ডেমোক্রেসী মেইড ফ্রম বাংলাদেশ-দ্বিতীয় পর্ব

ডেমোক্রেসী মেইড ফ্রম বাংলাদেশ-দ্বিতীয় পর্ব

লিমন-এর উপর নির্যাতন এবং মামলার চার্জশীট প্রাদানঃআরো এক আদিম ভন্ডামী-

স্কুল ছাত্র অসহায় গরীব ছোট্র লিমনকে অত্যন্ত অমানবিক ও জঘন্যভাবে এই রাষ্ট্র এবং তার প্রশাসন যন্ত্র বর্বরোচিত কায়দায় শুধু নির্যাতন করে হাসপাতালের বেডে রাখেনি,তাকে আসামী বানিয়ে মামলার পর মামলা ও অত্যন্ত দ্রুততার সাথে চার্জশীট প্রদান করে রাষ্ট্র প্রমাণ করে দিলো,দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালন নয়,বরং শিষ্টের দমন আর দুষ্টের লালনের জন্যই এই রাষ্ট্র যন্ত্র তার তাবৎ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে সিদ্ধ্বহস্ত এবং তাকে জায়েজ করার জন্য নানা ফন্দি-ফিকির করতে এক বিন্দু ও লজ্জিত নয়।মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ডঃ মিজানুর রহমান সম্প্রতি একটু এগিয়ে এসে লিমনের উপর যে অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে এবং যে সকল বিবেক বহির্ভুত মামলা-হামলা দেওয়া হয়েছে তা প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন,এও বলেছেন,প্রয়োজনে তিনি ষ্ট্রাইক করবেন…সারা দেশের মানুষ লিমনের উপর অত্যাচার ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার পরেও আমাদের আইন-শৃংখলা ও রাবের মতো এলিট ফোর্সের টনক নড়েনি,স্ব-রাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের যেন লিমনের মতো সাধারণ নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষা ও জান-মাল-ইজ্জতের হেফাজতের কোন দায়-দায়িত্ত নেই বলে ধরে নেওয়া যায়।নাহলে একজন নিরীহ,নিরপরাধ,অসহায়,খেটে-খাওয়া,গরীব মানুষকে ডাকাত কিংবা তার সহযোগী মনে করে অত্যন্ত বর্বরোচিত ভাবে যে বা যারা আইনের দোহাই দিয়ে আইনের অযাচিত অপ-ব্যাবহার মাত্রাতিরিক্তভাবে করলো,তাদেরকে কোনরুপ শাস্তি কিংবা আইনের আওতায় না এনে কি করে পঙ্গু অসহায় লিমনের মতো এই কিশোরকে হেফাজত কাষ্টডির নাম করে দিনের পর দিন আটক রাখতে পারলো,রাষ্ট্রের হর্তা,কর্তা ব্যাক্তিরা সব কিছু করতে ওস্তাদ হলেও কিশোর লিমনের করুন আর্তনাদ তাদের কর্ণকোহরে প্রবেশ করেনি।

লিমনের মতো কিশোরদের সুন্দর কোমল জীবনে আলোর প্রদীপ জ্বালানো ও বিকশিত করার দায়িত্ব যে রাষ্ট্রের,সেই রাষ্ট্র বরং অহেতুক নোংরা আবর্জনার স্তুপ নিয়ে মাতামাতি করতে সিদ্ধ্ব হস্ত।পঙ্গু লিমনের আগামী সুন্দর ভবিষ্যৎ সিকুউর করার দায়িত্ত্ব রাষ্ট্রের,যাদের ভুলের কারণে লিমনের এই বর্তমান জীবন,তাদের শুধু শাস্তি কাম্য নয়,সেই সাথে এর যথাযথ ক্ষতিপূরণ সহ লিমনের পরিবারের সারাজীবনের নিশ্চিত আর্থিক এবং সঠিক মেডিক্যাল মানেজম্যান্ট সহ যাবতীয় ব্যাবস্থা করার দায়-দায়িত্ব যথাযথ ভাবে করার দায়িত্ব রাষ্ট্র ও সরকারের।আশা করি গণতান্ত্রিক সরকার সেই সব ব্যাস্থা করে কিছুটা হলেও মানবাধিকার সমুন্নত ও সহমর্মিতার দৃষ্টান্ত স্থাপণ করবেন।

শ্রমিক নেতা আমিনুল গুম এবং হত্যাঃপুরনো বোতলে নতুন সূরা

জাতীয় অর্থনীতিতে যে খাত সবচাইতে বেশী অবদান রেখে আমাদের জিডিপি ও রপ্তানীখাতকে সচল রেখে চলেছে,সেই গার্মেন্টস খাত ও এই শিল্পকে নিয়ে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রের নানা খেলা ও কূট-কৌশলে এই খাত ধবংসের জন্য প্রতিনিয়ত হানাহানি,ইট-পাটকেল ও আগুন দিয়ে ফ্যাক্টরী জালিয়ে দিয়ে এক অশান্ত ও অসহনীয় পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা বেশ কিছুকাল ধরে চলে আসতেছে।রাষ্ট্রের এই গুরুত্ত্বপূর্ণ খাতকে কিভাবে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণভাবে পূর্ণদমে উৎপাদনে রাখা যায়,বিদ্যমান সমস্যা ও শ্রমিক মালিকদের সম্পর্ক কিভাবে অধিকতর উন্নত করা যায়,সেটার যথাযথ দেখ-ভাল করার কথা যে সব মন্ত্রণালয় ও সংস্থার,তারা তা না করে পরিস্থিতিকে আরো জটিল ও ভয়াবহ করে তুলে কার স্বার্থ রক্ষা করে চলেছেন,রাষ্ট্র যেন সে সব দেখে ও না দেখার ভান করে চলেছে।

গার্মেন্টস শ্রমিকদের প্রাণ-পুরুষ,নেহায়েত এক শ্রমিক নেতা বলে খ্যাত আমিনুল ইসলামকে কি কারণে রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার পরিচয় দিয়ে,ধরে নিয়ে কিছুদিন গুম করে রাখে, পরে আবার খন্ড-বিখন্ড লাশ পরিবারের কাছে উপহার দেওয়ার মতো বর্বরোচিত কাজ যারা করলো,তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচারের কাজটি সম্পন্ন করার কথা যে রাষ্ট্র ও সকারের গুরু দায়িত্ত্ব, তা যেন বেমালুম ভুলে গিয়ে উল্টো শ্রমিকনেতা কে সন্ত্রাসী বানানো ও বানোয়াট কাহিনী প্রচারের মুখ্য ভুমিকা পালন করে চলেছে।

এতো গোয়েন্দা সংস্থা,এতো ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পুলিশ কি করতে শিল্প এলাকায় অবস্থান করে,যারা আগাম কোন রাষ্ট্রের ভাষায় ষড়যন্ত্র ও গণ্ডগোলের খবর সরকার ও যথাযথ কর্তৃপক্ষকে দিতে পারেনা?

অবিলম্বে শ্রমিক নেতা আমিনুলের হত্যার সুষ্টু তদন্ত সাপেক্ষে খুনী ও দূষীদের আইনের কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে আমিনুলের পরিবারের ভরণ-পোষণের ও শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যতের নিশচয়তা সরকার ও রাষ্ট্রকেই দিতে হবে।

বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু ও বিশ্বব্যাংকঃআমাদের নেতিবাচক রাজনীতি ও হীনমন্যতার নিকৃষ্ট পন্থা-

পদ্মা সেতু করার অঙ্গীকার নিয়ে নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা করে এই সরকার ক্ষমতায় অধিষ্টিত হয়।ক্ষমতাসীণ হয়ে চুক্তি ও করে,বিশ্বব্যাংক, এডিবি, আইডিবি,জাইকা সহ সকল দাতা ও উন্নয়ন অংশীদার বিশ্ব আর্থিক- সাহায্যকারী প্রতিষ্টান ও সংস্থা এগিয়ে আসে।ভালোয়-ভালোয় কাজ যখন চলছিলো,জনগণ যখন আশাবাদী হয়ে স্বপ্ন দেখছিলো,প্রকল্প কারিগরি দক্ষতা ও প্রাক-প্রকল্প প্রাক্কলন,যাচাই-বাছাই চলাকালীণ অবস্থায় উন্নয়ন সাহায্যকারী বৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্টান বিশ্বব্যাংক যখন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়,ব্যাক্তি,এজেন্ট এবং সমন্বয়কারী প্রতিষ্টানের দক্ষতা,স্বচ্ছতা,এবং আরো সুনির্দিষ্টভাবে ঘোষ-কমিশনের অভিযোগ দৃঢ়তার সাথে বারে-বার উত্থাপণ করলো,তখন এই রাষ্ট্র ও সরকার বোধগম্য কারণে নানা টাল-বাহানা,অন্ধ,এক-চোখা,ভক্সহোল ঘোড়ার মতো নীতি অবলম্বন করে সন্দেহের মাত্রাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরো বাড়িয়ে তুলে।কিন্তু কেন?শুধু কি ঘোষ আর পার্সেন্টেজ?শুধু এক আবুল হোসেন আর সাকো ইন্টারন্যাশনাল-কে রক্ষা?বোধগম্য কারণে যে তা নয়,অনেকেই তা ভালো করে যেমন জানেন,বিশ্বব্যাংক ও সেই সোনার যুবরাজ থেকে আবুলের মাথা-মুন্ডু পর্যন্ত সেই খবরদারী ও ভাগ বসানোর হাত থেকে বিরত রাখার যে গ্যারান্টি অর্থমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে চাইলো,আমাদের এতো সীমাহীন দূর্ভাগ্য যে,রাষ্ট্র তা দিতে ব্যার্থ হলো,ফলে যা হবার তা হলো।

সস্তা এবং বহুল আলোচিত হুজোগের জাতিকে এখন নিজস্ব উদ্যোগে পদ্মাসেতু করার স্বপ্ন দেখানো হচ্ছে।এটা ভালো এবং মহৎ উদ্যোগ,নিজেদের সক্ষমতা আরো আগেই বাড়ানো উচিৎ ছিলো।যমুনা সেতু করতে পারলে পদ্মা কেন করতে পারবোনা? কিন্তু যে দূর্ণাম ও দূর্ণীতির কলংক ষোল-কোটি বাঙ্গালীর ললাটে যাদের কারণে লাগানো হলো,তাদের বিচার কে করবে?দূর্ণীতির সাথে যারা জড়িত,তারাইতো এখন নিজেদের সক্ষমতা ও নিজেদের গৌরবের ধোহাই দিয়ে নয়াভাবে পদ্মাসেতু করার কথা বলছে?তাহলে বিচার করবে কে?

মরা ঐ পদ্মা যদি বলতে পারতো কিংবা একসময়ের প্রমত্ত পদ্মা যদি একটিবারের জন্য ফুলে-ফুসে উঠতো,তবেইনা সব জঞ্জাল ভাসিয়ে নিয়ে ধোয়ে-মুছে পরিস্কার করে দিতো?পদ্মা এখন আগের মতো ও পদ্মা রে বলে গেয়ে চলেনা,সুতরাং দূর্ণীতির মহোৎসব চালিয়ে এই রাষ্ট্রও এখন আর লজ্জিত হয়না,কারণ দূর্ণীতির আর লুট-পাট না করলে এই রাষ্ট্রের সুখ আর ইজ্জত যে বাড়েনা।

