সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদঃ এবারের সারা বিশ্বের আকর্ষন বিশেষ করে গোটা লন্ডনবাসীর মধ্যে এক ধরনের টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে- কে হচ্ছেন লন্ডনের মেয়র। প্রধান দুই পার্টি- ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ থেকে এমন এক প্রার্থীকে মনোনীত করা হয়েছে, যিনি যেকোন নেগেটিভ পরিস্থিতিতে নিজের দিকে নিয়ে নিয়ন্ত্রণ করে জনমতের কাছে প্রভাবিত করার অসাধারণ এক ক্ষমতার অধিকারী জ্যাক গোল্ড স্মীথ। যেখানে হার- সেখান থেকে এই হারাকে সঙ্গি করে সামনে এগিয়ে নেয়ার দুর্লভ এক ক্ষমতার অধিকারী কনজারভেটিভের জ্যাক গোল্ড স্মীথ। তার বিপরীতে আছেন লেবার দলের পক্ষে সাদিক খান। তিনিও একেবারে শূন্য থেকে রাজনীতির কারিগর হিসেবে নিজের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা আর ক্যারিশম্যাটিক রাজনৈতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন পাদপ্রদীপের আলোয় আলোকিত।এই দুই প্রার্থীর মধ্যে এবারের মেয়র নির্বাচনে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি সন্দেহ নাই। দুজনই অত্যন্ত শক্তিশালী প্রতিদ্বন্ধি।
গতকাল প্রকাশিত প্রথম রাউন্ডের জনমত জরিপে দেখা গেছে, এই দুই প্রার্থীর মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্ধিতা। একে অন্যের সাথে হাডাহাড্ডি লড়াই। ইউগভের এই প্রথম রাউন্ডের জরিপে সাদিক খান ২৯ পার্সেন্ট, আর জ্যাক গোল্ড স্মীথ ২৮ পার্সেন্ট- মাত্র ১ পার্সেন্ট ব্যবধান।এখনো নির্বাচনের অনেক সময় বাকী। এই সময়ের ভিতরে জনমত জরিপ যে অনেক পরিবির্তীত হয়ে যাবে সন্দেহ নাই।
এই জরিপের ৪৪ পার্সেন্ট লন্ডনার এখনো নিশ্চিত নন কাকে ভোট দিবেন। এটাও একটা বিরাট ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে আগামীতে।
এই দুই প্রার্থীর মধ্যে ভালো এবং সংকটকালীন মোকাবেলার প্রশ্নে টুটেনহ্যামে সাদিক খান ২৭ পার্সেন্ট, আর রিচমন্ড পার্কে গোল্ড স্মীথ ২৬ পার্সেন্ট অবস্থানে আছেন।
ভোটারদের মধ্যে ৩৯ পার্সেন্ট মনে করেন লন্ডনের মেয়র পদে লেবারের প্রার্থীর জয়ী হওয়া প্রয়োজন, পক্ষান্তরে ৩৮ পার্সেন্ট মনে করেন টোরিদের দরকার।
ইউগভ এর এডিটর ইন চীফ ফ্রেডি বলেন,এখনো নির্বাচনের আরো অনেক সময় বাকী। তাই এটা অসম্ভব এই রেজাল্টের উপর ভর করে নির্বাচনী প্রেডিকশন করা। তবে লড়াই যে হাডাহাড্ডি হবে সেটা বলা যায়।
আবার ১৮ থেকে ৩৯ বছর বয়সীদের মধ্যে সাদিক খানের সমর্থন ব্যাপক। অন্যদিকে এর উপরের বয়সীদের দিক থেকে ৬০ বছর বয়সী আর নেগেটিভ ভোটারদের মধ্যে জ্যাক গোল্ড স্মীথের জনপ্রিয়তা বেশী বলে পুলে জানা গেছে।
চলবে-
salim932@googlemail.com
10th October 2015