন্টিনেন্টে যে সব ব্রিটিশ নাগরিক আছেন, তাদের অধিকার আগে নিশ্চিত করেই তারপর আমাদেরকে এই বিষয়ে নিশ্চিত করতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন। […]

The post আমি বিশ্বাস করিনা ইইউ নাগরিকদের ইউকে ত্যাগ করতে হবে- অ্যাম্বার রুড appeared first on Website.

]]>
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদঃ

Amber rudd

নতুন ব্রিটিশ হোম সেক্রেটারি অ্যাম্বার রূড বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেননা যে, ইউরোপীয় নাগরিক যারা ব্রিটেনে বসবাস করছেন, তাদেরকে ব্রিটেন ত্যাগ করতে হবে। তার আগে আমাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে এই কন্টিনেন্টে যে সব ব্রিটিশ নাগরিক আছেন, তাদের অধিকার আগে নিশ্চিত করেই তারপর আমাদেরকে এই বিষয়ে নিশ্চিত করতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।

 

 

আইটিভি নিউজের সাথে এক টেলিভিশন সাক্ষাতকারে হোম সেক্রেটারি অ্যাম্বার রূড আরো বলেন,  আমরা আশান্বিত  করতে পারি ইউরোপীয় নাগরিকদের ব্রিটেন ত্যাগ করতে হবে না ব্রিটেন আনুষ্ঠানিকভাবে  ইউরোপ ত্যাগের পর। তবে এই বিষয়টি এখনো আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে।

 

 

হোম সেক্রেটারির এমন মন্তব্য এমন সময়ে এলো, যখন সরকার এনএইচএসের বিদেশী স্টাফদের ব্রেক্সিটের পরে চাকুরী নিশ্চিতের ব্যাপারে চাপের মধ্যে রয়েছে বলে খবরে প্রকাশিত হয়েছে।

 

 

stevens

 

এনএইচএসের চীফ এক্সিকিউটিভ সায়মন  স্টিভেন্স প্রাইম মিনিস্টার টেরিজা মে র প্রতি আহবান জানিয়েছেন এনএইচএস কে ইন্সটিটিউশনি সংস্কার করার এবং সেই সাথে হাসপাতাল ও সার্জারিতে কর্মরত সকল বিদেশী স্টাফদের চাকুরী নিশ্চিতের গ্যারান্টি -ব্রেক্সিটের পরে যেন থাকে।

 

 

আইটিভির নিউজ ন্যাশনাল এডিটর অ্যালেগ্রা স্ট্র্যাটন অ্যাম্বার রুড কে সরাসরি এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে হোম সেক্রেটারি  জবাবে বলেন, পুরো বিষয়টি  এখনো আলোচনা ও নেগোসিয়েশনের  পর্যায়ে আছে। এটা বলা ঠিক নয় যে, আমরা এখনি ইউরোপ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছি। আমাদেরকে ব্রিটিশ ন্যাশনাল যারা ইউরোপে আছেন, তাদের রাইটস এবং অধিকার আগে নিশ্চিত করার নেগোসিয়েশন করতে হবে, যারা ব্রিটেন বসবাস করছেন, আমি মনে করিনা, তাদের অধিকার ব্রিটেন তুলে নিবে, ব্রেক্সিটের পরে। অ্যাম্বার রুডের মন্তব্যের পুরো বক্তব্যটি হুবহু নিম্নরূপ-

 

Rudd and Welby

 

In terms of  plea to reassure EU workers , home secretary said-

“I think the prime minister has been very clear on this. We would like to do that, we intend to do that as part of the negotiations but it would be a mistake to go straight out and say that now because UK nationals in the rest of Europe must also be our priority.

For now it’s a discussion, I think he needs to be part of that discussion and we do need to make sure that we do give them that security that they want but we can’t do that just yet.”

I don’t believe they will ever have to leave. What we have to make sure is that there is an arrangement down whereby our UK nationals are also secure abroad.

– AMBER RUDD, HOME SECRETARY

আর্চ বিশপ ক্যান্টারব্যারিতে রিফিউজি আশ্রয় দেয়া শুরু-

palace
মঙ্গলবার থেকেই ঐতিহাসিক ল্যাম্ব্যাথ হাউসে আর্চ বিশপ অব ক্যান্টারব্যারির তত্বাবধানে শরণার্থীদের থাকার ব্যবস্থা চালু হয়েছে। সরকার চার্চ,  চ্যারিটিজ, ফেইথ গ্রুপ, বিসনেস  ইত্যাদির মাধ্যমে  স্পনসরশিপ ব্যবস্থা চালু করেছে সিরিয় শরণার্থীদের- যারা ব্রিটেনে পূণর্বাসন হতে চান, তাদের জন্যে।
video link-
https://www.youtube.com/watch?v=E-hvMO4eOMU
ল্যামব্যাথ প্যালেসই হলও এক্ষেত্রে প্রথম আয়োজন- বিগত ১০ মাসের পরিকল্পনার ফলে যা বাস্তবে শুরু হলো।
 salim932@googlemail.com
19th July 2016, London

 

The post আমি বিশ্বাস করিনা ইইউ নাগরিকদের ইউকে ত্যাগ করতে হবে- অ্যাম্বার রুড appeared first on Website.

]]>
https://syedshahsalimahmed.com/archives/1441/feed 0