সম্প্রতি ওয়াশিংটন সফরে ডঃ মোহাম্মদ ইউনুসের সাথে মার্কিন কর্তাব্যক্তিদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক নিয়ে রাজনীতির অন্ধর মহলে নানা কথা, নানা গন্ধ ছড়াচ্ছে, অনেক কৌতুহলের জন্ম দিয়েছে। ইউনুস একজন সম্মানিত ও বিশ্ববরেন্য ব্যক্তিত্ব, খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ, সারা বিশ্বের বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও রাষ্ট্রীয় সভায় অর্থনীতি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে নানা বক্তব্য দিয়ে বেড়ান। এহেনও এক সম্মানিত ব্যক্তির সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পদস্থ কর্তাব্যক্তিরা দেখা-সাক্ষাত করতেই পারেন। এতে খারাপ কিছুই নেই।
তবে বৈঠকটি যখন হয়, বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যূর সংকটকালিন সময়ে, যখন হেফাজতে ইসলাম, জামায়াতে ইসলামী এবং বিএনপি ঈদের পরে ব্যাপক আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে বসে, আওয়ামীলীগের একের পর এক ভরাডুবির প্রেক্ষিতে আগামী নির্বাচন নিয়ে শংকা ও দোদ্যল্যমনতা, সেই সাথে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক জিয়া যখন সক্রিয় হয়ে উঠেন, বিএনপি তথা আগামী রাজনীতি নিয়ন্ত্রকের কলকাঠি নেড়ে নিজের জানান দিয়ে দেন,যুদ্ধাপরাধী বিচারের রায়ের ট্র্যাম্প কার্ড যখন হাসিনার তুরুপের তাস হিসেবে হাতের মধ্যে রয়ে যায়, ঠিক তখনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সেক্রেটারি রবার্ট ও ব্লেক, অর্থনীতি ও বাণিজ্য বিষয়ক সেক্রেটারি হোসে ফার্নান্দেজ, রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ওয়েন্ডি শ্যারমেন এর সাথে যখন রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন, আর সেই বৈঠকের ব্যাপারটি মার্কিনীরা তাদের নিয়মানুযায়ী ওয়েব সাইটে জানিয়ে দেন ক্লোজড প্রেস কাভারেজ- তখনি জনমনে সন্দেহ জাগে। কি কথা হয় গোপণ ঐ বৈঠকে, কি শলা-পরামর্শ হয়, আমাদের রাজনীতির আগামীর গতিধারা নির্ধারনের কি নতুন ফর্মুলা নিয়ে গোপণ বৈঠকে আলোচিত হয়, সেটাই এখন তলে তলে বৃহৎ দুই দলের বাইরেও সকল ষ্টেক হোল্ডারদের ভাবিয়ে তুলেছে, নির্দ্ধিধায় বলা যায়। ইউনুসের ঐ রুদ্ধদ্বার বৈঠক নিয়ে নানা জনের নানা কৌতুহল এখন ওপেন সিক্রেট বলা যায়।
ইউনুস ইতিমধ্যে ওবামা সহ হিলারি, বিল ক্লিনটন, টনি, মান্ডেলা, মার্কেস সহ বিশ্বের তাবত নামকরা নেতাদের সাথে বৈঠক করেছেন, করেও চলেছেন, তাতে কারো কোন সন্দেহের উদ্রেক করেনি। কারণ ইউনুস বিশ্বখ্যাত একজন সফল অর্থনীতিবিদ, নোবেল লরিয়েট। অনেক নামকরা, উচু মার্গের ব্যক্তিদের সাথে উঠা-বসা এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যখনি এই রকম এক সময়ে ইউনুস ক্লোজড প্রেস কাভারেজ বৈঠক করেন, তখনি আমাদের ভাবিয়ে তুলে। কি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ? কোন পথে এগুবে আগামীর বাংলাদেশ ? কোন সে ছক ? ইউনুসের আগেকার মতো কর্মকান্ডে কি সেইভাবেই প্রকাশিত হবে ? অবস্থাদৃষ্ঠে কিন্তু তাই বলেনা। কারণ ইতিমধ্যে রাজনীতি বিষয়ে বা রাজনৈতিক বিষয়ের ব্যাপারে ইউনুস এবং ইউনুসকে ঘিরে যে নয়া মেরুকরণ তৈরির একটা স্পষ্ঠ আভাস লক্ষ্য করা গিয়েছিলো, পাচ সিটিতে বিএনপির অভূতপূর্ব সাফল্যে সেই নয়া মেরু করণ বলা যায় মুখ থুবড়ে পড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত সেই সম্ভাবনা বাস্তবের আলো না দেখার মতো যথেষ্ট সন্দিহান- এটা যে কেউই অনুমান করতে পারছেন সহজেই। ইউনুস কেন্দ্রিক নয়া রাজনৈতিক মেরুকরণ-এর ফলে মাহমুদুর রহমান মান্নার তৃতীয় রাজনৈতিক জাগরণের শক্তি অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছিলো। ইউনুস কেন্দ্রিক সেই মেরুকরুণ না হওয়াতে মাহমুদুর রহমান মান্নার তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তির উত্থানে এখন অনেকটা আশার আলো সঞ্চারিত হয়েছে, সেটা বেশ স্পষ্ঠ।কিন্তু সেই সম্ভাবনা বিনষ্ট করে দিতে পারেন কাদের সিদ্দিকী, ইতিমধ্যে তা রেশ দেখা যাচ্ছে, হঠাৎ করে কাদের সিদ্দিকী আর বি চৌধুরীর ঘর বাধার ফলে।
মার্কিন মুল্লুকের কাছে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে, বিগত চার দলীয় জোট সরকারের সময় জঙ্গিবাদ ও এর নানা লিঙ্কের খপ্পড়ে বাংলাদেশ কেন্দ্রিক চক্র মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিলো, যা ভারত ও মার্কিন মুল্লুকের জন্য মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছিলো। বিএনপির রাজনীতির নিয়ন্ত্রক তারেক জিয়ার সাথে ঐ সময়ের মার্কিন দূতাবাসের কানেকশন খুব একটা উন্নত না থাকার ফলে মার্কিন মুল্লুকে তারেক জিয়া সম্পর্কে নেতিবাচক রিপোর্ট জমা হয়েছিলো, যার ফায়দা আজো আওয়ামীলীগ নিজেদের ঘরে তুলার কাজে সদা ব্যস্ত। বিএনপির আমেরিকান বলয় সেই ক্ষেত্রে বলা যায় তারেক জিয়া সম্পর্কে রঙ সিগন্যাল প্রদানের কাজের বিপরীতে ইতিবাচক ভুমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়। আর বিগত পাচ বছরেও বিএনপির আমেরিকান লবি এই কাজে তেমন জোরালো ভুমিকা রাখতে পারেনি। হেফাজতের বিগত ৫ মের উত্থানে মার্কিন মুল্লুক ও ভারতের কাছে এটা বেশ প্রতীয়মান যে, অরাজনৈতিক এই শক্তির নব জাগরণ যেকোন হিসেব-নিকেশ পাল্টে দিতে পারে। আওয়ামীলীগ মূলত হেফাজত-জামায়াত ইস্যূতে বিশ্বকে তালেবান-জঙ্গি কানেকশনের গরম ইস্যূটাই দেবার কূটনৈতিক চেষ্টা করে বেশ পজিটিভ অবস্থানে রয়েছে। মার্কিন মুল্লুক তাই জানে, আওয়ামীলীগের লুট-পাট টেকাতে গিয়ে হেফাজত-জামায়াত সমর্থনে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে খালেদা জিয়ার চাইতে তারেক জিয়াই মূলত বিএনপির রাজনীতির নিয়ামক ও বাংলাদেশের রাজনীতির নিয়ন্ত্রক হয়ে বসবেন, মূলত এখন থেকেই তিনিই রাজনীতির নিয়ামক হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছেন, সন্দেহ নেই।আওয়ামীলীগ এই নেগেটিভ সিগন্যাল বেশ স্বার্থকতার সাথে তুলে ধরতে ব্যস্ত। আর এই অবস্থায় বিএনপি ক্ষমতায় আসলে, হেফাজতের ১৩ দফা কিংবা জামায়াতের সাজা প্রাপ্ত নেতাদের ছেড়ে না দিলে আবারো রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থির হবে, সেক্ষেত্রে আজকের আওয়ামীলীগ হেফাজতের সাথে মিলে বিএনপি বিরোধী আন্দোলন করে সরকার পতনের দিকে যাবে।
আবার বিএনপি যদি আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে কঠিণ আন্দোলন করতে ব্যর্থ হয়, অথবা আওয়ামীলীগের সাজানো ফাদে পা দেয়, অথবা বিএনপিকে বাইরে রেখে নির্বাচন করে সেক্ষেত্রেও কিছুদিন যেতে না যেতেই আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন ঘনীভূত হয়ে চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করবে।
আর এই ত্রিমাত্রিকতার সুযোগে হেফাজত কিংবা আদালতের রায়ে নিষিদ্ধ ( যা এখনো হাসিনার হাতে তুরুপের তাস রয়ে গেছে, যেনতেন অবস্থা তৈরি করে কাদের মোল্লার রায় কার্যকর ও আদালতের রায় নিয়ে জামায়াত নিষিদ্ধ)-যা রায় ঘোষিত হয়ে গেছে, জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ—এই সুযোগে হেফাজত মিসরের মুরসির ব্রাদার হুডের মতো কোন রাজনৈতিক রূপ যদি লাভ করে বসে, তাহলেতো বাংলাদেশ কোন অবস্থাতেই সেই অবস্থা থেকে আর বেরিয়ে আসতে পারবেনা। ভারত এবং মার্কিন মুল্লুকের ভয় মূলত সেই হিসেবকে কেন্দ্র করেই।কেননা ইতিমধ্যে ভারত ও মার্কিনীদের কাছে সেই তথ্য ও প্রমাণ রয়েছে তালেবান, দাউদ ইব্রাহিম, লস্কর-ই-তৈয়্যেবা সহ জঙ্গি কানেকশন ইষ্টাবলিশড হওয়ার।
ভারত তার বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক বৃহৎ বাজারের স্বার্থে এবং ভারতের স্বার্থের অনুকূলে মার্কিনীদের কাছে বাংলাদেশের ষ্ট্র্যাটেজী মূলত একই সূত্রে গাঁথা।ইউনুসের সাথে রুদ্ধদ্বার বৈঠক উপরের দুই যেকোন অবস্থার প্রেক্ষিতে সার্বিক করণীয় নিয়ে যে আলোচনা ও ছক আকা হয়েছে, সেটা যেমন আমরা অনুমান করতে পারি, একই সাথে এর যেকোন ব্যত্যয়ের প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনী সহ ইউনুস কেন্দ্রিক রাজনৈতিক মেরুকরণ ক্ষমতার প্রাদপ্রদীপে আসার সম্ভাবনা কোন অবস্থাতেই উড়িয়ে দেয়া যায়না।
শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া দুজনেই জানেন, যতই নিজের লোক বলে জ্যেষ্ট্যতা ডিঙ্গিয়ে প্রমোশন দিয়ে সেনাপ্রধান করা হউকনা কেন, দূর্যোগের সময় বাংলদেশের এই সেনাবাহিনী বরং জনগণের পাশেই দাড়ায়।আওয়ামীলীগ-বিএনপির মারামারি আর খুনোখুনি আর হেফাজতের সমর্থনে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে নিজেদের গদি রক্ষা কিছুতেই করা যবেনা, কেননা ক্ষেত্র এবং পরিপূর্ণ আগাম ছক তৈরি হয়ে আছে।
আওয়ামীলীগ নিজেদের লুট-পাটের কারণে ও জনরোষের ভয়ে যদিও পালানোর আগাম সব পথই তৈরি করে রেখেছে, তথাপি জনরোষ থেকে নিজেদের গায়ের চামড়া বাচানোর জন্য শেষ-মেষ ইউনুস-তারেক-জামায়াত ট্র্যাম্প কার্ড নিয়ে খেলবে, এটা পরিস্কার। আর এ খেলা খেলতে গিয়ে হেন কোন পন্থা নেই যে আওয়ামীলীগ অনুসরণ করবেনা, নিজেদের অস্তিত্বের ও গদি রক্ষার প্রয়োজনে। প্রশ্ন হলো, জনগণের ম্যান্ডেট ও জনমত বিএনপির প্রতি অনুকুল হওয়াতে আওয়ামীলীগের পাতানো ফাদ অতিক্রম করে বিএনপি এবং খালেদা জিয়া এখন কেমন গেইম খেলবেন, এবং আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন তৈরিতে কেমন সফল হবেন, তারেক লন্ডন থেকে এন্টি আওয়ামীলীগ কি নিত্য-নতুন চমক ও নতুন ধারার রাজনীতির কর্মসূচীর চাবির গিট্র ছুড়ে দিবেন- মূলত সেটার উপরই নির্ভর করছে বিএনপি ও ১৮ দলের ক্ষমতায় ফিরে আসা। আর তা যদি করতে ব্যর্থ হন, তবে বিএনপিকে সেজন্য অনেক খেসারত যেমন দিতে হবে, জাতির ভাগ্যেও অনেক দুর্ভোগ রয়ে যাবে। এখানে আরেকটি প্রশ্ন প্রাসঙ্গিক, ইসির হঠাৎ কর্মকান্ড এবং শাহনেওয়াজের বক্তব্য ও সরকারের এবং জয় তথ্য কিন্তু নির্বাচনের কথা বলেনা। এখনতো ৯৯% শঙ্কা আদৌ কি নির্বাচন হবে ? কারণ নির্বাচন হলে নিজেদের গা বাচানো যাবেনা, হানিফ, কামরুল, ম খা আলমগীর তা ভালো করেই জানেন। তারাতো মনে-প্রাণে নির্বাচনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিবেনই, যদিও মুখে বড় গলায় বলছেন, নির্বাচন হবে।
তত্বাবধায়ক ইস্যূতে রাজনৈতিক দাঙ্গা-হাঙ্গামা হলে, কিংবা এককভাবে আওয়ামীলীগের যেন তেন নির্বাচনী বৈতরণী পার হলে, নির্বাচন পরবর্তী সরকার বিরোধী বিক্ষোভ ও আন্দোলনের ভয়াবহ বিপর্যয়ের প্রেক্ষিতে অবশ্যই ইউনুস কেন্দ্রিক অসাংবিধানিক শক্তি ক্ষমতায় আরোহন করবে, এটার আলামত এখন অনেকটা স্পষ্ট। আর স্পষ্ট বলেই আগের মতো ইউনুস আর রাজনৈতিক কিংবা তাকে কেন্দ্র করে শক্তি প্রদর্শনের খোলাসা করা সময়োচিত যে নয়, ক্লোজড কাভারেজ কিন্ত সেই ইঙ্গিতই দেয়। বাংলাদেশের বৃহৎ নিরীহ জনগণের সাড়া এবং ছোট ছোট রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন এবার কিন্তু এই অসাংবিধানিক সরকারের পক্ষে যাবে, অবস্থা ও হানাহানির ফলে, ভারত ও মার্কিন মুল্লুকের কাছে সেই সব তথ্য রয়েছে। ইতিপূর্বে যেমন করে গিয়েছিলো, সফলতা ও ব্যর্থতার নিরিখে।
তবে এতো সব মিথ, এতো সব ধারণা জন্ম নিলেই মার্কিন ছকে অল্টারনেটিভ খেলায় ইউনুস যদি আবার রাজনৈতিক ময়দান মাতিয়ে রাখেন, তখন ভিন্ন ফর্মুলা সামনে চলে আসতে পারে, আর সেই সব কিছুই নির্ভর করছে ইউনুসের কর্মকান্ডের উপর। তাই ক্লোজড প্রেস কাভারেজের দরজা খুলতে থাকবে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ কিংবা অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই। কেননা ইতিমধ্যে রাজনীতির কলকাঠির নেপথ্য নায়ক, যিনি বাংলাদেশের উত্থান-পতনে জড়িত- তিনি, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন আইনজীবী, এবং ব্যবসায়ীদের প্রতিভূ, রাজনীতির মাঠের গরম করা বক্তব্যের নায়ক, তৃতীয় রাজনীতির কুশীলবদের মধ্যে মার্কিন মুল্লুকে অবস্থান ও বৈঠক এবং এক রকম নিরবতা অবলম্বন- সে সম্ভাবনাগুলোকে উড়িয়ে নয় বরং অনেকটাই বাস্তবের আলো দেখার অপেক্ষায় রয়েছে বলে অনেকের কাছে তাই মনে হচ্ছে।এই প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত ও সচেতনভাবে সমর্থনকারি প্রভাবশালী এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আজকেও আমাকে বলেছেন, দেশ ও জনগণের স্বার্থে এই রকম কোন প্রক্রিয়া এগিয়ে আসলে ক্ষতি কি, বরং দেশের ৯৫% জনগণের সমর্থন পাবে বলে তিনি দৃঢ়তার সাথে আশাবাদ ব্যক্ত করলেন।
২৭ শে জুলাই ২০১৩।