Submitted by syed shah salim… on Wed, 10/07/2013 – 9:29pm
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এবং লর্ড সভার কয়েকজন সদস্যদের সাথে প্রাতরাশ সভায় লন্ডন সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়তর সাথে ঘোষণা করেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ব্রিটেনের আদলেই গণতান্ত্রিক সরকারের অধীনে সম্পন্ন হবে ।
সাম্প্রতিক সিটি নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধীদলের বিপুল ভোটে জয়লাভের মধ্য দিয়েই প্রমাণিত হয়েছে আওয়ামীলীগের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব। বর্তমান নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করছে বলেই সিটি নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে।তার সরকারের অধীনেই নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন-এটাই প্রমাণিত।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার সকল মানবতা বিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে এবং এই বিচার একটা চলমান প্রক্রিয়া, সকল ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে এই বিচার চলবেই।আলোচনা সভায় ধর্মীয় মৌলবাদ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার সকল ধর্মের সমানাধিকারে বিশ্বাসী।এবং সকল ধর্ম-বর্ণ-গোত্র সমানভাবে তাদের সাংবিধানিক অধিকার ভোগ করছেন।
বৈঠক শেষে ব্যারোনেস পলা মঞ্জিলা উদ্দিন বলেন, তারা আশাবাদী বাংলাদেশ সরকার সকলের অংশ গ্রহণের মাধ্যমে ফ্রি, ফেয়ার, নিউট্রাল ইলেকশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং তারা মূলত প্রধানমন্ত্রীকে সেই ম্যাসেজ দিয়েছেন।
ব্রিটেনের লেবার দলীয় সাংসদ রুশনারা আলী জানিয়েছেন, ব্রিটেন যেকোন মৃত্যুদণ্ড বিধানের রায়ের বিরুদ্ধে এবং ব্রিটেনের এই অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে। ব্রিটেন যেকোন মানবাধিকার অপরাধের বিরুদ্ধে এবং সকল নাগরিকের সমান মানবাধিকার সুরক্ষণের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অনুষ্ঠানে ব্যারোনেস পলা মঞ্জিলা উদ্দিন, লর্ড নাজির আহমেদ, লর্ড বিলমোরিয়া, জিম ফিজপ্যাট্রিক এমপি, রুশনারা আলী এমপি আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন। এ সময় বাংলাদেশের হাই কমিশনার মিজারুল কায়েস উপস্থিত ছিলেন।
এর আগের দিন শেখ হাসিনা টিউলিপের বিবাহোত্তর সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
সম্বর্ধনার অনুষ্ঠানের বাইরে ১৮ দলের বিক্ষোভ ও কালো পতাকা প্রদর্শন:
পূর্ব লন্ডনের ওয়েষ্টহ্যাম এলাকার ইমপ্রেস ভেন্যূতে টিউলিপের বিবাহোত্তর সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানের বাইরে ১৮ দল, বিএনপি, হেফাজত, সাঈদী মুক্তি পরিষদ, জামায়াত, শিবির ও বাঁশের কেল্লা নামক সংগঠনের এক্টিভিষ্টরা জড়ো হয়ে কালো পতাকা, ফেস্টুন, ব্যানার ইত্যাদি সহকারে ব্যাপক সমাগমের মাধ্যমে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। ফলশ্রুতিতে নির্ধারিত সময়ের বহু পড়ে প্রধানমন্ত্রী টিউলিপের বিবাহের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। যদিও নিরাপত্তার কড়াকড়ি আয়োজন ছিলো, তার উপর ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বেশ কয়েকজন সদস্য অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কারণে মেট্রোপলিটনের টিমের বিশেষ টিম ছাড়াও স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড এর নিরাপত্তা টিম নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।সেই অবস্থায়ও বিএনপির শত শত নেতা-কর্মী ইমপ্রেস হলের বাইরে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। তারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে খুনি, জুলুমবাজ, আলেম-উলামা হত্যাকারী, লুটেরাদের সহচর ইত্যাদি শ্লোগানে শ্লোগানে পূর্ব লন্ডনের ইমপ্রেস ভেন্যূর আকাশ প্রকম্পিত করে তুলে। মনে হচ্ছিলো এ যেন ঢাকার কোন রাজপথের মিছিলের বা পল্টনের মাঠের দৃশ্য।১৮ দলের এ ঘেরাও ও বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুস ও সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ।
বিপুল নেতা কর্মীর সমাবেশে বিএনপির সভাপতি শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুস বলেন শেখ হাসিনা দেশের মানুষের হাজার হাজার সমস্যার সমাধান না করে বোনের মেয়ে টিউলিপের বিয়ের অনুষ্ঠানে বিরাট বহর নিয়ে উপস্থিত হয়ে দেশের মানুষের সাথে প্রতারণা করছেন। যুক্তরাজ্য বিএনপি তার এ অযাচিত সফরের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। যুক্তরাজ্য বিএনপি সমগ্র যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাংলাদেশীদের নিয়ে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ও প্রকাশ্য প্রতিরোধ ঘোষণা করেছে। ‘যুক্তরাজ্যে যেখানেই হাসিনা, সেখানেই প্রতিরোধ’। এর মাধ্যমে প্রবাস থেকে হাসিনার বাকশাল বিরোধী প্রত্যক্ষ আন্দোলন দেশে ও সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিবে যুক্তরাজ্য বিএনপি। যুক্তরাজ্য বিএনপির এ আন্দোলনে যুক্তরাজ্য প্রবাসী সকল নাগরিক এগিয়ে এসেছেন। তাই এবার যুক্তরাজ্যের আন্দোলন হবে হাসিনার সরকার পতনের আন্দোলন। বাকশালী হাসিনা সরকার কোন ভাবেই এ আন্দোলনের টুটি চেপে ধরতে পারবে না। এবার প্রতিরোধ হবে, নিপাত যাবে হাসিনা, এবার ধ্বংস হবে তার বাকশালী মসনদ।
বিক্ষোভ সভায় যারা উপস্থিত ছিলেন, তাদের মধ্যে সাবেক আহবায়ক এম এ মালিক, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ চৌধুরী, ভাইস প্রেসিডেন্ট আবুল কালাম আজাদ, আলহাজ্ব তৈমুজ আলী, মনজুরুস সামাদ চৌধুরী, মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, গোলাম রববানী, উপদেষ্টা, নুরুল আমীন, শামীম আহমদ, নিজাম মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ চৌধুরী, ব্যারিস্টার আবু সায়েম, শহিদুল ইসলাম মামুন, সহ সাধারণ সম্পাদক তাহির রায়হান পাভেল, ফেরদৌস আলম, হেলাল নাসিমুজ্জামান, ইসলাম উদ্দিন, করিম উদ্দিন, তাজ উদ্দিন, ব্যারিস্টার হামিদুল হক আফিন্দি (লিটন), কেন্দ্রীয় যুব দলের সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এনামুল হক লিটন, কেন্দ্রীয় সেচ্ছা সেবক দলের আন্তর্জাতিক সম্পাদক পারভেজ মল্লিক, সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন সেলিম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট খলিলুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক ড: মুজিবুর রহমান, প্রেস এন্ড পাবলিসিটি সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ূম, প্রেস এন্ড পাবলিকেশন সম্পাদক আখতার মাহমুদ, ত্রান সম্পাদক রেহান উদ্দিন, পরিবার পরিকল্পনা সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সহকারী আইন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মোল্লা, বিপ্লব পোদ্দার, প্রফেসর এম ফরিদ উদ্দিন, সহ শিক্ষা সম্পাদক সালেহ আহমদ জিলান, সহ ক্রীড়া সম্পাদক আবুল হোসেন, সহ সমবায় সম্পাদক হেভেন খান, সহ প্রচার সম্পাদক মোতাহের হোসেন লিটন, সহকারী স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক নাসির আহমদ শাহিন, যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা আব্দুর মালিক কুঠি, সহকারী ধর্ম সম্পাদক মাওলানা শামিম আহমদ, লন্ডন মহানগর বিএনপি কামাল চৌধুরী, কদর উদ্দিন, বার্মিংহাম বিএনপির সভাপতি জালাল চৌধুরী, লিভারপুল বিএনপি নেতা আমিন কোরেশী, সামছুন্নর, সৈয়দ আফছান, সেন্টালবন বিএনপি গোলজার আহমদ, জুবায়ের চৌধুরী আকিক, আলমগীর চৌধুরী, নাজমুল ইসলাম, ইউকে যুব দলের সিনিয়র সহ সভাপতি মঞ্জুর আশরাফ খান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাছিত বাদশা, আফজাল হোসেন, ইস্ট লন্ডন যুব দলের সভাপতি শামীম আহমেদ, নিউহাম যুব দলের সভাপতি হাবিবুর রহমান ময়না, রহিম উদ্দিন, সালেহীন করিম চৌধুরী, বাবর চৌধুরী, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সফিকুল ইসলাম রিবলু, আহবাব হোসেন বাপ্পি, জহুরুল ইসলাম শামুন, মতিউর রহমান, নুরুল ইসলাম, নাজমুল ইসলাম লিটন, মিজানুর রহমান, সাফরাজ আহমেদ সপু, মিসবাহ চৌধুরী রাসেল, হাবিবুর রহমান বাবলু, জাসাস নেতা নাজিমুল ইসলাম লিটন, শেখ মিজানুর রহমান, আকমল হোসেন, বাবুল চৌধুরী, বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান, আবু হাসনাত রিপন, তোফায়েল আলম, প্রমুখ।