তাই বিশ্বব্যাংক,এডিপিকে খাইতে না পেরে এবং গোটা পদ্মাকে গিলে খাওয়ার সকল বন্দোবস্ত করে ফেলেছে।

মাহফুজের ভাড়ামী,রাষ্ট্রের আহ্লাদি-

আমাদের গণতন্ত্র মাহফুজুর রহমানের মতো ব্যাবসায়ী এর ধুরন্দর ব্যাক্তিদের সব ধরনের ভন্ডামী,ভাড়ামীকে আদরে-সোহাগে-আহ্লাদে শুধু পরিচর্যাই করেনা,একেবারে নিশ্চিত গ্যারান্টি দিয়ে চলে।নতুবা সাংবাদিক সাগর-রুণির সন্দেহভাজন হত্যাকারীর পরিকল্পণাকারী ও মদতদাতা হিসেবে সারাদেশে এতো মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব থাকতে মাহফুজুর রহমানের দিকে সমগ্র জনগণের যখন অঙ্গুলী নিশানা করে সাংবাদিক সমাজ থেকে শুরু করে সর্বস্তরের জনতার দাবী যখন জাতীয় দাবীতে পরিণত হয়,মাহফুজুর রহমান তখনো বৃদ্ধ্বাঙ্গুলী দেখিয়ে চলে।মাহফুজের টাকার খূটির এতো মজা যে সরকার প্রধানও বাচাল গালি হজম করে আরাম পেয়ে থাকেন,বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের তথা বৈদেশিক মুদ্রার সিংহভাগ যোগানদাতা,বহু আওলিয়া,দরবেশ,জ্ঞানী-গুণীদের তীর্থস্থান সিলেটের জনগণ নিয়ে মাহফুজুর রহমান যখন বিরুপ মন্তব্য ও তাচ্ছিল্য করে রাষ্ট্রের গণতন্ত্র লজ্জা পেলেও কর্তাব্যাক্তিদের টনক নড়েনি,সারা দেশ যখন ফুসে উঠে মাহফুজের এই নোংরা কুৎসিত চিন্তা-চেতনায়,রাষ্ট্র তখনো নীরব দর্শক হয়ে খেলা দেখে চলে,যেন এ খেলা দেখার জন্যই তার জন্ম হয়েছে,হায়রে আমাদের দরদী সরকার এবং তার কর্তা ব্যাক্তিরা।

মাহফুজ এখন হাসে,নীরবে-আবডালে ভেংচি কাঠে,আর আম-জনতা লজ্জায় নিজের চেহারা লোকানোর প্রানান্ত চেষ্টা করে।কিন্তু যে লজ্জা,যে থু-থু মাহফুজ ছেড়েছে,তার বিষ-বাস্প কালো মেঘ হয়ে আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে,একদিন সে মেঘ,সে তুফান টর্ণেডো হয়ে ছুটে আসবে,তা রোখার খমতাকি এই রাষ্ট্র রাখে?

এম,সি কলেজের ছাত্রাবাসে আগুন,শতাব্দীর শ্রেষ্ট কলংক-

সম্প্রতি ঘটে গেলো ছাত্র রাজনীতির নামে সরকারী ছাত্র সংগঠণ ছাত্রলীগ আর বিরোধী ছাত্র সংগঠণ ছাত্রশিবিরের মধ্যে হল দখল,পূণর্দখল,আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে একে অন্যের উপর আদিম ও উম্মত্ত পন্থায় মারামারি,হানাহানির ড্রেস রিহার্সাল।পরিস্থিতি এখানেই থেমে থাকেনি,এতদ অঞ্চলের মধ্যে পড়া-শুনা ও জ্ঞান দানের জন্য যে কলেজটি বহুকাল ধরে সুনাম অক্ষুন্ন ধরে রেখেছিলো,যার ছাত্রাবাস,কলেজ আঙ্গিনা সমেত যাবতীয় সকল স্মৃতিময়,গৌরব গাথা,ইতিহাসের সেই সব নীরব স্বাক্ষীকে কতিপয় ছাত্র নামধারী মাস্তান আর উচ্ছৃখলদের কারণে,শত বছরের ঐতিহ্যবাহী কালের স্বাক্ষী পুরাকীর্তীর দাবীদার এই ছাত্রাবাসকে জ্বালিয়ে দিয়ে যে ধবংসযজ্ঞ সাধিত হলো,তাকে আর যাই হউক ছাত্র রাজনীতি বলা যায়না,ছাত্র রাজনীতির নামে সেই সব আদিম পশু-শুলভ তান্ডব এই শতাব্দীর শ্রেষ্ট কলংক এবং এই শতকের শ্রেষ্ট বেয়াদবী হিসেবে আখ্যা দিলেও কম বলা হবে।

এতো সব কালের স্বাক্ষীকে যারা নিজেদের আধিপত্য রক্ষা করার জন্য ধবংস করেছে,ধবংস করেই এরা ক্ষান্ত হয়নি,সমস্ত মানবতা ও চক্ষুলজ্জা ভুলে গিয়ে একে অন্যের উপর দূষারোপ করতে গিয়ে যেভাবে রাজনৈতিক হাজিরা এবং জানান দিয়ে চলেছে,বক্তৃতা,বিবৃতি দিয়ে চলেছে,তা দেখে এম,সি কলেজের ধবংসাবশেষ থেকে উড়ে চলা ছাই-ভশ্মিও লাজ-শরমে পালানোর পথ খুজে বেড়াচ্ছে,অথচ ছাত্র নামধারী সেই কুৎসিত লোকগুলো এখনো বিবেকের ধবংসনে না ধবসে নতুন নতুন ফন্দি ফিকিরে ব্যাস্ত।

এই অন্যায় অপকর্ম যে বা যারা করেছে,ইন্দন যুগিয়েছে,আইন-শৃংখলা রক্ষার দায়িত্ত্বে উপস্থিত যেই সব ব্যাক্তি বা ব্যাক্তিবর্গ শীতলতা ও পক্ষপাতিত্ত্ব করেছে,এতো বড় ঘটনা ঘটানোর পূর্ব-পরিকল্পণা গোয়েন্দা সংস্থা এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ অজানা বলার কোন যৌক্তিকতা গুণাক্ষরে ভাববার অবকাশ নেই,এই সব অপরাধীদের প্রত্যেককে সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।সে আমার সরকারী দলের বা সরকারী লোক –এই কথা বলার কোন অবকাশ নেই।কারণ ইতিহাস,ঐতিহ্যকে যে বা যারা ধবংস করে,তত্যন্ত সাজসাজ রবে,এবং তাকে যারা সহযোগীতা করে,এরা সকলেই একই অপরাধে অপরাধী।এদের কোন দল,কোন পরিচয় থাকতে পারেনা,এই সব জঘন্য অপরাধী আজ আপনার সাথে,কাল নিজের জান বাচাতে যাবে আপনার বিরুদ্দ্বে,এমনকি আপনাকে খুন করতেও দ্বিধা করবেনা।শিবির কিংবা ছাত্রলীগ এবং এদের দোসরদের একটাই পরিচয়-এরা আমার শত বছরের ঐতিহ্যকে ধবংস করেছে,শুধু তাই ভাবলে চলবেনা,এরা আমার গোটা জাতির সমস্ত শরীর জ্বালিয়ে দগ্ধ করে দিয়েছে,এদেরকে রাষ্ট্র ও সরকার ছেড়ে দিলে এই রাষ্ট্র ও সরকারকেই এর মাশুল দিতে হবে।

আমাদের এই গনতান্ত্রিক ব্যাবস্থায় অগণতান্ত্রিক কর্মকান্ডের দায় সরকার ও রাষ্ট্র কেন নিবে?

(চলবে…)

Salim932@googlemail.com

11th July 2012.UK

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *