গণতন্ত্রের আপোষহীন বিশ্বনেত্রী অং সান সূচীর প্রতি খোলা চিঠি-

গণতন্ত্রের আপোষহীন বিশ্বনেত্রী অং সান সূচীর প্রতি খোলা চিঠি-

প্রিয় বর্মিস নেত্রী-

বার্মার সামরিক জান্তা যখন আপনাকে নিজ গৃহে বন্দি করে রেখেছিলো,তখন সারা বিশ্বের মানবতাবাদী জনগণের সাথে এই বাংলাদেশের হাজারো-লক্ষ-কোটি মুক্তিকামী জনতা আপনার জন্য রাস্তায় মিছিল,মিটিং,সভা-সমাবেশ,গণস্বাক্ষর কর্মসূচী গ্রহণ করে মানবতার পক্ষে, আপনার গৃহ-বন্দির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলো।বাংলাদেশের হাজারো-লাখো জনগণ প্রতিনিয়ত আপনার মুক্তির প্রতীক্ষায় প্রতিটি দিন-রাত পার করেছে আপনার ও আপনার দলের সাথে একাত্ন হয়ে।

এমনেষ্টি ইন্টারন্যাশলনাল বাংলাদেশ চ্যাপ্টার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথিত যশা শিক্ষকবৃন্দের যৌথ ঘোষণা, বাংলা একাডেমির বইমেলা,একুশের অনুষ্টান,এমনকি আমাদের সকল অযুথ প্রার্থনার সাথে একাকার হয়ে গিয়েছিলো আপনার মুক্ত রাজনৈতিক জীবন কামনা।

১৯৮৯-৯০-৯১-৯২ সালে এমনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ চ্যাপ্টার এবং আমার প্রিয় শিক্ষক ডঃ নাজমূল আহসান কলিম উল্লাহ সমাভিব্যাহারে আপনার মুক্তি কামনায় সারাক্ষণ বাংলাদেশের এই প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্ত পর্যন্ত ছুটে বেড়িয়েছিলাম,উদ্দেশ্য ছিলো আপনার মুক্তিকামনায় লাখো-কোটি জনগণকে সম্পৃক্ত করে বিশ্ব সভায় আপনার মুক্তি ত্বরান্বিত করার জন্য জনমত সৃষ্টিতে বার্মিস জান্তা সরকারকে চাপে রাখা,সেদিনের একুশের বইমেলা থেকে আমাদের স্বাক্ষর-সংগ্রহের সূচনা লগ্নে তাই মনে-প্রাণে-দেহে এক অভিনব শক্তির সঞ্চার হয়েছিলো,যাতে মনে হতো মুক্তির মিছিলে আমিই যেন সূচী হয়ে বিশ্ব সভায় গেয়ে চলেছি,মানবতার মুক্তির জয় গাণ ।

প্রিয় গণতন্ত্রকামি নেত্রী সূচী-

আমার বিশ্বাস বাংলাদেশের নিপীড়িত,অসহায়,হত-দরিদ্র ১৬ কোটি জনতার মিলিত সেই উচ্ছাস,সাহস আপনার মুক্তি আন্দোলনে আপনাকে ও আপনার দল এবং অবশ্যই বিশ্ব সভায় এক বিরাট উদ্দীপনামূলক একাত্ন সংগ্রামের গৌরবময় অংশ হয়ে আছে।সেদিন আপনার বন্দি-দশায় বাংলাদেশের লাখো-কোটি জনগণ কখনো নিজেদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় তথা বার্মার সরকারের সাথে বাংলাদেশের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষতি কিংবা অবনতি হবে এমন কোন চিন্তা ভুলেও ভাবেনি বা ভাবতে পারেনি,সেদিনের একটাই চাওয়া আর পাওয়া ছিলো- আপনার মুক্তি।বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামি সরকারের যখন যেই ক্ষমতায় ছিলেন,তখন নিঃস্বার্থভাবে জনগণের সেই মুক্তির আন্দোলনে থেকেছিলেন একাত্ন হয়ে।বোধগম্য কারণে বার্মার সামরিক জান্তা কখনোই তাই বাংলাদেশের মুক্তিকামি জনগণের উপর ক্ষ্যাপা,যখনই কোন সুযোগ আসে,তখনি তার সদব্যাবহার করতে পিছুপা হননা।

নোবেল বিজয়ী সূচী-

বিশ্ব শান্তি আর গণতন্ত্রের প্রতি আপনার অবিচল আস্থা আর সংগ্রামের স্বীকৃতি স্ব-রুপ নোবেল কমিটি কতৃক আপনি সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।সম্প্রতি আপনি যখন বিশ্ব সফরে বের হয়েছিলেন,ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার বদৌলতে আপনার সফরের ইতি-বৃত্যান্ত অবগত হওয়ার সৌভাগ্য আমাদের হয়েছিলো।

মুক্তির পর আপনি যখন প্রথম বিশ্ব সফরে বের হন,তখন আপনার দেশে ঘটে যায় ইতিহাসের সবচাইতে নারকীয় মানবিক আরো এক হত্যাযজ্ঞ,জাতিগত দাঙ্গার আড়ালে আপনার দেশের ক্ষমতাসীন নানা সরকারি এজেন্সীসমূহ আপনার দেশের সবচাইতে সংখ্যালঘূ জাতি গোষ্টী মুসলমান নারী-পুরুষ,শিশু,বৃদ্ধ্বা সহ অগণিত মুসলিম পরিবারের উপর চলে বুদ্ধিষ্ট জনগণের নির্মম হত্যাযজ্ঞ, নিপীড়ন,আগুন দিয়ে বাড়ী-ঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার সেই সব নারকীয় দৃশ্য মিডিয়ার বদৌলতে সারাবিশ্বের মানবাতাবাদি জনগণ অবলোকন করার সুযোগ হয়েছে।

একই সময়ে ভয়ে,পালিয়ে জান-প্রাণ বাচানোর জন্য বেচে থাকার আকুল প্রার্থনা নিয়ে সাগরের উত্তাল জল-রাশিকে পেছনে ফেলে রোহিঙ্গা নামক আপনার ঐ নিরিহ সংখ্যালঘূ মুসলমান নাগরিকবৃন্দ বাংলাদেশের সীমানায় ঢুকার ক্রমাগত ব্যার্থ চেষ্টা করে চলেছেন,সেই সব মানবিক দৃশ্যসমূহ মিডিয়ার বদৌলতে সারা বিশ্বও আবলোকন করে চলেছেন।

স্বভাবতই বিশ্ব নেত্রী এবং একই সাথে মানবতার প্রতি আপনার দূর্বিনীত কমিটম্যান্টহেতু বাংলাদেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আশা করেছিলাম, আপনি আপনার বিশ্বসভায় বিভিন্ন বক্তব্যে ক্রমাগতভাবে এবং পরিকল্পিত এই রোহিঙ্গা দাঙ্গা এবং বাংলাদেশের দিকে পুশব্যাক ইস্যূতে আপনার মানবিক এবং রাজনৈতিক বক্তব্য তুলে ধরবেন।কিন্তু একজন বিশ্বমানের মানবতাবাদি গণতান্ত্রিক নেত্রী হয়েও আপনি আপনার দেশের এই নিরিহ সংখ্যালঘূ জনগনের অধিকার ও মানবতা রক্ষায় গুণাক্ষরেও কোন বক্তব্য না দেওয়ায় বড় হতাশ হয়ে মানবাতার পিঠে কোঠারাঘাত বিদ্দ্ব হতে দেখলাম,যা বুকের একরাশ কষ্টকে আরো ঘণীভূত করে তুলেছে।

 

প্রিয় সূচী-

আপনি ভালো করে জানেন,রোহিঙ্গারা আপনার জাতির এক অংশ,হতে পারে তারা সংখ্যালঘূ,কিন্তু তাদেরও রয়েছে আপনার সমাজে বেচে থাকার সমান অধিকার,রয়েছে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক সকল ক্ষেত্রে সমান সুযোগ-সুবিধা ভোগের অধিকার,জাতিসংঘ ঘোষিত সমানাধিকার সনদ এবং বিশ্ব মানবতার মুক্তির ম্যাগনাকার্টা সহ সারা বিশ্বের সকল আইনেই তাদের সেই সব অধিকার সমানভাবে বলবৎ যোগ্য।কিন্তু আপনার সেই জান্তা সরকার এবং কতিপয় উগ্র বুদ্ধিষ্টদের কোপানলে পড়ে বারে বার রোহিঙ্গারা হচ্ছে লাঞ্চিত,অবধমিত,আর আজ তারা হচ্ছে বাস্তুহারা,ভিটে-মাটি ছাড়া।

এই যখন অবস্থা,সাগরের বুকে যখন উত্তাল ঢেঊ এর তালে তালে ট্রলারের মধ্যে নিরিহ অবুঝ শিশুর ছবি ভেসে বেড়াতে দেখা যায়,তখন বড় কষ্ট হয়,বড় আহত-ক্ষত-বিক্ষত হ্রদয়ে সেই সব দৃশ্য দেখে চোখের জল ফেলা ছাড়া কোন উপায় থাকেনা,ভেবে হবাক হই যে বিশ্ব বিবেক এবং বিশ্ব মানবতা আপনার মুক্তির জন্য দিনের পর দিন এতো আন্দোলন-সংগ্রাম করলো,আজ সেই বিশ্ব বিবেক কোথায়?কোথায় হারিয়ে গেলো আপনার মতো সেই বিবেকবান মানুষের কন্ঠস্বর?বড় অবাক হয়ে দেখলাম,এ ক্ষেত্রে আপনি বড় নিরব।কিন্তু কেন?

আপনি ভালো করে জানেন,আপনার একটু খানি ডাক,একটূ খানি আহবান,দেশে-বিদেশে উদ্ভূত এই সমস্যা সমাধানে কতোখানি ভূমিকা রাখতো,জান্তা সরকারের নানা ফন্দি-ফিকির ও তার গোপণ এজেন্সীর নির্মমতাকেও কিছুটা হলেও স্তব্দ করে দিতে পারতো? প্রিয় মুক্তিকামি সূচী,কোথায় হারিয়ে গেছেন আপনি,বিবেককে একটু করে হলে জাগ্রত করুন প্লিজ।

প্রিয় অং সান সূচী-

বড় অবাক বিস্ময়ে আরো লক্ষ্য করে চলেছি,ইউএনএইচসিআর সহ কতিপয় সংস্থা বার্মিস জান্তার সাথে কন্ঠ মিলিয়ে বাংলাদেশের বর্ডার খুলে দিয়ে আপনার সেই রোহিঙ্গাদের শেল্টার দিতে প্রেসার দিয়ে চলেছেন,খোলাখুলি আহবান করছেন বর্ডার খুলে দেওয়ার জন্য।বাংলাদেশ স্বভাবতই নীতিগত কারণে এবং রোহিঙ্গা নিয়ে তার তীক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই,একই সাথে তার নিজস্ব বর্ধিত জনগণের চাপে ভঙ্গুর অর্থনীতির প্রেক্ষিতে নতুন করে আর কোন রোহিঙ্গাকে প্রবেশের সুযোগ দিতে চায়না।যদিও বলা হচ্ছে মানবিক কারণে বাংলাদেশের বর্ডার খুলে দেওয়া উচিৎ । অবশ্যই উচিৎ, সবার উপরে মানুষ সত্য,মানবতাই বড় আদর্শ।কিন্তু ভেবে দেখা দরকার,বিশ্ব বিবেক তথা জাতিসংঘ এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গা ইস্যূতে একে কোন ক্লাস বা নামে স্বীকৃতি দেয়নাই।এহেন নাজুক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের মতো দূর্বল অর্থনীতির দেশ কি করে এতো বড় ঝুকি নিতে পারে?

প্রিয় মানবতার নেত্রী,বার্মায় এখনো অনেক জমি পতিত রয়েছে,বিশাল বার্মিস জনগোষ্টীর সাথে এই সামান্য ৮ লক্ষ্য সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্টিকে বার্মায় যেখানে অনায়াসে সেটেলড করা যায়,সে ক্ষেত্রে বার্মার সংখ্যাগরিষ্ট বৌদ্দ্ব সম্প্রদায় কেন যে নিজেদের এই সংখ্যালঘু জনগোষ্টীকে অহেতুক দেশ থেকে খেদিয়ে দিয়ে উদ্ভাস্থ করে তুলেছেন,তা কোন মানবিক গুণসম্পন্ন মানবসমাজ কিছুতেই মেনে নিতে পারছেনা।অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে,বার্মা বিশ্বে আরো এক নতুন ফিলিস্তিন জনগোষ্টীর মতো রোহিঙ্গা গোষ্টী তৈরী করতে যাচ্ছে।কিন্তু ইসরাইলতো উড়ে এসে জুড়ে বসে পশ্চিম তীর ও গাজা এলাকায় ফিলিস্তিনীদের    হঠিয়ে দিয়ে নিজেরদের বসতি স্থাপণ করে চলেছে,যেমন করে ঈসরাঈল সমগ্র বিশ্ববিবেককে তোয়াক্কা করে একতরফা বসতবাড়ী গড়ে তুলে অমানবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে,রোহিঙ্গা সমস্যা দেখে মনে হচ্ছে বার্মিস প্রশাসন অতি সুকৌশলে সে পথ অনুসরণ করে চলেছে,যদিও দুদেশের ভৌগলিক, সামাজিক, রাজনৈতিক,নৃতাত্ত্বিক অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন।

তাছাড়া রোহিঙ্গারাতো নিজেদের দেশে এবং বার্মিস প্রশাসনও নিজ দেশেরই,ঈসরাঈলের মতো উড়ে এসে বসেনি।

যদি এমন হতো যে রোহিঙ্গারা নিজেদের জন্য আলাদা দেশ, কিংবা আলাদা প্রশাসনিক কাঠামো চাচ্ছে,তাহলেও কথা ছিলো,আপনার সরকার এর দমন-পীড়নের,অথচ বাস্তবতা কিন্তু তা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।

প্রিয় জননেত্রী-

বার্মায় আপনি যেমন জনপ্রিয় একক নেতৃত্ত্বের আসনে অধিষ্টিত,তথাপি বিশ্বসভায়ও আপনি বেশ সমাদৃত।এহেন অবস্থায়,আপনার রোহিঙ্গা জনগোষ্টী স্বাভাবিকভাবেই আপনার সুদক্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্ত্বের কাছে মানবিক এবং রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ন্যায্যভাবে নিজের দেশে সুন্দর ভাবে বেচে থাকার দাবি যেমন রাখে,একইভাবে বাংলাদেশের সামাজিক,রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক এবং ভূ-রাজনৈতিকগত ভাবে বিশাল জনগোষ্টীর ভারে ন্যূব্জ ভঙ্গুর অর্থনীতির কথা বিবেচনা করে বিশ্ববিবেক দিয়ে অহেতুক চাপ প্রয়োগের কূটনৈতিক কৌশল থেকে বার্মিস এবং বিশ্বসভাকে বাংলাদেশের বদৌলতে আপনার নিজের দেশের সমস্যা সমাধানে আপনার নিজ সরকরকে করণীয় নির্ধারণে চাপ প্রয়োগ অন্তত মানবিক কারণে হলেও করবেন বলে আশা করি।

কারণ বার্মিস সরকার এবং বার্মার জনগণই পারেন কেবলমাত্র এই সমস্যার প্রকৃত সমাধান করতে,বন্ধ করতে পারেন,বাংলাদেশের দিকে আসা মানবশ্রোতকে।

প্রিয় জননেত্রী,আপনার মতো আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রী কিংবা আমাদের সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক এতো দক্ষ কূটনৈতিক বক্তব্য প্রদানে অব্যস্থ নন,যেখানে ইইউ সহ বিশ্ব সম্প্রদায়কে আপনার সরকারের উপর চাপ প্রয়োগে ব্রীফ এবং মোটিভেটেড করার কথা,সেখানে আমাদের হ-য-ব-র-ল কূটনীতি ব্যাস্ত তথাকথিত দেশীয় রাজনৈতিক দলসমূহকে এই সুযোগে ঘায়েল করার হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে।অথচ বিশ্ব বিবেক প্রতিনিয়ত আমাদেরকে বর্ডার খুলে দেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে চলেছে,তা কতোটুকু নৈতিক সে কথা কেউ ভেবে দেখছেনা।অথচ আমরা চলেছি অকূটনৈতিক সূলভ আচরণ করে,সেই দূর্বলতার সুযোগে আপনার সরকার ও জনগণ আমাদের দিকে মানবশ্রোতকে ঠেলে দিয়ে আমাদেরকে বিবেকের কাছে বড় অসহায় ও বেদনাবিদ্দ্ব করে তুলতেছেন,যা কখনো কাম্য নয়।

প্রিয় অং সান সূচী-

যুগ যুগ ধরে চলে আসা বাংলাদেশ-বার্মার বর্ডার এবং এর উভয় অঞ্চলের জনগণ ও সরকার অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে জীবন-যাপন করে আসতেছেন।আমাদের উভয় দেশের বর্ডারে রয়েছে এক্ষেত্রে এক গৌরবময় ঐতিহ্য।আরাকানের ঐ রোহিঙ্গা ইস্যূ নিয়ে দুই দেশের ঐ জিরো পয়েন্ট বা এর কেন্দ্রস্থলকে দক্ষিণের লেবানন আর ঈসরাঈলের মতো প্রতিনিয়ত অস্থির মৃত্যুপুরী কিংবা অশ্রের ঝংকারে প্রকম্পিত করে তুলতে দিবেননা প্লিজ।

বিশ্ব সভার দিকে চেয়ে দেখুন,মানব সভ্যতার ক্রমবিকাশের দিকে একটূ ফিরে তাকান প্লিজ,একবার কোন ভাবে বিষফোড়া যদি আমাদের সীমান্ত অঞ্চলে ঢুকে পড়ে, তবে দুই দেশের শান্তি প্রিয় জনতার কেউই শান্তিতে থকতে পারবোনা।

আপনার-আমার  নিজেদের স্বার্থে এই সমস্যাকে যত তাড়াতাড়ি আপনার নিজের দেশের ভিতর থেকে সুষ্টু রাজনৈতিক সিদ্ধ্বান্ত ও পরিকল্পণার মাধ্যমে এই সমস্যাকে সমাধান করবেন-তত বার্মা তথা এই উভয় দেশের সীমান্তবাসী ও জনগণের জন্য বিশেষ উপকারি হবে বলে আশা রাখি।

জনগনের নেত্রী হিসেবে আশা করি আপনি এই সমস্যা সমাধানে সুন্দর ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ,জয় হউক মানবতার,জয় হউক বিশ্বমানবতার।

Salim932@googlemail.com, Tweet@salim1689

21st June 2012.

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *