ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ, প্রকাশ্য অ্যাপলোজিতেও তোমার চেহারা দেখাও হারাম…

ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ, প্রকাশ্য অ্যাপলোজিতেও তোমার চেহারা দেখাও হারাম…

একের পর এক, বিনা উস্কানিতে, বিনা কারণে বছরের পর বছর ধরে তুমি কথায় কথায় হুমকী, ধামকী, ভীতি, এই করবে, সেই করবে, বেহায়াপনাদের মতো জঘন্য ভাষায় গালি গালাজ, যা ভাষায় প্রকাশেরও অযোগ্য-করেই চলেছ। বার বার ভাবছি হেদায়েত যেকোন সময় এসে যাবে। ভাল মন্দ বুঝার মতো ক্ষমতা হয়ত আল্লাহপাক তোমাকে দিবেন যেকোন সময়। কারণ আল্লাহর রহমত কখন যে আসবে, কেউ বলতে পারেনা। তোমার হুমকী এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌছে, আমার পরিবারকেও তুমি হুমকী দিয়ে ক্ষান্ত হওনি, সোশ্যাল মিডিয়ায় অশ্লীল ও জঘন্যভাবে তুমি এবং তোমার ত্রয়ী মিলে মিশে সম্পূর্ণ বিনা কারণে, কোন প্রকারের কারণ ব্যতিরেকে অপবাদ, অপদস্ত করে দিনের পর দিন পোষ্ট, কমেন্ট করেও ক্ষান্ত হওনি, আমার এমন কোন পরিচিত বাকী রাখনি, সব জায়গায় জন্তু জানোয়ারের মতো, বন্য প্রাণীর মতো যখন যেমন যেখানে পেরেছ অশ্লীলভাষায়, আমার ছেলের বয়সী ছোট ছোট ভাই বোনদের কাছে পোষ্ট দিয়েছ। তারপরেও কিছুই বলিনি। একেবারে নিরব থেকেছি ( অথচ আমার সাথে মিশেছিলে স্বেচ্ছায় এই ওয়াদা করে যে, কখনো আমার কোন কাজে ইন্টারফেয়ার করবেনা-বিরোধীতাতো দূরে থাকুক)  আর নিজের কপালকে দুষেছি এই বলে যে, আমি কী করে তোমার এবং তোমাদের মতো জংলীদের নিজেদের শ্রম, মেধা, সুন্দর সময়, দিনের পর দিন, ঘন্টার পর ঘন্টা বিনা পরিশ্রমে লঞ্চিং করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইম লাইটে এনে দিলাম। তোমাকেতো বনের জন্তুও চিনতোনা। আমিই তোমাদের লঞ্চিং করলাম। কখনো দীর্ঘ সময়েও একবারও ঘন্টা হিসেবে কোন পারিশ্রমিক দাবি করিনি। আসলে আমি বোকা-নাহলে বিনা পারিশ্রমিকে এই পৃথিবীতে কেউ কিছু কী করে?

ইবলিস, ফেরাউন ও গোখরাকে বেডরুমে স্থান দেয়ার গল্প

সোশ্যাল মিডিয়ায় হাজার দেড়েক লাইক আর কমেন্ট আর কয়েকহাজার সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধু পেয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান মনে করে ভাব যেন এমন যেন মহা সেলেব্রেটি হয়ে গেছ ?

 

৬ বছর ধরে তুমি যে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ব্যবহার করেছ, ৬ বছর ধরে তোমরা যে আমার প্রতিষ্ঠান নিজেদের দাবি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের পরিচয় দিয়েছ-তার হিসেব করে শুধু বেতন যদি চাই, ত্রয়ীদের সব কিছু মিলিয়েও আমার ৬ বছরের বেতনের ১০ ভাগের এক ভাগও পরিশোধ হয়না।

 

তারউপর তোমার ষড়যন্ত্রে আমার চাকরীস্থল ছেড়ে চলে আসা, ফলে সেখানকার বেতন, দীর্ঘদিনের বাঙালির একমাত্র চালু  প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার ক্ষতিপূরণ, সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাকে অপমান হেনস্থার ক্ষতিপূরণ, ৬ বছর ধরে নিজেদের একমাত্র প্রতিষ্ঠাতা দাবির মূল্য, শুধু ৬ বছরের মেইন্ট্যানান্স, রিনিউ, স্টাফের বেতন মিলিয়ে ১৫ লক্ষ টাকার উপরে, বিনিয়োগের ৭ হাজার পাউন্ডের ক্ষতিপূরণ, সব মিলিয়ে ৫০ লক্ষ টাকার উপরে ( ডিফামেশন সহ  কতো যে হবে সেটা আদালতই শুধু নির্ধারণ করতে পারে), কুঠিল ষড়যন্ত্র করে প্রবাসি বাঙালির প্রাণের প্ল্যাটফর্মকে খন্ড বিখন্ড- মানে তুমি যেখানেই গেছ সেখানেই ভাঙ্গন আর চরম অশান্তি।

 

এরপরেও তুমি হুমকী ধামকী অব্যাহত রেখেছ। থ্রেট, হেইট, ডিফামেশন-এসবগুলোই একেকটা ক্রাইম। তোমার ক্রাইম এখন লিপিবদ্ধ বিধিবদ্ধভাবেই।

 

 

৩০ মার্চ ২০২১, লন্ডন ।