একজন মুসলমান, নিজ প্রচেষ্ঠা ও সাধনায় তার চাকুরীর স্থলে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছিলেন। ফলশ্রুতিতে প্রতিষ্ঠানের যেমন জনপ্রিয়তা বাড়ে, তেমনি প্রতিষ্ঠানের সকলের কাছে হয়ে উঠেন আদরীয়। ইবলিস ভদ্র সজ্জনের রূপ ধরে বার বার যোগাযোগ করছিল, কোনভাবে কথা বলার জন্য। বছর দেড়বছর অযাচিতভাবে চেষ্ঠা করে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে মোমিনবান্দার বন্ধু ও সহকর্মীদের কনভিন্স করে কোনভাবে একদিন কথা বলতে সক্ষম হয়। পেছন থেকে ফেরাউন ও গোখরা পর্দার আড়ালে থেকে ইন্ধন যোগাচ্ছিল, যা ছিল মোমেন বান্দার অজ্ঞাত। বান্দা তার কাজ কর্ম নিয়ে সারাক্ষন ব্যস্ত। অনেকের সাথে অহেতুক ফোনে কথা বলার মত সময় তখন বান্দার ছিলনা।
সিনারিওর পেছনে ইবলিস, ফেরাউন, গোখরা পরিকল্পনা আটতে থাকে কেমন করে বান্দাকে নিজেদের আয়ত্মে নিয়ে লাইম লাইটে এসে ফায়দা হাসিল করা যায়। সেটা তাদের দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা চলতে থাকে অনবরত। অনেক টোপ ফেলা হয় বান্দার সামনে। ইবলিস এমন বেশ ধরে যেন বান্দার প্রেমে(কাজে কর্মে) পাগল প্রায় । নাছোড়বান্দার মত পৃথিবীর তাবদ ম্যজিক্যাল মুমেন্ট আর বান্দার কাজের সাথে মিলে মিশে একাকার হয়ে বান্দার সাথে শেষ মেস সম্পর্ক গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। এমন মিঠা মিঠা ব্যবহার আর জাদুকরী ব্যবস্থা বান্দার সামনে হাজির করে ইবলিস ফেরাউন গোখরা ম্যাজিকে বান্দা কাবু হয়ে যায়। বান্দা ভুলে যায় তার নিজস্ব স্বকীয়তা, নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের কাজ কর্ম। ইবলিস ফেরাউন গোখরা বান্দার সাথে সকাল দুপুর সন্ধ্যা এমনকি গভীর রাত অবধি সম্পর্ক ঝালাই করতে থাকে। বান্দার সব চাইতে নিকটজন বন্ধু সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সুশীল, স্বজন, কাছের বন্ধুদের ব্যাপারে এমন ইনিয়ে বিনিয়ে আজগুবি তথ্য হাজির করে, যা দেখে বান্দা তাজ্জব বনে যায়। এমনকি ইবলিস যাদের সাথে আজ মধুর সম্পর্ক তাদের সাথে বান্দার আগেই সম্পর্ক থাকা সত্যেও ইবলিস আজকে যেভাবে বান্দার নামে নানান ম্যাসেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় হাজির করছে, একই ধরনের ম্যাসেজ চাক্ষুস প্রমাণ হিসেবে বান্দার সামনে হাজির করে, যাতে বান্দা কনভিন্সড হয়ে যায়, বান্দার দীর্ঘদিনের বন্ধুরা খারাপ চরিত্রের লোক। তাদের প্রত্যেকের নামে খারাপ চরিত্রের সুপার কম্পোজের ম্যাজেজ ছবি বান্দাকে দেখিয়ে দূরে সরিয়ে দেয়, অথচ আজ তাদের প্রত্যেকের সাথে ইবলিসের দহরম। ইবলিসের সকল কর্ম পরিকল্পনাকে ফেরাউন গোখরা এমন নিখুতভাবে সমর্থন করে বান্দা বুঝতে অক্ষম হয়ে যায় সত্য মিথ্যা ও সাজানো গল্পের ছকের ম্যাজিক ম্যানিয়া।
ইবলিস ফেরাউন গোখরা নিজেদের চির শয়তানি পরিকল্পনা মোতাবেক বান্দাকে দীর্ঘ নয় মাস চেষ্টা করে বাধ্য করে নিজ কর্ম স্থল ছেড়ে দিতে, ইবলিস বান্দার সামনে প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক চরিত্র হননের প্রমাণ হাজির করে, যা বান্দাকে ইবলিসের প্রতি আরও সহানুভুতি সম্পন্ন করে তোলে। বান্দা বাধ্য হয়ে নিজ চাকরী ছেড়ে দিলেও ভাবতে পারেনি ইবলিস ফেরাউন গোখরা সম্মিলিতভাবে বান্দার সাধের প্রতিষ্ঠানকে ধবংস করে দিতে চায়। যার ফলে বান্দাকে কর্মস্থল থেকে ভাগিয়ে নেয়। শুধু কি তাই বান্দার স্বপ্নের ও সম্মিলিত স্বপ্নের প্ল্যাটফর্ম অংকুরেই ধবংস করার সকল ফন্দি ফিকির এমনভাবে করে, যারা এর সাথে জড়িত, উদ্যোক্তাদের সাথে সকলের সাথেই বান্দাকে করে তোলে এমন প্রতিদ্বন্ধি যা বান্দা কিছুতেই ভাবতেও পারেনি। স্বপ্নের সংগঠণের স্বপ্ন ভঙ্গের জন্যে বান্দাকে আলোচনার আড়ালে এমনভাবে আকড়িয়ে অবস্থার সৃষ্ঠি করে ছবি নিয়ে বান্দার প্রিয় বন্ধু তিনজনকে নিয়ে এমন টাটকা মস্করা করে ফ্রেমে আটকায়, যা নিয়ে বান্দাকে পরিবারের সাথে আলাদা করে দেয়ার হুমকী দিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে। ইবলিসের সাথে ফেরাউন গোখরা একই তালে বান্দাকে নাচাতে থাকে। ঠিক সেসময়েই মোক্ষম অফার উপস্থাপন করে ইবলিস- ইবলিস ফেরাউন গোখরাকে নিয়ে নতুন মিডিয়া করাই লাগবে, যেখানে স্থান হবেনা প্রতিষ্ঠানের(চাকরী স্থলের) কারও, নাহলে বান্দার পরিবার ধবংস করে দিবে। কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। ইবলিস ফেরাউন গোখরার সুদূঢ় পরিকল্পনায় বান্দাকে ভাগিয়ে বান্দার কর্মস্থলের স্বকীয় ও স্বমহিমায় উজ্জ্বল প্রতিষ্ঠানটিও ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যায়। ইবলিস ফেরাউন গোখরা একটিবারও ভাবলনা এত সুব্দর একটি প্রতিষ্ঠানকে তারা নিষ্টুর কায়দায় ভেঙ্গে চুরমার করে দিল। বান্দা তখন আফসোস করতে থাকে। পেছনে সেলুলয়েডে সব যখন ফিরে দেখে তখন অবাক হয়ে যায়, সতীর্থ বন্ধুদের সাংবাদিকের চরিত্রের সাজানো মিথ্যা গল্প এমনভাবে সাজিয়ে বান্দাকে বন্ধুদের থেকে আলাদা করে কিভাবে, একে একে অন্যদের থেকে বান্দাকে বিচ্ছিন্ন করে নিজেদের ছকে। বান্দা তখন অবাক হয়, যখন ফিরে দেখে বান্দা এমনভাবে ইবলিস ফেরাউন ও গোখরাকে আস্থায় নেয়, পরিবারকে সরিয়ে নিজ বেডরুমে ইবলিস ফেরাউন গোখরাকে জায়গা দেয়, যার ফলশ্রুতিতে আল্লাহর দরবার কেঁপে উঠে। ইবলিস ফেরাউন গোখরা বিদায়ের পর পরই পুরো বাসা আগুনে ও ফ্ল্যাডে ভর্তি হয়ে যায়- অবর্ণনীয় কষ্ঠের মধ্যে পতিত হওয়ার ঘটনা মনে করে আঁতকে উঠে বান্দা। হায় হায় একি করেছে বান্দা। আল্লাহপাককে নারাজ করে ফেলেছে। পশ্চিম দিকে সেজদা দেয়না, আল্লাহ রাসুলের ঘোরতর বিরোধীদের কেমন করে নিজ আস্থানায় স্থান দিল? বান্দা যেখানে যার সাথে যায়, সেখানেই ইবলিস হাজির হয়ে যেত, বান্দা ভেবেও পায়না কি করে সম্ভব, যার কাছে যায়, তাকেই খারাপ বলে । এমনভাবে ইনিয়ে বিনিয়ে বান্দাকে সেখান থেকে সরাতো যা ছিল কল্পনারও অতীত। ইবলিস বলে ফেরাউন গোখরা জীবনেও মসজিদে কিংবা জুময়ায় যায়নি, ইবলিস বলে নিজেও জীবনে সেজদা করেনি। বান্দা বুঝালে ইবলিস ফেরাউন ও গোখরাকে পরামর্শ দেয় বান্দার সাথে জুময়া মসজিদে যেতে। ফেরাউন গোখরা মসজিদে জুময়া পড়ে বলে খুব শান্তি লাগতেছে। ইবলিসকে বললাম, নিজেও নামায পড়ে দেখ শান্তি পেয়ে যাবে। আর সেটাই ছিল বান্দার শ্রেষ্ঠ ভুল। ইবলিস উঠে পরে লেগেছিল বান্দাকে কিভাবে ফতুর করে বুঝিয়ে দেয়া যায়… ।
বান্দাকে ইনিয়ে বিনিয়ে বই প্রকাশক হিসেবে ইবলিস ফেরাউন গোখরা নাম ব্যবহার করে প্রকাশের পরে বান্দার কাধে প্রকাশনার পুরো খরচ চাপিয়ে দিয়ে মড়ার উপর খাড়ার ঘা দিয়ে বসে।
বান্দা নিজের মেধা শ্রম দিয়ে মিডিয়া গড়ে তোলে। ইবলিস ফেরাউন গোখরার সাজানো ছকে অসহায়ের মতো মেনে নিয়ে মিডিয়া খুললেও ইবলিস ফেরাউন গোখরা বান্দাকে দেয়া সব ওয়াদা বেমালুম ভুলে যায়। বান্দা যখন সর্বোচ্চ বৃহত এবং সর্বশেষ প্রযুক্তি নিয়ে বিশাল প্রজেক্ট দাড় করিয়ে দেয়-বিল পরিশোধের সময় ইবলিস ১০০, ফেরাউন ১৮০ (বহু পরে), গোখরা ১০০ দেয়। পরবর্তীতে খয়রাতি সাহায্য হিসেবে ইবলিস ১০০ ( ইবলিস বলে সাহায্য করলাম) আর গোখরা ১০০ দেয়। অথচ বান্দার বিল তখন বাকী ৭ লক্ষ টাকা, যদিও বলেছিল টাকা পয়সার অভাব হবেনা (ইবলিস বলেছিল ২ হাজার, ফেরাউন ২ হাজার, গোখরা ২ হাজার- কথা রাখলে এভাবেই হয়ে যেত)। দুসপ্তাহের মধ্যে না দিলে পুরো মিডিয়া ক্লোজ, যার প্রমাণ আরবদেশের বন্ধু পেয়ে যান, মিডিয়া বন্ধ কেন ম্যাসেজ করেছিলেন। বান্দা তখন কর্জ ও ধার দেনা করে ৭ লক্ষ টাকা পরিশোধ করে চালু রাখে। ইবলিস ফেরাউন গোখরা বান্দাকে চাপে রাখে চালু রাখার। নাছোড় বান্দারমতো জোর করে বান্দা না করা সত্যেও পার্টি করে, বান্দার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্বজনকে টেকনোলজি প্রদান করে। ফের বান্দাকে বাধ্য করে বিল দিতে। বান্দা তখন দেউলিয়া-৭ লক্ষ টাকা দেনার দায় তখন হয়ে যায় ১২ লক্ষ টাকা। বান্দা তখন চিন্তায় অস্থির ও পাগল প্রায়। ধার দেনা করে এদিক সেদিক থেকে কোনভাবে চালিয়ে নিচ্ছে। কারণ ইবলিস ফেরাউন গোখরা বান্দাকে জীবনের হুমকী, পরিবারকে হুমকী দিয়েছে। রাত নেই দিন নেই এমনকি রাত ৩-৪টা ভোর রাতেও ফোন ম্যাসেজ পাঠায়। বান্দাকে, বান্দার পরিবারকে হুমকী দিতেই থাকে। ৬ বছর এভাবেই করতেছে ইবলিস।
বান্দা ভাবে আল্লাহ পথ করে দিবেন, একদিন ইবলিস ফেরাউন গোখরাকে হেদায়েত করে দিবেন। বান্দা উপায়ান্তর না দেখে শুরুর পর থেকে পরবর্তীতে সব কিছু কোন পয়সা ছাড়াই নেয়ার জন্য অনুনয় বিনয় করতে থাকে, তবুও এ ঝামেলা থেকে মুক্তি চায় বান্দা। কিন্তু ইবলিস ফেরাউন গোখরা বিনে পয়সায়ও নিতে রাজী হয়নি। বার বার ইবলিসের হুমকী ধামকী এবং জন্তু জানোয়ারের মতো অসভ্য ব্যবহারের বিপরীতে সব কিছু দিয়েও নিস্তার চায়। কিন্তু ইবলিস ফেরাউন গোখরা কেউ রাজী নয়, খালি হুমকী আর চাপ দেয় চালিয়ে দেয়ার জন্য। শুধু কি তাই হঠাত করে মিডিয়া থেকে মিডিয়া পেইজ উধাও করে দেয়া, গ্রুপ থেকে ৩২ হাজার মেম্বার ইবলিস তার এক প্রবাস বিদেশি টেকনোলজি এক্সপার্ট বন্ধুদের সাহায্যে সরিয়ে নিয়ে নিজের ক্যারিশমা জাহির করার জন্য খন্ড বিখন্ড হয়ে যাওয়া গ্রুপে নিয়ে যাওয়া-আর মাত্র ১ দিন সময় পেলে পুরো গ্রুপ মিডিয়া পেইজের মতো উধাও করে দিত। বান্দাকে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ৬ মাস সরিয়ে রাখে, কোনভাবে অ্যাক্সেস বন্ধ করে দেয়। এমনি অসহ্য যন্ত্রণা্য তারউপর বান্দা দেনার দায়ে অস্থির হয়ে, প্রতি বছর রিনিউ করতে ৫০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়, প্রতি বছর একাউন্টস জমা দিতে ৮০ পাউন্ড চলে যায়, তার উপর প্রতি মাসেই সাইটে মেইনটেনান্স বাবদ ১০ হাজার টাকা আর দুজন স্টাফের বেতন ১২ হাজার করে করে দেনার দায় বান্দার বেড়েই চলে। ৬ বছরের মধ্যে বান্দা নিজের পরিশ্রমের একটি টাকাও পায়নি, অথচ ইবলিস ফেরাউন গোখরা স্বপ্ন দেখিয়েছিল বান্দাকে ১২০০ পাউন্ড করে প্রতি মাসে দিবে। বান্দা যখন পূর্ণ দেনার দায়ে ঢুবে যায়, দিশেহারা, দেশে বিদেশে কোথাও মুখ দেখাতে পারছেনা এই দেনার দায়ে-বান্দা তখন উপায়ান্তর না দেখে সব লস সব কষ্ট মেনে নিয়ে একেবারে এর হাল ছেড়ে দেয়। চিরতরে এটা শেষ হয়ে যায়, ইবলিস ফেরাউন গোখরা জানে এটা শেষ । ইবলিস ফেরাউন গোখরা তখন হাসে। একটিবার সহানুভুতিও দেখায়নি। বান্দাকে খোজ নেয়াতো দূরে থাকুক, এটা আছে কি নেই আর কোন খবর পর্যন্ত করেনি। কিন্তু নীলক্ষেত থেকে ঠিকই নামে বেনামে ম্যাসেজ ক্রিয়েট করতে থাকে।যার প্রয়োগ এখন দেশে বিদেশে সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব ব্যবহার করছে দারুনভাবে। বান্দাতো আর ইবলিস ফেরাউন গোখর শ্রেণীর মতো না। তাদের মতো ভিডিও অডিও যদি বান্দা প্রকাশ করে, তাতে বান্দার ক্রেডিট হয়তো ঠিক থাকবে লোকজনের কাছে, কিন্তু বান্দা ভাবে ইবলিস ফেরাউন আর গোখরার সাথে বান্দার পার্থক্য তাহলে থাকে কই ? বান্দার মাওলাতো কারো গোণাহ গোপণ রাখলে কেয়ামতে বান্দাকে সেভাবে পুরষ্কারের অঙ্গীকার করেছেন। সেই ভয়ে বান্দা একা রুমে , বাজারী চিৎকার, বান্দার বন্ধুদের নিয়ে গল্প কাহিনীর ভিডিও অডিও কাউকে দেয়নি। জানায়নি। বান্দার হাজারও ক্ষতি করলেও বান্দা সবার সমান প্রাইভেসিতে বিশ্বাস করে। বান্দার পারিবারিক এবং মাওলার এটাই শিক্ষা। বান্দা ভাবে ইবলিস ফেরাউন গোখরার একশন, ব্যবহার, শব্দ চয়ন, অশ্লীল হুমকী, জন্তু জানোয়ারের মতো ব্যবহারই বলে দেয় পরিচয়।সুতরাং দরকার কি প্রতিবাদ। এতেতো ইবলিস ফেরাউন গোখরা আরো আসকারা পেয়ে যাবে।
এর আগে বান্দা যেখানে চাকরী করতো, সেই প্রতিষ্ঠানের (এবং বান্দার ও আরো ২ জনের) কর্ণধারের মুঠোফোন প্রোগামে যখন হারিয়ে যায় তখন, হলভর্তি শোরগোল হলেও ইবলিস ফেরাউন সটকে পরে। বান্দা তখন ঘুনাক্ষরেও ভাবতে পারেনি। পরবরর্তীতে ফেরাউন ও গোখরার আলাপে বান্দা বুঝে গিয়েছিল, টেকনোলজি ক্লোন করার জন্য ইবলিস কি না করতে পারে, যার প্রমাণ আজ হাড়ে হাড়ে বান্দা তার নিজের জীবনের সবচাইতে মূল্যবান সময় মেধা শ্রম সব দিয়ে রেপুটেশনের উপর দাও লাগিয়ে উপলব্ধি করছে ইবলিসকে আল্লাহপাক কেন বিতাড়িত করেছিলেন, আর সে তখন ওয়াদা আদায় করেছিল বান্দার রগে রগে বিচরণ করে বিভ্রান্ত করার ও বিপথগামী করার। ইবলিসতো আজও সব জায়গায় সব স্থানে-বান্দা যখন বুঝতে পারে তখন সময় এবং সব কিছু বান্দার কাছ থেকে হারিয়ে যায়। ইবলিস ক্লোনের আশ্রয় নিয়ে অনুষ্ঠানের মেজবান হয়ে যায়-যা দেখে বান্দা তাজ্জব বনে যায় আর ভাবে মুখ লুকাবে কোথায়। কিভাবে খোলাসা করবে যে পাঠায়নি।
সব কিছু লস করে বান্দা যখন পাগল প্রায়, তখন যে আইটি এক্সপার্টরা বান্দার কাছে পাওনাদার, তারাই কিছু পয়সা পাওয়ার পর যখন বুঝতে পারল ধীরে ধীরে সব প্রাপ্যই পাবেন, তখন তারাই নতুন করে বান্দাকে দাড় করিয়ে দেন। বান্দা তখন ভাবল এটাই বোধ হয় আল্লাহর ফায়সালা এবং রহমত। কিন্তু সেটা ক্ষণকালিন সময়ের জন্য। কারণ প্রতি ৩ মাস অন্তর অন্তর রিনিউ আর ৬ মাস অন্তর অন্তর নতুন করে ডিজাইন করতে হয়-বাধ্যতামূলক। খরচ কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য। এমনিভাবে বান্দা যখন ফের নিজের চেষ্ঠায়, বন্ধু, সম্পূর্ণ এককভাবে এবং আল্লাহর অপরিসীম দয়ায় ও রহমতে নতুন করে দাঁড়িয়ে যায়, দীর্ঘ ৩ বছর পর হঠাত করে ফের ইবলিস ফেরাউন গোখরা নিজেদের সব কিছু, নিজেরাই এটা করেছে এমন আজগুবি দাবি নিয়ে হাজির হয়। ইবলিস ফেরাউন গোখরা এখানেই থেমে থাকেনি বান্দার পরিবারকে হুমকী দেয়, বান্দাকে দেখে নিবে, ছাড়বে, উড়িয়ে ফেলবে, মুখোশ খুলে দিবে, সবাইকে আত্মীয় স্বজনকে বন্ধু বান্ধবকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সর্বত্র এমনকি মেরে ফেলার হুমকী দেয়। অশালিন অশ্লীল অসভ্য জন্ত জানোয়ারের ভাষায় হুমকী দেয়। বান্দা কোন কিছুকেই তোয়াক্কা না করে, ইবলিস ফেরাউন গোখরার কোন কথার ঘুণাক্ষরেও জবাব দেয়ার প্রয়োজন মনে করেনি। কোন প্রতিবাদ দূরে থাকুক। কারণ বান্দা জানে যা তাদের না সেটা নিয়ে বান্দা কেন উদবেগ প্রকাশ করবে। ইবলিস ফেরাউন গোখরার ষড়যন্ত্রে বান্দা দেউলিয়া হয়ে সব কিছু নিঃস্ব হয়ে নতুন করে ফের এসেছে। ইবলিস ফেরাউন গোখরা সহ্য করবে কি করে। বান্দা কি করে দাড়িয়েছে, ইবলিস ফেরাউন গোখরা জানবে কি করে। কারণ এ যে বান্দা আর মাওলার সরাসরি ব্যবস্থা। ইবলিস ফেরাউন গোখরা যত পরিকল্পনা করুক, বান্দাকে যত হেনস্থা করুক, বান্দাতো সবরে জামিলের পরীক্ষায় অবতীর্ণ-মাওলার পরিকল্পণাতো সবার উপরে। কোরআন বলছে, ‘লাইছা লাহু মোলতানুল আলাল মোখলেছিনা’ অর্থাৎ আমার খালেস বান্দার ওপরে সে জয়ী হতে পারবে না।
বান্দাভাবে টেকনোলজির অপব্যবহার, জালিয়াতি, প্রতিষ্ঠান ধবংস, ক্লোন, ডিফামেশন এর জন্য সংশ্লিষ্ট এজেন্সির দ্বারস্থ হবে। তবে বান্দা তার মাওলার সাহায্য আর নির্দেশনার অপেক্ষায়। গম্বুজে খাজানা আর গাওসে পাক থেকে ইশারা আসবে ডিফামেশনের জন্য, ৬ বছরের বেতন ( ২০১৬ সালেই যা বন্ধ হয়ে যায়, একেবারে বাতিল হয়ে যায়, তার উপর অনৈতিক এবং প্রজেক্ট বিরোধী কর্মকান্ড আর অশ্লীলভাবে আক্রমণ করার দায়ে ১৮/০৩/২০১৬ রেজ্যুলোশন অনুযায়ী আপনা আপনিই সদস্যপদ যাদের বাতিল-যা কোনভাবেই অ্যাপিল বা চ্যালেঞ্জযোগ্য নয়-৬ বছর পর বান্দার নিজের মিডিয়া এখন দখল করার দাবি করে- প্রজেক্ট বাতিল না হলে অন্ততঃ বিক্রি করে অল্প কিছু বেতনের টাকাও এডজাস্ট করা যেত), আমার পরিবারের বিনিয়োগের ১৫ লক্ষ টাকা, ৬ বছরের মেইনট্যান্যান্স, ৭ বছরের আমার নিশ্চিত অফিস জবের ক্ষতিপূরণ, স্টাফ বেতন, সোশ্যাল মিডিয়ায় হেরাসম্যান্ট, ৬ বছর ধরে মেন্টাল টর্চার সবই – স্যমুয়েলস সব রেডি করলেও বান্দা অপেক্ষায় বিশ্বাসি। মাওলা কখন কাকে হেদায়েত করেন সেটা মাওলাই ভালো জানেন।
“ইবলিস শয়তানের ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও প্রতারণার প্রথম শিকার হয়েছিলেন প্রথম মানবমানবী আদম-হাওয়া। অহংকারের পরিণতিতে সম্মানিত আজাজিল পরিণত হয় ইবলিস শয়তানে এবং বিতাড়িত হয়। অভিশপ্ত হয়। আরও বহু ঘৃণ্য ও নিকৃষ্ট উপাধি লাভ করে। শয়তানের আসল নাম ছিল আজাজিল। তার ভাগ্যে জোটে স্থায়ী লানত-অভিশাপ। আজাজিল হতে ইবলিসে পরিণত হলে তার আকার-অবয়ব এমনভাবে বিকৃত হয় যে, কোনো লোক তাকে দেখলে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। তার জান্নাতে প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে। ইবলিসে পরিণত হয়ে সে কত বড় ঘৃণ্য-পাপিষ্ট হয়ে যায় যে, বহু ধরনের শাস্তি তাকে ভোগ করতে হবে এবং সে জাহান্নামিদের খতিব হিসেবে স্থানলাভ করবে। ইবলিস শুরু থেকে বনি আদমকে গোমরাহ করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। নবীদেরকেও সে ধোঁকা দেয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করেছে। সে নমরূদ, ফেরাউন, বনি ইসরাইলকে বিভ্রান্ত করে এবং বিভ্রান্ত হয়ে তারা ধ্বংস হয়।
ইবলিস হজরত ঈসা (আ.)-কে ধোঁকা দেয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করে নাসারা-খিস্ট্রানদের কীভাবে গোমরাহ করে সে কাহিনীটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বর্ণিত আছে যে, একদিন ইবলিস হজরত ঈসা (আ.)-কে বলেন, আপনি মৃত ব্যক্তিদের জীবিত করার এবং অন্ধ-কুষ্ঠদের দৃষ্টিশক্তি দান ও সুস্থ করতে সক্ষম, খোদায়ী দাবি কেন করেন না? আমার সৈন্যরা এ ব্যাপারে আপনাকে সাহায্য করতে প্রস্তুত। ঈসা (আ.) বলেন, এসব মোজেযা বা অলৌকিক ঘটনা আমার এখতিয়ারভুক্ত নয়, আল্লাহর কুদরতের কারিশমা। তুই আমার কাছ থেকে দূর হয়ে যা, আমাকে গোমরাহ করতে এসেছিস। ইবলিস বলে, ঠিক আছে, আপনি আমার পরামর্শ গ্রহণ করছেন না তাতে আমার অসুবিধা নেই, আপনার কারণে আমি আপনার উম্মতকে গোমরাহ করে ছাড়ব, এসব লোকের মাধ্যমে আপনাকে আল্লাহর পুত্র, আপনার মাতাকে আল্লাহর স্ত্রী (নাউজুবিল্লাহ) এবং আপনাকে শূলীতে চড়াব”(আল-বাছায়ের, মাও আব্দুল হাই সুরতী)।
রেফারেন্স-
- পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতের শানে নুযূল
- বোখারি শরীফ, তিরমিয শরীফ, মুসলিম শরীফের হাদীসের অনুকরনে
- লেজিসলেসন ডট গভ ডট ইউকে
- ডিফামেশন অ্যাক্ট ২০১৩
- আল-বাছায়ের
Pingback: হুমায়ুন থেকে মুশতাক অতঃপর
Pingback: বঙ্গবন্ধুর ভাবনা, নারী দিবস, আমার দেখা নয়াচীন এবং প্রাসঙ্গিকতা
Pingback: ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ, প্রকাশ্য অ্যাপলোজিতেও তোমার চেহারা দেখাও হারাম… – Website